শিরোনাম নাই
খুব মন খারাপ হয়ে গেলো। এমনিতেই আমি এক আঙ্গুলের টাইপিস্ট। লিখতে অনেক সময় লাগে। প্রচুর ভুল ভ্রান্তি হয়। বেশ কয়দিন মহা ব্যস্ত ছিলাম ঢাকা থেকে আসা বন্ধু'কে নিয়ে। তাই লিখতে বসা হয় নাই। আজ সময় নিয়ে বসে বেশ অনেকদুর লিখে ফেলার পর জানিনা কেমন করে কি হল আমার ড্রাফট লেখাটা সম্পুর্ন হারায়ে গেলো বুঝেন এবার কত বড় গাধা আমি।
আমি সরাসরি এ বি'র বিষয়বস্তঃ বক্সে লিখি। ওয়ার্ডে লিখে আবার যাচাই বাছাই করার ধৈর্য নাই।
ব্লগে সবার নতুন নতুন লেখা পড়ে নিজের ও লিখতে ইচ্ছা হয়। সবার লেখা গুলি পড়ে যেন ঈদ সংখ্যা কিছু পড়ছি এমন ভাল ফিলিং আসে।এই কয়দিনে দেশে কত কি ঘটে গেলো। বিদেশে থেকেও ডিশ টিভি'র কল্যানে সব খবর সাথে সাথেই পেয়ে যাই। শুধু কি খবর নাকি, সাথে লাইভ ভিডিও ফুটেজ ও দেখি। মিল্কি মার্ডার দৃশ্য দেখে আমি প্রথমে মনে করসিলাম কোন হিন্দি ছবির ক্লিপ দেখাচ্ছে মনে হয়। কিন্তু পরে খবরের যখন বার বার বলছিলো আর দেখাচ্ছিলো তখন মনোযোগ দেয়ায় বুঝতে পারলাম আসল ঘটনা কি। শপার্স ওয়ার্ল্ড এর ওই সারভেইল্যান্স ভিডিও ক্যামেরাটা থাকার কারনে আমরা এই ঘটনা দেখে ফেললাম। এরপর আর কোথাও হয়ত প্রাইভেট কোন সারভেইল্যান্স ক্যামেরা রাখতে দেয়া হবেনা। হয়ত এজন্য সংসদে আইন পাশ ও হয়ে যেতে পারে, কে জানে !
আচ্ছা একটা কথা খুব জানতে ইচ্ছা করে। র্যাব যেমন যারে যখন মারার অনুমতি পায় তারেই ফালায়ে দেয় পাখির মত, যদিও যুক্তি দেখায় " ওই হালায় আমাগোরে চাট্টি মাইরা গারিত্থন লাফায়া খিচ্চা লৌর পারসিলো আর অর চেলা চামুন্ডারা আমাগো দিকে মেশিন গান দিয়া ঠা ঠা কইরা গুল্লি করতাসিলো, গেরনেড মারতাসিল, আমাগো গায় লাগে নাই মাগার জান বাচানের লাইগা আমরা যহন মারসি, খুনি গুল্লি খাইসে।"
এই গল্প বলার দরকার কি, যদি সোজা কইয়া ফালায় যে ফালায়ে দিসি, উপর থন হুকুম দিসে, অসসুবিদা কি? আর এই একি কায়দায় রাজাকার গুলি রে ক্রস্ফায়ার এ ফালায়ে দিলে কি কোন ক্ষতি হইতো? এত রঙ ঢং করা কি দরকার? অগোরে ফালায়ে দিলে দেশ শান্তি পাইতো, দেশের ম্যালা টেকা বাইচা যাইতো । ওই আপদের গুষ্টী র জন্য অনেক খরচ হইতাসে গরিব দেশের তহবিল থেকে।
অবশ্য আমাদের দেশের টাকার কোন অভাব নাই। অনেক ভাল অবস্থা আমদের দেশের। আর তাইতো দরকার নাই, চুরি কইরা ধরা পইড়া ইস্তফা দিসে, তবুও মামা'রে চেয়ার দেয় নাই মাগার পতাকা ওয়ালা গারি আর বেতন দিতাসে । কি শান্তি বেডার চিন্তা করেন। কোন কাম নাই কিন্তু বেতন পায় বইয়া বইয়া।
এক চোরের গুষ্ঠি হয়ত বিদায় হইবো, আরেক চোরের গুষ্ঠী রেডি হইতাসে গদিতে বসার জন্য। যেন অগো বাবা'র দেশ। যা খুশি তাই করবো। আর আমাগো দেশের বিচি বিহীন মানুষ গুলান আবার ভোট দিবো এই চোরের গুষ্ঠিদের।
ক্যান, বিশ্বজিত'রে টি,ভি ক্যামেরায় কোপায়ে মারসে, কারো কিছু হয় নাই। এই চোর গুলিরে দেশের মানুষ কোপাইতে পারেনা? ক্যান পারেনা? ভাল কাম কিছুই পারেনা। পারে খালি বালের মঞ্চ বানাইতে। মঞ্চ দিয়া কাম হইবো না। রক্তের বদলে রক্ত বাইর করতে হয়, নইলে শিক্ষা অয় না।
এত অস্থিরতা নিয়ে লিখতে বসা ঠিক না,
রাগের প্রকাশের চাপে বিষয়বস্তু হারিয়ে যায়।
কিছুই বলার নেই, চেয়ে চেয়ে শুধু দেখি..
আপনার প্রজ্ঞা আর বিচক্ষণতা দেখে টাস্কি খাইলাম!
একটা বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সারা পৃথিবীতে সর্বকালের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছে যে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে 'জামাত' একটা যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন এবং এ প্রতিষ্ঠা অর্জন দেখেও জামাত ও তাদের সমর্থক কোনো ব্যক্তি, সংগঠন ও রাষ্ট্রের কিছু বলার উপায় থাকছে না- এরকম একটা অর্জনকে আপনার দরকারি মনে হলো না, বরং এদেরকে বিচার বহির্ভূত উপায়ে খুন করে ফেলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আপনি বয়ান দিলেন। এ থেকে বোঝা গেল, আপনার জন্য হুটহাট বয়ান মারাটা খুব সোজা! যে কারণে বালের মঞ্চ শব্দ চুজ করতেও দ্বিধা হয় না আপনার।
তবে বয়ানটা নিজের মধ্যে রেখে দিলেই ভালো করতেন। সব রাজাকারের ফাঁসি এবং জামাত-শিবির নিষিদ্ধের দাবি দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দেয়ার আন্দোলনকে 'বালের মঞ্চ' মনে করার কৃতিত্ব প্রকাশের মধ্য দিয়ে আপন লেঞ্জা প্রকাশিত হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও ক্ষেত্রবিশেষে প্রকট হয়ে পড়ে।
অ্যান্ড য়ু মাস্ট নো, লেঞ্জা ইজ ভেরি ডিফিকাল্ট টু হাইড।
মীর,আমি আপনার লেখার ভীষন ভক্ত। আপনার মত লেখায় অনেক পটু নই সত্যি, কিন্তু অভিজ্ঞতার ঝুলি অনেক ভারী। আমার লেখায় আপনার মেজাজ ভালই খারাপ হইসে আপনার কমেন্ট পড়ে টের পাইলাম। আর তাই সমালোচনা না করে সরাসরি লেঞ্জা বানাইতেও দ্বিধা করেন নাই।
এই ব্লগের নাম " আমরা বন্ধু", আমিও সবাইকে বন্ধু ভেবেই নিজের যা মনে আসে লিখে যাই। ঠোটকাটা বলতে পারেন আমাকে। যা সত্যি বলে মনে হয় নির্দ্বিধায় বলে দেই।
নিজস্ব মত প্রকাশের অধিকার তো সবার থাক্তেই পারে তাইনা? আপনি যা বিশ্বাস করেন আমাকেও তা করতে হবে এমন তো কথা নাই।
বিচার বহির্ভুত হত্যা দেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই হয়ে আসছে ক্ষমতাসীনদের গদি ঠিক রাখার জন্য। সিরাজ শিকদার থেকে কর্নেল তাহের কেউই কি বিচার পেয়েছে ?
শুধু গদি ঠিক রাখার জন্য এত হত্যাকান্ড আর দেশের দায়মুক্তির জন্য না হয় আরো কিছু ক্রস্ফায়ার হোলো, ক্ষতি কি? এটা ভেবেই অমন লিখেছি। কারণ ব্যাক্তিস্বার্থ ছাড়া দেশের স্বার্থ নিয়ে কোন সরকার ভাবে নাই। যদি তাই ভাবতো তাহলে ক্ষমতায় বসেই যুদ্ধাপোরাধীদের বিচার শুরু করা যেতো। সেটা না করে ক্ষমতার মেয়াদের শেষ দিকে এসে এটা শুরু করলো যেন তা কার্যকরি করার সময় না থাকে। আর সরকার পরিবর্তন হলে চিরাচরিতভাবে পুর্বের কোন কিছুর ধারাবাহিকতা থাকেনা আমাদের দেশে, সেটা নিশ্চয়ি খুব ভাল করে জানেন।
মঞ্চ নিয়ে আমার আপত্তিকর শব্দের ব্যবহার করার কারন হিসেবে বলতে পারি এই মঞ্চের শুরু হয়েছিলো অনেক আবেগ, আশা আকাঙ্খা নিয়ে যেখানে দেশের সকল মানুশ সমর্থন দিয়েছিল। রাত দিন জেগে সব খবর দেখেছি, শুনেছি দেশের বাইরে বসেও। কিন্তু অল্পদিন পরেই সেই প্রিয় মঞ্চ হয়ে গেলো রাজনিতীকরণ। চিরাচরিত ভাবে সব আকাঙ্খা ধুলিস্যাত হয়ে গেলো। হারিয়ে গেলো সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্খা, রয়ে গেলো মঞ্চের কঙ্কাল। আর সেখানেই আমার যত আপত্তি, আপনার ভিন্নমত থাকতে পারে। কিন্তু সেটা আপনার মনঃপুত নাহলে ঢালাওভাবে লেঞ্জা খেতাবে ভুষিত করে দিবেন, এটা কি খুব বিচক্ষনতার পরিচয়?
আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এমন ভাবে যেন বিশ্ববাসী আমাদের দিকে আঙুল তুলতে না পারে। খুব হতাশা থেকে আশার আলো দেখছি। মীর এর সাথে সহমত।
আললাহ আমাদের দেশটাকে তুমি রক্ষা কর.
মিল্কিকে তারেক মারছে। তারেক ক্রস ফায়ারে মরছে। এর পিছনে কি, কারও জানার বাকি নেই। মীর সাহেব যতই সাধু সাজার চেষ্টা করেন, তবু বলব সাধু আপনি কতটুকু তা মিডিয়ার কল্যাণে সবাই জানে। লিমন নামক একটা নিরীহ ছেলেকে গুলি করার সময় আপনি টাস্কি খেয়েছিলেন কি না জানি না। একটু জানাবেন কি? গাইবান্ধায় চারটা পুলিশকে জবাই করা, চলন্ত যাত্রি বাহী বাসে আগুন, চলন্ত ট্রেনের ফিস প্লেট খুলে নেয়া, এত সব দেখেশুনেও আপনি স্থির আছেন কেমনে? আমি ভাবছি।
ওম শানতি ওম শানতি
মন্তব্য করুন