ও স্বজনী ও স্বজনী
গীতিকবিতা//তুমি কেন অভিমানিনী
আহসান হাবিব
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
৩০/১২/২০২
মডিফাই /৮/৯/২০২১
ও স্বজনী ও স্বজনী,তুমি কেন অভিমানিনী-২
অভিমানের করো অবসান এসো গাও গান
এখনি হবে অবসান যামিনী।
ও স্বজনী ও স্বজনী
তুমি কেন অভিমানিনী
এহেন বেলায় বালুকা বেলায়
শ্যামসুন্দর খেলায় আপনাকে রেখেছ হেলায়
নিপবনে দেখ আসি বিহগ বাজায় বাঁশি
পুস্প কতশত আপনা আপনা মত
বাটিছে সুঘ্রাণ কাড়িতে নয়ান,
দাঁড়িয়ে আাছে,দাঁড়িয়ে আছে কামিনী
ও স্বজনী ও স্বজনী
তুমি কেন অভিমানিনী
ও স্বজনী ও স্বজনী
তুমি কেন অভিমানিনী
হৃদয় যে হিমালয় নয়তো মহাসাগড়
কতশত বন, ভরিয়া আপনা বক্ষ যখন
হিমালয় দাঁড়িয়ে আছে
সাগড়েও তখন নদী নদীতে বহমান
নিতেছে আপনা আপনা আপনা কাছে।
তোমারই এ হৃদয় সেতো হিমালয়
সেতো সাগর নয়ত মিছে অভিমানিনী
তুমি কেন অভিমানিনী।
ও স্বজনী ও স্বজনী
তুমি কেন অভিমানিনী
ও স্বজনী ও স্বজনী
তুমি কেন অভিমানিনী
তুমি এ কেমন হাল করেছ আমারে
গীতিকবিতা/ তুমি এ কেমন হাল
আহসান হাবিব
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
০৩/০৯/২০২১
তুমি এ কেমন হাল করেছ আমারে
নড়ি চড়ি ঘুরিফিরি
নড়ি চড়ি ঘুরিফিরি কুয়ারো ভিতরে।
এই কুয়োর মাঝে বসত করে
লোভ নামের এক সাপ
যতই যেতে চাই গো দুরে
ততই গিলে খায় করে অভিসম্পাত।
হিংসা অহংকার দিলটারে।
হিংসা অহংকার দিলটারে মোর খাচ্ছে কুড়ে কুড়ে
তুমি এ কেমন হাল করেছ আমারে।
নড়ি চড়ি ঘুরিফিরি
নড়ি চড়ি ঘুরিফিরি কুয়ারো ভিতরে।
আর করবো না পাপ ভালো হব
নিত্য শপথ করি
ক্ষনিকে আবার মন ঘুরে যায়
আবার পাপেই মরি
মরা বাঁচার দোলে চালে
মরা বাঁচার দোলে চালে
নৌকা আমার কখন যে এলো তীরে।
তুমি এ কেমন হাল করেছ আমারে
নড়ি চড়ি ঘুরিফিরি
নড়ি চড়ি ঘুরিফিরি কুয়ারো ভিতরে।
আমার কিসে শক্তি কিসে ভক্তি
গীতিকবিতা/ আমার কিসে শক্তি কিসে ভক্তি
আহসান হাবিব
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
৩০/০৮/২০২১
আমার কিসে শক্তি কিসে ভক্তি কিসে মানুষ কিসে অমানুষ বুঝতে নারে আমার মনে
মানুুষে মানুষে কেন এত ভেদাভেদ কেন এত ঘৃনা মানুষ মানুষের সনে।
আমার কিসে শক্তি কিসে ভক্তি কিসে মানুষ কিসে অমানুষ বুঝতে নারে আমার মনে
এক সূর্যের তাপে সবাই বাঁচে সবার আঁধার ঘুচায় একটাই চাঁদে,চাদের আলো
হিন্দু মুসলিম যত ধর্মের কারনে কেউ কাউকে বাসে না ভালো
আবার আছে কোটি নাস্তিক যাদের সম্পর্ক নাই কোন ধর্মের সনে
আমার কিসে শক্তি কিসে ভক্তি কিসে মানুষ কিসে অমানুষ বুঝতে নারে আমার মনে
কারো দেখ সাদা চামড়া কারো আবার কুচকুচে কালো
সাদা কালোর বিবাদ লেগে থাকে হয়না কভু কারো ভালো।
আবার পেশায় পেশায় উঁচু নীচু ছুতে নারে পেশার কারনে
আমার কিসে শক্তি কিসে ভক্তি কিসে মানুষ কিসে অমানুষ বুঝতে নারে আমার মনে
আল্লাহ আমি তোমার বান্দা
গীতিকবিতা/ আল্লাহ আমি তোমার বান্দা
আহসান হাবিব
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
২৮/০৮/২০২১
ওগো... আল্লাহ...
আল্লাহ আমি তোমার বান্দা শেষ নবীর উম্মত আমি গুনাহগার
আমার সিনাও চাক করে ঘুচাও আমার মনের অন্ধকার।
চর্ম চক্ষে তোমায় দেখতে নারি, দিলের আঁখি খুলি
সদা কসরত করি দেখতে তোমায় খোদা খেই হারিয়ে ফেলি
কি করে দেখবো তোমায় বলো দিল যে আমার ময়লারও ভাগাড়।
আমার সিনাও চাক করে ঘুচাও মনের অন্ধকার।
নবীর সিনা চাক করেছে বার কয়েক করিতে নিস্পাপ
হিংসা লোভ অহংকারও না ছিল তাঁহার, কাউকে করেননি অভিসম্পাত
তাঁকে আপনি করেছেন সমুন্নত,কেউ নয় তো উনার মত
তার উছিলায়,দয়াল নবীর দয়ায় পুলসিরাত হবো আমি পার।।
আমার সিনাও চাক করে ঘুচাও মনের অন্ধকার।
দুঃখ থাকবে সুখও থাকবে,জীবনে উত্থান পতন আসবে
এটা তো আপনারই কথা, তাইতো আমি ঘামাই না মাথা
কাজ থেকে যখন হইবো বিরত, মাঙবো আমার চাহিদা যত
যতই যেতে চাই গো দুরে
গীতিকবিতা/ যতই যেতে চাই দুরে
আহসান হাবিব
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
২৭/৮/২০২১
যতই যেতে চাই গো দুরে,ততই বাঁধো নতুন করে নতুন নতুন ডোরে
ছেড়েও দেও না কাছেও নেও না যাচ্ছি আমি মরমে মরে
যতই যেতে চাই গো দুরে,ততই বাঁধো নতুন করে নতুন নতুন ডোরে
এই প্রেম পীরিতি কি যে রহস্যময়, মানে না বয়স থাকেনা ডর থাকেনা ভয়।
মাটির সাথে আকাশের ভাব বৃষ্টি হয়ে হয় আবির্ভাব
তাদের মিলনে মা মাটি কেমনে সবুজে সবুজে যায় গো ভরে।
যতই যেতে চাই গো দুরে,ততই বাঁধো নতুন করে নতুন নতুন ডোরে
নদীর সাথে সাগরের পীরিত, সদাই নদী সাগড় পানে বয়
কেউ কি পারে রুখতে নদীকে সাগরে মিলন হবেই হয়।
চাইলে রবে মিলন হবেই মোদের কেউ কি কভূ রুধিত পারে।
যতই যেতে চাই গো দুরে,ততই বাঁধো নতুন করে নতুন নতুন ডোরে
তুমি ছাড়া এ জীবন মরুভূমি যেন
গীতিকবিতা/ তুমি ছাড়া এ জীবন মরুভূমি যেন
আহসান হাবিব
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
কোরানটাইন বিল্ডিং
২৬/০৮/২০২১
তুমি ছাড়া এ জীবন মরুভূমি যেন শুধু ধুধু বালুচর
তোমাতেই শুধু মন চায় হারাতে , মন চায় বাঁধি ভালোবাসার ঘর।
তুমি ছাড়া এ জীবন মরুভূমি যেন শুধু ধুধু বালুচর
সেদিন যখন গেলে চলে, দিয়ে গেলে একমুঠো স্মৃতি
বলে গেলে আসবে ফিরে, বেশীদিন থাকবে না দুরে
আজ কতদিন হয়ে গেল, নদীতে কত জল বয়ে গেল।
নিলে না খবর।
তোমাতেই শুধু মন চায় হারাতে, মন চায় বাঁধি ভালোবাসার ঘর।
তুমি বল আমি কেন এত আবেগময় এত পল্লবিত যা পুড়ায় দুজনকে
আমি তো দেখিনা আবেগ,এ যে ভালোবাসা রং যা মিটিবে না ক্ষনিকে।
ভালোবাসায় রং না এলে, মনের রংয়ে রং না রাঙালে হয় কি মনোহর
তোমাতেই শুধু মন চায় হারাতে, মন চায় বাঁধি ভালোবাসার ঘর।
আমি যারে আমি ভালোবাসি
গীতিকবিতা/ আমি যারে আমি ভালোবাসি
আহসান হাবিব
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
কোরানটাইন বিল্ডিং
২৪/০৮/২০২১
আমি যারে আমি ভালোবাসি আমার সকলি তাহার, সকলি তাহারি দান
অর্থ সম্পদ মান সন্মান বিত্ত বৈভব আমার শিক্ষা আমার জ্ঞান।
আমি যারে আমি ভালোবাসি আমার সকলি তাহার সকলি তাহারি দান।
কে সৃজিছে এই দেহটারে, কেই বা আছে মম অন্তরে
চর্ম চক্ষে দেখিতে নারে, কে কথা কয় মম অন্তরে।
আমার আমার করেছি সদা আমার আমিতে হয়েছি হয়রান।
আমি যারে আমি ভালোবাসি আমার সকলি তাহার সকলি তাহারি দান।
যেদিন বুজেছি আমি নই আমারে খুজেছি তাহারে অন্তরে বাহিরে
আকাশে পর আকাশে খুজেছি, পাতালের পর পাতালে দেখেছি
খুজেছি যত আপনা আপনা মত বুজেছি তত এখানে মম অন্তরে নহে নহে নহে তার স্থান।
আমি যারে আমি ভালোবাসি আমার সকলি তাহার সকলি তাহারি দান।
সে হয়েছিল মম সহযাত্রী, থেকেছে সাথে কটা দিন কটা রাত্রি।
তরণী না হয় তরুণী হলো
গীতিকবিতা/ তরণী না হয় তরুনী হলো,
আহসান হাবিব
হাসনাবাদ কোরানটাইন বিল্ডিং
২১/০৮/২০২১
তরণী না হয় তরুনী হলো, নৌকার জায়গায় নায়িকা হলো হতে দেনা হতে দে।
যেখানেই যাই, যাহা কিছুই করি, মন যে পড়ে থাকে তরুণীতেই রে?
তরণী না হয় তরুনী হলো, নৌকার জায়গায় নায়িকা হলো হতে দেনা হতে দে।
তোদের বোঝাবে কে, মন যে আমার হাওয়ায় হাওয়ায় ঘুরে
ওই যে নীলাকাশ তার পরে আরো আকাশ সাজানো স্তরে স্তরে
সুশোভিত এমনি, কোথাও ত্রুটি চোখে পড়েনি
পড়িবে কেমনি বানিয়েছেন যিনি মহানের মহান যে সে।
তরণী না হয় তরুনী হলো, নৌকার জায়গায় নায়িকা হলো হতে দেনা হতে দে।
চোখে যখন দেখি তরুণী, বিস্ময়ে স্তম্ভিত হতবাক হই তখনি
কত অপরূপ রূপে সাজিয়েছ তুমি,যতই দেখি বেড়ে যায় তৃষা, সে তৃষা মিটিবে সে কিসে।
তরণী না হয় তরুনী হলো, নৌকার জায়গায় নায়িকা হলো হতে দেনা হতে দে।
তরণী পারাবারের খেয়া, তরুণী বয় জীবন নদীর খেয়া
তুমি হাইয়্যুল তুমি কাইয়্যুম
আহসান হাবিব
শীতল ছায়া সোসাইটি
মানিকদী, ঢাকা
গীতি কবিতা/ তুমি হাইয়্যুল তুমি কাইয়্যম।
আল্লাহ তুমি হাইয়্যুল তুমি কাইয়্যুম তুমি রহিম তুমি রহমান
কার বা কাছে আশ্রয় চাইবো কার বা শাণে গাইবো স্তুতি গান।
আল্লাহ তুমি হাইয়্যুল তুমি কাইয়্যুম তুমি রহিম তুমি রহমান
ঘুম তো তোমার হয়না কভু তন্দ্রাও নাহি ধরে
কেও কি আছে তোমার সমান আসমান জমিন পরে
কে করিবে সুপারিশ তোমার সনে তোমার অনুমতি যদি নাহি পান।
তুমি হাইয়্যুল তুমি কাইয়্যুম তুমি রহিম তুমি রহমান
সামনে পিছে উপর নীচে, ভূত ভবিষ্যৎ জানা আছে
জমীন থেকে আসমান অব্দি তোমার আসন পাতা আছে
কোন জ্ঞান হাসিল হয় না কভূ, না হইলে তোমার পারমিশান।
তুমি হাইয়্যুল কাইয়্যুম তুমি রহিম তুমি রহমান
ওগো খোদা রহমানুর রহীম
আহসান হাবিব
শীতল ছায়া সোসাইটি, মানিকদী, ঢাকা
১৯/০৮/২০২১
গীতিকবিতা /ওগো খোদা রহমানুর
ওগো খোদা রহমানুর রহীম ওগো অসীম দয়ালু আমার দয়াময়
হৃদয়ে সদা বিরাজে তোমার নাম আমার তবে কিসের ডর আমার কিসের ভয়।
ওগো খোদা রহমানুর রহীম ওগো অসীম দয়ালু আমার দয়াময়।।
নামাজ পড়েছি অসময়ে রুকু সেজদা হয়নিও জেনে
পড়েছি নামাজ ছাড়িনি নামাজ করবে ক্ষমা করবে কবুল তুমি যে সদাশয়।
ওগো খোদা রহমানুর রহীম ওগো অসীম দয়ালু আমার দয়াময়।।
রমজান মাসে রোজা রাখি, সারাদিন না খেয়ে থাকি
বলতে আমি পারবো না হায় চোখের রোজা মনের রোজা হয়েছে নাকি
তবু আমি রোজা রাখি নামাজ পড়ি করবে ক্ষমা
করবে কবুল তুমি যে সদাশয়।
ওগো খোদা রহমানুর রহীম ওগো অসীম দয়ালু আমার দয়াময়।।
মাটির ঘরে বন্দী হইয়া
আহসান হাবিব
শীতল ছায়া সোসাইটির, মানিকদী,
১৬/০৮/২০২১
মাটির ঘরে বন্দী হইয়া কয়দিন থাকবা আর
মাস না যাইতেই মাটির দেহ মাটিতেই সাবাড়।
গাছ পালা বৃক্ষলতা খাইবে তোমার দেহে জুস
যত হাগ রুম বাগ রুম বাহাদুরী হইয়া যাবে ফুস।
মনটা যদি সতেজ বানাও, হইবো না কিছুই আর দরকার।
মাস না যাইতেই মাটির দেহ মাটিতেই সাবাড়।
কত রকমের খাবার খেয়েছ কত রকম নরম গরম পানীয়
মিষ্টি দধি ছানার জিলাপী পান টান যে কত উপাদেয়
ঘুমের তরে নরম বিছানা,বালিশ মাথায়, আবার কোল বালিশও দরকার
মাস না যাইতেই মাটির দেহ মাটিতেই সাবাড়।
রঙের দুনিয়ায় রঙ ছিটানো হরেক রকম রঙ
ঢঙে ঢঙে কাটল জীবন ভাবিনিতো হবে এমন
টিভি ভিসিআর, গুগল ইউটিউব আরো কত রকম
আকাশ চেনেল হলো আবিস্কার।
সাধের কবরে মাটির ঘরে কিছুই তো নাই কেমনে সময় করবে তুমি পার।
মাস না যাইতেই মাটির দেহ মাটিতেই সাবাড়।
রশীদ করীমের জন্মদিনে!
আজ রশীদ করীমের ৯৬ তম জন্মদিবস। অকালে তিনি প্রয়াত হননি। দীর্ঘ দিন তিনি অসুস্থ ছিলেন, দীর্ঘ জীবন পেয়েছেন। কথাবার্তা বলতেন না। চুপচাপ শুয়ে বসে লং প্লেয়ারে গান শুনতেন, সহধর্মিণী বই ও পেপার পড়ে শোনাতেন। উপন্যাসিক হিসেবে তিনি সফল কিনা জানি না, তবে তাঁর উপন্যাস সব বহুলপঠিত। যাদের বাসায় ব্যক্তিগত সংগ্রহে বই আছে, রশীদ করিমের 'উত্তম পুরুষ', 'প্রষন্ন পাষান' অথবা 'আমার যত গ্লানি' পাওয়া যাবেই। তার উপন্যাসের মতই তিনি আধুনিক ও স্মার্ট কালচার্ড এক মানুষ। মধ্যবিত্ত উর্দুভাষী এক মুসলিম পরিবারে জন্ম নিয়েও তিনি ক্রিকেট সমানে দেখতেন, কলকাতার ফুটবল দেখতেন, সারাদিন ইংরেজী সিনেমা হলে গিয়ে দেখতেন, প্রেম করতেন, ভালো রেস্টুরেন্টে খেতেন, বড়দের কাছ থেকে চেয়ে চেয়ে টাকা নিতেন। অনেক বন্ধুর মা তাকে স্নেহ করতেন, শহীদ আসাদের মা তার এইসবের অন্যতম স্পন্সর। দেশভাগের আগে যে নতুন মুসলিম মধ্যবিত্ত গড়ে উঠছে, উর্দুর আভিজাত্যকে বাসা
প্রেমের নামে জীবন দিবো পাগল হবো সেদিন আলে গেছে
আহসান হাবিব
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
১২/০৮/২০২১
গান/প্রেমের নামে জীবন দিবো, পাগল হবো সেদিন চলে গেছে।
আমি(তুমি) কেন কাঁদবো বলো আমি(তুমিই) বা কম কিসে
প্রেমের নামে জীবন দিবো, পাগল হবো সেদিন চলে গেছে।
নিজের জীবন নিজে গড়, মন দিয়ে পড়াশুনা কর
হবে যখন তুমি যোগ্য, আপনি গড়ে আপনা ভাগ্য
বিধাতা যা লিখেছেন তাতেও বিশ্বাস রাখ ঠকবে নাকো পিছে।
প্রেমের নামে জীবন দিবো, পাগল হবো সেদিন চলে গেছে।
প্রেমের নামের মরিচীকা, এ তোরে ভাই মরণের টিকা
একবার যদি গায়ে লাগে সুখ শান্তি সব দুরে ভাগে
তাইতো বলি শুন সকলি, প্রেম করো না জীবন্ত মরো না,
গুনীজনের কথা শুন ঠকবে না কভু পিছে।
গল্প: বার্লিনে প্রথমবার খুব মন খারাপ হয়েছিল
১.
বার্লিন মেইন স্টেশন থেকে বের হয়ে আনমনে হাঁটছিলাম স্প্রি নদীর পাড় ধরে ধরে। মনটি ভীষণ খারাপ হয়ে ছিল বিশেষ একটা কারণে। বেশি একটা পাত্তা দিতে চাচ্ছিলামও না, কিন্তু ঘুরে ঘুরে মনে পড়ছিল।
আহা, একজন বিদেশে আসার স্বপ্ন কত যত্নে বুকে লালন করে রেখেছিল! আর আমার কোনো ইচ্ছাই ছিল না দেশ থেকে কখনও বাইরে আসার। অথচ আমার জীবনটাই আজ মিশে গিয়েছে বিদেশের অচেনা আকাশ, অজানা বাতাসে। আজীবন পরিবারের সাথে থাকতে চাওয়া সেই আমি আজ বাবা, মা সবাইকে হারিয়ে একা। যার জন্য সবাইকে হারাতে বাধ্য হয়েছিলাম, সেও ছেড়ে চলে গেছে বহু আগে। তাই আজকাল সবকিছুর ভেতরেও ঘাপটি মেরে বসে থাকে এক অব্যক্ত শুন্যতা। কথাটি সাধারণত সবসময় মনে পড়ে না, কিন্তু যখনই মনে পড়ে তখনই আমার অনেক খারাপ লাগে। তাই ভাবলাম বিষয়টিকে একটি গল্পের রূপ দেয়া যায় কিনা।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ আহমাদ মোস্তফা কামালের, 'যে পথে হেঁটে এসেছি'!
আমরা যারা বই পড়ি, সব বই কি আর আমাদের ভালো লাগে। কিছু নন-ফিকশন তো মানুষের মুখে শোনার পর পড়তে হয়, কিছু বই ভালো হতে পারে ভেবে পড়া হয়, কিছু বই আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে পড়ি যে এটা আমি শেষ করবোই। আর অল্প কিছু বই মন ছুঁয়ে যায়। মনে হয় বইটার আরো দু তিন ফর্মা বেশি থাকলেও চলতো। আহমাদ মোস্তফা কামালের, 'যে পথে হেঁটে এসেছি' সে ধরনের একটা বই। প্রথমেই বলে রাখি আমার মতামত সাব্জেক্টিভ। আহমাদ মোস্তফা কামালের লেখা আমি নিয়মিত পড়ি দেড় দশক ধরে। তিনি সবসময়ই আমাকে মুগ্ধ করেন। এবারেও ভিন্নতা নেই।