নজরুল ইসলাম'এর ব্লগ
যে মুখোশটা বানানো হয়নি, তাই পরে থাকি সবসময়!
লালমাটিয়ায় একটা চরম অগোছালো ঘরে গিয়া হাজির হইলাম, দাড়িমুখো এক লোক এসে জড়ায়ে ধরলো।
আমি ছেলেদের সঙ্গে কোলাকুলি করতে পছন্দ করি না, তায় আবার এরম দাড়িওয়ালা! বিরক্ত হইলাম।
কিন্তু সেদিন যে বন্ধুত্বটা তৈরি হইলো, এক যুগেরও বেশি তার বয়েস। আজীবন এরকমই অকৃত্রিম থাকতো, কিন্তু থাকলো না সে।
গতবছর, ঠিক এই দিনে, ঠিক প্রায় এই সময়ে একটা ফোনকল আসে, শাহরুখ শহীদ আর নাই পৃথিবীতে!
বইমেলায় কেনা (আউট) বই
এবার বইমেলায় সেরা পাওয়া ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন ভাইয়ের একটা বই। লাল লাল নীল নীল নামের এই বইটা তিনি উৎসর্গ করেছেন আমাদের "ন" পরিবারকে
এবারের মেলায় নতুন বই তেমন কেনা হয়নি এখনো। আমি পুরনো আর বিষয়ভিত্তিক কিছু বই খুজেঁ খুঁজে হয়রান হইছি। নতুন বইগুলো জমিয়ে রেখেছি শেষদিকে কিনবো বলে। জয়িতার অনুরোধে তালিকা শুরু করলাম-
ওজারতির দুই বছর- আতাউর রহমান খান
মেজর জলিল রচনাবলী
উপন্যাস সমগ্র- রশীদ করীম
রোদের অসুখ- আশরাফ মাহমুদ
অশ্রু ও রক্তপাতের গল্প- আহমাদ মোস্তফা কামাল
অবিশ্বাসের দর্শন- অভিজিৎ রায়, রায়হান আবীর
বঙ্গভবনে পাঁচবছর- মাহবুব তালুকদার
অবরুদ্ধ নয়মাস- আতাউর রহমান খান
যখন সময় এল- সৈয়দ আলী আহসান
মারবেল ফলের মওসুম- পিয়াস মজিদ
ট্রেন টু পাকিস্তান- খুশবন্ত সিং
সাদা কালোর অর্থনীতি- শওকত হোসেন মাসুম
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ রক্তাক্ত মধ্য আগস্ট ও ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর- কর্নেল শাফায়াত জামিল
রান্ধা কামেল ও অন্যান্য পেচ্ছাপেচ্ছি
১
মিশর দেশে একসময় লোকজন যাইতো পিরামিড, নীল নদ আর স্ফিঙস দেখতে... সেটাই জানতাম।
কিন্তু মাসুম ভাই মিশর ঘুরে এসে জানালেন ওসব কিছুই না... মিশরে যেতে হবে রানধা কামেলকে দেখতে।
আমাদের যাদের পোড়া কপাল, তাদের তো আর মিশরে গিয়ে "সশরীরে" রানধা কামেল দেখার ভাগ্য নাই, তাই বিকল্প পথই ভরসা..
ছোটবেলায় একটা ছড়া পড়েছিলাম- এক যে বোকা শেয়ালে, মুরগী এঁকে দেয়ালে, চাটতে থাকে আপন খেয়ালে [ভুলে গেছি, মূল ভাবটা শুধু মনে আছে]। আমরাও সেইভাবেই রানধা কামেলকে দেখি। [তবে চাটি না কিন্তু ]
আব্দুল কাদের মোল্লা আর কামরুজ্জামান গ্রেপ্তার
রাজাকার কামরুজ্জামান আর আব্দুল কাদের মোল্লা গ্রেপ্তার। মুক্তিযুদ্ধকালে গণহত্যার অভিযোগে পল্লবী থানায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ডিবি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এর আগে গ্রেপ্তার হয়েছে শীর্ষ তিন যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ আর দেলোয়ার হোসেন সাঈদী।
অমল ধবল চাকরি
আমি একটা পত্রিকায় লেখতাম। একদিন তারা জানাইলো আমারে তারা চাকরি দিতে চায়। চাকরির কাগজপত্র রেডি, আমি যোগদান করি যেন।
আমি করলাম না।
তখনো পর্যন্ত একটাই সিদ্ধান্ত, চাকর হইতে রাজী না।
আমরা তোমাদের কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিবো না... হাকু না মা তাতা
গত ২৪ ঘন্টা মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলাম, আর্জেন্টিনাইনরা যা খুশি তাই বলে গেছে... একটা টু শব্দ করি নাই... এই ক্ষণটির অপেক্ষায় ধৈর্য্য ধরে বসে ছিলাম। চুপ করে বসে বসে খালি খেলাটা দেখলাম। গুনে গুনে চারটা গোল দেখলাম।
ভাবছিলাম এবার ফাটায়া ফেলবো, যারা যারা বিদ্রুপ করছে গত ২৪ ঘন্টায় তাদের দেখে নিবো...
কিন্তু থাউক... ছেড়ে দিলাম। বেচারারা...
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবীতে উত্তাল সেই গণআদালত: পলাশ ভাইয়ের তোলা ছবি এবং রায়ের বিস্তারিত
কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজম গংদের বিরুদ্ধে গোটা জাতি ফুঁসে উঠেছিলো শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে। সরকার যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবীকে অগ্রাহ্য করছিলো তখন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ডাকে ২৬ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো গণআদালত। সমস্ত দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকেরা জড়ো হয়েছিলো ঢাকায়। জামায়াত শিবিরও জড়ো করেছিলো তাদের ক্যাডার বাহিনী। আগের রাতেই সরকার ১৪৪ ধারা জারী করেছিলো। গোলাম আজমকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে রক্ষা করেছিলো তৎকালীন সরকার! আর জাহানারা ইমামসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে গণআদালত গঠনের অপরাধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা করা হয়!
কিন্তু তবু থামেনি জনতা। ৫ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে সেদিন বিচারে গোলাম আযমের অপরাধকে মৃত্যুদণ্ডাদেশযোগ্য ঘোষণা করে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয় তা কার্যকরের।
সেই দিনের সেই আন্দোলন আর গণআদালতের ছবি তুলেছিলেন তৎকালীন রাজনৈতিক কর্মী এবং সাংবাদিক মনজুরুল আজিম পলাশ। এখন তিনি আছেন ইউকেতে। কিন্তু এখনো দেশ আর মানুষের জন্য কাজ করে চলছেন নিরলস।
নয়নদার জন্মদিনে
নয়নদা... নয়ন বড়ুয়া। চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তা। আমরা বন্ধু গ্রুপের সেই অমানবিক পত্র চালাচালির দিনগুলো থেকে আছেন। শুধু আছেন না, ব্যাপক ভাবে আছেন। ঢাকায় এলেই একটা আড্ডা জমে যেতো। আমরা বন্ধুর প্রথম পিকনিকে সপরিবারে চলে এসেছিলেন। ঢাকা থেকে কেউ চট্টগ্রাম গেলে একবার দেখা হতোই, যতো ব্যস্ততাই থাকুক। কক্সবাজার যাবার আসবার কালে চট্টগ্রামে এক টুকরো দেখা হলেও করে এসেছি নয়নদার সঙ্গে।
পারভেইচ্যারে, বল খেলাডা তওবা কইরা ছাড়। উৎসর্গ: আর্জেন্টিনার দুস্থ সাপোর্টারদের উদ্দেশ্যে ;)
আর্জেন্টাইনদের জন্য নিবেদিত,
ব্রাজিল সমর্থক গোষ্ঠী প্রযোজিত
নজরুল ইসলাম পরিচালিত
ইউটিউব পরিবেশিত
মাসুম ভাই এবং লীনা আপাকে উৎসর্গীকৃত
মহান ফুটবল সঙ্গীত
"বল খেলাডা তওবা কইরা ছাড়" ছাড় ছাড় ছাড় ছাড় [ইকো ইফেক্ট হবে]
অডিও ভিডিও ডাউনলোড লিঙ্ক: http://www.youtube.com/watch?v=KaQOF2uqcHU
জনগনের বিশেষ সুবিধার্থে গানের কথা নিচে লিপিবদ্ধ করে দেওয়া হইলো:
পারভেইচ্যারে
একটি উত্তরাধুনিক ব্রাজিলিয়ান কবিতা ;)
পৃথিবীতে কোনো ফুটবল দল আছে?
আছে
বিশ্বের সেরা ফুটবল দল আছে?
আছে
কোন সে দল?
ব্রাজিল
জোরসে বলো
ব্রজিল
আরো জোরে
ব্রাজিল
তালে তালে
ব্রাজিল
তাল মিলায়ে
ব্রাজিল
সবার সেরা
ব্রাজিল
মাঠের সেরা
ব্রাজিল
আজকের খেলায়
ব্রাজিল
জিতবে কারা?
ব্রাজিল
আবার জিগস্!!!
বাদল রহমান, এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী
খুব ছোটবেলায় দেখছিলাম এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী সিনেমাটা। এখন অনেক কিছুই মনে নাই, কিন্তু তখন যে দারুণ ভালো লাগছিলো, তা মনে আছে স্পষ্ট। নায়ক নায়িকার প্রেম নির্ভর ছবির ভীড়ে এমিলের গোয়েন্দা বাহিনীর মতো সিনেমা বানাতে কইলজা লাগে। সেই কইলজাটা ছিলো বাদল রহমানের, এজন্যই বানাইতে পারছিলেন।
ফেসবুক উন্মুক্ত
আপাতত খবর দেই. পরে বিশ্লেষণ। ফেইসবুক খুলে দিছে সরকার। কোনো প্রক্সি সার্ভার না, কোনো কিছু না, ফেসবুক এখন আগের মতোই ব্যবহার করা যাবে।
খবরটা পাওয়ামাত্র শেয়ার করলাম। এর আগেপিছে কিছুই এখনো জানি না। এই পোস্ট শুধু খবারটা শেয়ার করার জন্যই। বিশ্লেষণ পরে করবো
হুদাই পোস্ট, জাতির বিবেকের কাছে কোনো প্রশ্ন নাই
সিনেমা দেখচক্র: দ্য রিভার [উৎসর্গ মাসুম ভাই]
দ্য রিভার-এর পোস্টার
কিছুদিন ব্লগ থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত ছিলো। বই পড়া আর সিনেমা দেখার জন্য সময়গুলো জমা করতে চাচ্ছিলাম। শুরুও করে দিছিলাম, তাতেই বিপত্তি হলো। গতরাতে মাসুম ভাই বর্ণিত 'লিলিস অব দ্য ফিল্ড' দেখে মাসুম ভাইকে ফোন দিলাম। বললো এটা নিয়ে ব্লগ লিখতে।
সম্রাটের মৃত্যু, গাড়ি ভাংচুর এবং সুশীলদের প্রতিক্রিয়ার জবাবে দু'পয়সা
১।
বাসের নীচে পিষ্ট হয়ে সম্রাটের মৃত্যু, বুয়েট ছাত্রদের গাড়ি ভাংচুর এগুলো নিয়ে প্রচুর কথা পড়ছি। গাড়ি ভাংচুরের পক্ষে বিপক্ষে কথা হচ্ছে।
যদিও ভেবেছি আমরা বন্ধুতে আর লিখবো না, তবু এই বিষয়ে আমার মতটা জানিয়ে যেতে চাই। [কেন লিখবো না, সেটা ব্যক্তিগত, এই পোস্টে সেই আলোচনা না তোলার অনুরোধ জানাচ্ছি সবাইকে]