মানুষ'এর ব্লগ
দি লাস্ট বেঞ্চার
ইস্কুল জিনিসটাকে আমি দুই চক্ষে দেখতে পারি না। না পারার যথেষ্ট কারণও আছে। জীবনে পয়লাবার যেদিন ইস্কুলে গেছিলাম খোদাতালা তার আগের দিন রাতে শয়তানি করে রেখেছিলেন। নতুন জামা জুতা পরিধান পূর্বক স্ব গর্বে যেইনা স্কুলের সীমানায় পদযুগল রাখলাম ওমনি কাদায় পিছলে ধপাস। এখনো মনে আছে চারিদিকে পোলাপানের সেই হাস্য কলরব। বহু চেষ্টা করেও সেদিন হৃদয়ের রুদ্ধ আবেগটাকে বেঁধে রাখতে পারিনি। নিজের অজান্তেই বেরিয়ে এসেছিল দু-ফোঁটা অশ্রু, সোজা বাংলায় যাকে বলে ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলেছিলাম। পরে স্কুলের আয়া উনাকে আমরা বুবু ডাকতাম আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে গেলেন। মেলা আদর টাদর করে ধুয়ে মুছে ক্লাসে পাঠালেন। সেই কবেকার কথা, চেহারাটা ভুলে গেছি অথচ মমতাটুকু আজও মনে আছে। এরপর প্রথম কয়েক দিন প্রথম বেঞ্চে বসে ভাল ছাত্র সাজার প্রাণান্ত চেষ্টা চালালাম। দুই দিনের বুঝে গেলাম ইহা আমার দ্বারা হবে না। পড়া আমার মাথায় কিছুতেই ঢুকে না, যদিও বা কো
ছিঁড়ে ফেলা চিরকুটের খানিকটা
...............অনেকদিন হল আমাদের মুখোমুখি বসা হয় না। এইটুকুতো সময় অথচ কি আশ্চর্য কতটা আলোকবর্ষ পার করে ফেলেছি। সেই সব চায়ের পেয়ালায় তোমার ঠোঁটের দাগ মুছে দেবার দিন কি অদ্ভুত সাদাকালো দেখায় এখন। জড়িয়ে ধরা শক্ত বাঁধনে আমার পাঁজরে তোমার হৃৎপিণ্ডের ধুকপুক ......। পৃথিবী থেমে যাবার অনুভূতিটা কেমন যেন স্বপ্ন স্বপ্ন মনে হয়। আদৌ কি হয়েছিল সে সব? আবছায়া ......
কার কি ক্ষতি ছিল আমরা এখনও হাত ধরে রাখলে। অথচ দেখো খামোখাই এইসব প্রান্তরে একলা একলা হোঁচট খেয়ে পড়ে থাকা। কি আশ্চর্য অপচয় ...... শেষটাইতো আমাদেরকে আমাদের কাছেই ফিরতে হবে। খুব জানি, এই সব দিকভ্রান্ত পথের শেষে, সীমান্তে আমরাই শুধু আমাদের জন্য অপেক্ষায় থাকব .......
ইভ টিজিং নিয়া একখণ্ড ক্যাচাল
ফেসবুকে আমার এক কবি বন্ধু আছে। যদিও উনার কবিতা পড়ি নাই তবে আজিজে উনার বই পাওয়া যাচ্ছে এই সংক্রান্ত তথ্য পেয়েছি অনেকবার উক্ত কবির কাছ থেকেই। তো আমার সেই কবি বন্ধু গতকাল একখানা স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন, 'Eve teasing' নামের ক্যাপসুলটিকে পাবলিককে খুব ভালোভাবে গেলাতে পেরেছে বঙ্গমিডিয়া !। এমনিতে আজকাল ভাল মানুষ হয়ে গেছি। কারো সাথে কোন ক্যাচালে জড়াই না, ব্লগ টগ লিখি না। শুধু অফ লাইনে চুপচাপ বসে এইটা ঐটা ঘাঁটাঘাঁটি করি। কবি বন্ধুর স্ট্যাটাস দেখে খানিক ক্যাচাল করতে ইচ্ছা করল। এই পোষ্টখানাতে ঐ ক্যাচালটাকেই প্যাঁচাইয়া চুইংগামের মতো ব্লগে টেনে নিয়ে আসলাম। যদিও ইভ টিজিং ইস্যুটাকে পত্রিকাওয়ালাদের বাণিজ্যিকীকরণ সংক্রান্ত মতবাদের সাথে আমার দ্বিমত নাই তবে মৃত্যুগুলাতো আর অবস্তব না আর সেই খবর ছেপে পত্রিকাওয়ালারা দুইটা পয়সা কামালেও গণসচেতনতাটাতো কিছুটা হলেও বাড়ছে। তাছাড়া আলোচ্য ক্যাচালে বহু টিন-
একখানা পলিটিকাল কোবতে
লিডার আমায় শিক্ষা দিল
ক্যাডার হতে ভাইরে
বোমাবাজির মন্ত্র আমি
নেতার কাছে পাইরে
মান্ত্রী শিখায় তাহার সমান-
ক্ষমতা নাই; করতে প্রমান
হাটের মাঠের দখলদারি
পুরোটা তাই চাইরে
গড ফাদারে মন্ত্রণা দেন
তাহার তেজে জ্বলতে
চাঁদে চাঁদে হেসে হেসে
চাঁদার কথা বলতে
ইঙ্গিতে তার করি মার্ডার
প্রয়োজনে ক্রস দা বর্ডার
ইন্ডিয়াতে পিন্ডিখানা
চটকে ফিরি ভোটতে
দেশের নেতা, দশের নেতা
আমি তাদের ছাত্র
বিষাক্ত মানুষের মৃত্যুতে মোদের দু-ফোঁটা অশ্রুপাত
হে মুমূর্ষু,
তব দখিন বাতায়নে আজি সমীরণের মৃদু সঞ্চালন। ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, হোক এ ঘোর বরষা, তথাপি তুমি বসন্ত বিলাপে মত্ত। সর্বাঙ্গে টারমারিক মাখিয়া সর্বদন্ত বিকশিত রাখিয়াছ তুমি। আসন্ন ফুলশয্যার সুখস্বপ্নে তুমি মগ্ন।
হে বেকুব,
আমার ক্রমশ বাবা হয়ে ওঠা
মানুষ হিসাবে আমি স্বার্থপর। নিজের জন্ম তারিখটা ছাড়া অন্য কারো জন্মদিনের কথা মনে রাখি না। মনে না রাখাটাকে স্মৃতির দুর্বলতা হিসাবে চালাইয়া দিই। আসল কথা মনে রাখতে চাই না। মনে রাখতে না চাওয়াটা এখন এমন অভ্যসে পরিনত হইছে যে আজকাল চাইলেও মনে রাখতে পারি না। এইসব মা, বাবা, ভালবাসার দিন পাশ কাটাইয়া চইলা যায় তবু ছুঁইয়া যায় না। বাবা দিবসটাও পাশ কাটাইয়া চইলা গেছে অথচ বাবারে নিয়া কিছু লেখা হইল না। বড়ই অকৃতজ্
বদনগ্রন্থ ইস্যু - একটি ব্যক্তিগত ক্ষমা প্রার্থনা
পয়লা খুব রাগ হইতেছিল। পাকি'রা যখন বদনগ্রন্থ ব্যান কইরা দিল, খুব এক চোট হাসি দিছিলাম। কিন্তু আমার মুখের হাসি মুখ হইতে মিলাইয়া যাবার আগেই দেখি আমার নিজের দেশের বুদ্ধিমান সরকারও একই কাম করছে। বেজায় অপমান বোধ হইতেছিল। শেখ হাসিনার বাপ শেখ মুজিব না হইলে হয়ত উনার চৌদ্দ গুষ্টি নিয়া গালাগালিও দিতাম, খালি শেখ মুজিবের জন্য পুরা বংশ রক্ষা পাইল। আহা কত রঙীন রঙীন বালিকার কত রাঙানো ফটুক, কত রঞ্জিত বাক্যালাপ সব ব
আরও একটি প্রেমের কবিতা
তাই নিঃশ্বাসের সাথে নিকোটিন মিশিয়ে
সে যখন প্রকৃতিতে দুষন ডেকে আনলো
তখনও নিশ্চুপ ছিলাম।
আমি নিরবতায় অভ্যস্ত।
এই যে এক খন্ড কাপড় দেখছো লাল সবুজের
সেখানে আমার হৃদয় মিশিয়ে রাখিনি।
এই যে স্মৃতির মিনারে সহস্র ফুলের বর্ষা দেখছো
সেখানে আমি বৃষ্টি ঝরাইনি।
মন আমার প্রেয়সির আঁচলে বাঁধা
আর তাই সাড়ে সাত হাজার বর্গমাইল
বুটের আঘাতে বিক্ষত হলে
আমি বিদ্রোহী হয়ে উঠিনি।
আবজাব
প্রিয় ঈশ্বর
বহুদিন তোমাকে ডাকি না। এইসব বয়ে চলা জীবনের ব্যস্ততায় পাশের মানুষটির মৃতদেহ মাড়িয়ে চলে যাই, পিছন ফিরে একটু দীর্ঘশ্বাস ফেলার সময় মেলে না। আর তুমিতো রয়েছো কত দূরে, সাত আকাশের ওপাশের অদেখা স্বর্গে, যেখানে আমাদেরও থাকার কথা ছিল, যেখান থেকে আমাদের তাড়িয়ে দিয়েছ।
সেই কচি মেয়েটি এবং আমি
ভূমিকাঃ-
তাকে ভালবাসতে আমার কোন দিবস লাগে না
আরও একটা দিবস চলে গেল। বিশেষ দিবস। মা দিবস। ফেসবুকের পাতায় পাতায় মা'কে শুভেচ্ছা জানিয়ে হাজার হাজার স্ট্যাটাস ম্যাসেজ সবার, পেপার-পত্রিকায় বিশেষ সম্পাদকীয়, রেডিও-টিভিতে এটা সেটা অনুষ্ঠান, কর্পোরেটদের চোখে পানি নিয়ে আসা সব বিজ্ঞাপনের সাথে কম খরচে কিভাবে জননীর মুখে হাসি ফোটান যায় সেই টিপস। সবই চোখে পড়ল। মা দিবস শেষ হয়ে গেল, এবার এইসব স্ট্যাটাস ম্যাসেজ মুছে যাবে। সম্পাদকগণ তাঁদের মোটা কাঁচের চশমা
সর্বসত্ব সংরক্ষিত
পুরনো বাক্স ঘাঁটাঘাঁটি যদি করো, এখনও আচমকা
দু-একটা নীল খাম বেরিয়ে পড়তে পারে।
গোটা গোটা অক্ষরে ভুল বানানের ভালবাসা
রাখা না রাখার দ্বন্দ্ব।
অব্যবহৃত হলদে পাতার বইয়ের ভাঁজে এক আধটা
মৃত রুক্ষ গোলপের অবাঞ্ছিত উপস্থিতি কিছু বিচিত্র নয়;
বহু আগের ছুঁড়ে ফেলা অসমাপ্ত কাজের ইতি।
দু-একটা ফেলনা উপহার, যা না রাখলেও চলে।
চলে যেতে পারে জঞ্জালের বাক্সে
শতেক কবিতার শবযাত্রা।
নাহ,
নেক্সাস ওয়ানে বাংলা- ক্যামনে কি?
এই পোষ্ট যদি আপনারা কেউ না পড়েন তাইলে কোন কথা নাই। আর যদি পড়েন তাইলে দুইটা কথা আছে। প্রথম এবং সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ কথা হইতেছে, আমি টেকি কেউ না। সুতরাং আমার উপদেশ অমৃতবচন মনে করিয়া কেউ যদি বিপদে পড়েন তাইলে আমি দায়ি থাকিব না। এবং দ্বিতীয় কথাটা হইতেছে এইসব আকাম কুকাম করলে আপনার নেক্সাস ওয়ানের ওয়ারেন্টি ভয়েড হইয়া যাইবে; অতএব সাধু সাবধান। তাইলে আসেন বিসমিল্লাহ বইলা শুরু করি। চাইলে দুই রাকাত নফল নামাজও পড়তে পারেন। সাবধানের মার নাই।
শীতঘুম
শুনেছি তুমি নাকি এখনো অপেক্ষায় থাক?
পৌষ-ফাগুনের পালা আসে ঘুরে ফিরে।
কার্তিকের নবান্ন ফুরিয়ে গেলেও,
ঘাস-ফড়িঙের রঙিন ডানায়, এইসব বখাটে রাতে
শুনেছি এখনো নাকি স্বপ্ন সেলাই করো।
এখানে সকলে শীতঘুমে।
মধ্যবয়েসী মনে জমেছে মেদ।
না জেগে বাঁচার আচ্ছন্নতায়
এক জীবন পেরুবে তারা।
শুনেছি তুমি ঘুমুতে পারোনি।
এইসব পালাগান ফুরিয়েছে,
কবিয়াল নিয়েছে বিদায়,
ডানা ভাঙা ঘাসফড়িং চিত হয়ে মরে আছে ঘাসে,