ইউজার লগইন

টোকাই'এর ব্লগ

অন্যরূপ

জীবন মানেই দেয়া আর নেয়া । শুনলেই মনে হয় যেন লেন দেন ।
খুব ঠুনকো আর সস্তা মনে হয় এমন শুনলে । কিন্তু জীবন মানে আসোলেই তাই ।
দেয়া নেয়া না হলে সম্পর্ক গভীরতা হারায় । তারপর আস্তে আস্তে কোথায় যেন একেবারেই হারিয়ে যায়।

মানুষের বাইরের চেহারা রক্ত মাংশের হলেও আসোলে ওটা কিন্তু একটা মুখোশ ছাড়া
আর কিছু নয় । সব মানুষের দুইটা রুপ আছে । একটা সবাই দেখতে পায় ,আরেকটা খালি চোখে দেখা যায়না কিন্তু চেষ্টা করলেই উপলব্দি করা সম্ভব।

মানুষের দুই রকম চেহারা চিনতে না পারাই মঙ্গল। চিনতে পারলে কষ্ট বাড়ে।
বাবা মা, ভাই বোন, আত্মীয়স্বজন, ছেলে মেয়ে, স্বামী স্ত্রী, শালা শালী, দেবর ননদ, প্রতিবেশী, সহপাঠি, সহকর্মী, প্রেমিক প্রেমিকা , বন্ধু বান্ধবী, নেতা কর্মী, মনিব কর্মচারী -কত রকমের সম্পর্ক আছে। সব সম্পর্কই টিকে থাকে দেয়া নেয়ার কারনেই। দেয়া নেয়া কম হলে সম্পর্কে টানা পোড়ন শুরু হয়ে যায়।

রাজনীতি’র একাল সেকাল

আমি কোন রাজনীতিবিদ নই। ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম শখের বশে। কোন আদর্শের জন্য নয়। আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্কে যা কিছু দেখার সুযোগ হয়েছে তাতেই জেনেছি আমাদের দেশের রাজনীতি কি এবং কেন?

দেখা গেছে মফস্বল থেকে এসে ভর্তি হওয়া একজন ছাত্র বিশাল ঢাকা শহরের বিশাল পরিসরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ভর্তি হয় বেচারা প্রথম কিছুদিন আসলেই গোবেচারার মত সাধারন জীবন যাপন করে। হল ক্যান্টিন কিংবা গেটের পাশের ছাপড়া হোটেলে বন্ রুটি, কলা ,চা দিয়ে নাস্তা সেরে স্টার সিগারেট ধরিয়ে খাতা বগলে চেপে ক্লাসে যাওয়া। ক্লাস শেষে হলে ফিরে ডাইনিং এ খেয়ে দুপুরে ঘুম, বিকেলে সেজে গুজে মেয়েদের হলের সামনে ঘুরা ঘুরি করা, এই হচ্ছে শুরু’র জীবন।

এই ধরনের মানুষগুলি তখন চোখে পড়ে যায় হলের পাতি ছাত্র নেতাদের। এরা এই বোকা সোকা সহজ সরল ছাত্রদের সিঙ্গেল রুম , হল ক্যাফেটেরিয়ায় ফ্রি খাবারের সুযোগ এইসব লোভ দেখিয়ে নিজের দলে ভিড়ায়। আর দলে না ভিড়েও কোন উপায় নাই। যোগ না দিলে মার খাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা, সিট হারানো সহ হল থেকে বিতাড়িত হতে হয়।

স্মৃতির পাতায় ১৩ই সেপ্টেম্বর

আজ সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখ।
এই দিনটার অনেক গুরুত্ব আছে আমার কাছে। সেটা পরে বলছি।
নিউয়র্কের সংক্ষিপ্ত গরমকাল প্রায় শেষ বলা যায়। এখন আর শুধু টি শার্ট পরে বাইরে বের হওয়া যায়না। দিনের বেলায় নরম রোদ, আরামদায়ক উষ্ণতা। বেলা পড়তে শুরু করলেই শীত অনুভব করা যায়। আরো বুঝতে পারি যখন দেখি হাত পা শুকনা আর খস্ খসে লাগে, লোশন মাখাতে হয়। রাতের বেলায় আর এ,সি চালাতে হয়না। ফ্যান না হলেও ঘুমানো যায়। বারো মাস লেপ গায়ে দিয়ে ঘুমা্নোর অভ্যাস আমার। শীতে তো দিতেই হয় আর গরমকালে এ,সি / ফ্যানের ঠান্ডা বাতাসে লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর মজাই আলাদা।

আমার সন্তান আমার পৃথিবী

আমার যত সুখ সব কিছুই আমার দুই ছেলেকে ঘিরে। ওদের সামনে খুব বেশি আহ্লাদি করি না। বকা ঝকাও করি। কিন্তু চোখের আড়াল হলেই শুরু হয় ওদের মিস করা। ওরা খুব ভাল করে জানে আমাকে । আর তাই সেটার সুযোগও নেয় ।

আমি আমার অতীত খোজার চেষ্টা করি ছেলেদের মাঝে। কিন্তু ওদের সাথে আমার অতীতের কোন মিল নাই। আমার মত বদ কিসিমের হয় নাই আমার ছেলেগুলি। এত বেশি ভদ্র আর ভাল যে দেখলে মাঝে মাঝে নিজেরই মেজাজ খারাপ লাগে।

আমার আর ওদের বেড়ে উঠার পার্থক্য হল আমি ছিলাম অনেক মানুষের মধ্যে কিছুটা বেওয়ারিস ভাবে থাকা । ওরা বড় হয়েছে অনেক আদর,যত্নে,নিয়মের ভিতর। কোন মাথাব্যথা বিহীন , সামাজিক নিরাপত্তায়।তাই বলে ওদের “ফার্মের মুরগি” বলা যাবেনা।ভিন দেশের মাটিতে জন্ম নিলেও আমাদের দেশি কালচার, বাংলা ভাষা, আদব কায়দা, নামায রোযা, কোরান তেলাওয়াত সব কিছুই খুব ভাল ভাবে রপ্ত করেছে। দৈনন্দিন চর্চাও করে।

মরণ নেশা

শীতের দুপুরে লাঞ্চ সেরে বিল্ডিং এর বাইরে দাঁড়িয়ে হীমশীতল বাতাস থেকে বাঁচার জন্য জ্যাকেটের হুডটা মাথার উপর টেনে দিয়ে বিড়ি টানছিলাম আপন মনে। সামনের সাইড ওয়াক দিয়ে হাজার কিসিমের চেহারার মানুষ আসছে আর যাচ্ছে। খুব মনোযোগ দিয়ে না, এমনি ই তাকিয়ে আছি আপন মনে। হটাত মনে হোলো পরিচিত কেউ যেন হেঁটে যাচ্ছে একটা খাবারের ডেলিভারি নিয়ে। সিউর হবার আগেই বেশ সামনে চলে দৃষ্টি সীমার। কিছু না ভেবেই হটাত চিৎকার করে ডেকে উঠলাম " হিরা ভাই ই ই"।

আন্দাজ একেবারেই ভুল হয় নাই । হটাত থেমে গিয়ে পিছন ফিরে তাকালো । কাছে এগিয়ে আসলো। আমাকে ভাল করে দেখে ঠোটের কোনায় হাসি ফুটে উঠলো।
" আরে মিয়া , তুমি এখানে কি কর"? বলে উঠলো উনি।

ধুমপান বিষপান

নাটক সিনেমায় অহরহ দেখি নায়ক খুব কায়দা করে সিগারেট ঠোটে লাগায়, আয়েস করে টানে। চিন্তামগ্ন হলে, বিরহ দেখা দিলে, জটিল কাজে নিমগ্ন হলেও সিগারেট টানতে দেখা যায়। বলা যায় বিনে পয়সায় নাটক সিনেমায় সিগারেটের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। আর সেই বিজ্ঞাপনে যখন কারো প্রিয় নায়ক সিগারেট টানে তখন অনেক উঠতি বয়সের কিশোর বালক ও সিগারেট টানার প্রতি আগ্রহ বোধ করে। এভাবেই মনে হয় অনেক মানুষের ধুমপানের হাতে খড়ি হয়।মনে আছে টাইম ম্যাগাজিনের পিছনের পাতায় মার্লবোরো সিগারেটের বিজ্ঞাপনে ঘোড়ার পাশে কাউবয় ড্রেস পরা মডেলের সিগারেট টানার ছবি। তখন মনে হত ,ইশ ওই কাউবয় এর মত সিগারেট না টানতে পারলে জীবনটাই বৃথা।

আগে শুনেছি সিগারেট না টানলে ছেলেদের নাকি ম্যানলি লাগে না। মেয়ে মেয়ে লাগে। এমন কথা শুনলে যে কেউ বোকার মত নিজের পুরুষত্ব জাহির করার জন্য হলেও সিগারেট ধরে ফেলবে হয়ত।হাস্যকর লাগে এখন এসব শুনলে। আজ আমি হয়ত সেই অবস্থানে নাই কোন কিশোরের মত আর তাই আমার কাছে এসব কথা হাস্যকর লাগে।কিন্তু উঠতি বয়সে ভাল মন্দ যুক্তি কে শোনে।

ফরমালিন

“ফরমালিন” কথাটা মাথার ভিতর ঘুর ঘুর করছিল কয়দিন ধরে।
অনলাইনে ঘাটা ঘাটি করলাম এটা নিয়ে। এটা কি , কেন ব্যবহার হয় এসব। এটুকু জানা ছিল যে মরা লাশে পচন ধরা বন্ধ করার জন্য মর্গে কিংবা ল্যাব এ ফরমালিন নামক রাসায়নিক তরল গ্যাস ব্যবহার করা হয়।

স্কুল জীবনের অনেক প্রিয় বন্ধু খোকন ময়মনসিং মেডিকেল কলেজে পড়তো। সেই সুবাদে আমি প্রায় ঢাকা থেকে ট্রেনে চেপে চলে যেতাম ময়মন্সিং মেডিকেলের বাঘমারা হোস্টেলে। আড্ডা মারাই মুলত ব্যাপার ছিল। খোকন ক্লাস থেকে ফিরে হাতের আঙ্গুল দেখিয়ে বলতো, দেখ লাশ কাটা কাটি করে হাতের আঙ্গুল কেমন শক্ত হয়ে আছে। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করতাম , তা কেন হবে? তখন ও বলত লাশ ফরমালিন দিয়ে রাখা হয় যেন না পচে, আর বডি ডিসেকশন করতে গিয়ে এখানে সেখানে ধরতেই হয়, আর তাতেই হাতে ফরমালিন লেগে যায়। আমি জিজ্ঞেস করতাম ফরমালিন কি? তখন ওর কথায় জানতে পারলাম এটা অনেক বিষাক্ত তরল গ্যাস। মৃত লাশ ছাড়াও অনেক কিট পতংগ , প্রানী ফরমালিন মিশিয়ে বড় কাঁচের জারে সংরক্ষন করা হয়। এরপর আমি আর এই ফরমালিন শব্দটা শুনি নাই মানে শোনার দরকার হয় নাই দেশে থাকাকালীন।

অচৈতন্য

ঈদের দিন চ্যানেল আই তে একটা খবরে চোখ আটকে গেলো। রিওয়াইন্ড করে বার বার দেখলাম আর শুনলাম।খবর টা দেখে মেজাজ বিগড়ালো, মন খারাপ হোলো আর খুব অসহায় ও মনে হোলো।

এই প্রথম জানলাম ঢাকায় " সরকারী শিশু সদন " নামে অনাথ আর অনাকাঙ্খিত শিশুদের জন্য একটা আশ্রম আছে।বাইরে থেকে খুব পরিপাটি আর সুন্দর ভবন। কিন্তু ভিতরে দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। সাংবাদিকের ভিডিওতে দেখলাম অনেক গুলি খুব ছোট থেকে একটু বড় বাচ্চা রা অবহেলায় নোংরা পরিবেশে এখানে সেখানে শুয়ে আছে কোন তত্বাবধান ছাড়াই। একটা ছোট , বিকলাংগ শিশুকে দেখলাম ক্রিবে শুয়ে হাত পা ছুড়ে কাঁদছে, কারণ বেবী ক্রিবের কাঠের ফ্রেমে তার মাথা আটকে গেছে। এসব তদারক করার জন্য নিশ্চয়ই অনেক মানুষ আছে ওই প্রতিষ্ঠানের বেতনের খাতায়। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেলো ২/১ জন আয়া ধরনের মহিলা ঘুরা ঘুরি করছে। অফিসার ইন চার্জ কে আছেন জিজ্ঞেস করতে জানা গেলো ঈদ উপলক্ষে উনি একটু দেরি করে আসবেন।শিশুরা আজ ঈদের দিনে কি খেয়েছে জিজ্ঞেস করতেই উত্তর দিলো ডাল আর মরিচ দিয়ে ভাত খেয়েছে

ঈদের আনন্দ

দেখতে দেখতে রোযা প্রায় শেষ হয়ে এলো। আর মাত্র কয়দিন বাকি। বিদেশে আমি কোন দিন ঈদের সেই মজা অনুভব করি না , যা কিনা পেতাম দেশে থাকাকালীন। সেই ছোটবেলা থেকে শুরু করে অনেক বড় হয়েও দেশে ঈদের আনন্দ কখনোই কম মনে হোতো না।

শিরোনাম নাই

খুব মন খারাপ হয়ে গেলো। এমনিতেই আমি এক আঙ্গুলের টাইপিস্ট। লিখতে অনেক সময় লাগে। প্রচুর ভুল ভ্রান্তি হয়। বেশ কয়দিন মহা ব্যস্ত ছিলাম ঢাকা থেকে আসা বন্ধু'কে নিয়ে। তাই লিখতে বসা হয় নাই। আজ সময় নিয়ে বসে বেশ অনেকদুর লিখে ফেলার পর জানিনা কেমন করে কি হল আমার ড্রাফট লেখাটা সম্পুর্ন হারায়ে গেলো Sad বুঝেন এবার কত বড় গাধা আমি।
আমি সরাসরি এ বি'র বিষয়বস্তঃ বক্সে লিখি। ওয়ার্ডে লিখে আবার যাচাই বাছাই করার ধৈর্য নাই।

বন্ধুর সাহচর্য

এ বি তে এখন ঈদ আনন্দ। মোবাইল দিয়ে চেক করি যখন তখন। অনেক নতুন নতুন লেখা পড়তে পারছি। আহ কি শান্তি! আচ্ছা এবি'র এই আনন্দ কি শুধু ঈদ পর্যন্ত থাকবে? তারপর আবার আগের মত ঘুম ঘুম পরিবেশ চলে আসবে? আচ্ছা, যতক্ষন আনন্দ হচ্ছে সেইটা উপভোগ কইরা লই। এখুনি এত হা হুতাশ করে কি হবে !।

আজ ব্লগে ঢিকে আমার আগের লেখাটায় অনেক কমেন্ট দেখে আমিতো পুরাই টাস্কি। সবাই কত মহান। আমার লেখাও পড়সে। অনেক ধন্যবাদ সবাইকে। আমার ভাল লাগতেসে এই ভেবে যে আমি আস্তে আস্তে এবি তে যায়গা করে নিচ্ছি সবার ভিতর। সত্যি কথা বলি, এমন প্রানবন্ত একটা গ্রুপের অংশ হতে পেরে আমার মহা শান্তি লাগতেসে। যেখানে কেউ আজাইরা খালেদা / হাসিনা'র গীত গেয়ে গলা ফাটায় না। বরং সবাই খুব আন্তরিক ভাবে ইফতার পার্টির কথা বলে। শান্ত অভিমানি কথা লিখে। ওর কথা শুনে অনেকে শান্তকে শান্তনা দেয়। দেখলেই ভাল লাগে। সবার প্রতি সবার অন্যরকম ভাল বাসা আছে দেখে। এমন একটা ফোরাম অংশ হতে পারলে আমার আর কিছুই চাইনা। আসোলেই।

একাকীত্বের নিঃসঙ্গতায়

প্রিয় বন্ধু এসেছে ঢাকা থেকে বেড়াতে। খুব আনন্দের দিন কাটছে আমার। বন্ধুকে নিয়ে ঘুরে বেড়াই শহরের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। কথা আর শেষ হয়না আমাদের। মেয়েরা নাকি সারাদিন বক বক করতে পারে নন স্টপ এমন শুনেছি। এখন দেখছি ছেলেরাও অনেক বক বক করতে পারে।
আমি এমনিতে অনেক কথা বলার মানুষ না, কিন্তু ছাত্র জীবনের অনেক প্রিয় বন্ধুকে কাছে পেয়ে কথা আর ফুরোয় না। পুরনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করি দুজনে মিলে আর প্রান খুলে হাসি। ইচ্ছা মত খাই দাই আর রাত জেগে অফুরন্ত আড্ডা চলে।

আমি সিগারেট ছেড়েছি দুই মাস হোলো। খুব ভয়ে ছিলাম বন্ধু এলে সিগারেট না টেনে থাকতে পারবো তো। বন্ধু আমার সিগারেট খায়না, বরং সিগারেট তাকে খায়। প্রতি ১০/২০ মিনিট পর পর একটা ধরায়। মাঝ রাতে ঘুমিয়ে পড়েও ডোর চাইমের আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে যায়। বুঝতে পারি বন্ধু সিগারেট ধরিয়েছে দরজা খুলে।

আমার দিন যাপন

আমি এমনিতেই ফাঁকিবাজ , আর এখন রোযার মাস তাই আরো ঢিলেঢালা দিন কাটাই। মাত্রাহীন গরমে অতিষ্ঠ। ঢাকার গরমকেও হার মানায়। ঠান্ডা ঘর ছাইরা বাইর হইলেই ভ্যাপ্সা গরমে চশমার কাঁচ ঘোলা হয়ে যায়। আর ঠান্ডা ঘরে সারাদিন কাটাইলে শীতে কাঁপি আর কাশি হয়। বেসম্ভব সমস্যা।

আগের দিন বন্ধুর বাসায় ইফতার এর দাওয়াত ছিল। ঢাকা থেকে এক বান্ধবি এসেছে। সেজন্য আড্ডা'র আয়োজন। আলমের বাসায় আলম ,সুইটি, অশ্রু, আমি আর ঢাকা থেকে আসা সুশ্মি পুরান দিনের গল্প করে রাত চারটায় সেহেরি খেয়ে বাসায় ফিরসি। গল্প হচ্ছিল আগের দিনে বাসের ভিতর হকার'রা খুব চমক দেয়া ভাষায় কেমন করে ধবজভংগ রোগের অষুদ বিক্রি করতো।

অশ্রুর জামাই এমন ভাবে বর্নণা দিচ্ছিল যেন উনি নিজেই সেই অষুদের বিক্রেতা ছিল। একটা লাইন ছিল এমন " এই অষুদ খাইলে আপনার হারানো যৌবন ফিরা আইবো, সকালে উপরে উঠবেন, আর বিকালে নাম্বেন। আপনি নামতে চাইবেন না, আত্মীয় স্বজন আপনেরে টাইন্না নামাইবো।" এত হাসা হাসি করসি যে পেট ব্যথা হয়ে গেসে, খাবারো হজম হয়ে গেসে।

ঢাকা আমার প্রেম

দুই যুগ ধরে প্রবাসে কাটাচ্ছি। ঘুরে দেখেছি পৃথিবীর অনেক বড় আর বিখ্যাত শহর আর শহরতলী। দেখেছি অনেক সুন্দর প্ল্যান করে বানানো দালান কোঠা আর রাস্তা ঘাট। সব কিছুই ঠিক যেন সিনেমার পর্দার মত। কিন্তু কোথাও খুঁজে পেলাম না আমার প্রানপ্রিয় ঢাকা শহরের তুলনা।

আমার কাছে ঢাকা যেন কিশোর বালকের প্রথম প্রেমের উপলব্দি যা কোন দিন ভোলা যায় না জীবনে। যার সাথে পৃথিবীর আর কোন সুন্দরী নারীর তুলনা হয়না। ঐযে কথায় বলে যার যেথা ঘর। ঢাকা আমার কাছে প্রেম, ভালবাসা, ঘর, মোহ, আবেগ, বেড়ে উঠার সব মধুর স্মৃতি বিজড়িত এক মহা তীর্থস্থান।

কিশোর বালকের বেড়ে উঠার সময়ের মধুর স্মৃতি চিঽ হয়ত আর খুজে পাওয়া যায়না আগের মত। পুরনো শহর আর তার সেই ছোট খাট পুরনো দালান আর তেমন অবশিষ্ট নাই কিন্তু তবুও খুজে পাই সেই হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি যেন ঢাকায় গেলেই বাতাস সেটা উড়ে উড়ে মনে করিয়ে দেয়।
আমার সময়ের ঢাকায় এত মানুষ , গাড়িঘোড়া আর উঁচু দালান কোঠা ছিল না। মানুষ হয়ত এত কৃতিম ছিল না। দেশের রাজনীতি এত বিষাক্ত ছিল না। খাবার জিনিসে এত ভেজাল ছিল না । মানুষও এত পরিমানে ভন্ড আর মিথ্যাচার করতো না।

অফুরন্ত অবসর

দেশে বিদেশে বন্ধু বান্ধব, আত্মীয়স্বজন , ভাই বোন যারেই ফোন দেই, সবাই মহা ব্যস্থতা দেখায়। এক্সপ্রেস ট্রেনের মত ছুটছে সবাই। কারো কোন সময় নাই থেমে একটু বাতচিত করার। আমার কেন জানি কোন ব্যস্থতা নাই। তাই বলে মনে কইরেন না যে আমি বেকার , অলস কোন চাল কুমড়া। আমার প্রতিদিনের যত কাজ আমি ঠিক করে ফেলি, তারপর ও দেখি আমার হাতে অনেক সময়।