খাও দাও ফুর্তি করো
আর একদিন বাদে পরশু কাক ডাকা ভোরে রাজশাহী ছাড়বো আবার কবে আসবো ঠিক নাই।যেয়ে শুরু হবে সেই একঘেয়েমি জীবন ল্যাব টু বাসা দিয়ে আবার ল্যাব মাঝে মাঝে সুপারম্যানের রামডলা কোনদিন আলহাদের শুরে চিকন ডলা।তা যাই হোক।যা হবে সেটা পরে দেখা যাবে।
আজ অনেক দিন পর রাজশাহী শহর চক্কর দিলাম।সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে আমাদের কিছু প্রিয় জায়গার বিকালের খাবার খেলাম।গত পোস্টে ছবি দেই নাই দেখে অনেকেই বকাবকি করলো তাই আজ আর সেই ভুল করছি না।
আমরা আগে মাঝে মাঝে সন্ধ্যার খাওয়া শুরু করতাম নবরূপের দই আর রসমালাই দিয়ে আজ ও তাই করলাম।খেয়ে দেয়ে বিল দিতে গিয়ে দেখলাম দাম আগের চাইতে অনেক বেড়েছে কিন্তু টেস্ট আগের মতোই আছে।
রসমালাই
দই
আমার বন্ধু বাপির আবার মিষ্টি খাওয়ার পর ঝাল না খেলে হয় না।তাইলে কি করতে হবে চলো যাই রোড ফুডের দোকানে……
প্রথমে খেলাম কিমার চপ
তারপর খেলাম ধনিয়াপাতার চপ
তারপর বিখ্যাত রসুনের চপ
দোকান সেই আগের মতোই ভীর কড়াই থেকে তোলার আগেই মোটামুটি শেষ।
তাই দোকানদার মামা মহাখুশি।
ঝাল বেশি খাওয়া হয়ে গেছে আবার একটু মিষ্টি খাই তাইলে কই যেতে হবে অবশ্যই বাটার মোড়ের জিলাপীর দোকানে।এটা এমন এক দোকান যেখানে শুধু জিলাপী ছাড়া আর কিছুই বিক্রী হয় না। বাংলাদেশে এই রকম দোকান আরেকটা আছে কিনা আমার জানা নাই।
জিলাপী খাওয়া শেষ হলো এবার যেতে হবে বিখ্যাত বারোভাজা খেতে।
গিয়ে দেখি আগের মামা নাই একটা ১৮-২০ বছর বয়সী একছেলে ভাজা বানাচ্ছে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম মামা কই বললো আব্বা চারমাস মারা গেছে।হয়তো জীবনটাই এমন।কালের চাকা ঘুরতেই থাকবে শুধু টেনে নিয়ে যাবে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্ম।
রসুন ভাজা ক্যামনে যা খায় !!
পলাইয়া সুমন ভাই কই যান??
রসুন ভাজা খাইতে কিন্তু সেই রকম।ট্রাই কইরা দেইখেন।
আহা রে ! খাইতে চাহে মন, খাইলে থাকেনা জীবন
। যত পারো খেয়ে নাও, এইসা দিন নেহি রহেগা !

রাসেল তা'হলে আবার চললে বৈদ্যাশে, আবার আসবে কতদিন পরে ?
হ নাজমুল ভাই আবার যাচ্ছি।
জানি না আবার কবে আসবো।সবই নির্ভর করছে সুপারম্যানের উপর।
রসুনের চপ!!!
রসুনের চপের রেসিপি দিতে পারেন?
ছোট সাইজের রসুন হলুদ মরিচ লবন বা অন্য মশলা দিয়ে সেদ্ধ করে বেসন দিয়ে ভাজা হয়।
এটাই মনে হয় এর রেসেপি।
খান খান। কি আছে জীবনে?
বেদ্দপ পুলাপাইন।ময় মুরব্বীর সামনে হুক্কা টানে।

বলেন কী আশ্রাফ ভাই উনি মারা গেছেন । আহা রে , এবার আমি জীলাপীর দোকানে বসে ছিলাম তখন পদশোভার স্বত্ত্বাধীকারী বারো ভাজা আনলো তাই আর যাওয়া হয় নাই । খুব খারাপ লাগছে। আচ্ছা আপনার বাসা কোথায় রাজশাহীতে ? আমি এবার জুনে বেড়াতে যাবো ।
পদশোভার স্বত্ত্বাধীকারী?? কে মকুল ভাই না খোকা??
আমার বাসা শালবাগান। জুনে এসে আম খেয়ে পেট টিনটিনা করে আবার ফেরত যান জেলখানাতে।
লাইক লাইক লাইক। খাও ভালু করে আর মটু হও আরো।
তুমি যেটাকে বারোভাজা বললে সেটাকে আমরা ঢাকাতে ঝালমুড়ি বলি।
হ তাইতো।জ়ীবনে আছে কি ।আজ মরলে কাল দুই দিন।
আর কবে পামু তার ঠিক আছে। বাকী জীবন তো আলু খাইয়া কাটামু ঠিক করছি।আমার প্রোজেক্টের খবর কতদূর??
এডভান্স আসলেই কাজ শুরু হবে
ঢাকার ঝাল মুড়ি কিন্তু আলাদা । বারো ভাজায় ১২ রকমের আইটেম থাকে । আর যে মামা মারা গেছেন সে মামা ছিলেন দুনিয়ার সব চাইতে বড় বারোভাজা শীল্পী । কি অসাধারণ কম্বিনেশন ! আল্লাহ মামাকে জান্নাতবাসী করুক ।
কেম্নে যে মানুষ এরাম পাষাণ হৃদয়ের হয়!
কুনপ্রাণে এরাম ফটুকসমৃদ্ধ পুষ্ট দেয়া রে?
...দেশে আইলেন কবে গো ভাইটি? আশা করি, পরিবারের সবার সাথে দারুণ সময় কাটিয়েছেন। আপনার নিরাপদ বৈদেশ যাত্রা কামনা করছি।
এমুন নজর দিসি যে কি কমু। পেটের সমস্যা হইলে আমি দায়ী নই
আইছিলাম রে ভাই দিন বিশেক আগে।
এরাম মাইর দিলে আমি কেন আমার চৌদ্দগুষ্টি তো সব ভুইল্যা যাবে..তখন কি আর বন্ধুব্লগে বল্গানো হপে ভাইটি

রসুন চপের আইডিয়াটা জোস তো! ছোটবেলা কোনমতেই রসুন খাইতে চাইতাম না...এই কারনেই কিনা জানিনা, আমার বাপ কাঁচা রসুন একটা কাঠিতে গাঁইথা চুলার আগুনে পুড়াইয়া খাওয়া শিখাইল। মার্শমেলোর মত কাঠিতে রসুন পুড়াবার আনন্দেই তখন আর রসুন খাইতে আমার কোন আপত্তি থাকতনা। আর পুড়াইলে উৎকট গন্ধটা চলে গিয়া একটা মিস্টি গন্ধ হয়, খারাপ লাগেনা। বাপমার কথা মনে পইড়া গ্যাল হঠাৎ
রসুনের চপ খেয়ে দেখতে পারেন।আসলেই অনেক ভালো।
তয় ধনিয়া পাতার চপের আইডিয়াটা আমার কাছে বেশি জোশ লাগছে।এটা এবারই পয়লা খেলাম এর আগে খাই নাই।
রসুনের আঁচার আমার খুবই পছন্দের জিনিস তবে কাঁচা রসুন খেতে কেমন হবে আমি জানি না। আমার মা-বাবা আমার সাথে জোরাজুরিতে বেশি সুবিধা করতে পারে নাই পারছে শুধু আমার পাষান সুজন। আমারে বৈদেশে একলা পাইয়া
আজ-কাল খুব নোলা বেড়েছে আমার, তার মধ্যে পোস্টের তেলেভাজাগুলো...
রাসেল ভাই রাজশাহীতেই চলে যেতে ইচ্ছে হলো আপনার এই পোস্ট দেখে।
চইলা আসো।দিয়ে বিকালে পদ্মার পাড়ে ঘুরে সন্ধ্যায় সাহেব বাজারে ভাজাপোড়া খে পরশুদিন সকালে আমার সাথে চলে যাইও।আসবা কিনা বল তাইলে টিকিট কাটি সিল্কসিটির??
পুরা রাজশাহী তো খেয়ে ফেললেন।
শেষের দুই আইটেম না আনলেও চলবে কিন্তু বাকী আইটেমগুলা না নিয়ে আসলে ১৪ তারিখে আপনার বইমেলা ঢুকা বন্ধ।
এহ আইছে বইমেলার মহিলা দাড়োয়ান।

এহহহ, অপনের গুল্লিরে আমি ডরাই না। ঋহানেরও এর চেয়ে ভালো বুন্দুক আছে।
এইবার মেলায় মহিলা দারোয়ানের চাকরীটা নিছি। অতএব খবারদাবার ঠিকঠাক মতো নিয়ে আসবেন।
আমি পোষ্ট পড়তেছিলাম আর ভাবতেছিলাম আমার পোলার দোস্ত একা একা এই খাওয়াটা দিতে পারলো?
সত্যি বলতেছি, পোষ্ট এর ছবি গুলো দেখে জিভে জল চলে আসছে

তাই, আমিও ছায়া আপা'র সাথে একমত। খাবার গুলো না নিয়ে আসলে বই মেলায় ঢুক্তে দিমু না
দোস্তের ভাগেরটাও তো আমিই খাইছি।
ইনশাল্লাহ পরেরবার দোস্ত, আমি আর আমার দোস্তের দোস্তাইন সহ এইগুলা খাবো।
জ্বী না, আগামী বার না, এইবারই খাওয়াতে হৈবে
খাইয়া আসি আমি...কেউ একজন একটা আড্ডা পুষ্ট দেন, সেখানে বাতচিত করি-কি কও? ভাইবা দেখেন বেপারটা
ভাইজানের পোস্ট পড়ে পেটটা উদাস হয়ে গেল। কতদিন ভাজাপোড়া খাই না !!
ছবি ও লেখা বড়ই উত্তম হইসে।
ভালো লাগল পোস্ট। কয়েকটা চপ ইন্টারেস্টিং লাগল। খেতে ইচ্ছা করছে। বাসায় গিয়ে রসুন পোড়া ট্রাই দিব।
গুরু, রসুন পোড়া আমার মাথায়ও হিট খাইছে!
অসাধারন পোষ্ট। পোষ্টে এখনো মীর আসে নাই। সব একাই খাইয়া সাব্বাড় করে ফেলবে। আমার ভাল লেগেছে রসুনের ও ধনিয়া পাতার চপ! এখন মনে হচ্ছে, যে কোন কিছু (!ডিমের না) দিয়েই চপ বানানো যেতে পারে।
রসুনের চপের দামটা একটু জানতে চাই, পার পিস, পার হালি! (আমি আবার রসুন, কাঁচা পেঁয়াজ ভক্ত)
পুস্টে গভীর মাইনাস। সবাই খালি ছবি দেয়

আহা, একদিন সবকিছু গল্প ও ছবি হয়ে যায়!
রসুনের চপ মিস করছি রাজশাহীতে গিয়েও। সেদিন হরতাল ছিলো বলে।
ভাই কি অবস্থা, কুথায়?
মন্তব্য করুন