ইউজার লগইন
দিনলিপি
ভোর ও স্বপ্ন কথন
ভোর বেলা লগিন করে দেখলাম একা ! হ্যা আমি আমরা বন্ধুতে নতুনই আসলাম । নিজেকে একা দেখে এক প্রকার ভালই লাগছে বলা যায় ! ভাবলাম ভোর বেলা কিছু ভোর কথন হয়ে যাক !
বিলাতের দিনরাত্রি...১
বিলাত চলে আসার সিদ্ধান্তটা বড়ো আচমকা ছিলো, নিজের সাথে আড়াইটে বছর অন এন্ড অফ যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা খেলছিলাম... তারপরে হঠাৎ করে মনে হলো... বাহ! বেশ ক্লান্ত লাগছে তো। একবার এই কথা মনে হলো তো আর যায় কোথা... দিনরাত মনে হতে লাগলো। তিন বছরের
চাকরি জীবনে যতোদূর সম্বল ছিলো একাট্টা করে চলে এলাম এই দেশে। বাপ-মাকে ম্যানেজ করতে গিয়ে অবশ্য তেরোটা বেজেছিলো। এর মাঝখানে নিশীথ সূর্যের দেশে একটা চাকরী'র অফার পেয়ে গেলাম... কিন্তু নিজের আবেগের লাগাম তখনো নিজের হাতে ছিলোনা, তাই সাহস করে উঠতে পারিনি... যাই হোক বিলাতের দশটা মাসের জীবন নিয়ে লিখার ইচ্ছে ছিলো অনেক, আর তাই এই সিরিজ।
ছবি: গ্রীনিচ সানডে মার্কেট
খোলা চিঠি.....
শুরুর কথাঃ এই লেখাটা একটি চিঠির অংশ বিশেষ,কোন প্রিয় কাউকে লেখা। কিন্তু এর মূল অংশটা আমি সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দিলাম......
________________________________________________________________________________
মানুষের সৌজন্যতাবোধ !
বিষ্যুদবার সকাল ১১ টার দিকে বাসা থেকে ফোন এল। সাধারণত বাসা থেকে ফোন করলে লাইন কেটে কল ব্যাক করি। কখনো সখনো কল করতে ভুলে যাই। ক্যানো জানি সেদিন কল রিসিভ করে ফেল্লাম। ওপাশে একাধিক মানুষের চিৎকার শুনতে পেলাম। কয়েক সেকেন্ড লেগে গেল বুঝতে ! ওপাশ থেকে চিৎকার করে বলছে, বাবু খাট থেকে পড়ে গেছে।
ততধিক চিৎকার করে আমি জানতে চাইলাম, বাবু এখন কোথায় ?
বাসায়...। আমি আসছি... বলে লাইন কেটে দিলাম।
আরিয়েন আকেলিনকে নিয়ে সোনার গাওয়ে এক দুপুর
আগের বার যখন আসে, একে তো খুব ব্যস্ত ছিল। তাছাড়া আমার মনেও ছিলনা মনে হয়। কিংবা মনে থাকলেও ইচ্ছা ছিলনা হয়ত। কিন্তু পরে যখন ভেবেছি খারাপ লেগেছে খুব। এইরকম আমার প্রায়ই হয়। যখন করার কথা তখন করিনা পরে আবার তা নিয়া মন খচখচ করে। আরিয়েন চলে যাওয়ার পর এমন খচখচ মনের ভিতর লেগেই ছিল অনেকদিন। ভেবেছিলাম আর কখনো দেখা হবেনা।
অপূর্ব এক তিতকুনে রাঙানো আকাশ
গরম পানির মগে ধূসর সাদা ছোট্ট টি ব্যাগটা চুবিয়ে দিলাম। মগের তলানিতে গিয়ে বসে গেল টি-ব্যাগটা চুপচাপ। কয়েক মুহূর্ত পরেই টিব্যাগের তলা থেকে সোনালি রঙের ঢেউ খেলানো লিকার মগের তলদেশ আলোকিত করতে শুরু করে। অপূর্ব এক দৃশ্য। আমি মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকি। জলের ভেতর ভেজা ধোঁয়া যেন, কুন্ডলী পাকিয়ে ওঠা রঙিন লিকারগুলো ছড়িয়ে পড়তে থাকে সারা মগে।
ঘটনে-অঘটনে চট্টলা
১.
চট্টলার প্রথম ভ্রমণটারে অঘটন বলা যায়...নাকি ঘটন?
আমি আর মামুর ব্যাটা এক সন্ধ্যায় বসে আজাইরা ঝিমাচ্ছিলাম। হঠাৎ মনে হলো,- চল চট্টগ্রাম যাই, ভাবীরে নিয়া আসি। ভাবী পড়তেন চট্টগ্রাম ইউনিতে, ভাইয়ের পোস্টিং ঢাকায়। বৃহস্পতিবারের দিকে ভাবী ঢাকায় আসতো। তো আমরা ভাবলাম যে আমরাই গিয়ে নিয়ে আসি। মধ্যে দিয়ে চট্টলা ঘুরা হয়ে যাবে। মাথায় প্ল্যান আসার দশ মিনিটের মাথায় ফাইনাল করে ফেললাম। এবার যার বৌকে আনতে যাব, তার কাছে গেলাম। ভাই বললো, "ভাবীরে আনতে যাবি যা, আমারে জিগায়া তো প্ল্যান করস নাই!" আমাদের সামনে গা-ছাড়া ভাব ধরছে আর কি! হু কেয়ারস! রাতের বাসে চড়ে বসলাম, সূর্য উঠতে না উঠতেই চট্টলা।
প্রিয় সামিউলের বাবাঃ কে এম আজম।
জনাব কে এম আজম, আপনাকে নিয়ে আমি ভীষন চিন্তা করছি আজ অনেক দিন ধরে। অনেক গুলো নিউজ পেপার পড়ছি আজ ক'দিন ধরে। কি যে কষ্টে আমার দিন যাচ্ছে তা আপনাকে বুঝাতে পারবো না। চোখ বন্ধ হলেই আমার মনে হয়, সামিউল যেন আমাকে বলছে! আমার বাবা ভাল আছে তো?
আজিরা দিনপঞ্জী...৪
একটুকু ছোঁয়া লাগে, একটুকু কথা শুনি...
তাই দিয়ে মনে মনে রচি মম ফাল্গুনী।
অনেক অনেক দিন পরে আমি অনেক ভালো আছি, ভালো লাগবার আলাদা কোন কারণ নেই। কেবলমাত্র কোন মানুষের উপস্থিতি'র অনুভূতি কেমন করে এতো শান্তি'র হয়-তার ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই, কখনও ছিলোনা। যাই হোক, আপাতত ব্যাখ্যা খোঁজা বাদ দিয়েছি, নিজের থেকে কিছু করবার চিন্তাও বাদ দিয়েছি... যেটুকু সময় ভালো লাগে সেটুকু ভালো লাগাতেই কাটুক। আজ হপ্তা শেষে ছুটির দিন... কেন জানিনা এখানে এলেই ভোর বেলায় ঘুম ভেংগে যায়... আজকেও সম্ভবত পাঁচটার দিকে ঘুম টুটে গেলো, নিজেকে অনেক ঠেলেঠুলে, মাথায় হাত বুলিয়ে আবার ঘুমুতে পাঠালাম... শেষমেষ যখন মনে হতো লাগলো বেলা বুঝি দুপুর গড়িয়ে এলো প্রায়... উঠে দেখি বাজে মোটে ন'টা। কি আর করার... উঠেই পড়লাম। উঠে মনে হলো অনেকদিন আমার দিনের হিসাব লিখে রাখা হয়না... তাই কোলের যন্তরটা'রে নিয়ে বসলাম।
যথাযোগ্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে হল্যান্ডে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইন্যাল অনুষ্ঠিত
কাল থেকেই সারা হল্যান্ডে সাজ সাজ রব ছিলো আজ একটি “বিশেষ” দিন। আমাদের মাসের শেষ। একাউন্টিং মানেই বড় ব্যস্ততা এ কয়দিন। তাই বস বললেন ছুটি নেয়া তোমাদের পক্ষে সম্ভব না, এক কাজ করো সকালে শুরু করে যার যার ডেড লাইন শেষ করে চলে যাও, ফুটবলের আগে। আমি বলেছি সকাল সাতটায় অফিসে আসা আমার পক্ষে সম্ভব না। এছাড়াও এ নিয়মের আওতায় আমি পরি না। আমি পরের দুমাস যেহেতু মান্থলি ক্লোজিং এ থাকবো না, আমার রিপ্লেসমেন্ট আনা হয়েছ
কি আশায় বাঁধি খেলাঘর?
ছোটবেলায় সত্যজিত রায়ের একটা ছোটগল্পে পড়েছিলাম একটা বাচ্চা ছেলের কথা, গভীর দুঃখে যার হাতের তেলো নীলচে হয়ে যায়। ওই সময়টায় আমি ভাবতাম... আহা! আমার জীবনে কতো কষ্ট... বাবা-মা সারাদিন ঝাড়ির উপরে রাখে, আরো কি কি সব অদ্ভুত কষ্ট। আর এই মুহূর্তে আমি এমন একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি যে সামনে ধূ ধূ ফাঁকা জীবন। কষ্টের এমন অদ্ভুত অবস্থা যে মাঝে মাঝে মনে হয় ভীষণ বাজে একটা দুঃস্বপ্নের দুনিয়ায় আটকে আছি। সামনে একটা ইকোস্ফিয়ার... দেখতে কিউট... কিন্তু ওর ভেতরে চারটে জ্যান্ত চিংড়ি মাছ ঘুরে বেড়াচ্ছে... আমার মতো ওরা কি জানে ওরাও একটা অসীম চক্রে আটকে আছে... মরে যাবার আগ পর্যন্ত ওখানেই থাকবে?
লোকেন বোসের জর্নাল: ১
আমাদের প্রাণ পথের আহত মাছিদের মতো!
[জীবনানন্দ দাশ]
"নিমতলী হাহাকার" আমাদেরকে এখনো পর্যন্ত দিয়েছে ১১৭ টি মৃতদেহ। এর সঙ্গে আরো যোগ হবে কতজন? তা এখনো অনিশ্চিত। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে এখনো অনেকেই। ধ্বংসস্তুপ থেকে আরো লাশ বের হয়ে আসার সম্ভাবনাও নাকচ করা যাচ্ছে না।
জ্বরে বিভোর
এবারের মৌসুমটাই কেমন কাঠফাটা রোদ্দুর আর ভ্যাপসা গরমের মৌসুম ছিল। গরমের সাথে তাল মিলিয়ে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং। ফ্যানের অভাব যতোটা না ভোগায়, তার চাইতে কম্পু-ছাড়া বেকার সময়টা বেশি ভোগায়। যাই হোক, তারপর অনেকদিন বৃষ্টি আসি আসি করলো, কিন্তু আসলো না। মাঝে গিয়েছিলাম কক্সসবাজার। প্রথম দিনের বিকালেই সাগরপাড়ে প্রচণ্ড বাতাস। চাঁদ ঢেকে দেয়া মেঘ,- এই বুঝি বৃষ্টি হবে। রাত বারোটার দিকে যখন এঞ্জেলড্রপ থেকে হোটেলে
আহা, আজি এ বসন্তে
এক ঝড়ের রাতের কথা।
পলাশীর মোড়ে আগে একটা ছাপড়া মতো বাজার ছিল। বুয়েটের টিচারদের ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন থেকে একটা বহুতল মার্কেট বানাবে, তাই বাজারটা উঠায় দেয়া হল। পাশেই বুয়েটের নতুন ক্যাম্পাস। সাময়িক ভাবে তার পেছনে একটা জায়গায় বাজার তৈরি করে দেয়া হয়েছে। আধাপাকা দালান আছে কিছু। উপরে টিন, দেয়াল ইট-সিমেন্টের মিশেলে গড়া। পলাশীর সেই পুরনো ফটোকপি মেশিনগুলো রাখা সেখানে, বুয়েটের বিখ্যাত চোথাশিল্পের সূতিকাগার বলা যায়।
যাই হোক, যা বলছিলাম...এক ঝড়ের রাতের কথা।