খেরোখাতা
কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার কারনে অনেক দিন ব্লগে লেখা লেখি করা হয় না। শুক্রবার মনে হল কিছু সমস্যার সমাধান হয়ে গেল একেবারে। এখন ব্লগে আগের মত সময় দেওয়া যাবে :)। শনিবার সকালে আলফ্রেড হসপিটালে গেলাম মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করতে। ছোটখাটো একটা পরীক্ষা দেওয়ার পর শুনলাম কোন সমস্যা নেই। ডাক্তার বাবুকে বললাম ঘটনাটা তোমাকে আগেই বলেছি তাহলে অবসেশন এর কি হবে? বাবু জবাব দিলেন উত্তর টা জেনে গেছো, এখন তুমি কাজে যেতে যেতে ওটা পরপারে পৌছে যাবে।বের হয়ে আসার সময় বাবু আমার হাতে দুটো ললি ধরিয়ে দিয়ে বলে তোমার বয়সী আমার একটা নাতি আছে, এগুলো নিয়ে যাও। ওখান থেকে সোজা গেলাম কাজে। ব্যস্ত দিন কাটানোর পরেও বেশ ফুরফুরে। আসলেই ওটা মরে গেছে :)।
বাসায় রান্না করা ছেড়ে দিয়েছি আজ মেলা দিন। কালে ভদ্রে রান্না করি। কিন্তু কাজিনের বউটা আসার পর থেকেই মাঝে মধ্যে বাসায় খেতে হয়, সিলেটের লোকজন এত ঝাল খায় আমার এখনও বিশ্বাস হয় না। যেদিন বলে বাসায় খেতে হবে সেদিন সবার আগে এক পাতা করে রেনিটিডিন বের করে রাখি যাতে পাকস্থলি ছিদ্র না হয়ে যায়।
দেশে এখন নির্বাচনের ডামাডোল। বাংলাদেশের মতই এখানেও দুটি বড় দল তাদের বিশাল বিশাল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ে সবার কাছে ভোট চাইছে। দু দলেরই বড় এজেন্ডা হল কার্বন ইমিশন স্কিম, ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক, বোট পিপল আর ট্যাক্সের বিশাল মূলো। কোয়ালিশন পার্টির পূর্বের ইতিহাস হল লোকজনের উপর আজাইরা সব ট্যাক্স বসিয়ে জীবন হারাম করা আর লেবার পার্টির ইতিহাস হল লোকজনের কামানো ট্যাক্সের টাকা সব বস্তা ভরে পানিতে ফেলা। তবে এবার বোট পিপল ইস্যু বেশ জাকিয়ে বসে আছে। রাড সরকার যত না স্কীলড ভিসা দিয়ে লোক এখানে এনেছে তার চেয়ে বেশী লোক নৌকা দিয়ে এসে স্থায়ী অভিবাসন পেয়েছে। পরিচিত এক ছোট ভাই বলে ভাইয়া এখানে চার বছরে এক লক্ষ ডলার টিউশন ফি দিয়ে না পড়ে পাঁচ হাজার ডলার খরচ করে নৌকা দিয়ে আসলেই হত। পি.আর হত, সেন্টার লিংক থেকে খরচের টাকাও পেতাম, সরকার কাজ খুঁজে দিত, এখন দেখো হন্যে হয়ে কাজ খুঁজি। এই ঘটনায় নবীন অষ্ট্রেলীয়ানরা বেশ ক্ষেপা, কাজের বাজার পড়ে গেছে এদের জন্য আর দিনের শেষে হার্ড ওয়ার্কিং অষ্ট্রেলীয়ান আমাদেরই এদের জন্য বেশি করে ট্যাক্সের টাকা দিতে হয়। দিনের শেষে হিসাব মিলাতে বসলে মাঝে মধ্যে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। সেদিন বাসার পাশে এক রেস্টুরেন্টে খাওয়ার সময় মালিকের সাথে কথা হচ্ছিল। জিজ্ঞাসা করলাম কাকে ভোট দিবে। তার উত্তর হল "U know Satil, fart and shit they both are brothers and what is common between them? they both stinks. so i'll give all of them number 6"। মনে মনে বলি তুমি আমার দেশের রাজনীতিবিদদের দেখনি। দেখলে কি দিতে আল্লাহ মালুম।
অফিশিয়ালি শীত বাবু এখন শেষের দিকে। প্রায়ই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়। কিছু দিন আগে আমার পুরানো ক্যাম্পাস জীলং ওয়াটার ফ্রন্টে গেলাম ঘুরতে। সব আগের মতই আছে শুধু নতুন হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ সেকশনটা। দোতলা ক্যাফেটিরিয়া সেই আগের মতই সাজানো আছে, আমার সেই প্রিয় বসার জায়গাটাও আছে। আগে যেখানে বসে বৃষ্টির দিনে মেইন পীয়ারের পাশ দিয়ে ভো ভো সাইরেন বাজিয়ে ছুটে চলা ফেরী আর সমুদ্র দেখে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেওয়া যেত।
এই পাঁচ তারিখে সবচেয়ে ক্লোজ কাজিনটার বিয়ে। আসলে বিয়ে ঠিক না, আকদ্ হয়ে গেছে গত মাসে। এখন বউ নিয়ে আসবে নিজের বাড়িতে। থাকতে না পারায় মনটা কিঞ্চিত খারাপ। আমি আন্তঃরিক ভাবে খুবই দুখিঃত জাভেদ নোমান তবে আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে দুআ রইলো তোমাদের দুই জনের জন্য, সাথে তোমার অন্য ছোট ভাই রূফি, আনিক, রিজভী, রিয়াশাদ যারা যেতে পারতেছে না তাদেরও শুভাশিস রইলো। "May you always feel as close as you do this day. May your lives be graced with good health. May you always find happiness in your home, and may it be a refuge from the storms of life. May your love grow ever stronger as you share your lives together, and may your future be even more wonderful than you dreamed possible"
আজ পুরানো সিডি ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে একটা গান খুঁজে পেলাম। শুনতে শুনতে ইউটিউবে গানটার ভিডিও খুজে পেলাম। ভাবলাম সবার সাথে শেয়ার করি।
খুব ভালো লাগলো। শাতিলের খেরোখাতার পাতা ভরে উঠুক এমন লেখায়। গতবছর এমন সময়ে আমিও জিলং ওয়াটারফ্রন্টে গিয়েছিলাম, মনে পড়লো। চমৎকার জায়গা। লিবারেল আর লেবারের তুলনায় মজা পেলাম।
চট্টগ্রামের ব্লগাররা আড্ডা দিয়ে ফেললাম, মিশুর ব্লগে ছবি আছে
আপু আমার পাতায় ঘুরে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ। কেমন আছেন? বাবু টা কেমন আছে? আড্ডার ছবি দেখেছি। সামনে হয়ত আমিও আসতে পারি ইনশাআল্লাহ।
বাবু দিব্বি আরামে আছে। শুধু মেলবোর্নের ফিশ এন চিপসের শোকে মাঝেমধ্যে আপসেট হয়ে পড়ে
নেক্সট কোন চট্টলাড্ডায় শাতিলের উপস্থিতির অপেক্ষায় থাকলাম।
শাতিল ভাইরে দেখলাম অনেক দিন পর।
ভালো লাগলো লেখা।
ব্লগে আসি কিন্তু লেখালেখি কমেন্টেস কিছুই করতাম না।
ভালো আছেন?
সিলেটের মানুষ অনেক ঝাল খায় কথা ঠিক। কি করব কন, ঝাল খাইতে তো ভাই অনেক মজা লাগে, পূর্বপুরুষরা খাইছিলো, সেই ধারাবাহিকতায় আমরাও খাই, কন দেখি, খাওনের পর আপনার মজা লাগে নাই ?
জাকির জাহামজেদ
শাতিল ভাই, কেমন আছেন।
এই তো ভাই আছি আলহামদুলিল্লাহ আর আপনাদের দোআ।
আপনি কেমন আছেন?
জাকির ভাই মজা লাগছে কিনা জানি না তবে খাওয়ার পর ৪/৫ দিন ভালো দৌড়ের উপর থাকি এইটা জানি
শাতিলকে অনেকদিন পর ব্লগে দেখে খু-ব ভালো লাগছে। আশা করছি এবার নিয়মিত হবেন সত্যি।
আপু আগে রেগুলার পড়তাম এখন আশাকরি রেগুলার লিখব
ভাল লাগল লেখাটা। শাতিলরে দেখে আরো ভালো লাগল।
রায়হান ভাই কেক্যুক কই?
আমার নিজেরই চালচুলোর ঠিক নেই--মানে ব্লগে আসি কম, আপনাকে আগে দেখিনি।এখন দেখলাম, পড়লাম---ভালোই লাগলো খেরোখাতা।
শুভেচ্ছা।
আপু নিয়মিত লিখে যান
ধন্যবাদ
বেশ ভালো লাগলো শাতিল। আপনি মেলবোর্ন থাকেন আগে জানলে দেখা হয়ে যেত এদ্দিনে
ভাইয়া কোথায় থাকেন? এই দেশে থাকলে দেখা হয়ে যাবে একদিন
খেরোখাতা চলুক পাতিল... স্যরি শাতিল
চলবে ইয়াযিদ ভাই
নয়া লেখা দেও...
দিমু
শাতিলরে দেখলেই ভাল লাগে।
নিয়মিত লেখা চাই ভাইয়া।
নিয়মিত লেখা দিবো কিন্তু ভাইয়া আপনার সেই স্মৃতিরে নিয়া তো আর লেখা দিলেন না
স্মৃতি আবার কোন্ মাইয়া...?
স্মৃতি হল মাসুম ভাইয়ের চট্টগ্রাম অধ্যায়। এর জন্য চট্টগ্রামের কথা শুনলে মাসুম ভাই উদাস হয়ে যান
তো, যেই কারনে মাসুম ভাই উদাস হন- সেই বালিকা কি আপনার পাড়াতো বা চাচাতো কিংবা খালাতো বোন-টোন হন নাকী... ? স্রেফ কৌতুহল থেকে কোশ্চেনটা করলাম...
না উনি আমার কিছু হন না

আপনার প্রশ্নের জবাব একমাত্র মাসুম ভাই দিতে পারবেন
নয়া পোষ্ট দেন তাত্তারি। খালি গরুভূণা দিয়ে ভাত খেয়ে মানুষরে লোভ দেখাইলে চলপে না।পোষ্ট দিতে হবে।
তুমি দেখি সবাইরে নতুন পোস্ট লেখনের লাইগা তাগিদ দিতাছো...
।
তুমি নিজে সর্বশেষ কবে পোস্ট লেকছো, সেইটা মনে আছে ?
খালি প্যাঁচ লাগান কেনু? আমি তো সেদিনও পো্ষ্ট দিছি । দেখেন আপনি। স্মুতিশক্তি ভালু না তাই ভুইল্লা গেছি আর কি!
ভাই, ব্লগে যে মাঝে মাঝে নতুন কিছু লিখতে হয়
আপ্নের লেখার জন্য ওয়েটাইতে ওয়েটাইতে বুড়া হয়ে যাচ্ছি, মিয়াভাই শুনতে পাচ্ছেন...
এতদিনে সমস্যাটা বুঝতে পেরেছি। আপনি নতুন ব্লগ কিভাবে লিখতে হয় সেটা ভুলে গেছেন।
যাক মন খারাপ কইরেন্না। আপনের জন্য একটা লিংক। এইখানে ক্লিকাইলেই পুরা সিস্টেম জেনে যাবেন।
মন্তব্য করুন