সেই বুড়ো লোকটি এবং আমি..
২০০৬ সালে’র মাঝামাঝি’র কথা, একদিন দেখি “রন” নামক এক বালক আমাকে একটা ই-মেইল পাঠিয়েছে। "আমরা বন্ধু" নামক একটা ইয়াহু গ্রুপে যোগদান করার অনুরোধ। করলাম যোগদান। শুরু হলো মেইল প্রাপ্তি। শিক্ষনীয় মেইল, আজাইরা মেইল..
তার ২-১ মাস পর শুনলাম একটা আড্ডা হবে উত্তরায়। প্রথমে ভাবলাম “না জানি কেমন হয় মানুষগুলো” থাক, আমি যাবো না। কিন্তু শেষে ঠিকই গেলাম। গিয়ে দেখি, ওমা! এতো ছেলে-বুড়ো সবার মিলন মেলা। সবাই দিব্যি আড্ডা দিচ্ছে। কিছু ছেলে পিলে এক ঘরে বসে গান গাইছে। আর অন্য ঘরে কিছু বুড়ো-বুড়ি বসে আছে! তারা সবাই একজনকে ঘিরে বসে আছে। কিন্তু কি করছে বুঝতে পারলাম না। পরে দেখলাম, কেন্দ্রবিন্দুতে যে বুড়ো বসে আছে তার সামনে একটা লেপটপ, সে চ্যাট করছে আর বাকি বুড়ো-বুড়িরা সেটা দেখে খুব মজা পেয়ে হাহা-হিহি করছে। মনে মনে ভাবলাম, জীবনের প্রথম চ্যাট করছে মনে হয়, তাই এত খিল খিল করছে। যাকগে, তখনো কিন্তু কেন্দ্রবিন্দুতে যে বুড়ো বসে আছে তাকে দেখা হয়ে উঠেনি। বুঝলাম উনি সম্ভবত এতই জনপ্রিয় কেউ যার মুখ দেখতে হলে অনেক্ষন অপেক্ষা করতে হয়। তো আমি অন্য ঘরে চলে গেলাম। কিছুক্ষন পর ঘুরে এসে দেখলাম, সেই কেন্দ্রবিন্দুতে বসে থাকা লোকটা শেষ পর্যন্ত লেপটপ ছেড়ে ঘুরে বসেছেন এবং এখন তিনি ক্যামেরা’র পোজ দিচ্ছেন। কিন্তু একি! এখানেও দেখি তাকে সবাই ঘিরে ফেলেছে। সে মাঝে বসে দাঁত কেলিয়ে হাসছে আর অন্য বুড়ো-বুড়ি গুলোও তার চার পাশে ঘিরে বসে তার মতই দাঁত কেলিয়ে হাসছে। কি অদ্ভুত! এই বেটারে এত পছন্দ করার কি আছে? একে তো বুড়া তার মাঝে মাথায় চুল কম (দেখতে অবশ্য খারাপ না )। তো এত জনপ্রিয় সেই বুড়োটার সাথে সেদিন আমার কোন প্রকার কথাই হয়নি। সেও কথা বলেনি, আমিও বলিনি। তার ভাব আছে, আমার নাই? হে হে!
সেদিনকার মত আড্ডা শেষ হলো, চলে এলাম। পাত্তাই দিলাম না ঐ বেটারে।
নিশ্চই ভাবছেন, পাত্তাই যদি দিলাম না তাহলে ঐ বেটারে বার বার টানছি কেন? আসলে আমার এই লেখা’র কেন্দ্রবিন্দুও সেই বুড়ো লোকটাই। কিন্তু সেদিন ঘ্রুনাক্ষরেও ভাবিনি, আজ তাকে নিয়ে কিছু লিখতে বসবো।
যাকগে, তো এরপর বেশ কিছুদিন কেটে গেলো। মাঝে আরও ২-১টা আড্ডা হলো। গেলাম আড্ডা মারলাম। প্রতিবারই লোকটাকে ঘিরে একই অবস্থা! কিন্তু আমার কোন ভাবেই বোধগম্য হলোনা যে, এই লোকটার মাঝে এমন কি প্রতিভা, এমন কি গুন আছে যার জন্য মানুষ গুলো তাকে এত ভাল পায়? এই প্রশ্নের উত্তর মিললো না, উত্তর খুজতেও গেলাম না।
এর মাঝে এলো ডিসেম্বর মাস। ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে গ্রুপটা একটা উৎসবের আয়োজন করলো। একদিন সেই উৎসবের প্রস্তুতি দেখতে গেলাম। সেখানে সেই লোকটার সাথে আমার প্রথম কথা। তাও দুই-এক টুকরা। কেমন আছি, কি করছি টাইপ। আমি আর দশটা মানুষের মতই তার সাথে কথা বললাম। তারপর এলো ১৬ই ডিসেম্বর ২০০৬, উৎসবের দিন। গুলশানের একটা হল’এ নানান আয়োজনে পালিত হলো সেই উৎসব। আমি সেই উৎসবে গেলাম ঠিকই তবে, ঐ সময়টাতে আমি কিছু কারনে মানসিক ভাবে একটু চাপে ছিলাম। তাই, উৎসবে উপস্থিত থাকলেও মনযোগ ছিলনা। এক পাশে একা একা বসে তাদের উৎসব দেখছিলাম। অমনযোগী এই আমাকে আর কেউ খেয়াল না করলেও একজন যে খেয়াল করছে সেটা আমি টের পেলাম যখন সে আমাকে তার জ্যাকেট এগিয়ে দিয়ে বললো, “তোমার মনেহয় খুব ঠান্ডা লাগছে, তুমি বরং এটা গায়ে দিয়ে রাখো। আর আসলে এসি বন্ধ করার তো কোন উপায় নেই, থাকলে করে দিতাম।”
আমি তো থো! বলে কি? আমি বেশকিছুক্ষন আগে ঐ হলের একজন কর্মচারিকে এসি বন্ধ করা যায় কিনা জিজ্ঞেস করেছিলাম ঠিক, কিন্তু এই লোক সেটা খেয়াল করলো কখন? যাইহোক, আমি তো কোন ভাবেই জ্যাকেট গায়ে দিবো না, কিন্তু সেও নাছড় বান্দা, আমাকে জ্যাকেট দিয়েই ছাড়লো। কি আর করা, একটু দ্বিধা লাগলেও লোকটার আন্তরিকতা দেখে জ্যাকেটটা নিলাম। সে চলে গেলো তার সীটে। এত ভীড়ের মাঝে মানুষ তো চেনা-পরিচিতদের সুবিধা-অসুবিধারই খুব একটা খেয়াল রাখে না আর আমাকে চিনে না জানেনা এমন একটি লোক ঠিকই আমার অসুবিধার খেয়াল করছে? লোকটা একটু অদ্ভুতই বটে। শেষ হয়ে গেলো উৎসব। চলে এলাম।
এরপর নিজের আপন কিছু ঝামেলা’য় খুব বেশি মানসিক চাপে পরলাম। সরে গেলাম গ্রুপটা থেকে। প্রায় বছর খানেক কারো সাথে কোন যোগাযোগ করিনি। ২০০৭ এর শেষের দিকের কথা, একদিন শুক্রাবাদ যাবো। গ্রীন রোডের মোড়ে দাড়িয়ে ভাবছি, শুক্রাবাদ যাওয়ার উপায় কি? (আগেই বলে নেই আমি তখন জানতামই না যে শুক্রাবাদ কোথায় )। মোড়টা থেকে কোন দিকে যাব ভাবতে ভাবতেই শুনি কেউ আমাকে ডাকছে- “নাজ!” ঘুরে দেখলাম, কাউকে চিনিনা। আবার শুনলাম, “নাজ!” এইবার দেখলাম ঐ লোকটা। তার দিকে আগাবো কিনা ভাবতে ভাবতেই সে এগিয়ে এলো। কি কি যেন জিজ্ঞেস করলো। কিন্তু, আমি এতই এ্যবসেন্ট মাইন্ডেড ছিলাম যে, তার কথার উত্তর না দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, শুক্রাবাদ কিভাবে যাবো? সে বলে দিলো। আমি আর কিছু না বলে চলে গেলাম। জানিনা সেদিন সে কি লক্ষ করেছিলো। বাসায় গিয়ে ইয়াহু মেনেঞ্জার খুলে দেখি লোকটা আমাকে এ্যাড রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছে। করলাম এ্যাড। ওমা, সাথে সাথে দেখলাম অনলাইন হয়ে আমাকে নক করলো। সে আমাকে প্রথম প্রশ্ন করলো, “তুমি কি কোন বিষয় নিয়ে ডিস্টার্বড নাজ?” আমার একটু বিরক্তই লাগলো। মনে হলো লোকটা একটু বেশি বুঝে! অবশ্য সাথে সাথেই নিজেকে প্রশ্ন করলাম, আসলেই কি লোকটা বেশি বুঝে? তা না হলে সে কিভাবে বুঝলো যে আমি কোন বিষয় নিয়ে ডিস্টার্বড?
সেই থেকে লোকটার সাথে টুকটাক কথা হয়। এভাবেই মেসেঞ্জারে কথা হতে থাকলো। এর মাঝে আমি আবার গ্রুপে ফিরে গেলাম। ঠিক ফিরে গেলাম বললে ভুল হবে, আসলে ঐ লোকটা আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেলো সব বন্ধুদের মাঝে। আবার গ্রুপের মেইল, আবার আড্ডা। আর নিজের অজান্তেই কখন ঐ বুড়োটা আমার বন্ধু হয়ে গেলো টেরই পেলাম না। তবে এটা টের পেলাম যে লোকটা মানুষ হিসেবে খুব একটা খারাপ না।
লোকটার সাথে মাঝে মাঝে আমার ফোনে কথা হতে লাগলো। কি নিয়ে কথা বলতাম নিজেও জানিনা। বেশির ভাগ সময়ই আমি বলতাম, সে শুনত। এভাবেই কেটে যাচ্ছিলো সময়।
মাঝে ৪-৫ মাস। ২০০৮ সালের মার্চ-এপ্রিল এর দিকের কথা, একদিন জিগাতলা যাবো। এর মাঝে লোকটার সাথে কথা হলো মেসেঞ্জারে। আমি জিগাতলা যাবো শুনে সে বললো সে আসবে দেখা করতে। আমার খুব একটা ইচ্ছে নেই তার সাথে একা একা দেখা করার, আড্ডায় দেখা হয় সেটা আলাদা কথা। তারপরেও না করলাম না। দেখা হলো। এভাবে ২-৩ বার দেখা হওয়ার পর আমি লক্ষ করলাম, তার সাথে দেখা হলে আমার খুব একটা খারাপ লাগে না, বরং ভালোই কাটে সময়টা। কিন্তু তখন কল্পনাও করিনি, লোকটা যে আমাকে নিয়ে কি ভাবে। না, সে খারাপ কিছু ভাবে না। তবে আমার জন্য তার মনে যে একটা আলাদা জায়গা তৈরী হচ্ছে এটা যখন বুঝতে পারলাম তখন সাথে সাথে আমি নিজেকে প্রশ্ন করলাম, “আমি কি তাহলে লোকটাকে ঠকাচ্ছি?” মনে হলো, উত্তরতা সম্ভবত “হ্যাঁ”। আসলে নিজের মানসিক চাপ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য, নিজে ভালো থাকার জন্য নিশ্চই লোকটার সাথে আমি এমন কোন কথা বলছি বা এমন কোন আচরন করেছি যা তাকে সুযোগ দিয়েছে আমাকে নিয়ে ভাবার। নিজের উপর খুব রাগ হলো। কারন, আমি তাকে নিয়ে ওরকম আলাদা কিছু কখনই ভাবিনি, অথচ তাকে ভাবতে বাধ্য করেছি।
কি করবো বুঝতে না পেরে একদিন তার সাথে দেখা করলাম। আমি তাকে আমার সাইডটা পরিস্কার করে বললাম। বললাম যে আমি তাকে নিয়ে আলাদা কিছুই ভাবিনা। আমার কথা শুনে সে শুধু হাসলো। তার হাসি দেখে খুব অদ্ভুত এক মায়া হলো। সে হেসে আমাকে বললো, “আমি কি তোমার কাছে কিছু চেয়েছি? আমরা তো বন্ধু! তাই না?” তার এই কথা শুনে নিজেকে খুব অপরাধী মনে হতে লাগলো। কিন্তু, কিছু করার নেই। কারন, আমি আসলেই তাকে নিয়ে আলাদা কিছু ভাবি না।
কিন্তু আমার ধারনাটা ভুল প্রমানিত হলো যখন আমি ঐ লোকটার সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দিলাম। তবে কি লোকটার সাথে কথা বলার নেশা হয়ে গেলো আমার? অসম্ভব!
নাহ, অসম্ভব কিছুই না। শুধু নেশা না নিজের অজান্তেই নিজের মনে আরও অনেক গোলমাল পাকিয়ে ফেলেছি আমি। কিন্তু, ইতিমধ্যে একবার আমি লোকটাকে ঠকিয়েছি, আর না। তাই অনেক চিন্তা ভাবনা করে একদিন সাহস করে আব্বাকে বললাম সেই লোকটার কথা। কি বললাম, কেন বললাম প্রথমে নিজেই বুঝলাম না। যখন দেখলাম আব্বা “হ্যাঁ” বলেনি কিন্তু “না” ও বলেনি, তখন সাহস করে লোকটার সাথে আবার যোগাযোগ করলাম, দেখা করলাম। এরপর কিভাবে কি হলো নিজেও টের পাইনি। ৪-৫ মাস সময়ের ব্যবধানে ঐ বুড়োটা আমাকে সহ মোটামোটি আমার পুরো পরিবারকে মানিয়ে নিলো। আমার এবং তার পুরো পরিবারের সম্মতিতে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ধুমধাম করে আমাদের বিয়ে হয়ে গেলো।
জীবনটা আসলেই অনেক অদ্ভুত। কখনো তো ভাবিনি যে, সেদিনকার আড্ডা’র কেন্দ্রবিন্দু সেই লোকটা, যাকে সবাই ঘিরে বসে আছে দেখে আমি অবাক হচ্ছিলাম, সেই লোকটাই আমার জীবন সঙ্গী হবে।
কিন্তু, অদ্ভুত হলেও এটাই বাস্তবতা। আরও একটা বাস্তবতা এই যে, আজ ঐ লোকটা তার ভালোবাসা দিয়ে আমার সমস্ত কিছুকে এমন ভাবে ঘিরে রেখেছে যেন, আমার চারপাশের সব কিছুই আমার অনেক আপন। আমার পছন্দ-অপছন্দ, আমার লেখা-পড়া, আমার চাকুরী করার ইচ্ছে সব বিষয়ে আমার চাইতে যেন তার আগ্রহটাই বেশি। কয়টা মেয়ে তার জীবনে এরকম অনুপ্রেরনা পায় আমার জানা নেই, তবে আমি পেয়েছি। এই সল্প সময়ে তার কাছ থেকে প্রাপ্ত সুন্দর মুহুর্ত গুলোর কথা বলতে গেলে হয়তো আজ আমার কথাই ফুরাবেনা। তাই না ই বা বললাম সমস্ত কথা।
তবে আজ বুঝি, কেন সবাই সেদিন এই লোকটাকে কেন্দ্র বানিয়ে বসেছিলো।
আজ বুঝি, লোকটার মাঝে এমন কি প্রতিভা, এমন কি গুন আছে যার জন্য মানুষ গুলো তাকে এত ভাল পায়।
আজ বুঝি ১৬ই ডিসেম্বরের উৎসবের দিন অপরিচিত সেই লোকটা কোন টানে আমাকে তার জ্যাকেটটা এগিয়ে দিয়েছিলো।
আজ বুঝি, গ্রীন রোডের মোড়ে আমাকে দেখেই লোকটা কিভাবে বুঝেছিলো যে, আমি নিশ্চই কোনকিছু নিয়ে ডিস্টার্বড।
আজ বুঝি, আমি যখন লোকটাকে পরিস্কার ভাবে বলতে গিয়েছিলাম যে, আমি তাকে নিয়ে আলাদা কিছু ভাবি না, তখন সে কেন হেসে আমাকে বলেছিল “আমি কি তোমার কাছে কিছু চেয়েছি? আমরা তো বন্ধু! তাই না?”
হ্যাঁ ঠিক তাই। আমরা তো আসলেই বন্ধু।
জীবনে যা কখনো ভাবিনি, কখনো আশাও করিনি এমন কিছু মুহুর্তও এসেছে আমার জীবনে, শুধু এই বন্ধুত্বের কারনে।
“এই বন্ধুত্বের বাঁধন যেন আমায় আজীবন ঘিরে রাখে” ঐ বুড়ো লোকটার কাছ থেকে এটাই আমার একমাত্র চাওয়া।
কাল সন্ধ্যায় জয়িতা আপু আমাকে অনেক বার জিজ্ঞেস করেছিলো আমি ব্লগে কেন লেখিনা? আসলে না লেখা কোন কারন নেই। কিভাবে কিভাবে যেন সময় চলে যায়, লেখা আর হয়না। আর লেখতে বসেই বা কি লেখবো, নিজেও জানিনা। জয়িতা আপু তাও কিছু একটা লেখতে বলেছিল।
আজকের লেখাটা শুধুই জয়িতা আপু’র অনুরোধ রাখার জন্য লেখলাম.....
বুঝলাম, এখন থেকে শীত গ্রীষ্ম বর্ষা সব ঋতুতে জ্যাকেট নিয়ে ঘুরতে হবে... কখন কী কাজে লাগে কে জানে?
অনেক ভালো লাগলো লেখাটা
সব ঋতুতে সঙ্গে নিয়ে ঘুরলে তো উল্টা বিপদ হবে
আপনাকে ধন্যবাদ!
বর্ষায় ছাতা নিয়া ঘুর্বেন, আর এই গরমে সিলিং ফ্যানটা নিয়া
ধন্যবাদ জয়িতা আপুকেও। নাজের হাত থিকা এত বিরাট একটা লেখা নাজেল করানোর জন্য
কি সুন্দর প্রেম কাহিনী!
ভাল লাগল
ধন্যবাদ!
বুইড়া রে কইষা মাইনাস, আমার ভইনডারে এই টান দিয়া উড়ায় নিয়া গেছেগা
কেমন আছিস আপু সোনা?
দেও, বেশি করে মাইনাস দেও। আমি এত কষ্ট করে এত বড় একটা পোষ্ট করলাম আর বুড়া কি কয়, দেখছো
ভালো আছি ভাইয়া। দোয়া করো বেশি বেশি।
তুমি কেমন আছো?
ভালো আছি রে ... বুইড়ার কাছে আমার লেটেস্ট নিউজ পাবি
আমি আরো ভাবলাম বুঝি রবীন্দ্রনাথের কথা বলতাছিলেন
রবীন্দ্রনথরে লৈয়া পোস্ট ভাল হইছে
মনে বড় দুঃখ পাইলাম।
লুক্টার টাক পড়ছে বইলা বুড়া বানায়া দিলেন? তীব্র নিন্দা......
লেখা ভালো লাগছে......।। তবে সিরিজ করতে পারতেন একটা.........
আসলেই! তীব্র নিন্দা
ধন্যবাদ আপনাকে।
সিরিজ করার আইডিয়াটা অবশ্য মাথায় আসে নাই
আপনার এই বুইড়া লোকটা যদি ছেলে না হয়ে মেয়ে হৈতো তবে মনে হয় আমি তার প্রেমে পরে যাইতাম।
ব্লগ দুনিয়ায় হাতে গনা যে কয়টা মানুষকে আমি পছন্দ করি সত্যিকারে সেই অল্পকয়টা মানুষের মধ্যে এই চুল কম ওলা হালকা ভুঁড়ি সমেড় বুইড়া লোক অন্যতম। যে কয়টা লোক আমারে ঝাড়ি মারার সাহস রাখে ও যার ঝাড়ি আমি শুনি সেই অল্প কয়জন বুইড়া মানুষের মধ্যে আপনের সেই বুইড়াও আছে।
আপনাদের জন্য প্রাণখোলা দোয়া।
ভাগ্যিস সে মেয়ে না। মেয়ে হইলে আমি তো তার হইতে পারতাম না
হুম!
আপনাদের দোয়াটাই তো সবসময় চাই!
কোন প্রকার প্রেমে আমি নাই...ব্লগীয় হইলে তো আরো নাই...তয় এই লোকটা ছেলে না হইয়া মেয়ে হইলে কি যে হইতো তা নিশ্চিত কইরা বলতে পারতেছিনা...
~
লোকজন কি সব ভয়ঙ্কর কথা কয়
আরেকটা কথা সেই বুইড়া মানুষ সেই সময় আপনারে নিয়া এতো কথা বলতো যে মনে হৈতো দুনিয়ায় আপনে ছাড়া অন্য কেউ নাই
সেই বুইড়া মানুষটা যেন আজীবন এমন ভাবেই আমাকে ভালবাসে.......
কে সেই বুইড়া ভাম , কন তার খপর কইরা ছাড়ুম, আপ্নের পিছে লাগে।
এখন তো আর পিছে লাগে না, এখন আমার পাশাপাশি চলে।
এই বিবেচনায় বুইড়া ভামটারে ক্ষমা করে দেন
এই গ্রুপে যে কয়টা লোকেরে পছন্দ করি, এই বুড়া লোকটা তাদের মধ্যে অন্যতম
পোলাপান এত পছন্দ করে কেন?
এর জন্যাই তারে প্রথম প্রথম আমার একদম পছন্দ হইতো না
নাজ এর চোখের ডাক্তার দেখানো দরকার...এই লোকটা আর যাই হোক কোন দিন বুড়া হইবো না...
~
হা হা হা হা হা হা হা.....
ঠিক আছে আমি ডাক্তার দেখাইতে গেলাম
বুড়া লোকটা তোমারে বিবাহ করায় আমরা হাফ ছাইড়া বাঁচছিলাম। সারা রাইত তোমার সাথে কথা কইতো, আর সারা দিন আমরা খালি তোমার গল্প শুনতাম। একদিন তারা ঘুম থেকে উঠাইলাম সকাল ১০টায়, যামু তিন চাকার গান দেখতে। হাই তুলতে কয় সারা রাইত কথা কইছে।
আর দিনের পর দিন কত যে পরামর্শ দিছি সেই কথা আর না কই।
আমার ছোট বোনটা সারাজীবন এরকম ভালাবাসায় ভরে থাকুক।
ইস! এখনো যদি সারা রাইত কথা কইতো
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
সারা রাইত খালি কথা কইলে কি চলবে?
সেইটাই তো বললাম, এখন আর সারা রাইত কথা কয়না
সব আপনাদের দোষ! দিনের পর দিন যে কি সব কু-পরামর্শ দিছেন বুড়াটারে
কুপরামর্শের রেজাল্ট কি সেইটা কি বলবো?
মাসুম্ভাই কথা কোন দিকে ঘুরায় বুঝতে পারছি! কওনের দরকার নাই!!
না হয় মাথায় এট্টু চুল কম আছে তাই বলে বুড়ো?!
ব্যাপক হইছে ।
জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করেন
রেজাল্ট আর কি বলবেন? কু-পরামর্শ দিছেন আপনি আর কষ্ট করতেছি আমি
কষ্ট ভাগাভাগির গল্পটা জানো তো? ছোট বোন কষ্ট নিয়া আর কিছু বলতে পারলাম না।
হা হা হা হা....
বলতে না পারলে থাক।
বুড়ার কাছ থেকে জেনে নেবনে
নাজ কি আমরার ইসমাট দুস্তরে বুইড়া কইলো? আহারে!চোক্ষে পানি আসছে।
নাজ এর লেখার পাংখা হইলাম। কি সুন্দর, কত আবেগ, মায়া দিয়ে মেয়েটা লিখলো্!এখন থেকে যদি রেগুলার না লিখো তাইলে কিন্তু তুমার জরিমানা হপে।
আম্মো জয়িতাপুরে একটা ধইন্যা দেই।
আহারে! আমারও চোক্ষে পানি আসছে
জয়িতাপুরে কয় কেজি ধইন্যাপাতা দিলেন? ধইন্যাপাতার কিন্তু এখন মেলা দাম
তোমাকে স্পেশাল থ্যাংকস। তুমি যে এত সুন্দর লিখলা!টুটুলের চুল পড়ে কি আর এমনেই? হের তো কপাল! চুল না পড়লে এত বড় কপাল কেমনে হইতো? ভালো থাকো এমনই ভালোবাসা, আবেগ, মমতা নিয়ে।
আসলেই, চুল না পড়লে এত বড় কপাল কেমনে হইতো আমার জামাইটার
জ্যাকেটের রংটা কি ছিল আপু ? ....
ঐ রকম রং এর জ্যাকেট নিয়ে দেশে গিয়ে কোন একজন কে লাগলে জোর করে হলেও পরায়ে দিবো ঠিক করেছি ... খিক খিক
চকোলেট কালার এর ছিল। ছবি তুলে পোষ্ট দিয়ে দিবো নাকি?
দেইখেন, বেশি জোর করলে আবার হিতে বিপরিত হতে পারে কিন্তু। পরে আমারে দোষ দিয়েন না
চুল কম থাকলেই বুড়া বলা যাইবে না। প্রতিবাদ করলুম
এই অতি চমৎকার লেখাটা আগামী ভ্যালেন্টাইন পর্যন্ত জমা রাখা যেত না?
সাম্প্রতিককালে যত রোমান্টিক লেখা পড়েছি এটা বোধহয় সবচে সেরা। ইচ্ছে করছে একটা চিত্রনাট্য নামায়ে ফেলি নজু ভাইকে বলে। মারাত্মক সুন্দর হয়েছে লেখাটা!! আপনাদের দুজনের সম্পর্কপাতের পাংখা হয়ে গেলাম আমি।
কিন্তু জানতে ইচ্ছে করে কেই সেই সুখ্যাত 'বুড়ো'! (টাক পড়িলে নিশ্চয়ই বুড়ো হয় না, বুড়ো হয় মনের মধ্যে মরচে পড়লে)। বুড়োটাকে দেখতে চাই পরের বার ঢাকা আসলে।
চিত্রনাট্য!!!!!!
ভাই লজ্জা দিয়েন না।
আমি তো লেখাটা পোষ্ট করার ১২ ঘন্টা আগেও জানতাম না যে, আমি কি লেখব। লেখতে বসে এটা লেখে ফেললাম। আর হঠাৎ করে লেখাটাই যে আপনাদের এত ভাল লাগবে বুঝতে পারিনি।
ধন্যবাদ আপনাদের কে।
সেই টাক পরা (মনের মধ্যে মরচে পরা না) বুড়োটাকে এতক্ষনে নিশ্চই খুজে পেয়ে গেছেন
নম নম নম। নাজ যে এতো চমৎকার লেখেন আগে জানা ছিলো না! বুড়াবুড়ির কাহিনী ভালো লাগলো। এমন লেখা পড়লে আফসোস্ও হয়। আম্রার কালেও শীতগ্রীষ্মবর্ষা সবই ছিলো, মাগার জ্যাকেটড়পাঙ্খাছাত্তি কিছু্ই দেখলাম না
জ্যাকেট কাহিনী তো দেখি হিট
ধন্যবাদ আপু !!
টুটুল ভাই, আপনারে ধন্যাপাতা বাতি জালায়ে দেয়ার জন্য,
এতক্ষন আন্ধারে হাতড়াচ্ছিলাম বুড়োটা কে হতে পারে....!
গল্পটা কিন্তু সিনেমার চাইতেও জটিল হইছে!! বর্ননায়ও প্লাস প্লাস!
আরে এই সেই আড্ডা... ঐতিহাসিক।
ভাস্করদার বাড়িতে। উফ, সেদিন এমন খিদা লাগছিলো। আমি গিয়াই রান্নাঘরে ঢুকে ভাত আর মুরগী খায়া নিছিলাম।
ব্যাপক মজা হইছিলো সেদিন। নাজ প্রথম আসলো এবিতে।
আমি মুন্নারে এরোসল নিয়া আক্রমন করলাম। কতো কতো স্মৃতি সব...
সেই আড্ডা!!
যারা যারা এতক্ষন যাবৎ বুড়োটারে চিনতে পারে নাই, আশা করি এখন সবাই বুঝতে পেরেছে আমার গল্পের "বুড়ো" টা কে!
ছবি গুলোর জন্য তোমারে ধইন্যা।
এইখানে কিন্তু সবচেয়ে বুড়া দেখা যাইতেছে শান্তদারে
ভাই, মাফ চাই! ভুল হইছে আমার
ছবি দেইখা কারও কিছু বুঝনের কাম নাই, সবাইরে পরিস্কার কইরাই কই.. আমার গল্পের বুড়ো'র নাম "টুটুল"।
এইবার হইছে?
ক্যাপশনঃ এদের ধরিয়ে দিন
~
আমি যে কেন চাচা ডাকি জাতি আজ বুঝতে পারছে
হ ভাইজতা, বুঝতে পারছি
এই বুইড়া পোলাটারে আমিও অনেক পছন্দ করি।
তুই কৈরা কৈ। ক্যান জানি মনে হয়, পোলাটা
বড়বেশি বালা মানুষ। তোমাদের এবং আমাদের এই
সম্পর্কটা ভালোবাসায়-অভিমানে-সুখে-দুখে আর আনন্দে
কেটে যাক আমৃত্যু... ভালো থেকো বুড়োকে নিয়ে...
সবাই বুইড়ারে এত পছন্দ করলে তো মহা সমস্যা
ভাইয়া, এতো সুন্দর দোয়া করে করেছেন....... মন ভরে গেল
বুইড়ার মত বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আর জমাই পাওয়াতো মহাভাগ্য।
ছিমছাম, সুন্দর, প্রেমময় লেখা।
আবার গোড়া থেকে শুরু করতে দিলে আমি জ্যাকেট আর ছাতা রাখবো সব ঋতুতে!!
হুম..... আসলেই মহাভাগ্য
বুইড়ার বৌ এমন একটা লেখা দিল, এটা বুইড়ার জন্যো মহাভাগ্য।
হিংশিত?
আমিতো কমেন্ট করছি নাজ্রে, আপনে আইসা লাফালাফি ঝাপাঝাপি শুরু করছেন ক্যান?
হাহাহাহাহা
লাফালাফি
ঝাপাঝাপি
করলে কাফের মারা হয়
নাজ, জ্যাকেটা সরাইয়া ফালাও। অপব্যববহার হইতে সাবধান
জ্যাকেট্টা কৈলাম এখনো আছে
আমার কাছে জমা রাথেন।
কারে পরাইবেন?
অভাব আছে? জ্যাকেট না হইলেও চলে। ছাতি কিনা নিমু একটা তাইলে।
জ্যাকেট কাহিনী যে পরিমান হিট হইছে, ভাবতেছি এই চান্সে জ্যাকেটটা নিলামে তুলমু
নিলামে না আমারে গিফট করেন ! আমি দেখি এই রকম পুষ্ট লেখানোর মত কাউরে পাই কিনা!!
ভাবী লেখা টা অসাধারন হইছে। খুবই ভাল লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ লেখা দেয়ার জন্য। আর দোয়া করি আমাদের বুইড়া টাকলু ভাইটার সাথে যেন আজীবন এই রকম বন্ধুত্ব টা টিকে থাকে। সুখী হও বৎস।
ধন্যবাদ আপু
ভাগ্যিস এসি খোলা ছিল। লেখা খুবই মিষ্টি হয়েছে কিন্তু স্বামীরে এভাবে পাবলিকলি বুইড়া বলা কি ঠিক? যতোই হোক আখিরাত বলে একটা ব্যাপার আছে না?
কি আজব দুনিয়া! সত্য কথা বললেই দেখি দোষ
হে হে হে হে হে...... ঐটা তো সোহাগ করে বলা। এইসব বুঝতে হবে
ধন্যবাদ আপু!
আমি ভাবলাম বিয়ার পর টের পাইছো যে সে বুড়া
মাসুম্ভাইয়ের নাম পাল্টায় দেওনের কাম
আমার আবার নতুন কি নাম? আমি কি করলাম আবার?
আপ্নে আর মাসুম নাই
মাসুম্ভাই দেখি আন্ডা-বাচ্চা পোলাপাইনের হাতে ধরা খায়
ও টুটুল ভাই আপনার জ্যাকেট টা আমাকে দিয়েন তো, পরে নিলামে উঠান। এখনো অবিবাহিত। যদি আপনার জ্যাকেটের গুনে বউ মিলে তো , আমার ও বিয়ে করে ফরজ আদায় হলো আর আপনার ও দোজাহানের অশেষ নেকি হাসিল হইলো।।
যেন গল্পের মতো।
দুজনকেই অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ
বুড়ো লোকটারে পছন্দ না করে উপায় নাই, বুড়ো আন্তরিক একজন ভাল মানুষ।
আর বুড়োর বউ নাজ ভাবী এমন সুন্দর লিখেন! খুবই ভাল লেখা।
সবে তো একটা লিখলাম। দেখা যাক, সামনে কি হয়।
ধন্যবাদ আপু
সব এসি পার্টিতে জ্যাকেট নিয়া যামু, আজকা সমস্যা ডা ধরতে পারলাম------সেরম লেখা পড়লাম একটা
অনে কসুন্দর হৈছে, নাজ।
হা হা হা হা.... বেশি গরমের দিন জ্যাকেট আগায়ে দিলে তো আবার সমস্যা
আপনাদের যে এত ভালো লেগবে, ভাবতেও পারিনি।
ধন্যবাদ!
খৃস্টানরা বিয়ের সময় অতি সুন্দর কতগুলো কথা বলে "...my constant friend, my faithful partner and my love from this day
forward. In the presence of God, our family and friends, I offer you my
solemn vow to be your faithful partner in sickness and in health, in
good times and in bad, and in joy as well as in sorrow. I promise to
love you unconditionally, to support you in your goals, to honor and
respect you, to laugh with you and cry with you, and to cherish you for
as long as we both shall live."
লেখাটা পড়ে সে রকম লাগল।
আমার এই লেখাটি যদি সত্যি এই কথা গুলো'র মত সুন্দর হয়ে থাকে, তাহলে আমি নিজেই ধন্য......
অসাধারন সুন্দর কথা শেয়ার করার জন্য আপনাকে যে কি বলে ধন্যাবাদ দিবো বুঝতে পারছি না!
ও ভাবী আপনাকে শুভেচ্ছা জানাতে ভুলে গেলাম । হবু মাতা যে। আপনার জন্য মা দিবসের শুভেচ্ছা রইলো। আর দু জনের জন্য শুভ কামনা রইলো। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। তয় কথা কিন্তু একটাই আমাদের ভাই জান রে কইবেন জ্যাকেট জানি নিলামে না উঠে। আগে আমাদের গ্রুপের আবিয়াইত্যা ছেলে গুলার বিয়া হোক তার পর। লাগে তখন নিলামের জন্য বড় অনুস্ঠান করা হবে। বিয়ার বয়স হইছে। লাজ শরমের মাথা খাইয়া নিজের টা নিজেরই বলতে হইতেছে। মা বাবা থাকলে তারাই বলতো। সবাই আওয়াজ তুলেন অবিবাহিতরা।। বিবাহিতরা না। ভাই সাবেরা কোথায় কখন এসি'র মধ্যে পার্টি হয় খোজ খবর রাখেন।
জীবনের প্রথম "মা দিবস" এর শুভেচ্ছা!
কি বলবো?
অনেক ধন্যবাদ।
জ্যাকেটের কথা বিবেচনায় রাখলাম
বুড়া-বুড়ির প্রেম কাহিনী ভালো পাইলাম;
আজীবন অনুপ্রেরণা আর ভালোবাসার উৎস হয়ে থাক এই বন্ধুত্ব ! অনেক শুভকামনা নাজ আর টুটুল ভাইয়ের জন্য । আগামীতে যে আসছে, তার জন্য একপৃথিবী ভালোবাসা ও দোয়া ।
আরো আসুক এমন মন ভরে দেয়া পোষ্ট ! শুভেচ্ছা নিরন্তর ।
আগামীতে যে আসছে তাকেও যেন এই বন্ধুত্বের বাধনের মাঝে বেধে রাখতে পারি আজীবন!
চমৎকার প্রেমকাহিনী । আপনি ভাগ্যবতী -- আপনাদের দুজনকেই শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন।
--
(তবে জনসমক্ষে ব্যাডহাফ কে বুড়ো ডাকায় তিব্র দিক্কার)
আচলেই তিব্র দিক্কার
বাহ্ আসলেই অসাধারণ লাগলো। টুটুল ভাই আর নাজ আপুকে আন্তরিক শুভেচ্ছা, শুভকামনা সারা জীবন কাটুক এভাবেই ভালোবেসে!
বুড়া রে হাজারবার জিগাইয়াও কাহিনি বের করতে পারিনাই।আজ সব জানলাম।হেহে।
তখন তার লাইগা আমি পাত্রী খুজি,আর আরেকদিকে নিজেই পাত্রী জোগাড় করে ফেলছে।
সুন্দর লিখা নাজ।তোমাদের ভালবাসা বন্ধুত্ত চিরদিন থাকুক।
আমার এবিতে আসা স্বার্থক হলো। এমন একটা লেখা পড়ার সৌভাগ্য হলো।
নাজ'পু টুটুল ভাই খুবই হ্যান্ডসাম। এফবিতে তার প্রোপিকটা তো খুব সুন্দর লাগে। ভালো থাকনে, অনেক ভালো।
আমারও ব্লগ লেখা স্বার্থক হলো
দেখেন তো, কোন এঙ্গেল থেকে এই লোকটারে বুড়ো মনে হয়? দেখে নাজ'পুরে মাইনাস দিয়া যাবেন সবাই।
ছবি আপলোড করতে চাইচিলাম। হইলোনা।
ফটুকের জন্য
http://www.amrabondhu.com/riton/437
এইবার দেখি তো...
হয় না?
মন্তব্য: *
লেখর নিচেই দেখেন একটা ছবির আইকন... এইখানে টিপি দিলেই একটা বাক্স হাজির হপে ওইখানে "ব্রাউজ" এ টিপি দেন... তাইলে আরেকখানা বাক্স আসপে ... নিচের ফটুক দ্রষ্টব্য
ছবির width="575" height="433" এইটা বসাইয়া দিয়েন
আমার chweetu জামাই টা
এত হ্যান্ডসাম ব্যাক্তি'রে বুড়ো বলার দায়ে নাজ'রে কইষা মাইনাস
ভাইতো আসলেও সেরাম বুইড়া ভাবি
ওররেরেরেরে , পারছি রে পারছি!!!!
ঘাম ছুইট্টা গ্যাচে গা।
দেহি কন তো এইবার, এই লোকেরে বুইড়া কইলে বুইড়ারে কি কইবো?????
টিউটোরিয়ালের লাইগ্যা ধইন্যা টুটুল ভাই। চামে নিজের খোমা দেহানোর সুযোগ কইরা দিলেন আর কি।
ওয়েল, বেস্ট অব লাক দ্যা হ্যাপিয়েস্ট কাপল-নাজ'পু এবং টুটুল ভাই।
হাহাহাহাহাহাহাহা
ধইন্যা
ইমোটিকন টেস্ট-
)
২২ল ভাইরে দেখে আমার দোস্ত জাহাংগীর এর কথা মনে পড়ে গেল...।আমরা ওরে সবাই বুইড়া বলে খেপাতাম কারন ওর এইরকম টাক ছিলো...কিন্তু সবার জন্য জান কুরবান করে দিত...।২২ল ভাই এর কাহিনী পড়ে মনে হলো সব বুইড়া রা মনে হয় একরকম......
জাহাংগীর তোকে খুব মিস করি এখন............।
লেখাটা পড়ে আমার প্যারালাইজড হাতটাও বিদ্রোহ করে বসলো। লিখতেই হলো দুকল আপনাদের নিয়ে। প্রথম পাতায় ঝুলছে।
এইবার দেশে গিয়া হাতপাখা নিয়া ঘুরবো
সিলিং ফ্যানে বাতাস বেশি হইবেক
সিলিং ফ্যান তো আর হাতে নিয়া ঘুরা যায় না রে ভাঙা; মানুর ইরাদা সে শুক্রাবদ বা অন্যকোন গেট/পুর/বাদ ইত্যাদির মোরে দাঁড়ানো কোন ঘর্মাক্ত বালিকার দিকে হাত পাখা আগায় দিবে - বালিকা লজ্জাবণত হাতে হাতপাখা নিয়া নিজের ঘাম শুকাইতে শুকাইতে কৃতজ্ঞতা বসত মানুরেও বাতাস করিবে তারপর .....................................................................................................................। এক দিন সেই বালিকা এবিতে পোস্ট দিবে একটি হাতপাখা সেই বুড়ো বালক এবং আমি......।
তবে হাতপাখার ডান্ডা দিয়া বাড়ি মারলে শেষ ; দেশী তালের পাখা না কিনা জাপানি/চাইনিজ কাগজের হাতপাখা কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে
জাপানি/চাইনিজ পাঙ্খাই ভাল হবে
যা দিন্কাল পর্ছে....
আবার পাঙ্খা দেইখা মেসবাহ ভাই দৌড়াইয়া আসে কিনা ডরে আছি
ডান্ডা দিয়া বাড়ি দিলেতো ডায়লগ রেডিই আছে, "আমি তো অন্য কিছু চাইনি। আমরাতো বন্ধু, তাই না?" এই ভুবন মহান সংলাপেও যদি কাজ না হয় তাই কিছু করার নাই।
চমৎকার লেখা! অভিনন্দন টুটুল ভাই ও নাজ ভাবিকে।
ধন্যবাদ ভাই!
এইরাম ঘটনা আরো ঘটুক।
(তয় আপনেগো জীবনে না। )
ব্র্যাকেটের লেখাটা পইড়া আস্বস্ত হইলাম
টুটুল ভাইরে বুইড়া কওনে তীব্র দিক্কার রাইখা গেলুম...
তীব্র দিক্কার
তীব্র দিক্কার
হাহাহাহা । মজার কাহিনী
শুভকামনা থাকলো আড়াই জনের জন্য
অনেক ধন্যবাদ
এই পোষ্টরে এবির জাতীয় প্রেম কাহিনি নির্বাচিত করা হউক--------:O:o
বাপরে!!
বাপরে! আমাদের ইনোসেন্ট লুকিং ২২ল ভাই এরকম কামেল আদমী!!
বুড়ো-বুড়ির কাহিনী পড়ে আরাম পেলাম
হে হে হে হে... ... এতো দিনে বুঝলেন?
জামাই-বউ পোষ্টতো দেখি বিড়াট হিট!!! শুভেচ্ছা টুটুল-নাজ দম্পতিকে। এই ভালবাসায় ভাগ বসাইতে যে আসতেছে তারেও শুভেচ্ছা স্বাগতম। অনেকবার পড়া এই পোষ্টটায় এতই অভিভুত যে কমেন্টই দেখি করা হয় নাই।
হা হা হা হা....
সত্যি এত অভিভুত করতে পেরেছি?
আপনাদের এত সাড়া অনেক ভালো লাগলো।
আমার মাথায় আরেকখান প্রশ্ন আসিল। নাজ ভাবি ছাড়া টুটুল ভাই জীবনে আর কতজনের দিকে জ্যাকেট বাড়াইয়া দিয়া ব্যার্থ হইছেন। এ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান কি কারু জানা আছে? আছেন কুনু দরদী ভাই বোন?
রাজনীতি এর মধ্যে পলিটিক্স ঢুকায় দিলেন??????????
না মানে, নাজ ভাবির বক্তব্য কথানুযায়ী টুটুল ভাই যেইরুপ কনফিডেন্সের সাথে জ্যাকেট আগাইয়া দিছে তাতে মনে হয়া এই কাজ উনি নিয়মিত কইরা আসতেছিলেন। শুধু তাই না, দুর্মুখেরা বলাবলি করতেছে, উনি নাকি বর্ষায় ছাতা এবং গ্রীষ্মে হাতপাখা এবং ঠান্ডা কুকের বোতল হাতে ঘুরাঘুরি করতেন। আমি অবশ্য এইসব দুষ্ট লোকজনের কথা একদম বিশ্বাস করি নাই। তবে উনার লাল বাইকখানা আসলেই সন্দেহজনক।
রতনে রতন চেনে...
লুল চিনে লুল!!!
কিন্তু এরম বললে টুটুল ভাই মাইন্ড খাইতে পারে।
তার লাল বাইকখানা বিয়ার পরে কিনা হইছে। সো, যতই সন্দেহজনক মনে হউক, কুনো লাভ নাই
মানু-- আপনের কমেন্ট এ সেই আগের জোশ পাইতেছি। লাস্ট কমেন্টটা কিন্তু নাজ ভাবির মনে সন্দেহের বীজ ঢুকায়া দিবো।
আমি নতুন একটা প্রজেক্ট হাতে নিচি। বেশি লাফাইয়েন না।
মনে সন্দেহের বীজ ঢুকা এত সহজ না রে ভাই
প্রজেক্ট পাবলিশড!!!!!
এই লেখাটা আরো একজন লেখককে জীবিত করে দিলো। বহুদিন পর আধুনিক রবিঠাকুর(আমি ওকে এই নামে ডাকতাম) তার ঝাঁপি খুললো। মানু আমার গল্পের সিক্যুয়েল লিখেছে।
বহুদিন পরে লগ ইন করে, এই লেখাটা পড়ে আনং পেলাম।
বুড়ো-বুড়িতে ভাল থাকুন.....
আনং* = আনন্দ
ভালো আছি।
আপনাদের দোয়ায় আরও ভালো থাকবো ইনশাল্লাহ!
খুব ভালো লাগলো পড়ে।
কয়েকজন প্রিয় লেখকের জন্য এই ব্লগে নিয়মিত আসার চেষ্টা করি। আরেকজন যুক্ত হলো তালিকাতে।
প্রিয় মানুষের সাথে ভালো থাকবেন সবসময়।
অবশ্যই নিয়মিত আসবেন।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
বুড়ো এবং খুকী উভয়ের দীইইইর্ঘ জীবন কামনা করি.........কিন্তু হায় হায় আমার তো জলদি একটা জ্যাকেট কিনতে হবে ......
বুড়া-বুড়ির প্রেম কাহিনী খুব পছন্দ হইসে।
প্রেম খুব খারাপ জিনিস
এই পোস্টটা আমি আগে কেন পড়িনি সেই দুঃখে মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছা করছে । নাজের সাথে দেখা হয়েছে পিকনিকের দিনে - আলাপ হয়নি । এখন কষ্ট পাচ্ছি । এত সুন্দর যার লেখার হাত, সুযোগ পেয়েও তার সাথে আলাপ করা হলনা । টুটুলকেও ওই দিনই প্রথম দেখলাম, সুন্দর, হ্যান্ডসাম, হাস্যোচ্ছল এক তরুণ । আমার চোখে তাকে মোটেও বুড়ো মনে হয়নি । তাদের বাচ্চাকেও দেখলাম সেখানে । অথচ তাদেরকে যে একটু অন্যভাবে দেখতে হত!
'আমরা বন্ধু' নাজকে হারাতে চায় না । জানি বাচ্চা-সংসার ও অন্যান্য সব কিছু সামলিয়ে ব্লগের জন্য সময় বের করা সহজ নয়, তবু বন্ধু হিসেবে আমরা কিছুটা সময় চাইতেই পারি ।
এমন পরিচ্ছন্ন জীবন ঘনিষ্ট পোস্ট, আমি তো নিছক গল্পই মনে করেছিলাম । অথচ এ দেখি আমাদের টুটুল-নাজ কাহিনী । তাদের সুদীর্ঘ সুখী জীবন এবং সফলতা কামনা করি ।
এত প্রশংসা কি আসলে আমার প্রাপ্য? লজ্জায় ফেলে দিলেন
দোয়া করবেন আমাদের জন্য
অবশ্যই! হাজার লক্ষ কোটি বেসুমার -- - - -
oshadharon !!!
সেই অসাধারণ পোস্টটি আরো একবার পড়লাম। আরো একবার প্রথমবারের মতোই দূর্দান্ত লাগলো। নাজ আপুকে একটা ইস্পিশাল
এই তাহলে কাহিনি!!! ব্যাপক, জটিল, অসাধারণ
সেই জ্যাকেটটা কি সেই রাতে আর ফেরত দেয়া হইছিলো ভাবি ? আর সেদিনের সেই ভালোবাসা আজীবন জমিয়ে রাখতে আইস-ক্রিম
এই ঐতিহাসিক পোষ্টে আমার কমেন্ট নাই!! কেম্নে!!
এইটা নিয়ে ক্ত কথা বলছি, কিন্তু কমেন্ট নাই কেন!! .।
মন্তব্য করুন