হৈমন্তী (১)
কনের বাপ সবুর করিতে পারিতেন কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না। তিনি দেখিলেন মেয়েটির অবৈধ ভাবে ছাত্রী থাকিবার বয়স পার হইয়া গিয়াছে অনেক আগেই কিন্তু যৌতুকের টাকার কাছে তাহা নিতান্তই নগণ্য । এরকম যৌতুক আর কোথাও পাইবেন না ।
আমি ছিলাম বর সুতরাং বিবাহ সম্বন্ধে আমার মত যাচাই করা অনাবশ্যক ছিলো। আমার কাজ আমি করিয়াছি। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হইয়াই ইয়াবা, ফেন্সিডিল ধরিয়া সারাক্ষন নেশায় বুদ হইয়া থাকিয়া পড়ালেখা চাঙ্গে তুলিয়াছি। চার বছরের কোর্স নয় বছরেও পাশ করিতে না পারিয়া পরে এফ এ আই এল বৃত্তি পাইয়াছি । তাই প্রজাপতির দুই পক্ষ কন্যাপক্ষ ও বরপক্ষ, ঘন ঘন বিচলিত হইয়া পড়িল।
বন্ধুদের কাছে শুনিয়াছি যে একবার বিবাহ করিয়াছে তাহার আর নিস্তার নাই, জগৎ সংসার নিয়া তাহার আর উদ্বেগ থাকেনা । জীবনের সকল রস হারাইয়া তখন সে জিওগ্রাফি চ্যানেল ছাড়া আর কিছুই দেখেনা। নরমাংসের স্বাদ পাইলে মানুষের সম্বন্ধে বাঘের যে দশা হয়, বিবাহের পরেও স্ত্রীদের সেই দশা হইয়া থাকে। অবস্থা যেমনি হউক, বয়স যতই হউক টাকা পয়সার অভাবে কেনাকাটায় ব্যঘাত ঘটিলেই তাহা পূরণ করিবার জন্যে স্ত্রীগণ কোন দ্বিধা করেনা। যত দ্বিধা ও দুশ্চিন্তা সে দেখি আমাদের মতন অকর্মা ছাত্রদের ।
সত্য বলিতেছি , আমার মনে এমন বিষম উদ্বেগ জন্মে নাই কারণ জানি পিতা বহুত কামাই করিয়াছে সরকারী দল করিয়া । বরঞ্চ বিবাহের কথায় আমার মনের মধ্যে যেন দক্ষিনে হাওয়া দিতে লাগিল। খুশীতে বেশী বেশী করিয়া ডাইল খাইতে লাগিলাম। ইয়াবার জন্য অগ্রীম বুকিং দিয়া রাখিলাম।
কিন্তু এ কী করিতেছি !! ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে গিয়া গল্প উপ্যনাস লিখিয়া ফেলিলাম। কয় বৎসরের বেদনার যে মেঘ কালো হইয়া জমিয়া উঠিয়াছে , তাহাকে বৈশাখসন্ধ্যার ঝোড়ো বৃষ্টির মতো প্রবল বর্ষণে নিঃশেষ করিয়া দিব । কিন্তু পারিলাম না কাব্য লিখিতে । অভ্র ইন্সটল না করাতে বাংলিশেই লিখিতে হইলো , বাংলিশে আর কত লিখা যায়।
যাহার সঙ্গে আমার বিবাহ হইয়াছিল তাহার সত্য নামটা দিবো না কারণ ফেসবুকে অনেক কেই দেখিয়াছি ছদ্মনাম নিয়া প্রচুর ছোকড়াদের সহিত ট্যাংকি মারিয়া বেড়াইতে। ফেসবুকের ইতিহাসে তাহার নামটি লইয়া যদি আবার ছোকড়াদের মধ্যে বিবাদ লাগিয়া যায় তো আমার সাড়ে সর্বনাশ হইবে। যে তাম্রশাসনে তাহার নামটি খোদাই করা রহিয়াছে তাহা মেট্রিকের সার্টিফিকেটে।
আমার লেখায় তাহার একটা নাম চাই। আচ্ছা, তাহার নাম দিলাম শিলা। কেননা শিলা কি যাওয়ানি গানটার ভিতর কান্নাহাসি - আবেদন একাকার হইয়া আছে।
চলিবে .......................
চরম
ধন্যবাদ
দাড়ান, ছেলের গলপ খুজে আপনাকে শায়েসতা করতেছি
কালকেই পরেরটুকু দিবেন
ছেলের গল্প পড়ার অপেক্ষায় রহিলাম
চরম হইছে।
ধন্যবাদ ।
শুরুটা ফাইন

কিন্তু 'নিজের জীবনের ছায়া অবলম্বনে' কথাটা লেইখা দেওন জরুরি আছিলো
তাইলে কি লিখে দিব- মেসবাহ ভাইয়ের নিজের জীবনের ছায়া অবলম্বনে
মেসবাহ ভাইয়ের অবলম্বন ''ছায়া "

ছায়া নামটা সুন্দর
গুল্লি মারেন কেন
পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দিয়েন
এনশাল্লাহ
চালুক!!

হাসতে হাসতে কাইত হইয়া গেলুম
চলুক তাইলে ।
হৈমন্তিরে নিয়া ফান করলেন?

কিন্তু লেখা এত হাসির হইছে যে, বেশিক্ষন দুঃখ দুঃখ ভাবটা রাখতে পারলাম না
আহারে দুঃখ দুঃখ ভাব ধরে না রাখাতে আপনারে মাইনাচ ।
আল্লা গো ,,,
আল্লারে ডাকিস কেন ?
জটিল হইছে। চলুক।
তানবীরার লেখার অপেক্ষায়ও থাকলাম
ধন্যবাদ ভাইজান।
এক্কেরে জট্টিল হৈছে। পরের পর্ব কালই চাই। নাইলে আপনেরে
আপনের গুল্লির ভয়েই দিয়া দিছি পরের পর্ব ।
কই শিশির আর কই শিলা!!!!
ঠাকুর দেখলে আপনারে নির্ঘাৎ লাঠি নিয়ে তাড়া করতেন। যাক্ ভাল্লাগছে স্যটায়ার। নতুন পর্ব দেন।
হ । ঠাকুর দেখলে আমারে লাঠি নিয়া তাড়া করতেন।
রবীয় ভূত আসিতেছে আপনার ঘাড় মটকাইতে...
~
সেতো অনেক আগেই ঘাড় মটকাইয়া দিয়াছে , রবি বুড়োটা।
সেইরকম হইছে
ধইন্যা ।
দুরদান্তিস!
ধইন্যা ।
খুব ভালো লাগলো। তাড়াতাড়ি ৩য় পরব চাই
এনশাল্লাহ।
মন্তব্য করুন