অবাঞ্চিতের অশ্রুগাঁথা
উৎসর্গঃ মেসবাহ য়াযাদ ভাইকে রক্ত দিয়ে যিনি মানুষের পাশে থাকেন।
চাকরী সুত্রে আমাকে কিছু উন্নয়ন মূলক কাজ করতে হয় আমাদের পাওয়ার প্লান্টের আশে পাশের গ্রামগুলিতে, অবশ্য আমি নিজেও এই কাজে অনেক আনন্দ পাই। গ্রামের এই অসহায় মানুষের মুখে একটু হাসি ফোটাতে পারলে আমার ভাল লাগে। মাঝে মাঝে ভাবি কাজ করেতো সবাই বেতন পায়, সম্মান পায় আর তার সাথে আমি একটা বাড়তি কিছু পাই তা হল -অসহায় মানুষের মুখের একটু হাসি।
এই কাজের জন্য আমি গ্রামে গ্রামে যাযাবরের মত ঘুরি এবং অনেক মজার অভিজ্ঞতা আমার ঝুলিতে জমাই। গ্রামে ঘুরে ঘুরে খুঁজে বের করি নতুন কোন কাজ যা তাদের সত্যিই উপকারে আসবে। এভাবে ঘুরতে যেয়ে একদিন আবিষ্কার করি একটি মানসিক এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু। খোঁজ নিয়ে দেখি ছোট্ট এই গ্রামে জনা তিরিশেক মানসিক এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু আছে । একদিন তাদের সবাইকে একত্র করি তাদের কথা শো্নার জন্য, তাদের বাবা মায়ের সাথে কথা বলতে যেয়ে, সমস্যাগুলি শুনে আমার সেই আনন্দের কাজটি সেদিন আমার জন্য খুব বেশী কঠিন হয়ে গিয়েছিল, আশে পাশের বাতাস ভারী হয়ে গিয়েছিল, ওখান থেকে ছুটে বেড়িয়ে আসতে ইচ্ছে হচ্ছিল, এক এক জনের কথা শুনতে শুনতে চোখ ভিজে যাচ্ছিল, কি করে এদের সাহায্য করব এটা ভেবে খুব দিশেহারা লাগছিল। সেই সব অবাঞ্চিত মায়েদের অশ্রুগাঁথা থেকে আমি একটি মায়ের কথা বলতে চাই ।
বিলকিস একজন গ্রামের মেয়ে, তার মানসিক এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলেটির বয়স ৭ বছর, ছেলের বাবা একজন গ্রামের রিক্সাআলা। বিলকিস এই সন্তানকে ফেলে কোন কাজই করতে পারে না, সুতরাং আর্থিক দিক থেকে সে তার স্বামীর উপরই নির্ভরশীল। শিশুটার জন্মের পর এই মহিলার উপর নেমে এসেছে অমানবিক মানসিক নির্যাতন। তার শ্বশুর শাশুড়ি, আত্নীয় স্বজন বা গ্রামের লোকজন তাকে নানা ভাবে মানসিক নির্যাতন করেছে। একে নিজের প্রথম সন্তান মানসিক এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী তার উপর তারা তাকে মৌখিকভাবে ঊত্যক্ত করত যা তার কাছে আরো বেশী বেদনাদায়ক হয়ে ওঠত। অনেক কথা শুনতে হয়েছে তাকে যেমন, তার নাকি নিশ্চিত কোন পাপ আছে বা তার সাথে জীনের আসর আছে, কিম্বা তার কোন শারীরিক ত্রুটি আছে যে কারণে আল্লাহ তাকে এমন সন্তান দিয়েছেন। এমন দুঃসময়ে সব চেয়ে বেশি পাশে থাকার কথা ছিল যার সেই স্বামীটিও এমন বাচ্চা প্রসবের জন্য তার গায়েও হাত তুলতো, তাকে ছেড়ে দেবার ভয় দেখাত, তার চরিত্র নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করত। আসলে আমাদের সমাজে এখনো প্রধানত মাকেই প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম দেবার জন্য দায়ী করা হয়। এখনো কুসংস্কার আছে ''পরিবারে প্রতিবন্ধী সদস্যের উপস্থিতি সম্পূণ॔ পরিবারের জন্য দুর্ভাগ্য বয়ে আনে''৷ এই ছেলেটি যে ভবিষ্যতে কোন কাজেই আসবেনা সেটা তার বাবা ভালই বুঝেছিল, সেই জন্য বাবা চেয়েছিল ছেলেটিকে নিয়ে কোথাও ফেলে দিয়ে আসবে। কিন্তু অবুঝ মায়ের কান্নার কাছে হার মানল নির্মম বাবা। কিন্তু বাস্তববাদী বাবা প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্য তেমনভাবে বিনিয়োগে আগ্রহী হলেন না, তার মতে এই বিনিয়োগে কোন লাভ নাই। সেই লোক বিলকিসকে ভালমত বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে এই ছেলের পেছনে কোন টাকা পয়সা খরচ করতে পারবেনা সে, এমন কি তিন বেলার খাবারও না!
মহিলার বাবা ভাইদের অবস্হা কিছুটা ভাল থাকায় মহিলাটি তার বাচ্চাটির জন্যএকটা মাসিক খরচ পেতে লাগল । একদিন গ্রামের সেই অশিক্ষিত মা এই বাচ্চাটি কোলে করে একাই চলে আসল ঢাকায়। অনেক খুঁজে বের করল প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাঊন্ডেশন, ডাক্তারী পরীক্ষায় জানতে পারল ছেলেটির সেরিবেল পালসি , এর তেমন কোন চিকিৎসা নাই, তবুও ডাক্তাররা কিছু রুটিন ঔষধ দিয়েছিল। মাসিক খরচা থেকে মাসে মাসে অনেক আশা নিয়ে ছেলেকে ঔষধ খাওয়াতে থাকল বি্লকিস, যদি তাতে একটু ভাল হয় বাচ্চাটা। কিন্তু একদিন বিলকিসের বাবা মারা গেলেন আর ভাইয়েরা মাসের খরচাটা বন্ধ করে দিল। এরপর থেকে ছেলের মুখে দুমুঠো খাবার তুলে দেওয়া তার জন্য কঠিন হয়ে গেল ঔষধ তো দুরের কথা। নিজের খাবারের ভাগ থেকে একটু খাবার বাচ্চাটিকে খাওয়ায় সে, স্বামী যদি কখনো সেটা দেখে ফেলে, মার খেতে হয় তাকে । পরিমাণ মত ভাল খাবারে অভাবে মা আর ছেলে ক্রমশ দূর্বল হয়ে যাচ্ছে, ছেলেকে একটু দুধ বা ডিম খাওয়ানো তার জন্য এখন অনেকটা স্বপ্নের মত। স্বামী কারণে অকারণে এই সন্তান পরিত্যাগ করার জন্য তাকে শারীরিক নির্যাতন করে, কিন্তু মাথার উপর সংসারের ছায়াটা রাখতে যেয়ে বিলকিস এসব নির্যাতন শুধু মুখ বুজে সহ্যই করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। ঘরের এই কথা কাকে বলবে সে? ছেলে যেহেতু বসতে পারে না তাই তাকে সারাক্ষণ শুইয়ে রাখতে হয়, কিন্তু বেশি শুয়ে থাকলে শরীরে ঘা হয়ে যায়, ঘায়ের ভয়ে মাকে বাধ্য হয়ে সারাদিন কোলেই রাখতে হয়, এদিকে ছেলে বড় হয়ে গেছে তাকে বেশীক্ষণ কোলেও রাখা যায় না, একটা হুইল চেয়ার এই মুহুর্তে তার অনেক দরকার, ছেলেকে তাতে বসিয়ে সে অনেক কাজ করতে পারত, কিন্তু যেখানে ছেলের মুখে দুমুঠো ভাত দিতে পারে না সেখানে হুইল চেয়ার কিনবে কি ভাবে?
এভাবে আর কত ? তবুও মায়ের মমতা ফেলতে পারেনা শিশুটিকে। এম্নিতেই দূর্বল তারপর সংসারের কাজ এরপর এই ছেলের দেখাশোনা। খাবার পানি আনতে গেলে ছেলেকে ঘরে বেঁধে রেখে যেতে হয়, বাইরে বসিয়ে গেলে কুকুর এসে মুখ দেয়, প্রতিবেশির বাচ্চারা এসে মারে, কি করবে এই অসহায় মা ? এই মায়ের পাপটা কি? মাতৃত্বকে বা মমতাকে গলা টিপে হত্যা করতে পারে না সেটাই কি তার অপরাধ?
আমরা কি পারিনা আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গী পাল্টাতে? একটু চিন্তা করে দেখেন রাস্তা ঘাটে এদের দেখলে আমরা কেমন যেন একটা দৃষ্টিতে তাকাই, গ্রামের মানুষতো এদের পাগল মনে করে, জন্মদাতা বাবার আচরণতো সবাই শুনলেন। আমরা এদের কাউকে সেই ভাবে সাহায্য করতে না পারলেও একটু মমতা বা ভালবাসাতো দিতে পারি। একটু মমতা আর ভালবাসা এই নিশ্পাপ জীবনগুলিকে হয়ত কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে, আমরা কি পারি না সমাজকে আরেকটু সচেতন করতে?
এমন একটি শিশুর জন্মে কারো হাত নাই, সৃষ্টিকর্তার এই সৃষ্টির পেছনের কারণ আমরা কেঊ জানিনা, শুধু মনে হয় আমাদের ভেতরে কতটা মনুষত্ব আছে এটা পরীক্ষা করার জন্য এদের সৃষ্টি।
গ্রামের অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত মানুষদের কথা কি বলবো, ঢাকা শহরে আজন্ম বসবাস করা দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী মানুষরাই যেখানে প্রতিবন্ধী শিশুর জন্মের কারণ হিসেবে "নিয়ত খারাপ" "পাপের শাস্তি" "জ্বিন-ভুতের" আছরকে দায়ী করে???
এমনিতেই মনটা খারাপ, তার উপর এই লেখাটা মন আরো খারাপ করে দিলো...
মনটা আমারো খারাপ ভাই, তাইতো তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমি দুঃখিত।
জানি না তেমন কেউ আছেন কি না। না থাকলেও তোমার প্রশ্নের বা অনুভবের জায়গাটা স্পর্শ করলাম যেন। মন ছুঁয়ে গেল।
নিয়ত রহস্যের পৃথিবীতে কত গল্প-কত কষ্ট! ক্ষুধা-রোগ আর করাল মৃত্যুর এই দেশে একজন অসহায় মা আর তার ভাগ্যহীন সন্তানের জন্য আর যা-ই না থাকুক ভালোবাসাটা অটুট থাকবে না কেন?
পোস্ট পড়ে প্রচন্ড মন খারাপ হলো। ছবি টা দেখে আরো। লীনা, তোমার কাছ থেকে কাজের জায়গার আর জীবনের নানা অভিজ্ঞতার গল্পগাঁথা জানার আর পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
"তোমার প্রশ্নের বা অনুভবের জায়গাটা স্পর্শ করলাম যেন। মন ছুঁয়ে গেল" -------
আমাকে যে এটুকু বুঝতে পার তাতেই আমি কৃতজ্ঞ বন্ধু
ছবিটা ভয়ংকর।
ছবিটা ভয়ংকর মানে বুঝলাম না। প্রকৃতির এটাও একটা রুপ। এটাই বাস্তব। পৃথিবীতে সুন্দর আর ভয়ংকর পাশাপাশি বাস করে.।.।দুটিকেই আমাদের মেনে নেওয়া উচিত। সংবেদনশীল মীরের কাছে এটা আমি আশা করি নাই।
এই সব দেখলে শুধু মনটাই খারাপ হয়।
আপনি এদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করছেন এই জন্য স্যালুট আপনাকে।
রাসেল, আমারো এই সব দেখলে মনটা খুব খারাপ হয়।
তেমন কিছু না খুব সামান্য কিছু করার চেষ্টা করছি।
ও যে মা এটাই বড় অপরাধ ! নাজ , মায়ের মনই শুধু বুঝতে পারে কি কষ্ট ওই মায়ের তাই না?
লীনা, হইল চেয়ার কিনতে কতোটাকা লাগেরে ভাই। যদি জানান আমরা বন্ধুরা না হয় সবাই একটা চেষ্টা নেই, প্লীইইজ।
হাত পা নিয়ে জন্মাইছি তাই টের পাই না। কিন্তু এমন যদি জন্মাতাম।
তানবীরা আপু, অদ্ভুত বা কাকতালীয় হলেও সত্যি যে কাল রাতে আমি টুটুল'কে এই একই প্রশ্ন করছিলাম "একটা হুইল চেয়ার কিনতে বড়জোর কতটাকা লাগতে পারে?"।
প্রশ্ন'টা করার পিছে আমার উদ্দেশ্য ছিলো বাচ্চা'টার জন্য একটা হুইল চেয়ার কিনে দেয়া।
লীনা আপু'র দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
আপু, বাচ্চা'টার আপডেট কি, তা কি জানা যাবে? যদি সম্ভব হয় তাহলে আমি বাচ্চা'টাকে একটা হুইল চেয়ার কিনে দিতে চাই, অথবা তার মায়ের হাতে কিছু টাকা তুলে দিতে চাই। আর সেটা কি তাদের কাছে পৌছে দেবার ব্যবস্থা করতে পারবেন আপু? প্লিজ জানাবেন। অপেক্ষায় থাকলাম
বাচ্চা'টার আপডেট দেব নাজ, ওদের নিয়ে সিরিয়াস কাজ করছি, অবশ্যই জানাব। বাচ্চা আসলে একটা না অনেক বাচ্চা আর অনেক কিছুই দিতে হবে। আমার যদি সাহায্য লাগে জানাব তোমাদের। আপাতত দোয়া কর দেখি নিজে কি করতে পারি।
সত্যি তানবীরা, আমরা অনেক ভাগ্যবান, তাই অনেক ছোট্ট বিষয় নিয়ে দুঃখ বিলাস করি।
আমি এদের সমস্ত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি , যদি না পারি আমরা বন্ধুরাতো আছি। অনেক ধন্যবাদ এভাবে ওদের পাশে দাঁড়াতে চাইবার জন্য
কাল রাতে শুয়ে শুয়ে সৃষ্টিকর্তা'র কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছিলাম, আমাকে চার'টা হাত-পা সহকারে সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে এই পৃথিবীতে পাঠানোর জন্য এবং এই আমার কোল জুড়ে একটা সুস্থ, স্বাভাবিক সন্তান উপহার দেয়ার জন্য।
যার সন্তানটি সুস্থ-স্বাভাবিক নয়, একমাত্র সে-ই বলতে পারে এমন উপহার পেয়ে বুকের ভেতর কেমন কষ্ট হয়
। তবুও যে এই মা তার সন্তান'কে এভাবে আগলে রেখেছে, তা এটাই প্রমান করে যে, সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ট সৃষ্টি হলো "মা"।
ঠিক রে
সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ট সৃষ্টি হলো "মা" .।.।.।.।.।.।.।.।.।.। আমিও একজন মা, ভাবতে খুব ভাল লাগে
সত্যি তানবীরা, আমরা অনেক ভাগ্যবান, তাই অনেক ছোট্ট বিষয় নিয়ে দুঃখ বিলাস করি।
আমি এদের সমস্ত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি , যদি না পারি আমরা বন্ধুরাতো আছি। অনেক ধন্যবাদ এভাবে ওদের পাশে দাঁড়াতে চাইবার জন্য
"কাল রাতে শুয়ে শুয়ে সৃষ্টিকর্তা'র কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছিলাম, আমাকে চার'টা হাত-পা সহকারে সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে এই পৃথিবীতে পাঠানোর জন্য এবং এই আমার কোল জুড়ে একটা সুস্থ, স্বাভাবিক সন্তান উপহার দেয়ার জন্য।
যার সন্তানটি সুস্থ-স্বাভাবিক নয়, একমাত্র সে-ই বলতে পারে এমন উপহার পেয়ে বুকের ভেতর কেমন কষ্ট হয়।।"
নাজ, এভাবে সবাই ভাবতে পারেনা , তুমি পেরেছ কারণ তুমি মা, অসাধারণ !!
এরকম হাজার হাজার মায়েদের জন্য ভালোবাসা জানাই । আর এই অবুঝ শিশুদেরকে আদর । আমার দাদাবাড়িতে একজন মহিলার এইরকম একটা বাচ্চা ছিল । তাকে সারাদিন সেই বাচ্চার দেখাশুনা করতে হত, সেই সাথে আরো কয়েকটা বাচ্চার দেখাশুনাও । মেয়েটার মুখ আমি কখনো মলিন দেখিনাই । সে আর তার প্রতিবন্ধি বাচ্চাটা সবসময় হাসতো । কে জানে, হয়তো তাদের ওইটাই স্বভাব ছিল । বাচ্চাটা মারা গেছে বছর খানেক আগে ।
আমি বুঝি না, সুস্থ সবল বাচ্চা হলে একজন পুরুষ নিজের পরিচয়ে তাকে বড় করে । বলে আমার সন্তান । আর প্রতিবন্ধি হইলেই তার সুর পালটে যায় । মায়ের দোষ দিতে শুরু করে । বাচ্চার সব ক্রেডিট তুমি নিবা, তো সেই বাচ্চা সুস্থ আর অসুস্থ কি, সবই তো তাইলে তোমার বাচ্চা ।
আমি এই ব্লগটা পড়ে নিজের কাছেই প্রতিজ্ঞা করলাম, কখনো কোন অসুস্থ বাচ্চার প্রতি অবহেলা করবো না । যতটুকু সামর্থ তাদের সাহায্য করবো ।
"আমি এই ব্লগটা পড়ে নিজের কাছেই প্রতিজ্ঞা করলাম, কখনো কোন অসুস্থ বাচ্চার প্রতি অবহেলা করবো না। যতটুকু সামর্থ তাদের সাহায্য করবো ।"
আমার ব্লগ লেখা স্বার্থক! ধন্যবাদ লিজা!
ঠিক আছে, ধরে নিলাম যে, বাবা-মায়ের কোন পাপের ফলে এই শিশুটির জন্ম ও এই অবস্থা । মেনে নিলাম যে আমাদের ভেতরে কতটা মনুষত্ব আছে এটা পরীক্ষা করার জন্য এদের সৃষ্টি।
কিন্তু এই শিশুটি কী পাপ করেছে, এই শিশুটিকে কেন এই পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, কেন এই শিশুটিকে এই অবর্ণনীয় কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে ?
সৃষ্টিকর্তার এই সৃষ্টির পেছনের কারণ আমরা কেঊ জানিনা বলে হাল ছেড়ে দেব কেন ? কেন আমি সৃষ্টিকর্তাকে তার এই অপকর্মের জন্য অভিযুক্ত করতে পারবোনা ? কেন তাকে জবাবদিহি করতে হবেনা ? তিনি পরম পরাক্রমশালী শক্তিধর বলেই কী তার সকল স্বেচ্ছাচারিতা নির্বিবাদে মুখ বুজে সয়ে যেতে হবে ? আর কিছু না পারি, তার এই খামখেয়ালীপনার জন্য ঘৃণা জানাবার স্বাধীনতাও কী আমার নাই ?
আমার কিছু বলার নাই, ভাল থাকবেন
মনটা খারাপ হয়ে গেল। বাচ্চা গুলোর জন্য কোন কিছু করতে পারলে ভালো লাগবে।
"বাচ্চা গুলোর জন্য কোন কিছু করতে পারলে ভালো লাগবে।"
যদি লাগে জ়ানাবো। ধন্যবাদ
কিছু করার নাই
প্রয়োজন না হলেও জানাবা, যতটুকু সম্ভব পাশে থাকব। তোমাকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানালাম।
আমি পাশেই আছি ওদের এবং আপনাদেরও। প্লিজ, জানাবেন, কি করা যায়।
মন্তব্য করুন