এ জার্নি বাই বাস ফ্রম মহাখালি
নামটাই যার খালি, তায় সেইটা যদি হয় আবার “মহা”, তাহলে অবস্থা কিরকম হবে সেটা তো সহজেই অনুমেয়! না পাওয়া যায় বাস, না আসতে চায় কোন সি.এন.জি.। গরীবের সি.এন.জি রিকসা ছিলো শেষ ভরসা, বিদ্যুতবিভাগের ঔদার্য্যে রাস্তাভাঙ্গার অযুহাত, ভাড়া আকাশ ছোঁয়া। মানুষ পয়সা খরচ করে সিনেমা দেখতে যায় “আকাশছোঁয়া ভালোবাসা”, আর আমরা ভাড়ার ঊর্ধমুখিতায় উত্তপ্ত রিকসাচালকের কাছে পাত্তাই পাই না নিয়মিত ভাড়ার কথা বলে! ঝাড়ি খেয়ে মুখ উদাস করে ইতি- উতি তাকাই পাশে দাঁড়ানো কোন তরুণী দেখে ফেললো না তো আমার দৈন্যদশা! আমাদেরও অবশ্য সেরকম মাহেন্দ্রক্ষণ আসে, যখন কোন তরুণীকেও কোন এক রিকসাচালক মুখের উপর না করে দেয়। আমরা আড়ে-ঠাড়ে তাকাই আর আরেকদিকে মুখ ঘুরিয়ে মুচকি হাসি!
আজ তেমন কোন কাজ ছিলোনা। অগোছালো হাঁটাহাঁটি করছি। ভীড় দেখলে উঠছি না, কম ভীড় দেখে এগিয়ে যাই, বাসের দরজায় পৌঁছতেই হুড়োহুড়ি করে কোত্থেকে একদল মানুষ ছুটে এসে ধাক্কাধাক্কি করা শুরু করে নিজেকে বাসের ভেতর দেখার আশায়। তাদের আগ্রহ দেখে নিজেকে বাসের ভেতরে দেখার চিন্তা বাদ দেই। সৌভাগ্যবশত: হঠাৎ করেই একটা ফাঁকা বাস পেয়ে যাই। উঠে একটা সিট দেখে বসেও পরি। আমাদের কাহিনীর শুরু এখানেই..
#১. অল্প অল্প করে ভীড় বাড়ছে। আমার সহযাত্রী এক বয়:বৃদ্ধ। আরাম করে পা ছড়িয়ে বসছিলাম লোকাল বাসে। সুখ সইলো না। কিছু যাত্রী দাঁড়িয়ে গেলো পাশে। তাদের মাঝে একজন আবার ব্যাগ হাতে ঝুলায়ে। যতই বলি, ব্যাগ নিচে রাখেন, নামার সময় নিয়ে যাবেন, ততই আমার দিকে কুতকুতে দৃষ্টি দিয়ে তাকায়! যেন, আমি ব্যাগটা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছি! জ্যাম ছাড়িয়ে একটু পর বাস চলা শুরু করল। হঠাৎ ঘাড়ের উপর এক হাত। গা করলাম না। ভীড়ের মধ্যে হাত লাগছে। বাস চলতে চলতে হুট করে থামতেই হাত এসে ঘাড়ে পরে। মাঝে মাঝে পুরো শরীর এসেই ধাক্কা দেয় আমাকে। মেজাজ খারাপ করে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি এক মধ্যবয়সী মহিলা। কাঁধে ব্যাগ, হাতে চাদর সামলাতে সামলাতে বাসের হুট- হাট করে থেমে যাওয়ার সাথে তাল মেলাতে পারছেন না। তার উপর উচ্চতায় কিছুটা ছোট হওয়ায় বাসের ছাদের রডও হাতের নাগালে পাচ্ছেন না। শীতের মাঝে জ্যামে এতক্ষণ দাঁড়িয়ে যেতে ইচ্ছে করলো না। তাই, বড় বড় কথা বলা আমি; মহিলা এবং বৃদ্ধদের বসতে দেওয়া উচিত বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলা আমি মনে খচ-খচানি নিয়েও বসে থাকলাম আর ভদ্রমহিলা নিজেকে বাসের সিটের গায়ে শক্ত করে ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন।
#২. “ভাই, বাস জ্যামে থামছে। ভাড়াটা দিয়ে দেন”, ভাড়া আদায়কারীর কথা।
“আরে, ভাড়া তো দিমুই। না দিয়া যামু না। বাস তো চলে না। দাঁড়াইয়াইতো রইলাম”, রাগতস্বরে যাত্রী।
“ভাই, আপনে তো ৩ টাকা ভাড়া দিয়া দাঁড়ায়ে রইছেন। আর, মাওয়াতে ৩০০ টাকা ভাড়া দিয়া ১৬ ঘন্টা দাঁড়াইয়া রইছে, তাইলে আপনেই কন??”, ভাড়া আদায়কারীর সহজ স্বীকারোক্তি শুনে সবাই হেসে ওঠে।
হালকা হয়ে যায় পরিবেশ।
#৩. গন্তব্যে প্রায় পৌঁছে গেছি। হঠাৎ করে বাসে কর্কশস্বরে মুঠোফোন বেজে ওঠে। কোন এক মেয়েকে নিয়ে কথোপকথন। মেয়ের সাথে প্রথম দেখা, সেখানেই নাম্বার বিনিময়। এবং পরদিন সেই নাম্বারে সংক্ষিপ্ত বার্তা পাঠানো। তার উত্তরে ফোন আসে। পরিচয় দেয়, মেয়ের স্বামী হিসেবে। তাই শুনে প্রথমজনের প্রশ্ন, মেয়ে নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি করেছিলো প্রথম দেখায়, এখন আবার এই স্বামী আসে কোত্থেকে? উত্তর কি আসে শোনা যায় না, কেবল প্রত্যুত্তরটা আমাদের সবাইকে তার দিকে ঘাড় ফিরিয়ে তাকাতে বাধ্য করে। “এত সহজ? যদি উল্টা- পাল্টা কিছু হয়, তাইলে তোদের সবাইকে নাম্বার দিয়ে দিবো। সবাই মিলে ডিসটার্ব করবি।"
আমরা অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকি। সে ভাবলেশহীন ভাবে কথা বলে চলে, কুৎসিত সংক্ষিপ্ত বার্তা পাঠানোর বুদ্ধি করে। আমরা; আর দশজন যাত্রী গা- বাঁচিয়ে কিছু সময় পরে বাস থেকে নেমে যাই। আর, সেই না চেনা- জানা মেয়েটির ভবিষ্যতে কি হবে সেটা মেয়েটির ভবিতব্যের হাতেই সঁপে দেই।
#৪. ইদানীং ফেলানি’কেন্দ্রিক আমাদের একটা আবেগের জোয়ার তৈরি হয়েছে। দেখতে ভালো লাগে, আমাদের দেশের মানুষ অনেক বেশি সচেতন হয়েছে, তারা তাদের স্বদেশি এক নারীকে মৃত্যুর পর কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলতে দেখছে ক্ষুব্ধ হয়েছে। ঠিক মনে পরছে না, কোন একজন কবি/ লেখক একবার বলেছিলেন হয়ত, যদি না বলে থাকেন, তাহলে আমিই বলি,
কাঁটাতারে ঝুলছে আমার স্বদেশ।
সবাই একই সুরে বি.এস.এফ’কে গালি দিয়ে যাচ্ছি। বি.এস.এফ.’র প্রতিপালক বিধায় ভারতকেই গালিতে ধুয়ে দিচ্ছি। রব তুলছি, ভারতের পণ্য ব্যবহার করবো না, তাদের লেখক- সাহিত্যিকদের বই পড়বো না, তাদের নাটক দেখবো না।
আজকে ফেলানির ছবি দেখে আমাদের মানব- বন্ধন, আমাদের মিটিং- মিছিল, আমাদের আন্দোলন। আমরা কি একটু খোঁজ নিয়ে দেখেছি, গত বছরগুলোতে কতগুলো মানুষ বি.এস.এফ.-এর হাতে মারা গিয়েছে? আমরা কি খোঁজ নিয়েছি, প্রতিবছর কতজন মানুষ মারা যায় তাদের ধনী হবার স্বপ্নে অবৈধভাবে বিদেশ যাবার পথে? আমাদের কি জানি, প্রতিবছর কতগুলো মানুষকে বিদেশের পুলিশের হাতে প্রতিনিয়ত মার খেতে হয়? যদি না জানি, তাহলে জানতে চেষ্টা করি। আর জানার পর এবার সেই সব দেশের পণ্য ব্যবহার থেকেও নিজেকে বিরত রাখি। যদি সেটা করা অসম্ভব মনে হয়, তাহলে বিকল্প সমাধানের কথা ভাবি।
প্রতিবার সরকার বদলের সাথে সাথে একটা রব ওঠে, “ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করে দিচ্ছে”। অথবা, “মধ্যপ্রাচ্য থেকে স্যুটকেস ভর্তি টাকা আসছে”। আমার দেশ কোথায় বিক্রি হল, সেটা আমি জানি না, আমি শুধু জানি, আমার দেশের মানুষগুলো খেতে পায় না, পরতে পায় না। তারা অভাবী কিন্তু সহজ- বিশ্বাসী। তাই কিছু লোভী- ধুরন্ধর মানুষের অর্থলিপ্সার বলি হয়ে দ্রুত ধনী হবার মরীচিকার ফাঁদে পা বাড়ায় আর গুলি খেয়ে কাঁটাতারে ঝোলে কিংবা ভূমধ্যসাগরে অথৈ ঢেউয়ে ঝাঁপিয়ে পরে বিদেশি জল-পুলিশের ভয়ে। আমি শুধু দেখি যারা ভারতের কাছে দেশ বিক্রি’র বিরোধী তারা মনমোহন কিংবা সোনিয়া গান্ধীর সাথে হাসিমুখে ছবি তোলেন আর যারা মধ্যপ্রাচ্য থেকে অর্থ সাহায্য বিরোধী তারা সেখানে শ্রমের বাজার ঠিক করতে বাংলাদেশ বিমানে ওঠার আগমুহূর্তে হাসিমুখে পত্রিকার জন্যে ছবি তোলেন।
#৫. চালুনি যখন বলে, “সুঁচ, তোর পিছে ছ্যাঁদা”। তখন চালুনিকে মস্ত বড় হিপোক্রেট মনে হয়।
পরিশিষ্ট:
#৪ বাস ভ্রমণ সংশ্লিষ্ট না। মেজাজ খারাপ। কোন সরকারই কোন পদক্ষেপ নিতে পারছে না। বৈদেশিক সাহায্যের জন্য হা- ভাতের মতন তাকিয়ে থাকা আর দাতাদের মনতুষ্টির জন্যে এইসব নিরীহ মানুষগুলোর হত্যার কোন বিচার হচ্ছে না।
#৫-ও বাস ভ্রমণের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। তবু লিখলাম। কারণ, হিপোক্রেসি দেখে অবাক হই না এখন, একদলা থুথু মুখে আসে।
অন্য কেউ বলার আগে আমি বলে যাই, আপনি যে অত্যন্ত কম লেখেন, এইটা ঠিক না। কারণ আপনার লেখা অসাধারণ হয়।
থ্যাংকুস।
আপনার অনেকগুলা লেখা জমে ছিলো। পড়ে ফেললাম। আগেও অনেকগুলা পড়েছিলাম, কিন্তু, অফলাইন!! তাই মন্তব্য মিসিং!! মাফ কইরা দিয়েন।
ঘটনা আমি আগেই ধারণা করসিলাম। এবং বন্ধু-বান্ধবের মধ্যে এইসব কোনো ব্যপার না। মেনশন করাটাই বরং দিলে দাগা দেয়া
উপ্স!!!
এইবার আর মাফ চাইলাম না। বন্ধুদের মাঝে মাফ চাওয়ার নাই, তারা নিজেরাই আগে থেকে মাফ কইরা দেয়।
ভাল লাগলো...
থ্যাংকুস ভাইয়া। ফেলানি'কে নিয়ে লেখা অংশটা আপনার লেখা থেকে অনুপ্রাণিত।
ভালো থাইকেন।
বিশাল রকমের ধাক্কা মারা কথা কইলা , যদিও কাহিনী পুরাটাই কঠিন সত্য
কঠিন কথা বলতে চাই না ভাইয়া। কিন্তু, কিছু কিছু ধৈর্য্যের সীমা ছাড়ায়। নিজে যে দোষে দুষ্ট, কোন মুখে আরেকজনকে সেইটা নিয়ে কথা বলতে যায়!!
পোস্ট ভালো লাগলো।
থ্যাংকুস ভাইয়া।
ব্যবসা বানিজ্যের আলাপের ভেন্যূ কই?
আপনে আগে দেশে আসেন।
লেখা খুব ভালো মুক্ত
তবে কথা হলো পড়তে পড়তে আর কিছু ভালো লাগে না
আপনেরে একটা লাখ টাকা দামি কোশ্চেন করছিলো কে জানি...
মন খারাপ কইরেন না।
কম লেখেন কেন মুক্ত। ভাল লাগছে।
মাথায় কিছুই আসে না।
দোয়া রাইখেন।
হায়রে আমার মন মাতানো দেশ
কিছুই কইবার নাই।
চমৎকার লেখা...
থ্যাংকু বস।
লেখাটা ভালো লাগছে...
থ্যাংকু আপু।
আপনারে গতদিন দেখি নাই।
আমি রোজ বাস ছড়ে অফিসে আসা যাওয়া করি। তরংগ কিংবা ফাল্গুন পরিবহনে।
প্রতি বারেই নূতন গল্প তৈরী হয়, সব আজকাল আর মনেও রাখি না। তবে মেয়েদের ভয়ে সব সময় পিছনের দিকে চলে যাই! আজকাল দেখছি মেয়েরাও ফাল্গুনের পিছনে দরজা দিয়ে উঠছে! কিছু দিন আগের এরকম একটা ঘটনা বলি।
আমার বাসা ওয়াপদা রোড, রামপুরা আর আমার চাকুরী স্থল ধানমন্ডি এলাকায়। প্রতিদিন নানা সময়ে আমাকে রামপুরা থেকে ধানমন্ডী আসা যাওয়া করতে হয় এবং এক মাত্র তা বাসেই করতে হয়। আমার অফিস টাইম একটু এলোমেলো। অফিসে সাপ্তাহিক ছয় দিনে চার রকম ও একদিন নাইট শিফটে কাজ করতে হয়। দুটি বেসরকারী বাসে আসা যাওয়া করা যায়। একটা হলো ফাল্গুন পরিবহন ও অন্যটি হলো তংরগ প্লাস। এ বাস গুলোতে ছড়ে ছড়ে আমি কাউন্টার ম্যানদের মামা বনে গেছি। রামপুরা ও সাইন্সল্যাবের কাউন্টার ম্যানরা আমাকে মামা বলে ডাকে। আমি মজা পাই, এ ছাড়া উপায় ও নাই।
আমি যাতায়তে তংরগ পছন্দ করি না। কারন এ বাস গুলোর পিছনের দরজা বন্ধ থাকে, অপরিস্কার সিট থাকে। বাস গুলোর ভিতরে বাতাস লাগে না। ভিতরে ডুকলে দম বন্দ হয়ে আসার যোগার হয়। তাই এ বাস গুলো এড়িয়ে চলি, না পারতে ও সময় বাচাতে মাঝে মাঝে উঠি। আমি সাধারনত ফাল্গুনের বাস গুলিতেই আসা যাওয়া করি এবং বাসে উঠেই পিছনের দিকে চলে যাই, সিট পেলে বসি নতুবা দাঁড়িয়ে থেকে দোয়া দরুদ পড়তে থাকি। বিধাতার কাছে বলি, আমাদের বাচান। এ জ্যাম থেকে আমাদের রক্ষা করুন।
১০/২০ মিনিটের পথ কখনো কখনো এক ঘন্টা, দেড় ঘন্টা লেগে যায়। রাস্তায় শুধু যানযট। ঢাকার রামপুরা রাস্তাটি আমার মনে হয় সবছেয়ে বেশী ব্যস্ত একটি রাস্তা। যাক, ধান বান্তে শীবের গীত নয়! গতকাল রাত দশটার ফাল্গুনে ফিরছিলাম। সামনে খালি সিট থাকা সত্তেও স্বভাব মাফিক পিছনে গিয়ে বসলাম। আপনাদের একটা কথা না বললে নয়। এ বাস গুলোতে মহিলা ও প্রতিবন্ধিদের জন্য ৯টি সিট থাকে। মহিলারা সাধারনত ওই সিট গুলোতে বসে পাশাপাশা অনেক মহিলা পুরুষদের সিটেও বসে। দোষের কিছু নাই, কিন্তু যদি মহিলা সিটে কোন পুরুষ বসে এবং কোন মহিলা এসে তা দেখে তবে ওই পুরুষের নিস্তার নাই! উঠতে তো হবেই বোনাস হিসাবে শুনতে হবে নানা কথামালা। যাক মহিলাদের ভয়ে আমি কখনো মহিলা সিটে বসি না এমন কি গাড়িতে সামনের দিকেও থাকি না। আমি দেখেছি, আমার মত অনেক বিবেকবানরা জায়গা না পেলেও মহিলা সিটে বসেন না।
ফাল্গুনে আজ তেমন ভীড় নাই। সাইন্সল্যাবে আমিই মনে হয় শেষ যাত্রী যে সিট পেয়েছিলাম, একদম পিছনে। শাহবাগে পিছনের দরজা দিয়ে কয়েকজন যাত্রী উঠে। এ যাত্রীদের সাথে দুইজন মহিলাও উঠে। মহিলাদের দেখে পিছনে বসা সব যাত্রী নিরব হয়ে যায়। আমি নিরব থাকতে না পেরে উঠে আমার সিট দিয়ে দিলাম। আমার পাশের মোটা হুজুর ও উঠে দাঁড়ালেন। দুজন মহিলা বসে পড়লেন। কিন্তু ধন্যবাদ ও আমরা পেলাম না। আমাদের জাতি মনে হয় ধন্যবাদ দিতে ভুলে যাচ্ছে। যাক নো প্রবলেম, ধন্যবাদ তো আর খাবার জিনিষ নয়! দিলে কি আর না দিলে কি!
আমাদের গাডীটা কাকরাইল মসজিদ পেরুতেই একজন মহিলা প্রায় চিৎকার করে বলে উঠলেন, আমার মোবাইল নাই। আমার ব্যাগের চেইন খোলা। বাস আর কই যাই। বাসের পিছনে বসা দাঁড়ানো আমরা সব পুরুষ মোবাইল চোর হয়ে গেলাম! বাবারে, সে কি যে ঝামেলা!
রামপুরায় বাস থেকে নেমে যেতে মনে হল - বাঘের ভয় যেখানে, রাত হয় সেখানে!
কমেন্ট আকারে এত কথা বলা মনে হয় ঠিক হয় নাই। সরি।
ব্যাপক ঘটনা তো!!
আমার যাত্রাপথে এমন কখনো হয় নাই এখন পর্যন্ত।
অবশ্য এখনো সময় ফুরায়ে যায় নাই!!!
অ:ট: মন্তব্যে যা খুশি লেখতে পারেন, সেইটার জন্যে উচিত- অনুচিত চিন্তা কইরেন না।
ঢাকার বাস যাত্রা এখন তো অনে ভালো... একটা সময় ছিল যখন বাসের হ্যান্ডেল ধইরা বাদুর ঝোলা হইয়া বাসে চড়তাম। এক হাতে বাসের হ্যান্ডেল আর এক হাত দিয়ে পকেট সাবধান। তখন সব বাসই লোকাল ছিল।
আরে, সব রাস্তায় হয়নাই। লোকালগুলা বাসের ভিত্রে ভাড়া কাটে আর সিটিং সার্ভিসগুলা আগেই ভাড়া কাটে এইটাই মূল পার্থক্য। এছাড়া দুইক্ষেত্রেই সমান ভীড়। একইভাবে দাঁড়ায়ে দাঁড়ায়ে যাতায়াত।
প্রতিদিনের বাস চড়ার অভিজ্ঞতা দিয়েই এক পর্বের প্যাকেজ নাটক নামানি যায়।
এইটা কি নজু ভাইরে দিমু নিকি?? যদি উনি কিছু একটা ব্যবস্থা করেন!!!
নাহ্ ! এই আইডিয়া পুরানা হয়া গেছে। আমি টিভি বলতে গেলে দেখিই না। সেখানে আমি নিজেই দুইটা নাটক দেখছি এই বাস জার্নির থীম নিয়া।
এর বেশি আসলে দেখার সম্ভাবনাও কম। দুইটা নাটকই হইছিলো মনে হয়। বাস নিয়ে। মুড়ির টিন, আরেকটা কি জানি একটা নাটক। ঠিক মনে নাই।
এমন মুক্ত বয়ান আরও বেশি বেশি চাই ।
যথা আজ্ঞা।
এটা কিন্তু বৃটিশ মানসিকতা। আগে একটা সিরিয়াল হতো বিবিসিতে "কীপ আপ দি এ্যাপিয়ারেন্স" নামে তাতে কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলো "হায়াসিন বুকে"। একদম টিপিক্যাল আমাদের মাসি
সিরিয়ালটা দেখা হয় নাই।
নাবালক মানুষ। কমন পরে নাই।
লিংকু- মিংকু আছে নি??
http://kuacentral.com
হেভী মজার। দেখে নিও খুঁজে, আসক্তি এসে যাবে
মিশ্র অনুভুতি হৈতেছে লেখাটা পৈড়া...
ক্যান ক্যান?
বাবা মুক্ত, কিরাম আছো বাপ !
লেখা উমদা হৈছে।
ভাল থাইকো।
বেশি বেশি বলগ লেইখো, ঠিকাছে ?
"বলগ"?
আমি কি কোন কাহিনী মিস করছি??
লেখাটা আগেই মন দিয়া পড়ছি!দারুন লিখছো বন্ধু!
ঐদিন এক মানব বন্ধন হবে প্রেসক্লাবের বিশ্বকাপের উদ্বোধনীতে কেন ভারতীয় লোক জন আসবে! সামনে ভাবলাম লোকজন তো চিনি আর গুলিস্তানেই আছি যাইতে তো সমস্যা নাই গেলাম দেখলাম লোকজন বেশি না ২০ জনের মতো এক আপার হাতে প্ল্যাকার্ড "আমার সংস্কৃতি আমার গর্ব"
একটু পরই তার মোবাইল প্রবল বেগে বেজে উঠলো হিন্দী গানের রিংটোনে এই হইলো গিয়া আমগো দশা!
হা হা হা!!!
আমি যাব ভাবতেছি ২১ তারিখ মানববন্ধন আছে। ঠিক শিওর না।
তুমি যাবা নাকি?
মহাখালি না মহাখালী?
রাস্তায় তো দুইটাই দেখি!!!
পুঁচকু পোলাপাইন এত আইলসা হলে চলবে? এত ভালো লিখো আর বছরে এক্টা পোষ্ট দাও।
২৫ তারিখ পরীক্ষা। আজকে থেকে শুরু করবো। যদি ফুসরত করতে পারি, তাইলে আজকের পত্রিকার কিছু সংবাদ নিয়ে একটা প্রতিক্রিয়া দিবো ভাবতেছি।
দোয়া রাইখেন...
মন্তব্য করুন