একখানা দাম্পত্য কলহ ( পোলাপানের প্রবেশ নিষেধ)
বেশ ক'বছর আগের ঘটনা হে।
ভ্রমনের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলুম এক বন্ধুর বাড়ীতে। ঢাকার আশে পাশেই হইবে তাহার বাটি খানি। বিদ্যূতের খুটি সর্বস্ব গ্রামখানি দেখিয়া যাহারপর নাই মুগ্ধ হইয়া দর্শন করিতে লাগিলাম। গ্রামের সেঁদো মাটির ঘ্রান , গুল্ম লতাপাতার ঘ্রান বার বার নাসাঃরন্ধ্রে প্রবেশ করিতেছিল আর আমরা তাহাতে ইষৎ পুলকিত বোধ করিতেছিলাম।
ঘুরিয়া ঘুরিয়া গ্রাম অবলোকন করিলাম, প্রকৃতির মাঝে নিজেকে যেন হারাইয়া ফেলিলাম। অতঃপর সন্ধ্যা নামিলো , ঘরে ফিরিয়া খানিক ক্ষন জিরাইয়া লইলাম আমরা। সিদ্ধান্ত হইলো পরদিন সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিব। রাতের মনোহরী দৃশ্য দেখিব, তারা অবলোক করিব গ্রামের মাটির রাস্তায় ঘুরিয়া, জোনাকী দেখিব ।
আবার বাড়ির বাহির হইলাম, ইতস্তত এদিক ওদিক ঘুরিলাম। সন্ধ্যার আলো মিলাইয়া গেলে রাত্রির অন্ধকার নামিল চারিদিকে। আকাশে নক্ষত্ররাজী ফুটিতে লাগিল, দূর্ভাগ্যক্রমে সেই রাত্রিতে আমরা চন্দ্রালোক অবলোকন করিতে পারি নাই।
এশার আজান দেওয়া মাত্রই ভিতর বাড়ি হইতে রাত্রের খাবার খাইতে ডাক আসিল। যদাপি সেটা আমাদের জন্য অতি ত্বরিত আহার গ্রহনের সময় বলিয়া মনে হইলেও আমরা রাজী হইলাম কারন তাহারা এই সময়েই খাইতে অভ্যস্ত।
আমরা খাইলাম খাইয়া আবারো বাহিরে আসিলাম রাত্রের সৌন্দর্য অবলোকন করিব বলিয়া। বাহিরে আসিয়া ঘুরিতে ঘুরিতে কখন যে আরেক বাড়ীর পাশে আসিয়া দাঁড়াইয়াছি , তাহা কহিতে পারিবনা।
দাঁড়াইয়া সিগারেটে টান দিতেছিলাম , হঠাৎ সেই বাড়ীর ভিতর থেকে স্বামী স্ত্রীর দাম্পত্য কলহের শব্দ ভাসিয়া আসিল।
স্ত্রীঃ যা পারোস না করতে আসোস ক্যান ?
স্বামীঃ তাই বলে আমারে লাত্থি দিয়া খাট থেইকা ফালাইয়া দিবি ?
আমরা দ্রুত সেই স্থান ত্যাগ করিলাম।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিছিলেন যে, বিয়ে করবেনা না।
এইজন্য?
আমি কি বিয়া করছি নাকি , করলে কইতে পারতাম এর জন্য কি না।
কেন টেস্ট বা প্রিটেস্ট দেন নাই?
আপনি কি দিছিলেন বিয়ার আগে?
আরে ভাই, কথা ঘুরান কেন? এই জন্য বিয়ে করবেন না ঠিক করলেন? আরে আমরা আমরাই তো।
ও, দুলাভাই , আপনিও কি এই জন্য কইছিলেন নাকি আর বিয়া করবেন না ?
আমি আবার কবে কইলাম? আমি তো ধর্ম মাইনা আরও তিনটা করতে আগ্রহী।
খাড়ান খোমাখাতার স্ট্যাটাস টা বাইর করতাছি আর ইয়ে মানে আপার নম্বরটা কত যেন ..........
আবার এর মধ্যে আপায় আসলো কেমনে? আজব।
আপনার তিন বিয়ের কথাটা দেখাইতাম একটু আপারে আর কি !!!
ঠিকাছে, আপোষ করি আসেন। আমার আরও তিন বিয়ার ইচ্ছার কথা আপনার আপারে কইবেন না, আর আমিও আপনি কেন বিয়া করবেন না সেইটা আমার ছোট বড় কোনো আপারেই বলুম না।
এইবার হইছে?
দুলাভাই ডরাইছেন ????
হু, ডরাইছি। কিন্তু আপনার তো আর হারাবার কিছুই নাই বইলা মনে হইতাছে।
বিয়া করিলে বুঝতাম কি হারাইবো না হারাইবো !!!!
এখন তো সাতার কাটার সময় হাসের বাচ্চা হয়ে.......
সাতার যে কাটেন তাইলে এইবার আইসা স্বীকার করলেন। গুলনাহারনামা মনে রাইখেন কিন্তু।
জ্বী ভাই মনে থাকপে আপনাদের দোয়ায়।
দুলাভাইয়ের মন্তব্যে ঝাজা...
সাঈদ ভাই কি গিটার বাজান ?
সেই বয়স কি আছে নাকি ভাই !!!
প্র্যাক্টিক্যাল করার বয়সে আর গিটার বাজানো !!!
ভোরের কাগজে এক টেবিলে কাচেঁর নিচে একটা ছড়া লেখা থাকতো-
"........... ঝিলমিল আসমানে পাও,
যেই কাম পারো না বন্ধু
সেই কামে কেন যাও?"
সাঈদ ভাই, আগে থেকেই ডরানের কিছু নাই, বুকে বল রাখেন
ডরামু ক্যান ভাইজান ?
এই তাইলে কাহিনী?
আপনেকি সিরিজটা পড়েন নাই?
ও, মাসুম ভাই জিগাইলো, এইজন্যই?
কি ?
টুটুল ভাই, খালি আমারেই দেখলেন!
বিবাহ না কইরাই কি কয়? কি লেখে? বিবাহ করলে আমাগো ছোট ভাই সাঈদ কি কইব?
হা হা হা
মজা পেলাম
একখানা দাম্পত্য কলহ ( পোলাপানের প্রবেশ নিষেধ)
সাইদ ভাই কিন্তু পোলাপাইনের দলে , কারণ উনি এখনো বিয়া করেন নাইক্কা
ব্লগ মানেই নির্মল বিনোদন।

সাঈদ বাইকে ধন্যবাদ।
সব তো সাঁতার না জানা পোলাপান ঢুকে বসে আছে পোষ্টে।
মাসুম্ভাইর কথোপকথনে জাঝা!
মাসুম ভাই অদ্ভূত।
ভ্রাত, কাহিনী পাঠে লুইচ্চা রিটনের একখানা পদ্য স্বরণে আসিয়া গেলঃ
পাশের বাড়ির ভারাইট্টা,
বউয়ের সাথে ঝড়া করে
রাত্রী যখন আড়াইটা।
বলতে পারেন কারণ?
কারণ বলা বাড়ন,
আপনি নেই করতে পারেন
নিজের স্মৃতিচারণ।
মধ্য রাতে বউয়ের সাথে ঝগড়া কেন হয়?
বলতে লাগে ভয়।
তবে আমরা বীরের জাতি
মুসার মত এভারেষ্ট জয় করার খায়েশ রাখি
বিতা দেখি টাইফু পূর্ণ হইয়া গেল
লুইচ্চা রিটনের এহেন অপমান সহ্য করা যায় না
পাশের বাড়ির ভারাইট্টা,
বউয়ের সাথে ঝগড়া করে
রাত্রী যখন আড়াইটা।
বলতে পারেন কারণ?
কারণ বলা বাড়ন,
আপনি নিজেই করতে পারেন
নিজের স্মৃতিচারণ।
মধ্য রাতে বউয়ের সাথে ঝগড়া কেন হয়?
বলতে লাগে ভয়
পুরাই তো খাচড়া কাহিনী!!!!

নাউজুবিল্লাহ !!!! এইখানে দেখি পোলাপাইন সাঁতার কাডা শিখতাছে। ভুল জায়গায় আইসা পড়ছি
@চাঙ্কু: আফনের কি সাঁতার কাডা পছন্দ না ??!!!
মন্তব্য করুন