দিলে চোট দিলিরে শেফালী । পর্ব ((১))
তুমি স্বপনে কইয়াছিলে,
১)শইলের যত্ন নিও,
২)ঠিক মত খাইও,
৩)ঠিক মত ঘুমাইও
৪) আর আমার কথা ইয়াদ কইরো ।
বিশ্বাস করো, তোমার কতা মানতে গিয়া উপ্রেত্তে নিচে আইতে আইতে তোমার কতা আর ইয়াদ থাকেনা।।
==============================
==============================
একদা, পূর্ণিনা নিশিতে চকচইক্কা চান দেইখ্যা তোমারে কইছিলাম , ওই চান্ডারে ফুল বানায়া তোমার খোপায় দিমু ,
নিসঃঙ্গ প্রহর
সবুজ লনটার শেষ দিকে কামিনী গাছটা সাদা ফুলে ভরে আছে; জোস্নার আলোয় ফুলগুলি যেন অপার্থিব সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিয়েছে চারিদিকে। দূর থেকে সেই ফুলের সৌরভে মুগ্ধ এক যুবক আনমোনে গুন গুন করে গান গাইছে। নিকষ অন্ধকারে শুধু সিগারেটের লাল আভা মাঝে মাঝে জ্বলে উঠছে। কামিনী ফুলের সৌন্দর্যের সাথে আরো একটি বিষয় যুবককে আবিষ্ট করে আছে। বাতাসের দোলায় সরে যাওয়া পর্দার ফাঁক দিয়ে ঘরটির মৃদু আলোয় কিছুই প্রায় দেখা যা
প্যারানরমাল গল্পঃ আলোকিত দ্বার – (শেষ পর্ব)
লোকটা যেমন অদ্ভুত ভাবে এসেছিলো তেমন অদ্ভুত ভাবেই চলে গেল। হারুন প্রথমে একটু চিন্তিত বোধ করলেও কিছুক্ষনের মধ্যেই ব্যাপারটা মাথা থেকে একদম ঝেড়ে ফেলেছে। তার মাথার উপর এখন অনেকগুলো গুরু দায়িত্ব। ট্রেনের খোলা জানালায় হারুন ভবিষ্যতের ভাবনাগুলো গুছিয়ে নিচ্ছে। ট্রেনের জানালায় ওপাড়ে নিশুতি রাত, নক্ষত্রের আলোয় সমস্ত চরাচর আলো-আধাঁরি খেলায় মেতেছে, ঘুমিয়ে পড়েছে জনজীবন, প্রকৃতি কোন এক অচিনলোকের ধ্যানে মগ্ন। রা
শেষ দিন (গল্প লিখার অপচেষ্টা)
পকেটে টাকা নাই কি যে করি? এদিকে সোহাগ ভাইয়ের কাছে দুদিনের বাঁকি আছে, আজ আবার চাইলে পাওয়ার কোন চান্সই নাই। শালা বাপ্পি আর রাজুর সাথে ক্যাচাল না লাগলে একটা কিছু ব্যাবস্থা করা যেত। মার কাছে চাইলেও পামুনা আর পাওয়ার মত কিছু বাঁকিও তো রাখি নাই।
বাপটা অকালে মারা যাওয়ার পর লেখাপড়ার পাট প্রায় চুকেই যায়। তারপর বাপ্পির সাথ ধরে প্রথম এই স্বাদ পাওয়া তারপর থেকে চলছেই আমার এই অধঃপতন।
লিখতে পারছি না! :(
অনেকদিন ধরেই হাত দিয়ে কোন লেখা বের হচ্ছে না। যদিও মাথাই অনেক কিছুই ঘুরঘুর করতেছে। লিস্ট বানাইলে অনেক বড় একটা ফর্দ হয়ে যাবে। যেমন পিংক ফ্লয়েডের একটা গান নিয়ে লেখা রেডি করছি (মাথার ভিতরে), কিন্তু কী-বোর্ড চাপতে ইচ্ছা করতেছে না। ঈদের পর চট্টগ্রাম গিয়ে এক ইন্টারেস্টিং রিক্সাওয়ালার সাথে আধা-ঘন্টার মত কথা হয়েছিল, সে তার জীবনের মারাত্মক কিছু ঘটনা বলেছিল, সেটাও লেখার ইচ্ছা আছে। কিছু কবিতার লাইন বিড়বিড় করত
পড়া-লেখা-জোকা-ব্লগা বিষয়ক আড্ডাফাইয়িং পোষ্ট
লেখার চাইতে পড়তেই বেশী ভালো লাগে আমার। যা পাই তা-ই গিলি। মজা পেলেই পড়ি। সে চটি হোক আর চেখভ হোক। খুব ছেলেবেলায় বাবার হাত ধরে যখন নিউ মার্কেটের বইয়ের দোকানে ঢুঁ মারতাম, তখন থেকেই এই ঝোঁকটা তৈরী হয়েছে।
সেই যে আমার নানা রংয়ের দিনগুলি..(আপাততঃ শেষ পর্ব)
"তুমি মুনমুন না?"
"না আপু, আমি কুমকুম, মুনমুন আপু দেশের বাইরে"
"তুমি কি কাকলী ?"
"আপু আমি রিমি, কাকলী আপু শশুর বাড়ীতে, ও আজকে আসতে পারছে না, বাচ্চাটার শরীর ভালো না"
কী যে করি....
আজ কয়েকদিন থেকে বেশ ঝামেলায় আছি। দুপুরের পর কম্পুতে বসে কাজ করার সময় এ সমস্যাটা প্রকট হয়ে দেখা দেয়। ইদানীং ব্যাচেলর লাইফ কাটাচ্ছি বলে রাত জেগে টিভি দেখে ঘুমাতে যাই ২/৩ টার পর। সিগারেট পোড়াচ্ছি দ্বিগুন হারে। রাতে বাসায় ফিরে নিজে রান্না করে খাই।
স্বাপ্নিক
স্বপ্ন গুলো এখন অবিন্যস্ত অক্ষরে গাঁথা
কবিতার মত কল্পনার পৃষ্ঠায়; ধুসরিত
মলাটে কোন পড়ে থাকা উপন্যাসের
সাদা কালো অক্ষরের আঁকা আশা নিরাশার
কল্পিত উপাখ্যানের মত ।
ঢেউয়ের আঘাতে মাস্তুল ভাঙ্গা নৌকার ক্লান্ত
নাবিকের চোখের তারায় , যে তারা হারিয়ে
কূল হারিয়েছে ।
স্বপ্নগুলো এখন শরীর ভাড়া দেয়া মানুষগুলোর
বুকে, যেখানে প্রতি রাতে লেগে থাকে নতুন
মানুষের মাংসের গন্ধ, রক্তের গন্ধ।
শেষ রাতের শেষ অন্ধকারের কিছু স্মৃতি (উৎসর্গ ঃ বিহঙ্গ)
চেনা পথেই ঘুরেছি শতবার, অচেনা ভাবে মাড়িয়েছি চেনা চেনা ক্ষেতের আইল হেলে দুলে। টান টান সিনার মত খালের পাড় চষে বেরিয়েছি স্নিগ্ধ জোসনা আলোয়ে !!
কি দিয়াম!
উচ্ছিষ্ট !!!
বহু চেষ্টা করিয়া এই লাইন লিখার সামর্থ হইলো , পাঁচ দিনের পরিশ্রমে যা আসলো !!
ওরে পাগলা!! ভান ধরিস না কাপড় পর !!
বৈরাগ্যপনা গোফ-দাড়ি নয়, দিলে কর!!
আমি বহুত খুশি। শোকর আলহামদুলিল্লাহ !!
অবশেষে আজ দুপুর বারোটার সামান্য সময় পরে একান্ত নিজের করিয়া আমি তাহাকে পাইলাম। আমি বহুত খুশি। শোকর আলহামদুলিল্লাহ !!
হাতুড়ে মুক্তগদ্য (শরীরের গান)
*
আমি দুরে বসে সিগারেটের সাথে কুয়াশার মিল খুঁজে ফিরি| আর টুপটাপ করে ক্লান্ত শিশির ঝরতে থাকে রাতের মসৃন সমভূমি বেয়ে| গানওয়ালারা সকল সুর ভুলে হামাগুড়ি দিয়ে চলে গেছে বহুদূরের বিছানায়| লেপের ওম|
বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা করে শরীরের কানাগলিতে| কাগজের নৌকায় ভেসে আসা শব্দগুলো... চিরে চিরে ফেলে নিস্তব্ধতার জমাট বরফ|
**