ইউজার লগইন

মুক্ত বয়ান'এর ব্লগ

একটি অ্যাপল কিংবা আপেলের গল্প অথবা “আমার কাজের মাঝে-মাঝে/ কান্না ধারার দোলা তুমি থামতে দিলে না যে”

[দীর্ঘদিন পরে লেখা। তাই নিজের ঘরে জমিয়ে রাখা।]

জাদুকরদ্বয়ের গল্প

শুরুতেই বলে দেই এইটা একটা বাজারি গল্প। বাজারি গল্প মানে হল, এমন একটা লেখা যেটা কারো আদেশ, অনুরোধ, উপরোধে লেখা। এই ধরণের লেখাগুলা সাধারণত খুব দ্রুত লেখা হয়, তাই যে লিখে তার মাথায় তাড়া থাকে আর একটা প্যাটার্ন অনুসরণ করতে গিয়ে লেখকের নিজের চিন্তার প্রতিফলন খুব একটা বেশি ঘটেনা। কিন্তু, তাও মাঝে মাঝে এই ধরণের লেখাগুলাও লেখকের কথার বুননের কারণেই হোক অথবা গল্পের কাহিনীর কারণেই হোক, পাঠকপ্রিয় হয়ে ওঠে। যেহেতু আমি এমন কোন লেখক নই যে অনেক গুছিয়ে- কথার পর কথা সাজিয়ে পাঠককে গল্পের ভেতরে নিয়ে যাবে কিংবা কোন হৃদয়গ্রাহী গল্প লিখবে; কাজেই যারা সাহিত্যপ্রেমী তারা এই লেখা পড়ে সময় নষ্ট করবেন না। এখানে কোন সাহিত্যের গলি- ঘুঁপচিতে বিচরণ নেই, নেই কোন শব্দের খেলা। আর যারা আড্ডাবাজ, তাদের জন্যেও এই পোস্টটা না। এখানে আড্ডাবাজির কোন সুযোগ নেই। যা থাকবে, সেটি হতে পারে আত্মোপলব্ধি, নিজের কাছে নিজের প্রশ্ন- নিজেই তার উত্তর খোঁজা। কিন্তু, যেহেতু লেখাটা জাদুকরদের নিয়ে, কে জানে, তাদের জাদুর ইন্দ্রজালে হয়ত আপনারাও আটকে যাবেন মায়ায়..

গল্পটা দুইজন জাদুকরকে নিয়ে। দুইজনই আমাদের অনেক পরিচিত।

ভালোবাসা তোমার ঘরে বৃষ্টি হয়ে নেমে আসুক..

১.

আমার ঈদ পর্যবেক্ষণ

সবাইকে ঈদ মোবারক। যদিও বৃষ্টির কারণে একটু প‌্যাঁচপ্যাঁচে অবস্থা ছিলো আজকে চারিদিকে, তাও সবাই ছাতি মাথায়, ভাঁজ করা প‌্যান্টে ঠিকই ঘর থেকে বেরিয়ে যার যার মত করে ঈদের আনন্দ ষোলআনা উপভোগ করেছেন। আর, এখন এই অবেলায় জনশূণ্য রাত্রিতে ক্লান্ত দেহে বিছানায় গা এলিয়ে ধৈর্য্যের চরমতম পরীক্ষা দিয়ে উপভোগ করছেন বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে নাটক। আর, যারা পরীক্ষায় উতরাতে পারেননি, তাদের জন্যেও আছে চিকিতসা!! ভিন দেশী চ‌্যানেল তৈরি হাজারো পসরা সাজিয়ে!

যাই হোক, যে যাই করতেছেন, করতে থাকেন, যদি কোন ফাঁকে- ঝুঁকে ব্লগে ঢুকে থাকেন, আর অন‌্যান্য ব্লগ পড়তে পড়তে তারো কোন চিপা দিয়ে এইখানে চলে আসেন, তাইলে আমার আজকের পর্যবেক্ষণ পইড়া ফেলান এক দমে। কথা দিলাম, বেশিক্ষণ লাগবে না। যদি এইটুকু পড়ার পর আর ধৈর্য্যে না কুলায়, কী-বোর্ডের end বোতামে ক্লিক করে তলায় গিয়া জানান দিয়ে আসেন, "টায়ার্ড। খালি উপস্থিতি জানান দিতে আইলাম!!" আরো যদি টায়ার্ড হইয়া থাকেন, তাইলে এখনই ব্রাউজারের এই ট‌্যাবটার ডান কোণায় ক্রস বোতামে ক্লিক কইরা নিশ্চিন্ত মনে ঘুমাইতে যান..

"প্রযত্নে হন্তা"র সলুক সন্ধানে..

এই লেখাটা যখন লিখতে বসছি, তখন আমার পাশে সাইলেন্ট করে রাখা মোবাইলটা কাঁপছে। ফোন এসেছে। আমি ঘার ঘুরিয়ে একটু চোরা চাহুনি দিয়ে ফোনকারীর নামটি দেখেই আবার না দেখার ভান করে কি-বোর্ডে ক্রমশ: আঙ্গুল চালাতে থাকি। গত নভেম্বরের ১৫ তারিখের মাঝে লেখাটা দেওয়ার কথা ছিলো, ও মনে না করিয়ে দিলে ডিসেম্বরের ১৫ই পার হয়ে যেত আরেকটু হলে! যাই হোক, বলছিলাম হিমালয়ের কথা। প্রসঙ্গ তার প্রথম প্রকাশিত গল্পগুচ্ছ "প্রযত্নে হন্তা"র ভালো লাগা- মন্দ লাগা বিষয়ে আমার মতামত।

আসেন কাইজ্জা করি..

ভাব- টাব বাদ। সোজা বাংলায় লেখি। মনে যা আসে, তাই লেখবো।

এই পোস্টটা একটা কাইজ্জা পোস্ট। যার মনে যা আছে, যা কাউরে কইতে চান, কিন্তু বলতে পারতেছেন না, এইখানে ঝাঁপায়ে পরেন। তবে, লুকায়ে না, নিজ নিজ অ্যাকাউন্ট থেকে লগ- ইন করে নিজের নামে।

আমার বিরুদ্ধে যদি কারো কোন অভিযোগ থাকে, যেমন "এক নিক থেকেই প্রথম পাতায় ৩টা পোস্ট," মডু আইসা থাবড়া দিতে চায়, তাও সই। প্রবাসী- দেশি নিয়া যদি কারো কিছু বলার থাকে, পিছে না বলে এইখানেই বলেন। আর, লুকানোর কিছু নাই, আমরা সবাই জানি, সবারই কিছু না কিছু অতীত আছে। সেটা হয়ত নতুনদের জানা নেই, এখানে এসে সবাই ঝামেলাগুলা পিছনে ফেলে একটা ঘরোয়া আমেজে গপ্পো করে, তাতেও যদি কেউ ঝামেলা করতে চান, সেটা এখানে না করার অনুরোধ।

যদি কেউ বলেন,

এইখানে লিখবো বলে দাসখত দিয়ে ফেলেছি নাকি?

একটি সবজি কৌতুক!

আমার নাম মুক্ত, আমি একটি সবজি কৌতুক বলবো।
সবজি কৌতুক মানে, সবজি নিয়েই কৌতুক, অন্য কিছু মনে করার কোন কারণ নাই, কেউ কিছু মনে করলে/ কিছু বেশি বুঝলে সেইটা যার যার বিবেচনা এবং অবশ্যই শামুক- লোচনা! আমার কিছু করার নাই/ বলারও নাই!! কৌতুক আমি নিজে বানাই নাই, কোথাও থেকে নিশ্চয় মারা, কাজেই, এইখান থেকে মারছো, ঐখানে শুনছি বইলা কেউ কো- কো করবেন না!! আগে শুনলে অফ যান, না শুনলে পড়া শুরু করেন...

একদিন এক গোলগাল কমলালেবু মিনি স্কার্ট আর গেঞ্জি পড়ে বিকেলে পাড়া বেড়াইতে আসছে। তাই দেখে পাড়ার তুখোড় স্মার্ট কচি শসা চোখে সানগ্লাস লাগিয়ে চুলটা টেরি করে আঁচড়ে কমলালেবুর সাথে ভাব জমাইতে আসছে। Steve বেশ বেশ। গায়ে পড়া স্বভাবে ভাব জমানো, তারপর ভাব- ভালোবাসা, ভালো লাগা- প্রণয় এবং তারপর আর কি যা হয় Love ...

একটি রসগোল্লা পোস্ট- উৎসর্গ (বৃষ্টি)রাসেল ভাই!!

আমরা বন্ধুর একটা ভালো দিক কিছু হইলেই আড্ডাবাজি করে, আর কয়দিন পরে পরে খেয়াল হইলে একটা কইরা ই- বুক বের করে। ই- বুক বের করাটা অনেকটা হুজুগে ব্যাপার। সবাই করে, তাই আমরাও না করলে কেমন দেখায় টাইপস!! Wink

শুরুতে শুরুতে খুব হাউ- কাউ করে চারটা ই- বুক বের হইল। আমরাও খুশিতে বাক- বাকুম!! কিন্তু, তারপরেই আর কারো তেল নাই। তাই মাঝে কয়দিন কোন ই- বুক নাই। হঠাৎ করে টুটুল মিঞার উস্কানিতে রাসেল ভাইয়ের নাচুনি বুড়ি সাজা, তারই ফলে পোস্ট আমরা বন্ধুর বৃষ্টি- বিলাসি ই- বুক। স্টিকি হওয়া, সবাইকে খোঁচানিতে রাসেল ভাইয়ের রাত জাগা আর আমাদের পালায়ে পালায়ে থাকা!!

যাই হোক, আমরা বহুত দিন ঘুরায়ে- পেঁচায়ে লেখা দিলাম। কথা ছিল আষাঢ়ের প্রথম দিনেই ই- বুকের দেখা মিলবে। কিন্তু, আফসোস!! দেখা পাইলাম না!! আমরা কি আর জানতাম, মডুর বিলম্বের আড়ালে রাসেল ভাই, নজরুল ভাই আর লোকেন ভাইয়ের গোপন ইচ্ছা!!! Wink Wink

এ জার্নি বাই বাস ফ্রম মহাখালি

নামটাই যার খালি, তায় সেইটা যদি হয় আবার “মহা”, তাহলে অবস্থা কিরকম হবে সেটা তো সহজেই অনুমেয়! না পাওয়া যায় বাস, না আসতে চায় কোন সি.এন.জি.। গরীবের সি.এন.জি রিকসা ছিলো শেষ ভরসা, বিদ্যুতবিভাগের ঔদার্য্যে রাস্তাভাঙ্গার অযুহাত, ভাড়া আকাশ ছোঁয়া। মানুষ পয়সা খরচ করে সিনেমা দেখতে যায় “আকাশছোঁয়া ভালোবাসা”, আর আমরা ভাড়ার ঊর্ধমুখিতায় উত্তপ্ত রিকসাচালকের কাছে পাত্তাই পাই না নিয়মিত ভাড়ার কথা বলে! ঝাড়ি খেয়ে মুখ উদাস করে ইতি- উতি তাকাই পাশে দাঁড়ানো কোন তরুণী দেখে ফেললো না তো আমার দৈন্যদশা! আমাদেরও অবশ্য সেরকম মাহেন্দ্রক্ষণ আসে, যখন কোন তরুণীকেও কোন এক রিকসাচালক মুখের উপর না করে দেয়। আমরা আড়ে-ঠাড়ে তাকাই আর আরেকদিকে মুখ ঘুরিয়ে মুচকি হাসি!

ইয়া ভিসুমাই!!!

এদ্দিন বহুত হাঙ্কি- পাঙ্কি কইরা পলায়ে ছিলাম!!! Tongue Tongue ব্লগে গেরিলা হামলা চালাইছি! হামলা ঠিক চালাই নাই, কেবল রেকি করছি!! ঘাপটি মাইরা দেখছি, কে কি করে!! এখন হবে আক্রমণ!!
আরেকটা বড় উছিলা ছিল পরীক্ষা। এখন একটা মোটামুটি বড়সড় ছুটি আছে!! কাজেই এই সময়ে পুরাই কোপায়ে দিবো!!!
আপনাদের দোয়াপ্রার্থী!!! মাথা পাতিয়া দিলাম। আশীর্বাদ করেন, তয় সুযোগ পাইয়া থাবড়া দিয়েন না!!!
আপাতত, একখানা গান শুনি..
http://download.music-com-bd.load-balanced.net/Music/B/Bangla/Prottutponnomoti/8%20-%20Bangla%20-%20Raat%20pohale%20pakhi%20bole%20dere%20khai.mp3

আমার মনের আঙিনায়/ পথে তুমি হেঁটে যাও..

মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে একলা হই। মানুষ হয়ে জন্মাবার একটা বড় সুবিধা বা অসুবিধা যেটাই বলি না কেন, তা হল, প্রচন্ড ভীড়ের মাঝেও একাকিত্বের স্বাদ নিতে পারা। চারিদিকে হই-হুল্লোড়, চিৎকারের মাঝে হুট করে নিজের মনে হারিয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ যেমন থাকে, তেমনি আবার অনেক সময় একলা হতে চাওয়াটার পূর্ণতা প্রাপ্তি হয় না এই কোলাহলের কারণেই..

গানগল্প- ২ [এতদিনে ফুল কুড়ালাম, ভরল মনের ডালা]

"ধূচ্ছাই, ভাল্লাগে এসব? প্রতিদিন এই একই কাজ? একখানে বসে থাকা? বসে থাকতে থাকতে তো আমি মাটির সাথেই লেপ্টে যাব! কোনদিন দেখবো, আমি নিজেই মাটিতে শিকড় গেঁড়ে ঢুকে গেছি! ধূর! আর করবো না। আজই শেষ।” আনমনে গজগজ করতে থাকে লাবণ্য। তারপর পাশের রান্নাঘরে বসে থাকা মা'কে শুনিয়ে শুনিয়ে বলতে থাকে, "কেন বাবা, আর কেউ নেই? আমিই কেন রোজ রোজ এই কাজ করবো? আর কেউ নেই? একটু ঘুমাতেও দেবে না, সাত সকালেই ঘুম ভাঙিয়ে দেবে!

একখানা মঞ্চায় মূলক পোস্ট!!

ইয়া হাবিবি হাবিবি হাবিবি...
বিবি সাব'রে হা করতে কইলাম আর্কি!! যদিও কবি এইখানে বিবি বলতে বউকে বুঝাইতে চায় নাই কিন্তু!!! মাইনে সহজ কইরা বললে, শিশুদের জন্য হ্যাঁ বলুন আর্কি!! Tongue

যাউক্গা.. আসল কথায় আসি। রোযা- রমযানের দিন, সিয়াম সাধনার সময়। কিন্তু, তাই বলে আড্ডাবাজিকে ভুইলা গেলে কেমনে হবে??

গান গল্প- ১ [চাঁদের ঐ আলো হয়ে আসো মোর ভাঙ্গা ঘরে..]

এমন একটা সময় ছিল, যখন খুব করে তোমার সান্নিধ্য পেতে চাইতাম। এখনও চাই, হয়ত। কিন্তু, তোমার কাছে পাত্তা পাই না। তোমার সময় হয় না, তুমি সারাদিন ব্যস্ত থাকো। আগের কাজগুলো থেকে মুক্তি পেয়েও তোমার ব্যস্ততা কমেনি, বরং আমাকে আগে যে সময়টুকু দিতে, সেখানেও এখন অনেক ভাগিদার। তুমি এখন কত বড়, কত বিস্তৃত তোমার পরিধি।

আড্ডা!! আড্ডা!! আড্ডা!! বীর চট্টলার আড্ডা!!

চ্রম একটা আড্ডা হইছে।
আগে জান্তাম না, খানাপিনা নাকি মডু'র স্পন্সরে!!! কম কম কইরা খাইছিলাম। Sad আগে জানলে আরো বেশি কইরা খাওয়ন যাইত.... Wink Wink

আড্ডা মূলত শুরু হয়, ৫টা থেইকা... কারণ, আমি গেছি তখন!!! Tongue
আমার আগে কে কে গেছে এইটা জাইনা কাজ নাই, বরং আমি কার কার আগে গেছি, এইটা বলি... Steve
তারার হাসি পু