চলছে গাড়ি যাত্রাবাড়ি-১
অফট পিকঃ তার বা তাদের মতো লিখতে পারি না বলে সেদিন একজন এমন ঝাড়ি দিলো।দেখে চোখে পানি চলে এসেছিলো।তাই আজ থেকে আবজাব শুরু করলাম।যখন যা মনে আসবে তাই লিখবো পারলে আমারে যেন কেও ঠেকায়।
রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দিবো...............জয় বাংলা:
১.
কালকে খুব মন উদাস ছিলো।কারনও আছে এখানে বসন্ত শুরু হয়ছে মার্চের এক তারিখ থেকে,কোকিল ডাকে না কিন্তু তাও বলে বসন্ত।আছে শুধু কনকনে বাতাস!!!!!!কাল এমন বাতাস হচ্ছিলো আমারে পারলে ঠেলে নিয়ে যায়। যাই হোক ছিলাম উদাস নিয়ে কিন্তু শুরু করলাম আরেক প্যাঁচাল।বসন্ত টসন্ত ব্যাপার না আসলে কাল সুপারম্যান আসবে না সেটা আগে থেকেই জানতাম।তাই আরাম করে সকালে একটু দেরী করে উঠে ল্যাবে গেলাম দুপুরে হঠাত মনে হলো একটু ঘুরে আসি শহর থেকে।যেই ভাবা সেই কাজ।উঠে পরলাম বাসে কিন্তু হায় প্রতিদিন বাস যেদিক দিয়ে যায় আজ অন্য দিক দিয়ে যাচ্ছে। ভাবলাম ভালোই হলো আজ হারিয়ে যাবো, দিয়ে রাস্তায় হাটঁবো যতক্ষন ইচ্ছা। দিয়ে ট্যাক্সি নিয়ে চলে যাবো।কিন্তু বাস থেকে নামার পর টের পেলাম কি ভুল করেছি, বসন্তের মাতাল সমীরণ ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে।কিছুক্ষন পর দেখি চোখ আর নাক দিয়ে এমনিতেই পানি পড়ছে আর কান ব্যথা করছে আমার আবার বেশি ঠাণ্ডা লাগলে কান ব্যথা করে। চুলায় গেল হারিয়ে যাওয়া তাড়াতাড়ি করে সুপার শপে ঢুকে বাজার সদাই করে ম্যাকে আল্লাহ আকবর বলে বার্গার খেয়ে বাসায়।
২.
ইদানিং আমার একটা বডিগার্ড জুটছে।সারাদিন গায়ের সাথে আঠাঁ হয়ে লেগে থাকে।যেখানে যাই পিছু পিছু যায়।খুব যন্ত্রনায় আছি এটারে নিয়ে। ল্যাবে নতুন একটা ভিয়েতনামীজ আসছে না পারে ইংলিশ না পারে হাংগুল।মহা যন্ত্রনায় আছি।সুপারম্যান কয়ছে আমাদের ফলো করতে তাই সে ফলো করে। সেদিন চিন্তা করলাম ব্যাটা তোর ফলো করা বাইর করতেছি।ল্যাবে কাজ করতে করতে বের হয়েগেলাম ও আমার পিছন পিছন বের হয়ছে আরামছে হাটঁতে হাটঁতে টয়লেটে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছি।ও দেখি কিছুক্ষন বাইরে ঘুরে ফিরে চলে গেল।
৩.
শাক-শবজী ফল-মুল কিনি এক বুড়ির কাছ থেকে।উনি এখন আমার বাংলা বুঝে সেদিন গিয়ে বললাম নানী কাঁচামরিচ দেন উনি ঠিক কাচাঁমরিচ বের করে দিলো।প্রতিদিন আসার সময় কিছু না কিছু ফ্রী দেয় সেদিন দেখি আর দেয় না।তাই বললাম নানী আজ কিছু ফ্রী দিবেন না?? দেখি সত্যি দুইটা কমলা হাতে ধরায় দিলো। আমি কইলাম নানী দেখি বাংলা-ইংলিশ-হাঙ্গুল সব পারেন।উনি হাসে...।।
বি.দ্রঃ তানবীরা আপুর জন্য নিবেদিত
রাসেল ভাই, কি অবস্থা ? কেমন আছেন ?
আছি ভালোই। আপনি কেমন?
যাত্রাবাড়ি চলুক। এই ধরণের দিনলিপি পইড়া ব্যাপক মজা পাই। তবে কান্দাকাটি কম দিও।
আজিব।কান্দন দেখবেন না??

বসন্ত সব দেশেই তাহলে একরকম?
আরে না এই জায়গারটা ভুয়া।বসন্তে ঠক ঠক করে ঠান্ডায় কাঁপা লাগে।কোকিল না ডাকলে আবার বসন্ত কিসের?
বৃদ্ধার স্নেহেই ভাল আছেন। ভাল থাকুন। লেখা ভাললাগলো।
এই দেশের বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা সবচেয়ে ভালো।
আগের আশরাফ, এখনকার রাসেল-লেখা ভাল পাইলাম, তয় যতি চিহ্নগুলো ঠিকঠাক করে দিলে পড়ে বেশি আরাম পাইতাম।
আমি এখন রাসেল ও না আশরাফও না এখন রাসেল আশরাফ।
দিছি যতদুর পারছি।নাজমুল ভাইরে পেলে ভালো হতো।

রাসেল আশরাফ, ভালো হচ্ছে না কিন্তু ! সবাই মিলে আমার খোঁজ করা শুরু করেছে ভুল ধরবার জন্য ! যাও, এই পোস্টে ৭৭টা(?) ভুল যে আছে তা আমি কাউকে বলবোও না, দেখিয়েও দেবো না !
যা মনে এসেছে তা লেখা ভালো হয়েছে, থেমে না গিয়ে এমন করে লিখলে কাছে পাই, ভালো লাগে।
নাজমুল ভাই এটা কি হলো?সবাইরে ঠিক করে দেন আর আমারে দিবেন না, তা হবে না।খেলবো না।
আসলেই কি ৭৭ টা ভুল আছে।
একটু দেন ঠিক করে।
খেলা বন্ধের হুমকিতে ভয় পেলাম। ৭৭টা পেলামনা। তবু যে ক'টা পেলাম তাও কম নয় । ঠিক করলে ভালো লাগবে আমার, পড়তে সুখ পাবে সকলেই ।
অফট পিকঃ>অফ টপিকঃ(?) দিলো>দিল। [ঝাড়ি কি দেখা যায়?] । কেও ঠেকায়।>কেউ ঠেকায়। উদাস ছিলো>উদাস ছিল। কারনও আছে>কারণও আছে । হঠাত>হঠাৎ । উঠে পরলাম>উঠে পড়লাম । প্রতিদিন বাস যেদিক দিয়ে যায় আজ অন্য দিক দিয়ে যাচ্ছে।>প্রতিদিন বাস যেদিক দিয়ে যায়, সেদিক দিয়ে না-যেয়ে আজ অন্য দিক দিয়ে যাচ্ছে। আজ হারিয়ে যাবো, দিয়ে রাস্তায় হাটঁবো যতক্ষন ইচ্ছা।>আজ হারিয়ে যাবো, দিয়ে রাস্তায় হাঁটবো যতক্ষণ ইচ্ছা। (দিয়ে কি কোন জায়গার নাম?)। দিয়ে ট্যাক্সি নিয়ে চলে যাবো।> পরিস্কার হচ্ছেনা। কিছুক্ষন>কিছুক্ষণ । কান ব্যথা করছে আমার আবার>কান ব্যথা করছে । আমার আবার । আল্লাহ আকবর>আল্লাহু আকবর ।
২। আঠাঁ>আঁঠা । বের হয়েগেলাম>বের হয়ে গেলাম, । আমার পিছন পিছন বের হয়ছে আরামছে হাটঁতে হাটঁতে > আমার পিছন পিছন বের হয়েছে । আরামছে হাঁটতে হাঁটতে । কিছুক্ষন>কিছুক্ষণ ।
৩। উনি এখন আমার বাংলা বুঝে সেদিন>উনি এখন আমার বাংলা বুঝেন । সেদিন । কাঁচামরিচ দেন উনি ঠিক কাচাঁমরিচ বের করে দিলো।>কাঁচামরিচ দেন । উনি ঠিক কাচাঁমরিচ বের করে দিলেন।
হাংগুলটা কি?
কোরিয়ানরা নিজেদের বলে হাঙ্গুক সারাম আর ওদের ভাষাকে বলে হাঙ্গুল মাল।
কোরিয়া নিয়া লিখছ, যাত্রাবাড়ী তো কোথাও পাইলাম্না ।
এমনিতেই কয় লম্বা মানুষের বুদ্ধি হাটুঁতে??
গাড়ির লাস্ট স্টপেজের নাম যাত্রাবাড়ি।

লিখেন না বলে যে ঝাড়ি দিছে তারে আমার পক্ষ থেকে ১ কেজি ধইন্যাপাতা। এত আইলসা মাইনষে হয়? আজব! খালি মেসেঞ্জার আর ফেসবুক।
নানী তো কমলা দিছে ৬ মাস আগে। লিখলেন আজকে। একটা গল্প মনে পড়লো , থাক কমু না। কারে বলে ১ বছর আগে সুড়সুড়ি দিছে আর সে হাসছে ১ বছর পরে। ওইরকম হৈছে আরকি।
যাত্রাবাড়ি যাত্রা নিয়মিত হোক।
আমারও একটা গল্প মনে পড়ছে।সেই ঐতিহাসিক সুঁই আর ঝাঁঝড়ের গল্প।

এইটা হচ্ছে দ্য লাইন। পৃথিবীর সব সকালে দেরী করে ওঠাদের জন্য শুভকামনা।
এমন শুভকামনা যদি সবাই করতো! সবাই যদি আপনার মত বুঝতো সকালের ঘুম কত মধুর!!
সকাল নয়টার দিকে বালিশটাকে এত উষ্ণ আর আরামের লাগে যে কি আর বলবো।
এত সুখ বেশীদিন কপালে সইবে না কিন্তু!
দেরী করে উঠা মানে সকাল নয়টা রে ভাই।

ঝাড়ি না দিয়া জীবনে কিছু পাই নাই। জয়িতারে ঝাড়ি পোষ্ট উৎসর্গ। তোমারে ঝাড়ি
ভাবতেছি আর কারে কারে ঝাড়ন যায়
ফ্রী এর ফল ফুরুট খাইয়া এই দেহ তৈরী করতেছো, হায় আল্লাহ। মাইয়া পাওয়া যাইবো নাতো।
লেখা অতি উমদা হইছে। যাত্রাবাড়ি আরো চাইইইই
আমাদের ২১শে মার্চ থেকে বসন্ত শুরু হইবে, ওলন্দাজ বসন্ত
আমি একজনরে চিনি উনি এই ব্লগে লিখছিলেন মনে হয়।নিক হচ্ছে ''মজিবর''। দেন ঝাড়ি দিয়ে কন লিখতে।
কান্দেন ক্যান? কি হয়ছে?দুলাভাই কিছু কইছে??
ভাবতেছি এক্টা পোষ্ট লিখে নিজেই নিজেরে উৎসর্গ করুম। কতদিন আর দুঃখ মনে পুষে রাথব?
হ লিখেন।

হুম,এই ধরনের লেখা মজা লাগে
থ্যাঙ্কু।
আরাম পাইলাম পইড়া
জামাই-বৌয়ের হয়ছে কি খালি হাসে??

চলুক।
যে ঝাড়ি দিসে সে তো কামেল মানুষ, ভাইটামিন আছে তার ঝাড়িতে!!... নইলে কেম্নে জানতাম এতো কাহিনী...
চলুক গাড়ি যাত্রাবাড়ি, গাড়ির ভিত্রে না লাগে যেন মারামারি!!...
ইমো কই গেল?
মন্তব্য করুন