ইউজার লগইন

মানুষ'এর ব্লগ

স্মৃতি বড় উচ্ছৃঙ্খল - পূর্ণেন্দু পত্রী

পুরনো পকেট থেকে উঠে এল কবেকার শুকনো গোলাপ |
কবেকার ? কার দেওয়া ? কোন্ মাসে ? বসন্তে না শীতে ?
গোলাপের মৃতদেহে তার পাঠযোগ্য স্মৃতিচিহ্ন নেই |

স্মৃতি কি আমারও আছে ? স্মৃতি কি গুছিয়ে রাখা আছে
বইয়ের তাকের মত, লং প্লেইং রেকর্ড-ক্যাসেটে
যে-রকম সুসংবদ্ধ নথীভুক্ত থাকে গান, আলাপচারীতা ?

আমার স্মৃতিরা বড় উচ্ছৃঙ্খল, দমকা হাওয়া যেন
লুকোচুরি, ভাঙাভাঙি, ওলোটপালটে মহাখুশি

ভাষা হোক উন্মুক্ত

কোথা থেকে শুরু করব বুঝতে পারছি না। পৃথিবীর সব অনুভূতি শুধু রাগ, ক্রোধ, ঘৃণা অথবা ভালবাসার মাপকাঠির সীমানায় বাঁধা থাকে না। এর বাইরে যে অসীমতা রয়েছে সে সব কি ভাবে লিখতে হয় আমি জানি না।

র‌্যাব (একটি পাইরেটেড ছোট গল্প)

আমি র‌্যাবের কর্মকর্তা। আমার ওষ্ঠ্যে একটিমাত্রই ডায়লগ ছিল- ধর তক্তা মার পেরেক। ইতিপূর্বে আমি টেলিভিশনে একান্নবর্তী নাটাকখানা অবলোকন করিতাম। কিন্তু আমার স্ত্রী গুলশান এভিনিউ নাটকখানা অত্যাধিক ভালবাসে বিধায় এখন আমার আর উহা অবলোকন করা হয় না। র‌্যাবের কর্মকর্তা হইলেও শ্বশুরালয়ের আশ্রয়ে থাকিয়া স্ত্রীর সহিত কলহ করিবার দুঃসাহস আমার নাই।

আমার নববর্ষ উদযাপন

পৃথিবীর তাবত বাঙালীর মতো আমিও বাংলা দিনপঞ্জিকার ধার ধারি না। তবে কিনা পহেলা বৈশাখ আসলে আর সবার মতো আমার মনেও বসন্তের মৃদু সমীরন বইতে শুরু করে। এইখানে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, ভরা বৈশাখে কেন বাসন্তী সমীরন?

আবজাব-৬

আমি বারবারই ভাবি মৃত্যু কি? আত্মার প্রস্থান নাকি, শরীরের অনুপস্থিতি। বারবারই দ্বিধান্বিত হই।

আবজাব-৫

শৈশব পার হইছি কোন জন্মে, কৈশোরও গেছে গিয়া, যৌবন ভাটির দিকে ধাবিত হইতেছে। এইভাবে দেখতে দেখতে কবে দেখব যে আজরাইল স্ব-শরীরে চউক্ষের সামনে হাজির হইছে, তার ঠিক পিছনেই মৃত আত্মীয়-স্বজন হাত তুইলা ডাকতেছে, "ওরে মানু বুখে আয়"; অতঃপর অক্ষিগোলক হইতে চক্ষু-যুগল অর্ধেক বাহির কইরা পপাতচ এন্ড মমারচ। বুঝি সবই, তারপরেও কেন জানি মনজঙ্গল হইতে শৈশবের হনুমানটারে কিছুতেই বিদায় করতে পারি না। মানুষ আর গরুর মাঝখানে বুঝি এ

আবজাব-৪

ইদানিং কেমন জানি বড়ই অধৈর্য এবং আইলস্যা হইয়া গেছি। লাইব্রেরী হইতে সেইদিন বিদিশার "শত্রুর সঙ্গে বসবাস" বইখানা ধার করলাম, এক মাস পর ফেরত দিতে হবে। পনের দিন পার হইয়া গেছে অথচ মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ শেষ করছি। সাথে আরেকটা বইও নিছিলাম নবকুমার সামথিং-এর পঞ্চাশটা গল্প, তার মধ্যে মাত্র একটা পড়া হইছে। মাথার মধ্যে একখান গদ্য এন্ড একখানা পদ্য ঘুরা-ফিরা করতেছে আইলসামির জন্য সেইগুলারও প্রসব হইতেছে না। বিছানা-বা

আবজাব-৩

বলি নাই অপেক্ষায় থাকো।

এই সব হেমন্তের ধান কাটা শেষে
নবান্নের উৎসবে যাব।
তারপর  শীতঘুম।

অতঃপর ঘুম শেষে খামোখায় বাতাসে তোমার ঘ্রাণ খুঁজি।

আমি কোথাও যাবো না

ইংরেজী গান তেমন শুনি না তার কারণ সম্ভবত আজকাল `পাছা আমার সত্যবাদী` টাইপ গান বের হবার জন্য। এইসব গানের কোন অন্তর্নিহিত তাৎপর্য থাকলেও থাকতে পারে সে সব আমার বোধগম্য নয়। যায় হোক গত সপ্তাহান্তে ইউটিউব ঘুরতে ঘুরতে এক ইসরায়েলি শিল্পীর ইংরেজী গান শুনলাম। গানটা ভাল লেগেছে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

This is why I always wonder
I'm a pond full of regrets

তাকে ভালবাসতে আমার কোন দিবস লাগে না

মেলা বছর আমরা দুই ভাই এক সাথে ছিলাম। আমার জন্মের প্রায় তিন বছর পর যখন আমার ভাই জন্মাইল, মায়ের কোল আমি হইতে বিচ্ছিন্ন হইলাম। রাতে মায়ের পিঠ ধইরা ঘুমানোর সময় বিরাট হিংসা বুকে নিয়া ঘুমাইতাম। তারপর কিভাবে জানি হিংসা ভালবাসা হইয়া গেল। ভাই হইল খেলার সাথি। আমাদের মেলা উদ্ভট উদ্ভট খেলা ছিল। একটা খেলা ছিল ইয়ো মামা অনুকরণে। আমাদের দুইজনের মা একই ব্যক্তি হওয়ায় ময়েরে টানতামনা বটে তবে সুরে সুরে পরস্পরকে হিউমিল

একখানা ভদ্রলোকের কবিতা, কবিতার নাম বালিশ

নিঃস্বঙ্গ শয্যার মম একমাত্র সাথি
হে মোর বালিশ! সেই যুবাদল বিশাদে কাটায় যারা রাতি
বধুহীন নিদ্রাহীন অশান্তির ঘরে;
তোমারে সৃজিল প্রভূ তাহাদের তরে;
যাতে তারা সহজেই সব কষ্ট যেতে পারে ভূলি'
এবং করিতে পারে তব সাথে হর্ষে কোলাকূলি!!!!

কিসের বা কষ্ট তাহে, কিসের বিষাদ
যদিও এ ওষ্ঠ মম না পারিল নিতে কোন সূন্দরীর অধরের স্বাদ
নাহি তাতে খেদ মোর, তাহা লাগি এতটুকু দুঃখ না করি;

আবজাব-২

আমার আব্বা ....

আবজাব

মানব জীবনের সব চাইতে বড় ট্রাজেডি হইতেছে, এইখানে নুন আর পান্তার কম্বিনেশন কিছুতেই হয় না। যদি প্রেমিকা থাকে তো চাকরী নাই। আবার চাকরী হইতে হইতে দেখা যাইবে প্রেমিকা হাওয়া। বাড়ী থাকলে বিছানা নাই, বিছানা থাকলেও দেখা যাইবে সেইটা সিঙ্গেল। যদিবা নানান পরিকল্পনা করার পর একখানা ডবল বিছানা কিনেন তাইলে আবার দেখা যাইবে বউ নাই। আর যদি বউ আসে তাইলেতো সবই গেল। মোদ্দা কথা কালের বিবর্তনে মানব জাতি ল্যাজ বিসর্জন দিলে

ব্যর্থ জেমস ক্যামেরুন; ব্যর্থ অবতার !

কবি বলেছিলেন, "মনে বড় আশা ছিল যাব মদিনায়"। কবিদের আমলে মদিনায় যাওয়াটা একটা ইস্টাইল ছিল। হালে বঙ্গ সন্তানেরা যেরুপে ইউরোপ আমেরিকা'কে ফলো মারতে গিয়ে কাছা খোলা প্যান্ট পরে আর ইউরোপ-আমেরিকা ভ্রমনের স্বপ্ন দেখে ঠিক সেরুপে কবিদের আমলে মদিনায় হিজরত করাটা ছিল ইস্টাইল। বর্তমানের বঙ্গ সন্তানদিগের ইংলিশ বলাটা যেমন ইস্মার্টনেস, সেরকম কবিদের আমলে আরবি ফারসী বলাটা ছিল ইস্মার্টনেস। সুতরাং কবির মদিনায় যেতে চাওয়াট

প্রলাপ

এই ব্লগটা আমাকে লিখতে হবে খুব দ্রুত, হাতে সময় আছে আধঘন্টা। আধঘন্টা
খাবারের সময়। ভয়াবহ ক্ষুধা পেয়েছে, পেটে নয় মনে। বহুদিন ব্লগ লিখি না। আজ
নাহয় মনের ক্ষুধা মেটাই।

এক একটা দিন যেন এক একটা জীবনের ক্ষুদ্র
সংস্করণ। কত সংকীর্ণ সময়ে কত বিশাল দায় ফুরানোর বৃথা চেষ্টা। সব কিছু কেমন
জানি অগোছালো লাগে। ঘরের কোণ থেকে শুরু করে মগজের খুপরী, সবটাই এলোমেলো
.....