অনুসন্ধান

ইউজার লগইন

অনলাইনে

এখন জন অতিথি অনলাইন

যার তুলনা বাংলাদেশ

গীতিকবিতাঃ যার তুলনা বাংলাদেশ
আহসান হাবিব
১৬/১১/২০২২
নদী সাগর পাহারের দেশ
কি যে সুন্দর আমার দেশ
আহা কি সুন্দর সুজলা সুফলা দেশ
যার তুলনা বাংলাদেশ।।

শত নদী বয়ে যায় যাতে শত প্রজাতির মাছের মেলা
ইলিশ মাছের ঝলমল রুপে পাগল সারা দুনিয়া পাগলা
ভাজি খাই বা তরকারি খাই, খেতেই থাকি
হয়না শেষ।
যার তুলনা বাংলাদেশ।।

বর্ষাকালে থৈথৈ পানিতে ভাসে যদিও কভু হয় বন্যা
পানি গেলেই সোনার ফসল ফলায় মায়ের আদুরে কন্যা
পলির মাঝে সবুজ বধু সেজে
আহা কি সুন্দর মানায়/দেখতে বেশ।
যার তুলনা বাংলাদেশ।।

যুদ্ধ করে মামলা করে জিতে এনেছি বিশাল সাগড়
সাগড় বুকে কতোই সম্পদ তুলে এনে ভরবো ঘর।
পৃথিবী দেখবে আবাক হয়ে
সোনার বাংলা হবে সোনার দেশ।
যার তুলনা বাংলাদেশ।।

পাহাড় গুলো দেশের সম্পদ ঘরের যেমন থাকে খুটি
ঝড়-ঝঞ্ঝা বন্যা এলে রক্ষা করে,যায় না তো কভু টুটি।।
পাহাড়ি সব বন্য প্রাণী, মানুষগুলো

হারিয়ে যেও না- কবীর সুমন!

হারিয়ে যেও না হারিয়ে যেও না স্বপ্নে ঝিকিমিক দূরের তারা
এখনও ডাক দেয় অনাগত দিন যদিও এই রাত দিশেহারা

এখনও জীবনের কোথাও না কোথাও বিরল ভরসার সাহসী সুরভি
এখনও রোদ্দুর সহসা জ্বেলে দেয় বিদ্রোহের রঙে রক্তকরবী

হারিয়ে যেও না হারিয়ে যেও না রক্তকিংশুক দিনের আশা
এখনও লালে লাল ভোরের আকাশে পাঠায় সুখবর ভালোবাসা

এখনও কিছু হাত হতাশা রুখছে বাতাসে কাঁপছে প্রাণের স্লোগান
এখনও কিছু মুখ মুখর কণ্ঠ সজীব রাখছে আগামীর গান

হারিয়ে যেও না ফুরিয়ে যেও না আমার আগামী গানের ভাষা
এখনও শরীরের পরতে পরতে উতরোল উতরোল জীবন পিপাসা।

সুর কথা ও কন্ঠঃ কবীর সুমন
https://youtu.be/8IyEEaTsuGQ

কবীর সুমন এই গান নিয়ে বলেছেন, "১৯৮৫ সালে বেঁধেছিলাম এই গানটি। ৩১ বছর কেটে গেল। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছিলেন - 'তেত্রিশ বছর কেটে গেল, কেউ কথা রাখেনি।' - কিন্তু না, কালের কলম লিখছে - কেউ কেউ কথা রাখছে।...

সুমনামির ভেতরে!

ফেসবুকে না থাকার সুবিধে অসুবিধা হলো ভাইরাল জিনিস নিয়ে জানা বোঝা যায় একটু পরে। যেমন আজ দুপুরে সোহানকে ফোন দিয়ে জানলাম বেগুন নিয়ে আগুন মাখা ইস্যু হয়ে গেছে। পরে রাতে জেমসের মুখে শুনলাম ঘটনা। ব্যাপারটা বিস্ময়কর ও হাস্যকর দুটোই লাগলো। এমনিতেই বারেকে বসলে আমি দেশের রাজনীতি নিয়ে হালচাল জানতে পারি। বিএনপি ফ্যান সবাই বারেক সাহেবকে ঘিরে ধরে, বারেক সাহেব রাহুল দ্রাবিড়ের মত ব্যাটিং করেন আওয়ামীলীগ নিয়ে। সেখানে দল করতে গিয়ে অনেক কথাই ভুল ঠিকের বাইরে গায়ের জোরের। তবে আমি ভাবি সাধারণ মানুষের এই তেল, কোনো দলই তাদের দু চার আনা উপকার করে নাই তাও কি কঠিন ভক্তি দলের প্রতি। আমরা লীগ বিএনপি না করলেও আমাদেরও আছে নানান এজেন্ডা। এই যে যেমন সুমন বাংলাদেশে গান গাইলো, তাই নিয়ে আমরা দুই পক্ষ হয়ে গেলাম ফেসবুকে। কেউ কেউ সুমনের বাংলা গানের জীবন্ত ইতিহাস কিংবা ব্লগার হত্যার সময় সুমন কি বলেছিল এসব নিয়ে। আমি এখানেও মধ্যপন্

সোনাঝুরি বনের একাকী!

উন্নয়নশীল দেশে থাকার সুবিধা অনেক। প্রচুর পাইরেসি চালানো যায়। তাতে অবশ্য মোবাইলের বারোটা বাজতে পারে কিন্তু কাজ হয় দারুণ। যেমন আমি খেলা দেখি স্পটজফাই নামের এক এপিকে ফাইলে। তাতে তিন বল পরে আসলেও খেলা দেখা যায়। বইয়ের জন্য আছে ফ্রি ইবুক ডাউনলোডার। ইউটিউবে গান মিনিমাইজ করে শোনার জন্য আছে, একটা এপ। তাতে আপনি স্পটিফাইয়ের মতন ইউটিউবে গান শুনতে পারবেন। এগুলো কোনোটাই গুগলের প্লেস্টোরে নাই। ব্রাউজারে সার্চ দিলে আসে। ফাইল গুলো আমার আগাম সতর্কতা জানায়, যে তুমি যে ফাইল নামাচ্ছো, তাতে ক্ষতি হতে পারে। তখন অপশন আসে, ডাউনলোড এনিওয়ে। জীবনটা আমাদের হয়তো তেমনই, এনিওয়ে কিংবা হোয়াটেভার করে করেই পার হচ্ছে। যাক এপিকে ফাইল নামানো এপে সেটের খুব একটা ক্ষতি হয় নাই। আর মন না চাইলেই আমি ডিলেট করে দিই। গেম টেম খেলি না, মোবাইলে ভারী কিছু দেখিও কম। এই টুকটাক ইউটিউব ভিডিও দেখা আর গান শোনা ও পড়াশোনাই মোবাইলে কাজ।

ফাক অল দোজ পারফেক্ট পিপল!

শিরোনামের কথাটা আমার না। চিপ টেইলরের একটা গানের লাইন। আমার ভীষণ প্রিয়। সকল ব্যর্থদিন, গ্লানির দিন, হতাশার দিন, সুইসাইডাল ভাবনার দিন গানটা মনে পড়ে। আসলেই এই প্ল্যানেটে দরকার ছিল না এদের। তাও তারা আছে। উপকার করছে না বিশেষ। তবুও আছে। গানটা শুনতে শুনতে মনে পড়ে কয়েকটা লাইন। ইন্টারনেটেই দেখেছিলাম।

The loneliest people are the kindest,
the saddest people smile the brightest,
and the most damaged people are the wisest.
All because they don't wish to see others suffer like they do!

চিপ টেইলের বাবার দেয়া নাম ছিল ভিন্ন। এটা তার শিল্পী জীবনের নাম। আশি বছরের উপরে তার জীবনে তিনি সবসময় ইন্ডিপ্যান্ডেন্ট বিভিন্ন লেভেলে নিজের কান্ট্রি ও ফোক রক গান শুনিয়ে যাচ্ছেন। তার একটা রেকর্ড কোম্পানীর নাম, বুদ্দাহ রেকর্ডস। আরো অনেক গল্পই তাঁকে নিয়ে করা যায়। সেটা আজ থাক।

হ্যাপি বার্থডে, প্রিয় আমরা বন্ধু!

শুভ জন্মদিন আমরা বন্ধু। এখন সেই ব্লগের পাতার পর পাতা যখন আমার প্রিয় ব্লগারদের লেখা দেখি না, নিজেও লিখি না তেমন, ভারী অবাক লাগে। নিজের কাছে অচেনা লাগে সব কিছু। অথচ আমরা বন্ধু ব্লগ মানেই একটা সময় প্রথম পাতায় আমার লেখাই থাকতো চারটা পাঁচটা। প্রতি পাতায় পাতায় আমার লেখা। এরপর এখন আমি শুধুই পড়তে যাই। হারিয়ে যাওয়া রাসেল ভাইয়ের পুরোনো লেখা পড়তে যাই, মীর কি লিখলো একটু ঢু মারি, আহসান হাবীবের এত কবিতা কই থেকে আসে তা ভাবি, তানবীরা আপুর কোনো পোষ্টের কথা মনে পড়লে দেখি, জেবীন আপু, জ্যোতি আপু, বিমা ভাইয়ের পোষ্ট ও কমেন্ট দেখি, প্রিয় ও বিষন্ন বাউন্ডুলের কথা মনে করি, গৌতম দার আক্ষেপ দেখি, শুভ ভাইয়ের কবিতায় চোখ রাখি, কামাল ভাইয়ের পুরোনো লেখা পড়ি। আমরা বন্ধুর কাছে আমার অনেক ঋণ। এখনো যে ব্লগটা যে বেচে আছে, এটাও এক ধরনের স্বার্থকতা। আমরা বন্ধু আমাকে দিয়েছে অবারিত স্বাধীনতা, মন যা চায় লিখো। সেখানের সবাই যে ভূয়সী প

এমনও তো প্রেম হয়!

খুব সকালে সিএনজি পাওয়াই যায়। তবে সেটা আপনার মন মতো হবে কিনা বলা মুশকিল। তবে আরেকটু পর সেটা পাওয়ার সম্ভাবনা আরও কম। মানিক খুঁজছে সিএনজি, তার চোখে রাজ্যের ঘুম। ঘুম চোখে থাকলেও সে পরিপাটি। মাথায় মুখে পানি দেয়া রং জ্বলে যাওয়া টিআইবির টি-শার্ট এর সাথে সাথে একটা নতুন ট্রাউজার। অপরিপক্ক ড্রাইভার তাকেই 'স্যার' ডেকে বসতে পারে। কিন্তু যাদের জীবন স্যার ডেকে ডেকে চলে যায় তাদের স্যার শুনতে খারাপ লাগে না। কিন্তু পরিপক্ক চালকরা বুঝে যায়। এই বোঝা না বোঝার ভেতরেই, মানিক ভোরের সকালকে মাথায় রেখে মৃদুস্বরে বলে, মামা যাবেন মিরপুর ১৩? বিআরটিএর সাথে? সিএনজি চালক দাত খোঁচাচ্ছিল। সকাল সকাল এদের দাতে কোন হীরে-জহরত লুকিয়ে থাকে, তাই ভাবে মানিক। সেই গুপ্তধনের সন্ধানে থাকা চালক চায় সাড়ে তিনশো। সে জানায় আড়াইশো। রাজী হয় না।

স্কুলের প্রেম

গীতিকবিতাঃ স্কুলের প্রেম
আহসান হাবিব
০১/০৮/২০২২

স্কুল জীবন মজার জীবন
বারে বারে প্রেম আসে
এই প্রেমেতে রস বেশী তাই
আবেগেতে ভাসে।

সর্দি যেমন প্রথম প্রথম
অতি মাত্রায় ঝরে
স্কুলের প্রেম তেমনি
জ্বালায় সকাল দুপুর
সারা রাত্রি ধরে
কখনো তা বিসৃতি হয় না
স্বপনেতেও আসে।
এই প্রেমেতে রস বেশী তাই
আবেগেতে ভাসে।

সর্দি যেমন পেকে গেলে
অতি নাহি ঝরে
স্কুলের প্রেম তেমনি ভাবায়
বছর ছয় মাস পরে।
কেমনে করবো বিয়া সখি
কেমন খাওয়াবো
এসব চিন্তা আসে।
এই প্রেমেতে রস বেশী তাই
আবেগেতে ভাসে।

পাকা সর্দি ঢোক গিললে
গলাধঃকরণ হলে।
বেঁচেই গেলো চিন্তা নাহি
ভোগাবে না দিলে
স্কুলের প্রেম সফল
হইলে ভালো
না হইলে জ্বলবে
সারা জীবন
কখনো আবার মরন
হয়ে আসে।
এই প্রেমেতে রস বেশী তাই
আবেগেতে ভাসে।

কন তুমি বিদেশ গেলে

গীতিকবিতাঃ কেন তুমি বিদেশ গেলে
আহসান হাবিব
৩১/৭/২০২২
ও বন্ধুরে, সোনা বন্ধরে আমার...

কেন তুমি বিদেশ গেলে আর তো এলে না
আমার আন্ধার নিশি বুঝি আর পোহাবে না।
কেন তুমি বিদেশ গেলে আর তো এলে না।।

তোমায় নিয়া বাধিলাম ঘর আশার বালু চরে
ঝড় নাই বারিস নাই তবু কেন যে গেল পড়ে।
আমি মিছা আশায় মন বাধি,
তোমায় ভুলতে পারি না।।
আসবে বলে গেলে চলে
আর তো এলে না

দিনটা কাটে যেমন তেমন রাতটা বড়ই একা
মাঝ সমুদ্র জনমানবহীন নাই যে কারো দেখা
থাকি থাকি ঘুম ভেঙে যায়,
আর নিদ্রা আসে না।
আসবে বলে গেলে চলে
আর তো এলে না

পাড়া পরশী মন্দ বলে, এটা সেটা কথার ছলে
মুখ বুজে সব সহ্য করি,জবাব দিব কিসের বলে
পড়শী বাড়ীর বুড়া দাদুও খুটা মারে
সইতে পারি না।
আসবে বলে গেলে চলে
আর তো এলে না

আমি অধীর হয়ে বসে আছি

গীতি কবিতাঃ আমি অধীর হয়ে বসে আছি
আহসান হাবিব
২৪/০৭/২০২২
দয়ালরে, ওহো দয়াল আমার
আমি অধীর হয়ে বসে আছি
আসবে তুমি কবে?
পরবাস আর ভাল্লাগে না
জানিনা শেষ হবে কবে।

ভালোবাসার ডালি দিয়ে
পাঠাইলে এই ভবে
খাবার তরে জীবকে মেরে
উদর পুর্তি হবে
দয়ালরে,ওহো দয়াল আমার
পরবাস জীবন শেষ হইলে
নিধন খেলা শেষ হবে
পরবাস আর ভাল্লাগে না
জানিনা শেষ হবে কবে।

মায়া মমতায় ভরা মনটা আমার
যতোই করে দিন গুজরান
মানবতার নিধন, মানবতার হরন
দেখে দেখে হয় যে পেরেশান
দয়ালরে ওহো দয়াল আমার
জানাতাম নাতো আপন ভাইকে
মেরে দুনিয়ায় বাদশা হবে।
পরবাস আর ভাল্লাগে না
জানিনা শেষ হবে কবে?

তোমার দেয়া নির্মল প্রকৃতি
উজার হয়ে হারাইছে শ্রী
ধনের লোভে জনের লোভে
প্রতিযোগিতার নিচ্ছি প্রস্তুতি।
দয়ালরে ও দয়াল আমার
ধর্মের নামে শত বিভাজনে
কত খুন হয়েছে, আরো কতো হবে
পরবাস আর ভাল্লাগে না
জানিনা শেষ হবে কবে।

স্ট্রিংস!

৩৩ বছর ধরে চলার পর একটা ব্যান্ড ভেঙ্গে গেলে আমার মনে হয় আরও আগে ভাঙ্গা উচিত ছিল। তাও তেত্রিশ বছর কাটলো কেউ কথা না রাখলেও, টুপ করে স্ট্রিংস ব্যান্ডটা ভেঙ্গে গেল। খবরটা আমি পড়েছিলাম আনন্দবাজারে। ফেইক নিউজ মনে করে ভালোই ছিলাম। কি মনে করে কয়েকদিন পর স্ট্রিংসের গান শুনছিলাম। দেখি কমেন্টে সবার আহাজারি। তখন মনে হলো ব্যাপারটা সত্যি। সবাই কমেন্টে আবেগপ্রবণ হয়ে গেছে দেখে আমি ইচ্ছে করেই কমেন্ট করলাম। স্ট্রিংস একটা ওভাররেটেড ব্যান্ড, আগেই ভাঙ্গা উচিত ছিল। মানুষ আমি আমার কেন রাইসুর মতো মন। দেখি পাকিস্তানী নওজোয়ানরা আমাকে ধুমায়া গালি দিচ্ছে। কমেন্টটা মুছলাম। লোকজনকে বোঝানো গেল না, অনলাইনে কমেন্ট একটা মুহূর্তের সিদ্ধান্ত। আসলে তো আমি কি পরিমান হতাশ সেটা তো আর বোঝানো যাবে না। আমরা ধরেন বিভিন্ন অনলাইন কমেন্ট স্ট্যাটাস পড়ে ভাবি লোকটা ওমন। সে ওমনটা নাও হতে পারে। হয়তো গড সিন্ড্রোমে ভুগছে, মজা নেয়া ও প্রতিক্রি

জি বাংলা ব্লুজ!

এই নামে ডার্কলিং এর ব্যানারে একটা বাংলাদেশের গান আছে। অনেকদিন ধরেই আমার ভীষণ প্রিয়। কখনো সময় পেলে শুনবেন। ইনডি কাজ, পৌছায় নাই সব জায়গায়। তো গানটার লিরিক কি?

ফুটন্ত কেটলির গানে কেটে গেছে বাকী সুর
ছোটবেলার আবছা স্বপ্নগুলো এলোমেলো বহুদূর।

কি চেয়েছিলে মাগো
কি হতে পারোনি
সাত সমুদ্দুর তেরো নদী দেয় কি হাতছানি?
কেউ কি জানে তুমি কত অভিমানী?
এক শাড়ীর আঁচলে ভালোবাসা পৌষ অগ্রহানী।

আমি জানি আমি জানি
তোমার চোখের পানি আমি জানি

টিভির শব্দে কান্নার আওয়াজ লুকিয়ে যায়
তেলেভাজা গন্ধে কমদামী সাবান ধুয়ে মিশে যায়।

শেকল পাখির গান!

আমি কোনোকিছুতেই প্রথম হয় নি।কিছু কিছু ব্যাপারে চাইলেই প্রথম হওয়া যায় তাতেও প্রথম হইনি। যেমন ধরুন এক্সাম হলে আপনি চাইলেই এক্সট্রা শীট নিতে পারবেন সবার আগে, খাইষ্টা টিচার ছাড়া কেউ জিগ্যেস করবে না, এত পেইজ এত অল্প সময়ে শেষ করলি কিভাবে? কিন্তু আমি অবাক হয়ে যেতাম, আমি কেবল শেষ করলাম একটা প্রশ্নের উত্তর, আর ওর পুরো খাতা শেষ। তাজ্জব ব্যাপার। তখন কেউ কেউ সান্তনা দিতে দিতে বলতো, ফাঁকা ফাঁকা করে লিখছে, যে গ্যাপ তার ভেতরেও একটা প্রশ্নের উত্তর লেখা যাবে। যারা সত্যিকারের ভালো ছাত্র, তাঁরা হাসতো, এসব পাগলকে পাত্তা দেয়ার কি। আমি আরো কিছুটা সময় ভেবে এই সিদ্ধান্তে আসতাম, যাক কিছুতে তো সে প্রথম হলো।

যে ভাবেই পথ চলি

আহসান হাবিব / যে ভাবেই পথ চলি
৭/৩/২০২২
এই পৃথিবীতে যেভাবেই পথ চলি
আজ না হয় কাল থামতেই হবে।
ধীরে চলি বা দ্রুত চলি একদিন
তো থামতেই হবে।।
সুখে থাকি দুখে থাকি,
দরিদ্র বা ধনী থাকি
পথ তো চলতেই হবে
একদিন তো থামতেই হবে।

কেউ বা জগৎ বিখ্যাত হয়ে
কেউ আঁধারের অধস্তনে গিয়ে
কেউ খেতে না পেরে ছুড়ে ফেলে
কেউ ডাস্টবিনের খাবার গো গ্রাসে গেলে
কিই বা যায় আসে তাতে
একদিন তো যেতেই হবে।
তাই তো পথ চলতেই হবে
একদিন তো থামতেই হবে।

পৌ পৌ পৌ

আহসান হাবিব/পৌ পৌ পৌ
২৫/০২/২০২২
আজ দুপুরেের পর থেকে
অনবরত একটি পাখি
পৌ পৌ পৌ ডেকে যাচ্ছে।
কি যে করুন সুর
আর মেলডী।

যখন ছোট ছিলাম
গ্রামের বাড়ীতে
প্রায়ই এই ডাক শুনতে
পেতাম।
এই ডাক শুনলে মা সহ্য
করতে পারতেন না।
মায়ের ধারনা ছিল
এই পাখিটি তার
পুত্রকে হারিয়েছে
তাই পুত্রের কথা মনে হলেই
সে পৌ পৌ করে কেঁদে
শোক করতে থাকে।
কাছাকাছি হলে মা পাখিটিকে
তাড়িয়ে দিতেন।
কারণ আমার পিঠাপিঠি বড়
ভাই
কোন এক রুগে কদিন জ্বরে
ভুগেই মারা যান।
তাই মা এই পাখির ডাক শুনলে
সহ্য করতে পারতেন না।
আজ আমারো এই ডাকটি
সহ্য হচ্ছে না।
২০১০ সালে আপন ঠিকানায়
চলে যাওয়া মার কথা
খুব মনে পড়ছে।
আর মনে পড়ছে
সেই রেললাইনে ধারে
মেঠো পথটার পারে দাড়িয়ে
এক মধ্য বয়সী নারি
এখনো রয়েছে হাত বাড়িয়ে
খোকা ফিরবে
ঘরে ফিরবে
নাকি ফিরবে না।
এই গানটি।
আমাদের গীতিকার জগতের
তারকা গীতিকার

ব্যানার

আমরা বন্ধু ব্লগের জন্য যে কেউ ব্যানার করতে পারেন। ব্যানার প্রদর্শনের ব্যাপারে নির্বাচকমণ্ডলীর সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। আকার ১০০০ x ১৫০ পিক্সেল। ইমেইল করে দিন zogazog এট আমরাবন্ধু ডট com এবং সেই সাথে ফ্লিকার থ্রেডে আপলোড করুন ফ্লিকার থ্রেড

● আজকের ব্যানার শিল্পী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

ব্যানারালোচনা

সপ্তাহের সেরা পাঁচ