জ্বীন দেখতে কেমন !
আজ কদিন ধরে আমরা বন্ধুর ব্লগ বন্ধুরা জ্বীনের গল্পের জন্য তাড়া দিচ্ছে। সেদিন বেড়াতে যেয়ে আমি তাদের সাথে একটা জ্বীনের গল্প শেয়ার করেছিলাম। আমি জ্বীনে বিশ্বাস করি কিনা জানি না কিন্ত ছোটবেলা থেকেই আমার জ্বীনের গল্প শোনার বিশেষ আগ্রহ ছিল। আমরা গ্রামে বেড়াতে গেলে মা বলতেন বাঁশ বাগানে চুল ছেড়ে যাবে না, জ্বীনে ধরবে। আমি গ্রামের আত্নীয়দের জিজ্ঞেস করতাম কাকে জ্বীন ধরে, তারা বলতেন সুন্দরী মেয়েদের আর সুন্দর ছেলেদের ধরে পরী। আমার জীন দেখার খুব শখ ছিল, ভাবতাম কেন তারা শুধু সুন্দরী মেয়েদের উপর ভর করে? ঊঠতি বয়সে ভাবতাম আমি কি সুন্দর না? তাহলে চুল খোলা রেখে এত বাঁশ বাগানে হাঁটলাম কেন জ্বীন আমার উপর ভর করল না?
ছোটবেলায় আমার এক দুঃসর্ম্পকের খালু ছিলেন প্রায় আসতেন ঢাকায় ব্যবসায়িক কাজে, থাকতেন আমাদের বাড়িতে, ওনার কাজ ছিল প্রতি সন্ধ্যায় আমাদের তিন ভাইবোনকে জ্বীনের গল্প শুনানো। খালু থাকতেন সাতক্ষীরায়, ওনার বাবা সেই সাতচল্লিশ সালে একটা হিন্দু জমিদার বাড়ি কিনেছিলেন, খালু এখন তার পরিবারের সাথে সেই বাড়িতেই থাকেন। খালু বলেছিলেন ওনাদের বাড়িতে নাকি একটা ঘর আছে যেটা তালা বন্ধ থাকে কেউ কোন দিন সে ঘর খোলেও নাই ভয়ে, সেই ঘরে নাকি জীন আছে, অনেক রাতে সেখানে কেউ কেউ নুপুরের ঝম ঝম আওয়াজ শুনতে পান। আমার খুব শখ ছিল খালুর বাড়িতে যেয়ে সেই ঘরটা দেখার, কিন্ত যাওয়া হয় নাই। একদিন নাকি ওনাদের বাড়ীর উঠানে হঠাৎ মাঝরাতে একটি মেয়েকে পাওয়া যায়, মেয়েটির জ্ঞান ছিল না। বাড়ির লোকজন দেখেতে পেয়ে প্রথমে ভয় পায় পরে আল্লাহর নাম নিতে নিতে মেয়েটির কাছে গিয়ে পানির ছিটা দেয় চোখে মুখে, মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে মেয়েটি জানায় সে ঘুমিয়ে ছিল তার ঘরে এবং এখানে কি ভাবে আসলো সে নিজেই সেটা বুঝতে পারছেনা। মেয়েটির ভাষ্য অনুযায়ী তার বাড়ি ছিল পাশের গ্রামে।
একবার নানা বাড়ী গিয়ে আরও মজার একটা কাহিনী শুনলাম, এক ছেলে নাকি ছোটবেলায় হারিয়ে গিয়েছিল, খুব খোঁজাখুজির পরও কোথাও তাকে পাওয়া যায় নাই। হঠাত সেই ছেলেকে খুঁজে পাওয়া গেল ১০ বছর পর। ছেলেটি যখন হারালো তখন ছেলেটির বয়স ছিল আট, আঠেরো বছর বয়সে ছেলেটি ফিরে এসেছে। ছেলেটি বলছে সে নাকি পরীদের দেশে ছিল। ছোটবেলায় তাকে নাকি কোন পরী উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিল তাদের দেশে, তারপর তাকে নাকি পরীটা বিয়েও করেছিল, তাদের একটি দুই বছরের বাচ্চাও আছে। কিন্ত ছেলেটির নাকি ওখানে থাকতে ইচ্ছে করেনা, পরীটি দেখতে এত সুন্দর তা নাকি বর্ণনা করা যায় না, কিন্ত সমস্যা হচ্ছে এত সুন্দর পরীর দিকে বেশীক্ষণ তাকালে নাকি শরীর খারাপ হয়ে যায় আর ওই পরীর মাথায় এত চুল যে সেই চুল তার বুকে পড়লে সে নিঃশ্বাস নিতে পারে না, কষ্ট হয়। তাই সে পরীর কাছে অনেক অনুনয় করে চলে এসেছে। পরী নাকি মাঝে মাঝে ওর কাছে আসবে, শুনেছিলাম যেদিন পরী আসে সেদিন সে সন্ধ্যা হতেই দরজ়া জানালা বন্ধ করে শুয়ে পড়ে। আমার খুব শখ ছিল দেখার কি ভাবে পরী বউ তার মানুষ স্বামীর কাছে আসে।
আমার এক ভাবী আছেন যিনি ঢাকার একটি অভিজাত এলাকায় খুব আধুনিক একটি ফ্লাটে থাকেন। ভাবী মাঝে মাঝে জ্ঞান হারান এবং অসুস্হ থাকেন। ভাবী একদিন আমাকে বলেন যে তার উপর আর তার ছোট বোনের উপর জ্বীনের আসর আছে। ভাবী বলেন ঊনি ছোটবেলায় খুব সুন্দরী ছিলেন এবং ছোটবেলা থেকেই নাকি তার উপর জীনের আসর। এসব গল্প শুনে আমি মাঝে মাঝে ভাবতাম জীন মানুষের উপর ভর করে কি করে? শুধুই কি ভয় দেখায় নাকি অন্য কোন রহস্য আছে !!
আমার ননদের শাশুড়ি নাকি একদিন তাদের গ্রামে খুব ভোরে নামাজ পড়তে যেয়ে সাদা আলখেল্লা পড়া কাকে দেখেন এবং তিনি কে এটা জিজ্ঞেস করা মাত্রই সেই আলখেল্লা পড়া মানুষটি মিলিয়ে যায়। আমাদের সবার এ রকম হাজার জ্বীনের গল্প শোনা আছে।
জ্বীনের গল্পে আমার আগ্রহ আছে বলে যে এমন একটি জ্বীনের গল্প আমি জীবনে শুনব আমি তা কখনো ভাবি নাই।
এই অভিনব জীনের গল্পটি শুনালেন আমার স্বামী। ঊনি পেশায় চিকিৎসক , খুব সাদামাটা মানুষ। নিজের পেশায় একটু বেশী ডেডিকেটেড। উনি বছর সাতেক আগে শ্রীপুরে একটি গ্রামে ফ্রি চিকিসা করতে যেতেন। একদিন কালো বোরখা পড়া একটা মেয়ে তার কাছে আসল, আপাদমস্তক বোরখা ঢাকা মেয়েটি আলট্রাসনো করতে এসেছে। ডাক্তার সাহেব আলট্রাসনোর প্রবটি তার পেটে দিয়ে দেখলো তিন মাসের একটি ফিটাস।
ডাক্তার সাহেব স্বভাবত জিজ্ঞেস করলেন “কার সাথে এসেছেন”?
মেয়েটি বলল “ননদের সাথে”
ডাক্তার সাহেব জিজ্ঞেস করলেন “আপনার স্বামী আসেন নি?”
মেয়েটি বলল “ঊনি বিদেশে থাকেন”
ডাক্তার সাহেব জিজ্ঞেস করলেন “কবে বিদেশ গেলেন।“
মেয়েটি বলল “পাঁচ বছর আগে।“
ডাক্তার সাহেবের মাথা ঘুরে গেল, উনি আবার পরীক্ষা করলেন এবং দেখলেন যে মেয়েটা সত্যিই তিন মাসের প্রেগন্যান্ট।
ডাক্তার সাহেব আবার বল্লেন “আপনি কি জানেন যে আপনি সন্তান সম্ভবা? তিন্মাস চলছে আপনার, আপনি এখন কি করবেন?”
ডাক্তার সাহেব ভেবেছিল মেয়েটি কেঁদে কেটে একাকার হবে এবং সাহায্যের জন্য অনুরোধ করবে।
কিন্ত মেয়েটি বেশ নির্লিপ্ত ভাবে বলল “স্যার আমার সাথে জ্বীনের আসর আছেতো জ্বীনেই কাজটা করছে। ডাক্তার সাহেব তো হতবাক ! এই কথা বলার সময় মেয়েটির গলা বা চোখের পাতা কিচ্ছু কাঁপলো না।
এরপর মেয়েটি খুব ঠান্ডা গলায় বলল, “ স্যার আমি এখন কি করব?
জ্বীনের কথা শুনে আর মেয়েটির শঠতা দেখে ডাক্তার সাহেবের ভীষণ রাগ হল, সে রেগে গিয়ে বলল “কেন আপনার জ্বীনকেই জ়িজ্ঞেস করুন এখন আপনি কি করবেন”
বাসায় ফিরে ডাক্তার সাহেব আমাকে বলল চিন্তা কর প্রত্যেকটা মেয়ের যদি এরকম জ্বীনের আসর থাকে তবে আমাদের মানে পুরুষদের কি হবে !!!
আমারো খুব ইচ্ছে হল জ্বীন দেখতে পারলাম না অন্তত জ্বীনের বাচ্চাটা কেমন হয় দেখার কিন্ত বরাবরের মত এবারো আমার দেখা হল না।
উৎসর্গঃ লীনা দিল রুবা, মাসুম ভাই, জয়িতা, রায়হান ভাই... যারা জ্বীনের মত লেগে থেকে আমাকে এটা লেখালেন)
আমি আগেই বলসি মেয়েগুলো আজ-কাল সাংঘাতিক নির্মম হয়েছে।
জ্বীনের দোহাই লুল ছেলে মেয়ে দুইজনের জন্যই দারুণ উপকারী ।

একদম খাঁটি ক থা
আমার লিজা বইনরে কোন দিন জ়িনে ধরব না 
জিন দেখতে কেমন? জটিল প্রশ্ন!
আপনার গল্পের ডাক্তার তো ভালোই। মেজাজটা খারাপ লাগে যখন দেখি মেডিকেল থেকে পাশ করা আমার বন্ধু আমকে কোরানের আলোকে জিন বিশ্বাস করতে বলে। বন্ধু ফিজিক্স-কেমিস্ট্রিতে লেটার পাওয়া !!
আপনার গল্পের ডাক্তার তো আমার জামাই
এখনো অনেক মানুষ আছে কোরানের আলোকে জিন বিশ্বাস করে 
লীনা আমারোতো খুব শখ হচ্ছে। এ শখ মিটানোর উপায় কিগো?
আসো আমরা ব্লগ থেকে খুব সুন্দর একটা ছেলে বেছে নেই, ওকে বাঁশ বাগানে রেখে আসি , তারপর তাকে পরীতে ধরলে, বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে রাজ়ি হবে এবং শর্ত থাকবে তোমার বা আমার বাড়ীতে বাসর রাত হবে ওদের বাসরে আমরা না হয় চুপিচুপি ঊকি দেব
মীররে নেও
রায়হান ভাই এর প্রস্তাবে ভোট দিলাম।
রায়হান ভাই এর প্রস্তাব উত্তম
সবাই মিলে ভুট দিলে আমার সমস্যা নাই
মীর'রে নিয়া গেলে এবি'তে এত উত্তম উত্তম ব্লগ লেখপে কেঠায়
কি কও তানবীরা ? খারাপ কইসি?
মীর জ়িন পরীর দেশের আজিব কাহিনীগুলি লিখবে, তোমরা আরো অনেক অনেক উত্তম পুষ্ট পড়তে পারবা
ঠিক, মীর'রে পাঠাইয়া দেন, সেইখানকার বর্ননা, জ্বীন-পরীদের কান্ডকারখানা।।সব সুন্দর করে লিখে দিবে মীর...
ভোট ফর মীর... :p
ভোট ফর মীর...
তোমার ভাই আমার ভাই মীর ভাই মীর ভাই
কে সাহসী কে বা বীর
আর কে ভাই মোদের মীর
ভোট ফর মীর
সেইখানকার বর্ননা, জ্বীন-পরীদের কান্ডকারখানা।।সব সুন্দর করে লিখে দিবে মীর...
জীন, পরী, ভূত সবই বাস্তব। এরা বাস করে মানুষের মনের মধ্যে । অপরকে ধোঁকা দিতে এদের সহায়তা অপরিসীম । এদের ক্ষমতা প্রায় ঈশ্বরের মত, শয়তানের চেয়ে অন্ততঃ একটু হলেও বেশী ।
আমাদের দেশের রাজনীতিবিদ্গণও অহরহ এদের উপর নির্ভর করেন
। যার স্বামী পাঁচ বছর ধরে বিদেশে, তার জীনের মুখাপেক্ষী হওয়া ছাড়া আর কি-ই বা করার থাকে। এমন জীন হয়ে অপরকে সাহায্য করতে আপনিও এগিয়ে যেতে পারেন। 
যার স্বামী পাঁচ বছর ধরে বিদেশে, তার জীনের মুখাপেক্ষী হওয়া ছাড়া আর কি-ই বা করার থাকে। এমন জীন হয়ে অপরকে সাহায্য করতে আপনিও এগিয়ে যেতে পারেন।
আমি মহিলা মানুষ, জ়ীন হব কি করে
?????
জ্বীন বিশ্বাস করিনা আবার অবিশ্বাস করিনা । আমার ব্যাখ্যা হল এরা এলিয়েন হবে হয়তো।
তয় জ্বীন দেখতে মনে হয় অনেকটা আপনার মত।
জ্বীন বিশ্বাস করলে এভাবে জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে ফটু তুইল না। কওন যায় না কবে আবার আসর হয়
জ্বীন লোকগুলা তো দেখি খুব খ্রাপ্।
হ্যাঁ রে শুনছি ওর নাকি দিন দিন শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছিল পরী বউর রুপ দেখে দেখে, আসলে মানুষ বলেনা
Access of anything is bad
রাজীতো???

নাউজুবিল্লাহ। জ্বীন , পরী ডরাই।
হুমায়ূন আহমেদের গল্পে পড়লাম জ্বিনদের সাথে নাকি মানুষের বিয়া হয়। তাদের ছেলেমেয়েরা হয় হিজড়া। >)
টেরাই ক রবেন না রায়হান ভাই এ ক বার জিন বিয়া কইরা???? আম রাও জিনের বাচচা দেখনের সুযুগ পাই
আহা কত দিনের শখ জিন দেখা 
তাতাপু, জেবীনের পর আবার কেউ পোষ্ট উৎসর্গ করলো। আপনেরে এককেজি
থাঙ্কু আপু !!! যতদিন বিবাহ না কর ততদিন আললাহ যেন তোমারে একটা ভালা জিনের আসর দেয়
প্রথমে ধইন্যা এরপর
হাহাহহাহাহাহা।
চুপচাপ দেখে গেলাম। কারে বাছে দেখা যাক।
জ়ীন তোমারে খুব লাইক করব
আর চুপিচুপি ঊকি দেব আমরা 
জ়য়িতারে জীনে ধরলে আমরা ওর বাড়ীতে চুপিচুপি ঊকি দেব
বাড়িতে ফুঁ দেয়া আছে। জ্বীন যাইতে পারবে না। অন্য কুনু বাড়ীর দিকে নজর দেন।
বাড়ীতে আর থাক কতক্ষণ ?
যে ভাবে আগানে বাগানে ঘুর তোমারে জীনে ধরব এটাই স্বভাবিক 
আরে না। আগানে বাগানে তো আপনাদের সাথে ঘুড়ি। জ্বীন ধরলে আপনাদের ধরবে, আমি দোয়া পইড়া ফুঁ দেই তো নিজেরে।
্জামাই থাকলে জীন ধরে না,
আমাগো জামাই আছে 
আপনের জামাই তো বাড়ী খুব কম থাকে। আপনি কইছেন।
জামাই যার নাই জ্বীন তার ধারে কাছেই আসে না। ডরায়।
কখন কখন বাড়ি থাকে না?
কেন মাসুম ভাই ? কি করবেন সেটা জেনে?
জ়ামাই দিনে থাকে না রাতে থাকে.।.।। জ়িন দিনে আসে না রাতে আসে
আর কতো? বহুদিন হইছে তো
কাচ্চি খাওয়ানের কথা কয় মনে হয়।
খাই লে আমরা দুইজন খামু, তুমি আবার এই খানে কান পাত কেন?
আপনেই তো কইছেন চুপি চুপি দেখার কথা। আপনি দেখি কথা ঘুরায় ফেলেন।
আরে আমাগো না, জ়িনেরে
কথা সত্য। বিস্তারিত কথা হবে সাক্ষাতে
আরে সবাইকে শুনালেন কেন? চুপি চুপি ফুন দিতেন
চুল খোলা রেখে সন্ধ্যাবেলা রাস্তায় বা মাঠে হাটলে জ্বিন সওয়ার হতে পারে এইটা অনেক শুনছি কিন্তু তোমার গল্পে পড়ে অন্যরকম মজা পেলাম। ধইন্যা ফের- আরো গল্প চাই, মিতা বেগম।
থাঙ্কু থাঙ্কু, কত চুল খুলে হাটলাম একটাও জীনের দেখা পেলাম না
আহা! একটা জীন পাইলে কত কাজে লাগত বলতো !! লাগলে মাঝে মাঝে তোমারে পাঠাইতাম 
এরপরের গল্প কেম্নে জানা যায়! ঠিকানাটা দেওনা, জ্বিনের বংশধর দেইখা আসি
রায়হান ভাই, বা জয়িতা কেউ রাজী হ লে এক বছ রের মধ্যে আমরা জীনের বংশধর দেখতে পাব
জয়িতা খুক খুক......শেষ পর্যন্ত জ্বিনের মাধ্যমে
এর মত উত্তম আর সহজ ঊপায় আর নাই
ঠিক না জয়িতা ? 
হ সেটাই। জ্বীন তো জামাই আছে যাদের তাদের উপড় ভর করে। অতএব এই শখ আপনেরা দুজনের একজন নিজ উদ্যোগেই মিটান। আমি এই ক্রাইটেরিয়াতেই পরি না।
জ়িন সিঙ্গেল মেয়েদের ধরে- বিবাহিত হইলেও যারা সিঙ্গেল থাকে তাদের শুধু ধরে অবিবাহিত হইলেও হেভী খুশীতে ধরে
আফাগো, আসল লুকের দেখা মিলুক আগে। জ্বীন নিয়া না হয় পরে ভাবপো।আপাতত কুনু জ্বীনের এক্সেস নাই। আপনারা ভুল জায়গায় কড়া নাড়তেছেন।
় জী আইচ্ছা
একটু সামালকে
মানে কি বস !!
আগে জ্বীন পরী বিশ্বাস করতাম খাস দিলে । এখন তেমন করিনা । কাউরে জ্বীনে ধরছে শুনলে মনের মইধ্যে সন্দেহ
। ছোটবেলায় টাইফয়েড জ্বরের সময় রাতে জ্বলন্ত হাতের মত কিছু একটা দেখে প্রচন্ড ভয় পাইছিলাম । অনেকদিন পর্যন্ত আমি ভাবতাম, জ্বীন দেখছি বুঝি । কিন্তু এখন জানি, আসলে ওইটা হ্যালুসিনেশন ছিল । জ্বীন টিন না ।
জ্বীন পরী অবিশ্বাস কইরো না
তুমি অবিবাহিত হইলে বা স্বামী বিদেশ থাকলে দেখবা জ়ীন খুব কামেল জিনিস । 
দুইটা'র একটাও ঠিক না। সো, আমার দোস্ত'রে জ্বীনে ধরতে পারপে না
জ়িন কিন্তু খারাপ না
তার মানে দোস্তের এ্যফেয়ার আছে। আপনে বুঝেন্না নাকি?
হ! আমার দোস্তের ৭বছরের প্রেম :X। যেন তেন এ্যফেয়ার না
জিন দেখতে আমার মতো হইতে পারে ;)

ইয়ে মানে..................খারাপ না ব্যাপারটা

ইয়ে মানে আমারো ওই একই কথা
..................খারাপ না ব্যাপারটা

মাসুম ভাইর ব্লগের কমেন্টে পড়ছি যে টুটুল নাকি নাজরে খুব ঝামেলা করে.।.।।। আহা টুটুলের একটা জীনপরী থাকলে ভালই হইত, নাজ বেচারী বাইচা যাইত
আপা আপ্নেই বুঝলেন.... নাজ বুঝলো না
একটা জ়ীন পরীর আসর লাগাও নাজ তখন উলটা তোমারে পিছেই ঘুরবে
আপ্নেতো বইন মানুষ... এক্টু ব্যবস্থা করেন না ... পিলিজ লাগে
আহা ভাইয়ের কি দুক্ষু
( ঠিক আছেরে ভাই দিমুনে, তয় নাজ যেন আমার ব্লগে access না পায়, জানলে আমার মাথার চুল একটাও রাখব না 
হেলমেট পইরা লৈয়েন
ভাইরে তোমার জন্য শহিদ হইতে পারুম না
শহিদ কিডায়?
খাইছেরে আমারে !!!!!
নাজতো ঢুইক্যা পড়ছে, মডু ভাই নিজের চাকরী আর আমারটা দুইটাই খাইছ। এখন দুইজনেই শহীদ হমু 
প্লিজ, একটু তাড়াতাড়ি জ্বীন-পরীর আছর লাগানো'র ব্যবস্থা করেন। আমি শান্তি পাই
ইসসসসস ! মন থেকে বল্লা? যে সুন্দর ভাই আমার পরীতে নিয়া গেলে আবার হুজুরের কাছে দৌড়াবা আর কানবা
সুন্দর দেইখাই বললাম, প্লিজ, একটু তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করেন
্তুমি মনে হয় হুজুরের কাছে যাওনের লাইগ্যাই এমন করতাছ
হুজুর রা ভাল হয় না, প্লিজ যেও না 
পরী'দের মত হুজুর'রাও কেবল সুন্দরীদের জন্যই বিপদজনক। আমি তো আর আপনার ভাই এর মত সুন্দর না। সো, সমস্যা নাই। যান, এইবার আপনার ভাই'রে একটা পরী আইনা দেন। আমার মত পেত্নি আইনেন না আবার
হুজুরগো সুন্দর লাগে না, বিপদে পড়া মাইয়া হইলেই হয়, আর আমার ভাইয়ের বঊতো এম্নিতেই সুন্দর
আমি আবার বিপদে পড়লাম কখন?
আরে টুটুলরে পরীতে ধরলে তুমি বিপদে পড়বা না
সেই বিপদ থেকে রক্ষার জন্যইতো হুজুরের কাছে যাওয়া
আমি বিপদে পড়ুম কেন? বিপদে তো পড়বে পরী
হি হি হি
ঠিকজ
আমার অবশ্য জীনে রুচি নাই ,,,, আমার প্রিয় ভদকা
িবমার বঊয়ের ডরে জ়িনের রুচি নাই
এক মহিলার কথা শুনছিলাম, যার স্বামী দেশেই থাকেন। তবে যতবারই উনি প্রেগন্যান্ট হন, ক'দিনের মাঝেই তার গায়ে কালশিটে পড়ে যায়, আচঁড়ের দাগ একসময় বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে যায়!...এমন কয়েকবারই হয়েছে, জ্বিনটা নাকি তার সাথে অনেক আগে থেকেই ছিলো, অনেকে নাকি সেইসব দাগ দেখেছেন, আর মহিলাকে নাকি জিজ্ঞেস করায় বলেছে, সে কিছু দেখে না কিন্তু অনুভব করতে পারে... কি কেরামতি!!
:)
আসল রহস্য কি তা একমাত্র উপরয়ালাই জানেন
আমি মোটামোটি গ্রামটাইপ মফস্বলেই বড় হইছি। জ্বিন-পরীর কাহিনী অনেক শুনেছি। একটু বুদ্ধি খাটালেই বুঝা যায় এদের মধ্যে ৯৯%ই ফ্রড, বিভিন্ন রকম সুবিধার জন্য শয়তানি করে। ১০০% বলছিনা কারন দুটা ঘটনা চোখের সামনে দেখেছি যেই দুটা কোনমতেই যুক্তি দিয়ে ফ্যাক্টস দিয়ে মিলাতে পারিনা। এই দুইটা ঘটনা কারো কাছে জ্বিনের কাহিনী শুনলেই আমার মনে পড়ে। কোন কূল কিনারা পাইনা। আমার কয়েকজন ক্লোজ বন্ধুদেরকে বলেছি যারা যথেষ্ঠ উচ্চশিক্ষিত এবং স্মার্ট কিন্তু তারাও ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়।
তবে এটা দঋভাবে বিশ্বাস করি যে আমাদের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগতের বাইরে অনেক কিছুই আছে যা আমাদের পক্ষে অনুভব করা বা দেখা সম্ভব নয়। এবং এটা হওয়াই যৌক্তিক। কোরানে জ্বিনের ব্যাখ্যা নিয়ে মুহাম্মদ আসাদের দারুন ব্যাখ্যা পড়েছিলাম যা আমার খুঁতখুঁতে মনেও দাগ কেটেছিল।
যে দুটা ঘটনার কথা বললাম সে দুটা নিয়ে একদিন পোস্ট দিব নে। দেখা যাক!
আমি জীনের গল্প খুব ভালা পাই
পুষ্টের অপেক্ষায় রইলাম 
যারা জ্বিনের মত লেগে থেকে এই লেখাটা লেখাতে বাধ্য করলেন লীনাকে- তাদের মধ্যে ২ জন কিন্তু পুরুষ জ্বিন ! একজন রায়হান ভাই অন্যজন শখত মামা...
লীনারে কৈছিলাম কী, তোমার আলতা সুনু-টুনু আবার করন লাগবো নাতো ??
আপনি আলতা সুনু-টুনুর কি বুঝেন ?? আপনি কি আলতা সুনু করতে পারেন?? আমার করন লাগলে আমার জ়ামাই বুঝব, আপ্নারে কইয়া কি কোন লাভ আছে?
তোমার আলতা-সুনু তোমার জামাই করুক, তাতে সমস্যা নাই...

না হয় তুমিও জ্বিনের একটা নতুন গল্প বানাইয়া কৈইও
আমি সত্য কথা কইলেও কুন অসুবিধা নাই
কিন্ত আপ্নে আমারে নিয়া এত চিন্তিত কেন
আপ্নারে পরি ধরে নাইতো
ভাবসাব ভালা না জুসিম ভাইর 
অঞ্জু আফায় কন কী ! আমারে পরি ধরলে আবার আমার আলতা-সুনু করন লাগবো নাতো ?
লাগবার ফারে, আম্নের আমার জামাইর কাছে আসা লাগব না
ল্যাবেইডে কামডা সারতা পারবেন.।। কেউ কিচ্ছু জানব না 
ইয়ে আমি একটু সিরিয়াস কথা বলতে চাই - আমাদের শহুরে কমর্জীবি নারীদের অনেকেরই বেবি হতে অনেক সমস্যা হচ্ছে, সেই ক্ষেত্রে আমরা কি "জ্বিন থেরাপি'' পেতে পারি? আমাদের দেশের হুজুররা তো এই কামেলগিরি অনেক বছর ধরেই দেখিয়ে আসছেন!!!
ছেলে কি করে সৌদি থাকে, কুয়েত থাকে - দেশে এসে বিয়ে করে বউ রেখে যাবে, আর আসতে পারবে না! ঐ ব্যাটা ঐখানে পরীর কাছে যায়, দেশে বউ জ্বিনের কাছে যায়- সব কাটাকাটি; তবে প্রোটেকশনের এই যুগে জ্বিনকে শেষ কেরামতি পর্যন্ত নিয়ে প্রমাণ রাখা বোকামী!
ব্যাপক মজা...
ঠেলা

আপ্নে কই আপা! জ্বিনের গল্প পড়তে মন্চায়
আল্লাহ তায়ালা নিজেই কোরআনে বলছেনঃ ''আমি জ্বীন ও মানুষ জাতিকে একমাত্র আমার ইবাদতের জন্যেই সৃষ্টি করেছি।'' এখানে অনেক শিক্ষিত কমেন্টকারীদের মনে হয় কোরআনের নুন্যতম জ্ঞ্যানও নেই...
মন্তব্য করুন