আমার বুড়ো বাবা - ঋহান ও আমি
হঠাৎ মনে সন্দেহ হলো, “সম্ভবত আমার ভেতরে আরেকটা অস্তিত্বের জন্ম হয়েছে”। যেদিন আমার সন্দেহটা যাচাই করতে গেলাম তখন আমার গর্ভে ঋহানের বয়স ৬ সপ্তাহ। ডাক্তার সাহেব উনার বিশেষ যন্ত্র দিয়ে আমাকে দেখালেন একটা ছোট্ট মাংস পিন্ড, শোনালেন তার হৃদ স্পন্দন। ক্ষনিকের জন্য কিছুই বিশ্বাস হলো না।
"মা"?
সেদিন থেকে শুরু হলো মা হিসেবে আমার দিন গননা। ডাক্তার তারিখ দিয়েছিলো ২৭শে জুলাই ২০১০। তার ঠিক ২দিন আগে ২৫শে জুলাই ২০১০, রাত ২:৪০ মিনিটে আমি প্রথম টের পেলাম যে ঋহান আজই চলে আসবে। রাত বেশি হওয়াতে কাউকে ডাকলাম না। ভোর ৫টায় আমার বোন (সে একজন ডাক্তার) কে বললাম। ব্যাথা সহনীয় পর্যায়ে থাকায় কিছুক্ষন অপেক্ষা করে সকাল ৮টায় আমাকে নিয়ে হাস্পাতালে রওয়ানা হল আমার বোন আর মা।
ঋহান এলো। ২৫শে জুলাই ২০১০, বেলা ১২:১০ ঘটিকায়। “ওর প্রথম কেঁদে ওঠা” আমিও নিজের অজান্তে ওর সাথে সাথে কেঁদে দিয়েছিলাম। সব মা-ই মনে হয় ঐ সময়টাতে কেঁদে দেয়। না, ঐ কান্না কষ্টের না, খুশির কান্না।
ঋহান জন্মের সময় over weighted ছিলো বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একজন শিশু বিশেষজ্ঞ কে ডেকে পাঠালো। উনি এসে বললেন, ঋহান’কে ICU তে নেয়া লাগবে। জন্মের সময় ওর একটু সমস্যা হয়েছে যাকে বলে, মিউকোনিয়াম এস্পিরেশন। ওরা নিয়ে গেলো আমার ঋহান কে, অন্য একটা হাসপাতালে। আমাকে নিলো আরো ৩দিন পর। আমি ৩দিন পর দেখলাম আমার ছোট্ট ঋহান’কে। তারপর একে একে ৭টা দিন ওকে নিয়ে হাসপাতাল থাকার পর বাসায় ফিরলাম।
কিন্তু, আমার কপাল যে এত মন্দ জানা ছিলো না তখনো। ১৪দিন যেতে না যেতে আবার ঋহাঙ্কে নিয়ে যেতে হলো ICUতে। নিউমোনিয়া হয়ে গেলো আমার ছোট্ট জান’টার। আবার ৫দিন।।সেই ৫টা দিন মনে হয় আমার জীবনের এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ ৫দিন ছিলো।প্রথম ২দিন, ঋহানকে খাওয়ানোর জন্য প্রতিদিন সকাল ৮টায় হাসপাতাল যেতাম আর ফিরতাম রাত ১টা-২টা’য়। এভাবে ২দিন যাওয়ার পর আমাকে ওরা কেবিন দিলো, সাথে ঋহানকে কেবিনে শিফট করলো।তখন রোজা’র মাস, ইফতারের ১ঘন্টা আগে থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ঋহানকে নিয়ে একা বসে থাকতাম। আমি একা দেখে নার্সরা এসে গল্প করতো আমার সাথে।
যাইহোক, ফিরলাম বাসায় ৫দিন পর। কিন্তু তারপরেও আমার কপালের দুর্ভোগ শেষ হলো না। ঋহান ভুক্তভোগী হলো ইনফেন্টাল কলিক নামক এক অদ্ভুত সমস্যার। সন্ধ্যা হলেই ঋহান কান্না শুরু করতো, রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত অনবরত কাঁদতো। ডাক্তার বললো, এই সমস্যার কোন সমাধান কোন ডাক্তার দিতে পারবে না, ঋহানের বয়স ৩মাস হলে ওটা আস্তে আস্তে কমে যাবে। কাঁদলো আমার ঋহান ৩মাস। আর ওর কান্না, ওর কষ্ট আমাকে ফেলল পোস্টপারটাম ব্লুস নামক এক মানসিক সমস্যায়। “সদ্য মা” হওয়া অনেক মেয়েদেরই এই সমস্যা হয়ে থাকে। কিন্তু কয়জন সেটা সম্পর্কে ধারনা রাখে তা আমার জানা নেই। ঐ সমস্যা চলাকালীন আমি ঋহান’কে নিয়ে সবসময় খুব ভয় পেতাম। মনেহতো কেউ ওকে আমার কাছ থেকে নিয়ে যাবে, কেউ ওর ক্ষতি করে ফেলবে। ভয়, কষ্ট, নির্ঘুম রাত্রি, অস্থিরতা এইসব নিয়ে আমি যে কত কেঁদেছি, আমি জানি! এই কান্নাটাও যে সেই পোস্টপারটাম ব্লুস এর একটা অংশ সেটা আমি বুঝেছি অনেক পরে। কিন্তু বুঝেও কোন লাভ হয়নি। কারন, এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার উপায় গুলোর অন্যতম উপায় ছিলো, “আপনজনের সাহায্য, আপনজনের মেন্টাল সাপোর্ট” কিন্তু কপাল যে আমার আসলেই মন্দ। অনেক চেষ্টা করেও কাউকে বুঝাতেই পারলাম না কেন আমি এত কষ্ট পাই, কেন আমি এত কাঁদি। আমার জীবনের সবচেয়ে প্রয়োজনের সময় কেউ বুঝেনি আমাকে, কেউ না!
ICU তে ঋহান
ঋহানের দ্বিতীয় মাস
ঋহানের তৃতীয় মাস
ঋহানের চতুর্থ মাস
ঋহানের পঞ্চম মাস
ঋহানের ষষ্ট মাস
গোসল করানোর সময় কি যে খুশি হয় দুষ্টুটা
আজকের ঋহান
ঋহান সবার সাথে নাগ কচ্চে
No amount of gold could ever compare, to the gift of love that my son shares.
He gives reason to get through another day.
Maybe it's how he loves me in his special little way.
And when it gets hard for me to sleep at night..
He wraps his little arms around me and says God will make things right!
From sweet gentle touches to his bear hugs and a kiss..
He makes this hell on earth seem more like a peaceful bliss.
That great big kool-aid smile and the twinkle in his eyes..
Every time I look at him it makes me want to cry.
But they're not tears of sorrow; they're tears of pride and joy..
To know that all the love in heaven is wrapped around my little boy.
কাল, ২৫শে জানুয়ারি ২০১১, আমার ঋহান, আমার বুড়ো বাবাটা তার অর্ধ বছর পূর্ন করবে। আমার প্রার্থনা, সবার দোয়া আর রাব্বুল আল-আমীন এর অশেষ রহমতে আজ আমার ঋহান সম্পূর্ন সুস্থ। আমিও।
জানি এই শহরে, এই দেশে, এই দুনিয়ায় আমার মত ভুক্তভোগী আরো অনেক মেয়ে আছে, যাদের মাঝে কেউ নিজেদের সমস্যা গুলো বুঝেও না, আর কেউ বুঝতে পেরেও নিজের সঙ্গী’কে, নিজের আপনজন কে বুঝাতে পারেনা। তাও আমি দোয়া করি, কেউ যেন এরকম ভুক্তভোগী না হয়। এমন একদিন যেন আসে যখন মানুষ তার সেই “সদ্য মা” হওয়া মেয়ে/ বোন/ স্ত্রী’কে সর্ব প্রকার সাহায্য করে। কারন, জীবনের ঐ মূহুর্তে নিজের আপনজন-ই যদি না বুঝে তাহলে জীবনটা দোজখ হয়ে যায়!
ঋহানকে দেখে লোভ হচ্ছে আপার ছোট আপা।
যাই বউয়ের সাথে আলাপ করি...........
প্রথম লাইনের অর্থ বুঝলাম না ভাইয়া।
ওহহ। এইটা হবে.....
ঋহানকে দেখে লোভ হচ্ছে আমার ছোট আপা।
"ছেলে হোক, মেয়ে হোক সু-সন্তান একটিই যথেষ্ট"
আর আপনার তো অলরেডি বোনাস একটা আছেই। তাইলে আবার কিসের কথা ভাবী'র সাথে?
কিছু কইলেই এখন এর্টাক হমু! তাই চুপচাপ পড়ে গেলাম।
"ছেলে হোক, মেয়ে হোক সু-সন্তান একটিই যথেষ্ট" সহমত পোষন করি!
বাসায় ছোট বাচ্চা দেখতে ভাল লাগে যে
তাই বইল্যা প্রতি বছর বাবা হপেন!!
পারি তো চাইলে
তরিকাটা গুরু আর তার শিষ্যরে যদি এট্টু শিখাইতেন
শিষ্যা লাগবে
খুক খুক
ছোট বাচ্চা দেখতে ভালো লাগলে আপনার এই একমাত্র ছোট বোনের বাসায় প্রতিদিন আইসেন, তাও ভাবী'র সাথে আর আলাপ এর চিন্তা কইরেন না
আচ্ছা নাজ। চাইলেও তো সম্ভব না। বড় করা একটা ব্যাপার। আরও বাচ্চা নেওয়ার আর্থিক সঙ্গতি নাই। থাকলে ভাবতাম
যাক, আলাপের ভূত'টা নামাতে পারসি তাইলে
ঋহানঃ কৈ মামা, কবে আসবা আমার সাথে দেখা করতে?
ফুপ্পিরাও ঋহানকে দেখতে চায়। ফুপ্পিদের যেতে বলবে না ঋহান?
আসে না তো কেউ-ই। কি বলবে বেচারা?
আমাকে দেখেই সারাক্ষন খুশি হয় সে.....
আমি মনে হয় সুন্দর কিছু লিখা ভুলেই গেছি!
ঋহানকে দেখে খুশি হলাম, আপা। মাসের ছবি মাসে চাই।
(তবে আমার একটা উপদেশ (!) ছিল, ছবি বেশী তুলেন ভাল কথা তবে চোখের সামনে থেকে বেশী বেশী ফ্লাশ যেন মারা না হয়! ফ্লাশের আলো চোখের সমস্যা করে। ক্যামেরা, মোবাইল [আজকালকার মোবাইলের ফ্লাশে আমিও চোখে আন্দার দেখি, ক্লোজআপ করতে মোবাইল্গ্রাফারা অনেক সামনে চলে আসেন] থেকে ফ্লাশ ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজনে ছবি তুলতে ওকে আলোতে নিয়ে যাবেন কিংবা বাতি বাড়িয়ে/জ্বালিয়ে দেবেন।
বুঝাতে পারলাম কিনা কে জানে! বিশেষজ্ঞরা আবার আমাকে এর্টাক করবে না তো! কথাটা আমাদের একজন ডাঃ বলেছেন (ডাঃ বিকাশ), তিনি ডাক্তারির পাশাপাশি সৌখিন ফটোগ্রাফার।)
অবশেষে মা-ছেলে দুজনেই সুস্থ আছে-- এটাই বড় খবর।
ঋহানের জন্য অনেক দোয়া রইলো। এখন রাজপুত্র হামাগুড়ি দেয়া শুরু করবে, নাজ মন খারাপ করার সময়ই পাবে না
আমি যে মানসিক সমস্যা'য় পরেছিলাম, আমার দেয়া লিঙ্কটা পড়ে থাকলে দেখবেন, ঐ সমস্যায় ৮০% "নতুন মা" ই পরে। ব্যাপারটা খুবই কমন। কিন্তু, সমস্যা হচ্ছে অনেকেই সেটা বুঝতে চায় না। আমার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। কি যে দিন পার করেছি তখন
ঐসব দিনের কথা মনে পরলে এখনো শিউরে উঠি!
অনেক ঝড়-ঝাপটার পরে এই সুন্দর দিনগুলো কে পেয়েছি আপু।
দোয়া করবেন আমার ঋহানের জন্য..
নতুন বাবা হবার পরও কিন্তু বাবাদের মানসিক সমস্যা হয়, এটা আমরা অনেকেই জানি না।
আগে জানতাম না, পড়ে জেনেছি। এটা ছাড়াও এরকম আরো অনেক মানসিক সমস্যা'য় পরে নতুন মামা/বাবা'রা।(তবে মা'য়েদের সংখাটাই বেশি)। এগুলো থেকে বের হবার উপায় গুলোও খুব কঠিন না। কিন্তু সমস্যা হলো আমরা সহজ জিনিস বুঝতে চাইনা।
এধরণের পেশেন্ট দেখেছি। তাদের দু্একজন কিছু দুর্ঘটনাও ঘটিয়ে ফেলেছে। সেজন্যই স্বস্তি পেয়েছি আপনার আর ঋহানের সুস্থতার খবর জেনে। ভালো থাকুন সব সময়।
নাড়ি ছেঁড়ার সমটায় মনে হয় বেশি মিস করছে ঋহান আপনারে, এইজন্য এমন অসুখ বিসুখে পড়ছে। এইজন্য একটা লাভও হৈছে, মায়ের-বাপের একদম বেশি কলিজার টুকরা হৈছে।
নাড়ি ছেড়ার দুখটা আর মিস হবেনা।
মা-বাপের আদরের পাশে আমাদেরোও অনেক আদর জমলো গুল্লুসটার জন্য।
কত কষ্ট দিছি মা-বাবা কে, তাও দুঃখ পেলে এখনো সবার আগে এই মা-বাবা'ই বুকে আগলে ধরে। তার এক মাত্র কারন হচ্ছে, "নিজের সন্তান'কে কষ্টে কাতরাতে দেখা'র চেয়ে কষ্টকর আর কিছু নাই এই দুনিয়ায়।" তাই যত রাগই থাকুক বাবা-মা সেটা ভুলে যায়।
আমার আর ঋহানের ঐ খারাপ সময়গুলো আমাকে এই জিনিস গুলো খুব ভালো ভাবে বুঝতে শিখিয়েছে।
সব শিশুই সুস্থ থাকুক!
কিউট, মেরিল, ম্যানোলা,... সব। মাশাল্লাহ, সোনামনীটার জন্য আদর। তোমার জন্য শুভ কামনা
অনেক আদর আর দোয়া আদরের পোটলা ঋহানের জন্য। সবসময় সুস্থ থাকুক জান্টুসটা।বাবা - মাকে সারাজীবন বুকে ধরে রাখুক।
বাবা হবার কাহিনী লিখতে হবে এবার
ঋহানের ষষ্ঠ মাস পূর্তিতে অনেক আদর । আমার নামের অর্ধেকটা নিয়ে যার নাম, সে যে কেন কষ্ট পায় (পুরোটা যার, কষ্ট সব তার) । সকলের সুমতি হোক ।
শুভকামনা রইলো!
বিশাল বড় মানুষ হোক. আকারে ও জ্ঞানে!
ঋহান দ্রুত বড় হয়ে উঠছে। ওর জন্য আদর আর ভালবাসা। ২২ল ভাইকে বলেছিলুম নিয়মিত এমন পোস্ট দিতে। দেয় নাই। নাজ আপু সেই ইচ্ছা পূরণ করলেন। রিয়েল থ্যংক্স।
নাজ, আমি বোধহয় বুঝতে পেরেছি। আমি অনেক অস্বাভাবিক আচরন করেছি তখন যেটা এখন বুঝতে পারি। ঋহান অনেক অসুস্থ হয়েছে তার একটা ভালো দিক হলো ইমুউনিটি গজিয়েছে, এখন আর সহসা অসুস্থ হবে না
ঋহানের জন্য অনেক অনেক অনে.......ক আদর আর দোয়া।লাভ ইউ ঋহান
লিখে রেখে ভালো করছেন। বড় হলে মায়ের লেখা পড়বে মাঝেমধ্যে
প্রথম ছবিটা দেখে কষ্ট পেলাম। শেষ তিনটা ছবি দেখে মন ভাল হল। আরো ছবি চাই।
অনেক আদর।
দারুন সব ছবি
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ঋহানের জন্য ।
অনেক কিছুই জানি না আমরা। মানে বাবারা। বাচ্চার সাথে বাচ্চার মাও কেন কাঁদে, সেটা যে একটা অসুখের ফল, জানলাম এই লেখা থেকে।
ঋহানের প্রথম ছবিটা দেখে আমার কন্যার জন্মের সময়ের কথা মনে পড়লো। ওরও একটা অপারেশান করতে হয়েছিল জন্মের দুঘন্টা পর। অপারেশান সাকসেস হয়েছে কিনা কেউ বলতে পারছে না। ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত সে কি টেনশান আর কান্না। দৃশ্যগুলো ভাবলেও শিউরে উঠি। সেরকম সময়ে আপনজনের সাপোর্টটা যে কী প্রয়োজন সেটা ভুক্তভুগীই জানে।
ঋহানসোনাটা সুন্দর বেড়ে উঠুক বাবা মার আদর উষ্ণতায়! ওর চাহনিতে দারুণ একটা ম্যাচিউরিটি। আপনার বুড়ো বাবাই এটা!
কিউটি বেবীকে অনেক আদর।
ঋহানের সুন্দর জীবন হোক।
এই যে কথাগুলি লিখে রাখছেন, দারুন কাজ করছেন। ঋহান কষ্ট করেছে ছোটবেলায় এমন বাচ্চারা নাকি প্রতিভাবান হয়।
সব্বাই'কে অনেক ধন্যবাদ..
যারা যারা ঋহানের ছবি দিয়ে আরও পোষ্ট চেয়েছেন, চেষ্টা করবো আগামী দিনগুলো'তে তাদের সেই ইচ্ছে পূরন করতে।
আমার ঋহানের জন্য সবাই দোয়া করবেন, এটাই আমার একমাত্র চাওয়া।
দোস্ত তোর লেখা খুব সুইট । সহজ আর সুন্দর লেখা । অনেক কিছু জানলাম । বিশেষ করে সদ্য মায়ের মানসিক সমস্যাটা । আমার টিয়া পাখি মামুটার জন্য অনেক অনেক অনেক আদর ।

চিন্তা করা যায় ? দিলাম মামুরে আদর ভরা কিসের ইমো । আর পরে আসলো কিনা সেক্সি ইমো !!! আজব !! কেম্নে কি !!
অসুবিধা নাই, আমি বুঝি। আমিও যে এমন ভুক্তভোগী হয়নাই, কে কয়
ঋহানের গোসলের ছবিটা অনেক বেশি সুন্দর! মাশাল্লাহ্!! মামা অনেক ভালো থাকুক!
ছোট্ট লুলটাকে আকাশের সমান আদর

বাবুটার জন্য অনেক দোয়া বৌদি।
অনেক আদর।
বড় হলে পড়বে আর ছবিগুলো দেখবে। সেটা ভাবতেই তো আমার জটিল লাগছে!
সবার এমনই ভালোবাসা আর আদরে বড় হোক আমাদের বাবা'টা
মন্তব্য করুন