শৈশবজুড়ে বর্ণমালা
আমাদের লেখাপড়ায় হাতেখড়ি হয় বর্ণমালা দিয়েই, যদিও অক্ষরগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠতা দূরে থাক, পরিচয় হওয়ার অনেক আগেই আমরা শিখে যাই পাগলা ঘোড়ায় চড়ে তেড়ে আসতে আসতে বুবুকে ধমকে দিতে, কিংবা চাঁদকে নিজের কপালে টিপ দিতে অনুরোধ করতে করতে অজ্ঞাতসারেই মামা ডেকে বসা অথবা, শিখে ফেলি Humpty Dumpty জুটির গল্প। তারপরও আমাদের মোটামুটি সবার পড়াশুনাটা বাংলা বর্ণমালা দিয়ে শুরু হয়ে ইংরেজিতে নোঙর ফেলে অংকের বন্দরের দিকে নতুন করে পাল ওঠানোর মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে। ক্ষেত্রবিশেষে ব্যতিক্রম থাকলেও অধিকাংশের গল্পগুলো মনে হয় এরকমই।
যে সময় মা-বাবারা খুঁজে খুঁজে সেই চারপাতা রঙিন প্লাস্টিকের বইগুলো কিনে এনে আমাদের সাগ্রহে “অ” “আ” “ই” “ঈ” পড়িয়ে পন্ডিত বানানোর চেষ্টায় রত, আমরা তখন বইয়ের পাতায় গাছের ডালে ঝুলে থাকা আম পারার জন্যে লাফ দেই কিংবা, পেঁচানো অজগর দেখে আতঙ্কে চিৎকার দেই অথবা এমনও হয় বক পাখি দেখে উড়ে যাবার বাসনা পরিতৃপ্ত করতে দু’হাত দু’দিকে ছড়িয়ে বোঁ-বোঁ শব্দে ঘরময় ছুটে বেড়াই, পড়াশুনার থোড়া্ই কেয়ার করে।
মা-বাবারা হতাশ হন। বাবা অফিসে চলে যান, অবসর পেলে পত্রিকা পড়ার ফাঁকে একটু-আধটু পড়াতে বসেন। আর মা তো হেঁশেল সামলাতেই ব্যস্ত। তারপরও সবসময় কেমন করে যেন মায়ের অখন্ড অবসর। সবসময়ই মুখে যেন ছন্দে ছন্দে বর্ণমালাগুলোর খেলা চলা। তাতেই অনেকটা সময় নিয়ে একটা একটা করে বর্ণ শেখা, বর্ণগুলোকে আত্মার বাঁধনে বাঁধা, ভবিষ্যতে পেট চলার জন্য এগুলোর উপর ভরসা করতে হবে এই চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আরো বেশি করে এগুলোকে ভালোবেসে ফেলা।
ছেলেবেলায়, যখন আমাদের হাফপ্যান্ট পরারও বয়স হয়নি, নিয়ম করে রোজ বিছানা ভিজাই, প্রতিরাতেই মায়ের সাথে ঘুমাবো বলে বায়না ধরি, আর, মা ভাত খেয়ে এসে ঘুম পাড়িয়ে যেতেন ঘুম পাড়ানি মাসি-পিসিদের ডেকে কিংবা চড়ুই পাখির চুরি করে ধান খেয়ে ফেলার কারণে আক্রমণ করা বর্গীদের ভয় দেখিয়ে অথবা little starগুলোকে যখন twinkle নামে ডাকতেন তখন কেন জানি খুব করে বর্ণমালাগুলোকে নিজের সম্পত্তি বলে মনে হত। কাউকে দেবো না, এমন একটা ভাব।
সাইকেল চালাতে শিখবো বলে বায়না ধরায় মা’র অনুরোধে বাবার ২ বছরের প্রতিরোধ ভাঙে ৩য় শ্রেণীতে এসে। প্রতিজ্ঞা করতে হয়, ১ম-৩য় অবস্থানে থাকার শ্রেণীতে। সবসময় সবকিছুতে বেশি বেশি করে চাওয়া মানুষগুলো অযথাই পরীক্ষার ফলের ব্যাপারে কম হয়েছে শুনলেই বেশি খুশি হয়ে উঠতো। এই ফলাফলে অবস্থানের সংখ্যামানের নিম্নগতির সাথে মানুষের খুশি হওয়ার হারের ব্যস্তানুপাতিকতার কারণ ছোটমাথায় তখনো পরিস্কার না হলেও কখনো ৫ এর কমে আসতে না পারা সেই ছেলেটি সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় ৩য় হয়ে যায়। খুশিতে বাকবাকুম ছেলেটির স্বপ্নজুড়ে সাইকেলের ছবি আঁকা ঘুড়িটা হুট করে ছিঁড়ে যায় “১ম সাময়িক আর বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের মাঝে পার্থক্য আছে” হঠাৎ উদ্ভুত এই তত্ত্বের প্যাঁচে পরে। সাইকেল আর পাওয়া হয় না। শেখা হয় না সাইকেল চালানো, শেখা হয় না সবদিক সামলে নিজের ভারসাম্য রক্ষার প্রথম পাঠ, যা হয়ত পরবর্তীতে খুব সহজে জাত-পাত ভেদাভেদে উদ্বুদ্ধ করে। তবু, যেটা পাওয়া হয়, বার্ষিক পরীক্ষা শেষে একটা লেগো সেট, যেটা বর্ণমালাযুক্ত। শব্দ মেলাতে হয়। সেই থেকে আবার শুরু বর্ণের সাথে বর্ণের মিলনমেলা।
মায়ের হাত ধরে প্রথম যেদিন গুটি গুটি পায়ে আঁকার স্কুলে গেলাম, শিক্ষিকাকে আচমকা প্রথমবারেই ভালো লেগে গেল, কেন যেন খুব আপন বলে মনে হল, মনে হল এনার সাথে আমার বনবে, আমাকে ইনি বুঝতে পারবেন। কে জানে কেন এমন মনে হল? হয়ত, প্রথম দিনই তিনি আমাদের পাখি আঁকতে শিখিয়েছিলেন, “দ” দিয়ে, তাই। এখনো মনে আছে। “দ”এর নিচের অংশটা নৌকার মত আঁকতে হয়, আর উপরের মাত্রাটাকে আরেকটা উল্টানো নৌকার গলুই হিসেবে শুরু করে পুরোটা শেষ করলে আস্ত একটা পাখি হয়ে যায়। কি পাখি, তার নাম জানি না। কখনো জানাও হয় নি। হয়তো ইচ্ছে করেনি। আমার কাছে ওটা এখনো হয়ে আছে “দ পাখি”।
তারপর?
কেমন করে হুড়মুড়িয়ে শৈশবটা কেটে গেল। হঠাৎ করেই বড় হয়ে গেলাম। এখন আর ঘুম ঘোরে বর্ণমালাগুলো খেলে না, এখন আর বর্ণের পাশে বর্ণ, কিংবা, বর্ণের উপরে বর্ণ চড়ে বসে শব্দশৈলী করে না। এখন শব্দরা কেবল পরীক্ষার খাতায় পর পর বসে পরে বেশি বেশি নম্বরের জন্যে, মুখস্থ করে আসা কথাগুলো লিখে যাই এক এক করে। আর অনেকদিন পর হঠাৎ করে পত্রিকার পাতায় ছবি, টেলিভিশনের পর্দায় বাচ্চাদের বর্ণ নিয়ে উৎসব দেখে নস্টালজিক হয়ে যাই।
বড় হইতে গিয়াই তো বর্নমালায় প্যাঁচ লাগলো...নইলে তো ভালই ছিলাম ।
ক্যান ক্যান?? প্যাঁচ লাগলো ক্যান?
হ, শৈশবকাল তো ভালো হইবেই।
হায় শৈশব !! হায় শৈশব !!! হায় বর্ণমালা !!!
চমতকৃত হলাম ।
আরে আরে!! এত হায় হায় কর্তেছেন ক্যান??
ধইন্যাপাতা।
আপ্নে কি পরীক্ষার খাতায় বাংলা লেখেন!
একদা এককালে তো লিখতাম। আর, এখনো তো লিখিই, তাই না? ইংরেজি বর্ণমালা??
অ:ট: ২-২ তে একবার ইলেকট্রিক্যাল পরীক্ষায় কি একটার ইংরেজি মনে থাকায় বাংলায় লেইখা আসছিল!!!
এরাম আমিও করছি, তয় আমি ফোনেটিক ইংলিশ লেইখা আসি
হা হা হা হা!!!
উত্তম জাঁঝা।
এই বুদ্ধি আমার কখনোই মাথায় আসে নাই!!
আহ্ শৈশব! প্রিয় শৈশব!
অহন বইয়া বইয়া আহা উহু করেন!! আর, মাইনষে শুনলে কইবো, "কে রে? কেডায় আম্রার মুকুলরে মার্ছে"!!!
লেখা ভালা হইছে না মন্দ হইছে কিছু কইলো না খালি খালি আহা উহু!!
খুব চমৎকার একটা লেখা পড়লাম।
ধইন্যাপাতা নেন। বেশি বেশি।
আহা, স্মৃতিকাতর করে দেয়া চমৎকার একটা লেখা! খুব ভালো লাগলো মুক্ত।
দ-এর হলো মাথাব্যথা
শূন্য এলো দেখতে
২২জন কোবরেজ এলো
পিঁড়ি দিলেম বসতে
মারলো এক খোঁচা
হয়ে গেলো প্যাঁচা---
পাখি আঁকার ছড়াটা বোধহয় এমন ছিলো। ০ হলো পাখির চোখ, ২২ হলো পাখির দু'টো পা।
হ। সবই স্মৃতি, সবই মায়া!!
আপনে আপু একটা .. (উপযুক্ত বিশেষণ খুঁইজা পাইতেছিনা)
নেক্সট কোন লেখা পোস্টানির আগে আপনের লগে যোগাযোগ করতে হইবে। দরকারি কবিতা, টীকা সব আপনের মুখস্থ!!
কবিতাটা আপনে বলার পর মনে পরল। ভুলেই গেছলাম। স্মৃতি ভুইলা যাইতেছি। খুব খারাপ।
ধইন্যাপাতা।
ভালা লেখছিস!
এখন বই খাতা দেখলে বাচ্চাকালের কথা মনে পড়ে
আরে আরে আরে!! এইটা কারে দেখি!!! তুই এইখানে কি করিস?? কবে আসলি??
ধইন্যাপাতা।
বাচ্চাকালের কথা মনে পরে? নাকি হবু বাচ্চাদের কথা মনে হয়??
যথাসময়ে বিয়াশাদি কল্লে তোরা এদ্দিনে চাচা হয়ে যাইতি
কিন্তু সেই সুযোগ পাইলাম কই
ইয়া রব্বুলালুমিন.. এই নাদান বালকের খায়েশ পূরণ করত:, আমাদের চাচা হওয়ার সুযোগ দেও। বালকের পিতা-মাতার মনে উস্কানি দেও!!
আমিন।
নষ্টালজিক লেখাগুলো আরো লেখার ক্ষেত্র তৈরী করে, এটিও ব্যতিক্রম না। নিজের শৈশবের সাথে মিলে গেলে তো পোয়াবারো
এই তো চাই ভাইয়া।
তাইলে এই কথাই থাকলো, আপনের আরেকটা পোস্ট পাওনা হইল..
কবে দিবেন? আপনার স্মৃতিকথাগুলো পড়তে ব্যাপক জোশ হয়। বেশিদিন অপেক্ষায় রাইখেন না।
আজকে অফিসে অনেক কাজ।এর মধ্যে এই পোষ্ট পড়ে নষ্টালজিক হয়ে গেলাম। এখন কাজ করবে কে?
মায়ের কাছে বর্ণমালা শিখেছি। ছড়া শিখেছি। মায়ের হাত ধরেই স্কুলে গিয়েছি। স্কুলে ছোটবেলায় বাঁশের কন্চির কলম দিয়ে বর্নমালা লিখতে দিত। যাতে লিখা সুন্দর হয়। যদিও আমার লেখা খুবই পঁচা। স্কুল থেকে এসেই খেলতে যেতাম, সন্ধ্যায় ধুলোবালি মেখে ফিরতাম।মার কাছে বকা খেয়ে পড়তে বসতাম।
সাইকেল চালানো শিখেছি বাবার কাছে। সে কত কাহিনী। সাইকেল হাতের কাছে পেলে হুঁশ থাকতো না আমার। অনেক দূরে চলে যেতাম। আম্মা খুব রাগ করতো, মেয়ে যে আমি! বাবা হাসতো প্রশ্রয়ের হাসি।
উফফ!!!কি মনে করিয়ে দিলেন রে ভাইয়া!!!!
কাজ তো রোজই করেন। আজও করবেন। আমরা ছোটবেলা থেকেই সব কিছুতেই অভ্যস্ত হয়ে যাই। আজ কাজকে একটু ছুটি দিয়ে স্মৃতিকাতর হতে বাধা নেই।
বাবা-মা'রা এমনই হয়। একজন শাসনের ভাব দেখাবে, আরেকজন স্নেহ করবে, শাসন থেকে এড়িয়ে রাখবে। কিন্তু, দু'জনের ভালোবাসাই কারো চেয়ে কারো কম নয়।
রবি বাবুর ভাষায় "আমার জীবনপাত্র উছলিয়া, মোরে করেছো দান"।
আমার সাইকেল চালানো শিখা তখন আর হয় নাই। বাসায় থাকতাম। নিচে রাস্তা। বের হতে দিতো না, পাছে এক্সিডেন্ট হয়। অনেকদিন পর, মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে শিখা হয়।
আপাতত ধান্দায় আছি মোটরসাইকেল শিখার..
গোপনে কই মোটর সাইকেল শিখার চেষ্টাও করছিলাম।
সাইকেল এখন আর চালাতে পারি না। এবার গ্রামে গিয়া চেষ্টা করছিলাম। সাঁতার আমি কোনদিন শিখতে পারি নি। ভয় পেতাম। বাবাকে, মামাকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে থাকতাম। আর হলো না শেখা।
মোটর সাইকেল চালাইতে নিছিলাম ২ বার, স্টার্টই নিতে পারিনাই! গুরুজ ভ্রাতারা ক্ষেইপা গিয়া আর ধরতে দেয় নাই!!
হায় হায় কন নি?? এখন আর সাইকেল চালাইতে পারেন না? মানে ভুইলা গেছেন? এই প্রথম আমি কাউরে বলতে শুনলাম, সাইকেল চালানি ভুলছে!!
সাইকেল আর সাঁতার কেউ শিখলে আর কখনো ভুলে না জানতাম।
ঐ যে বলছিলাম, শহরে মানুষ। তাই, সাঁতার শিখছি আমি সুইমিংপুলে। আর প্রতি বছর গ্রামে যাওয়া হত ২-৩ বার করে, সেখানের পুকুর ছিল আমার প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড।
আপনেরে মনে হয় আংকেল-আন্টি বেশি পছন্দ করে, তাই সাঁতার শিখাইতে পারেন নাই!! সাঁতার প্রশিক্ষণের প্রথম এবং একমাত্র উপায় হল, "মাঝখানে নিয়ে ছাইড়া দেওয়া। শিক্ষার্থী হাঁচোড়-পাঁচোড় করতে থাকবে, তারপর ডুবে যাবে। এইসময় তারে আবার টেনে ধরে তুলে দেওয়া হবে, তারপর আবার ছেড়ে দেওয়া হবে। এইভাবে, ডুববে, ভাসবে, ডুববে, ভাসবে, একসময় আর ডুববে না। শিখে যাবে ভাসা"।
কি যে বলেন!ছাইড়া দিবে কেমনে?আমাকে ত ছাড়তেই পাড়ত না। আমি কোমরে জড়িয়ে ধরে থাকতাম।
আর সাইকেল এ আমি উঠতেই কেমন কাঁপছিলাম এবার। বুঝলাম অনেকদিনের অনভ্যাস। অথচ একসময় কি দুর্দান্ত যে চালাতে পারতাম!!!!!
হা হা হা হা!!
তাইলে তো Fevistic আঠা'র বিজ্ঞাপনের আরেকটা আইডিয়া দিয়ে দিলেন..
পানিতেও আঠা ছুটে না!!
ব্যাপার্না। সাইকেল বেশি চালানো ঠিক না। লম্বা হইয়া যাইবেন!! শেষে আপনের থেইকা লম্বা জামাই খুঁইজা বাইর কর্তে কষ্ট হইবে!!
আহা আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম! আর এখন?? এখনতো বাদুড় হয়ে গেছি। সকালে সুয্যি মামা জানালা দিয়ে উঁকি মারার চেষ্টা করলে বালিশকে আপন করে তুলি। দুপুরে কোনমতে নিচতলায় নেমে খেয়ে আবার সিয়াস্তা। তারপর সুয্যিমামা বিদায় নিলে দিন ... থুক্কু রাত শুরু। কাজেই এখন আর দিন কাটানোই হয় না
স্মৃতিকাতরতা খুব খ্রাপ, বিশেষ করে বিছানা ভিজানোর স্মৃতি
পুরা পোস্টে পুলাপাইন খালি পানিটাই দেখলো!!
তুমি কোন ক্লাস পর্যন্ত ভিজাইছো??
দ পাখির অভিজ্ঞতাটা ১৫ বছরের ব্যবধানেও পাল্টায় নাই দেইখা ভালো লাগলো...
স্মৃতিকাতরতা বিষয়টারে আমার বেশ স্বাস্থকর লাগে আজীবন। আমিও স্মৃতিকাতরতার প্রেমেই থাকি...
স্মৃতিকাতরতা ব্যাপারটা খুব রোমান্টিক। তাই ভালো লাগে। কিন্তু, ঠিক স্বাস্থ্যকর না। কারণ, অনেক সময় দেখা যায়, কোন একটা দু:খের স্মৃতিতে আপনে কান্তে কান্তে একসা!! ফলে তখন আপনার শরীর থেকে প্রচুর লবণ বেরিয়ে যাবে চোখের জলের সাথে!!
দ পাখির অভিজ্ঞতা মনে হয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরের। কারণ, সেদিন আমার ভাবিকে দেখলাম তার ২ বছর বয়সী বাচ্চাকে পাখি আঁকা শেখাচ্ছে একইভাবে..
খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়োলো
বর্গি এলো দেশে
বুলবুলিরা ধান খেয়ে যায়
খাজনা দিব কিসে?
নস্টালজিক হয়ে গেলাম ...
নস্টালজিক হইয়া লাভ নাই!! বরং ভবিষ্যতের লিগ্গা প্ল্যান করেন..
কবিতায় ভুল হইছে..
"খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়োলো
বর্গি এলো দেশে
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে
খাজনা দিব কিসে?"
ভুইলাগেছিলাম
সেই কবে পর্ছিলাম
আপসুস!! বুড়া হইয়া যাইতেছেন!!
মাথায় ব্যাড সেক্টর জমতাছে!!!
এর পরের অংশঃ
ধান ফুরালো, পান ফুরালো খাঁজনার উপায় কী ?
আর কটা দিন সবুর করো রসুন বুনেছি।
নষ্টালজিক হয়েগেলাম।
যান, ভাগেন!!
বড়ো না, বুড়া হইয়া যাইতাছি
হেহ হেহ.. আপনের একটা কমেন্ট আছিল ইরাম, "দুনিয়ায় আরো একটা মাসুম (বাচ্চা) বাড়লো"
আপনে নিজেরে পিচ্চি বইলা দাবি করেন, এখন আবার কন বুড়া হইতেছেন!! খুব খ্রাপ!!
আমার মনে আছে ,আমাকে ঋ শিখাতে মাকে খুব ধকল পোহাতে হয়েছিল ।
সেন্ট মেরিসে আমার বাঁধাধরা পজিশন ছিল ,সবসময় সেকেন্ড ,না ফার্স্ট ,না অন্যকিছু।
কিরাম কিরাম? বিস্তারিত কইলা না তো। মজার কাহিনী শেয়ার করা বাধ্যতামূলক।
ওরে খাইছেরে!! তুমি তো মিঞা ছুডু কালেই চরম আঁতেল আছিলা!! আমার লাইফে সবচাইতে ভালো রেজাল্ট ঐটাই!! তৃতীয়।
আরেকটা জায়গায় অবশ্য প্রথম হওয়ার ইতিহাস আছে। তয়, সেটা অন্য ঘটনা।
নাহ বর্ণমালা নিয়া কোন মধুর স্ম্বতি নাই... মায়-বাপে কখনো বর্ণমালা শিখানোর চেষ্টা করছে বইলাও মনে পড়েনা ...
হামটি-ডামটি'র কবিতা টাও কখনো জানা হয়নাই পড়া হয় নাই গ্রামের স্কুলে পড়ছিলাম বইলা... মজার ব্যাপার হল বড় হওয়ার পরে হামটি-ডামটি নামে এক কবিতা আচে তা জানতে পারছিলাম... ভাবতাম দুইজন লোক একজন হামটি, একজন ডামটি... এই ধারনা জন্মাইছিল ক্লাস সিক্সের ইংলিশ বইয়ের টু লিটল ব্ল্যাকবার্ড পইড়া এমন ধারনা হইছিল.... মাস কয়েক আগে এক ফ্রেন্ডের সাথে কথা কইতে গিয়া জানলাম হামটি ডামটি একজন ব্যাক্তির নাম... বড়ই শরম পাইছিলাম ঐদিন
''শেখা হয় না সবদিক সামলে নিজের ভারসাম্য রক্ষার প্রথম পাঠ'' - এই লাইন টা তো জটিল হইচে..
কমেন্ট টা আর লম্বা করলাম না... নাইলে আরো দশ হাত লম্বা হইব কমেন্ট টা
পয়লাতেই তো একটা ফাউল কথা দিয়া স্টার্ট নিলেন!! আংকেল-আন্টি বর্ণমালা শিখানি শুরু না করলে কে কর্ছে??
হাম্পি-ডাম্টি চরিত্রটা আপনে পাবেন, "এলিস ইন দ্যা ওয়ান্ডারল্যান্ড" ডিজনি'র এই মুভিটায়। ঐখানে এ চরিত্রটা দেওয়াল থেকে পরে যাবার উপক্রম হয় টাইপস একটা ঘটনা আছে। মজার।
আর, কমেন্ট বড় না কইরা যে আপনে আরেকটা মজার পোস্ট দিছেন, এই জন্য আপনেরে একটা ইস্পিশাল কইরা ধইন্যাপাতা।
বাই দ্য য়ে একটা কথা বলার লিগা ফেরত আইলাম- পোস্টের টোন টা খুবই ভাল্লাগছে... কেমন যেন নোনা-মিঠা একটা টোন... খানিক যেন মমতাভরা স্ম্বতিচারন... ভালোই লাগল
ধন্যু ধন্যু।
[একটা বিগলিত হাসির ইমো হবে।
পোষ্ট আর কমেন্ট মিলাইয়া পুরা উরা ধুরা। ভাল্লাগছে।
হে হে হে..
উইড়া গেলে তো হবে না!! থাকতে হবে না??
থ্যাংকু।
দারুণ ভাল্লাগলো পোস্টটা
বেশি বেশি ধইন্যাপাতা।
হুমম
হুমান ক্যান??
খালি হুমান ক্যান??
Humpty Dumpty কি জুটি নাকি? একজনই না?
আর সাইকেলের বদলে লোগো সেট?? মর্মান্তিক....
হ, একজনই। কিঞ্চিৎ ভুল হইয়া গেছে।
"অপরের দু:খে যে হাসে,
মানুষ নহে সে, কহি সন্ত্রাসে!!"
আমি জীবনে কোন দিন ফাস্ট সেকেন্ড হই নাই। দুঃখের কথা মনে করায় দেওয়ার জন্য মাইনাস দিতে চাইছিলাম কিন্তু হতভাগা মডু সেই সিস্টেমও রাখে নাই, তাই প্লাস দিলাম।
দু:খ কইরেন না ভাই। আমি নিজেও কোনদিন মিনিট/ সেকেন্ড হইতারি নাই!! যেইটা লেখছি, ঐটাই হায়েস্ট!!
মডুরে ধইন্যাপাতা।
[আপনেরে দেইনাই কিন্তুক, খুউপ খেয়াল কইরা!!! ;)]
আমারেও একজন তার বান্ধুবীর কথা কৈতেছিলো, সে নাকি কখনো লাইফে পরীক্ষায় সেকেন্ড হয়নাই....তা, আমি কৈলাম, আমিও তো হইনাই কোনোদিন সেকেন্ড....(১০'র ভিতেরেই ঢুকিনাই)
হা হা হা হা!!
আপসুস, ইরাম কথা আমারে কেউ কয় নাই। কারণ, আমারে চিন্তো সবাই। আমি যে ফেল্টুস মার্কা আছিলাম, এইটা সবাই জান্তো!!!
ভালো লেগেছে পড়তে
ভালোই লাগলো পড়তে।
পুরান কথা মনে পড়লো।
মন্তব্য করুন