আংশিক রঙীন - আংশিক ডিজিটাল "মুঘলে আযম" (২)
পঞ্চম দৃশ্যঃ
শহাজাদা সেলিম অতি অল্প সময়েই আনারকলির সহিত ফোনালাপে মত্ত হইয়া পড়িল। আনারকলির সহিত আলাপের জন্য সেলিম তাহার ফোনের "বন্ধু" প্যাকেজ খানা পাল্টাইয়া "প্রিয়" প্যাকেজ রুপান্তর করিল। ইহাতে কোনরূপ ঝামেলা ছাড়াই ৬০ মিনিট মাত্র ৫ টাকায় কথা বলিতে পারে।
সেই রাতেই সেলিম আনারকলি কে তাহার facebook এর ফ্রেন্ডলিস্ট যোগ করিয়া লইলো।
অতঃপর আনারকলির নানান এলবাম খুলিয়া খুলিয়া শাহজাদা দেখিতে লাগিলো। স্বল্প বসনা pic গুলির দিকে সেলিম তাকাইয়া তাকাইয়া lol ফেলিতে, থুক্কু লিখিতে লাগিলো কমেন্টে।
রাত্রি গভীর হইলে আনারকলি facebook chat এ online হইলো। তাহাকে অনলাইনে দেখিয়া শাহজাদা আনন্দে আত্মহারা হইয়া উঠিলেন। তারপর ভোর ৫ টা অব্দি তাহার চ্যাট করিতে লাগিলো। কিন্তু আনারকলির পরদিন ক্লাশ, তাই সে চ্যাট দ্রুত শেষ করিয়া ৫ টায় ঘুমাইতে গেলো সেদিন।
ষষ্ঠ দৃশ্যঃ
সম্রাট আকবর চিন্তিত মনে সিংহাসনে উপবিষ্ট। তাহার মন্ত্রীপরিষদ , কর্মকর্তা সকলেই মুখভার করিয়া বসিয়া আছে। রাজা ডি জি এফ আই মারফত খবর পাইয়াছেন, তাহার একমাত্র পুত্র সেলিম , কোন এক নর্তকীর প্রেমে পড়িয়াছে। উহারা নাকি উথাল-পাথাল প্রেমে হাবুডুবু খাইতে খাইতে বুড়িগঙ্গায় বাতাস খাইতেছে, রমনা পার্কে বাদাম চিবুইতেছে, ফ্যান্টাসি কিংডমে যাইয়া রোলার কোষ্টারে ঘুরিতেছে। বৃষ্টিতে উহারা সাদা শার্ট-প্যান্ট আর শাদা শাড়ী পড়িয়া তাকধুম তাকধুম নৃত্য করিতেছে। উহাদের প্রেম নিবৃত্ত না করিলে দেশ রসাতলে যাইবে।
সম্রাট আকবর বীরবল সহ তাহার বিশ্বস্ত লোকদের নিয়া গোপন শলাপরামর্শ করিতে লাগিলেন। পরামর্শ শেষে সম্রাটের গোঁফের কোনায় খুশীর ঝিলিক ঝিল মিল করিয়া উঠিল।
সেলিম ডেটিং শেষ করিয়া তাহার কক্ষে প্রবেশ মাত্রই ভৃত্য আসিয়া কহিল-
সম্রাট সালাম জানাইয়াছেন।
সেলিমের ভ্রূ কুঞ্চিত হইলো, অক্ষিগোলক ক্ষুদ্র হইলো, ওষ্ঠ্য খানি বাঁকাইয়া কহিল -
"তথাস্তু" ।
সেলিম নিজেও ভাবিতেছিল তাহাকে সম্রাট যে কোন সময়ে ডাকিতে পারে । তাহাদের প্রেম কাহিনী নিয়া পত্রিকা যে পরিমান কাহিনীর জন্ম দিতাছে , পাপারাজ্জিরা যে পরিমান পিছে লাগিয়া রহিয়াছে, তাহাতে সম্রাটে কর্ণগোচর না হইবার কথা না । কিন্তু সেলিম জানিতো না যে সম্রাট নিজে পত্রিকা পড়ে না, তাহার সেক্রেটারী পত্রিকা হইতে বাছিয়া বাছিয়া শুধু দেশের উন্নতির খবর রাজাকে পড়িয়া শুনাইতো।
সম্রাট আকবর ডাইনিং টেবিলে বসিয়া রাত্রের আহার সম্পন্ন করিতেছিলেন। তাহার পার্শ্বে রানী যোধা দাঁড়াইয়া শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষের ভিতর ঘামিতেছিলেন। রান্না খারাপ হইলে তাহাকে সম্রাট ঝাড়ি দিবেন - অপর দিকে হিন্দি সিরিয়াল শেষ হইয়া যাইতেছে সেই আশংকায়। এমন সময় সেলিমের প্রবেশ।
সেলিমঃ পিতা , আমাকে স্মরন করেছেন ?
সম্রাট আকবরঃ হুম। স্মরন না করে উপায় কি ? আসার পর আর দেখাও করলে না, আর তোমার টিকিও তো খুঁজে পাওয়া যায়না। দেশে আসার পর কোথায় রাজকার্যে সাহায্য করবে না, ঘুরে ঘুরে খরচ করে রাজকোষের টাকা খরচ করে ফেলছো। জানো, আমার মাত্র একটি ভাঙ্গা সুটকেস । রাজকোষ হতে আমি কোন খরচ নেই না। শুধু এই ৮ বিঘার উপর রাজবাড়ীটা দখল করে রেখেছি , ভাবছি নিজের নামেই করে ফেলবো অবশ্য। যাই হোক, তোমার মতি গতি আমার ভালো লাগছে না। তাই শীঘ্রই তোমাকে বিবাহ দিব বলে স্থির করেছি। তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবেনা।
সেলিমঃ কিন্তু বাবা আমি তো এস এস সি তে জিপিএ 3.8 পাইছি।
সম্রাট আকবরঃ
শাহজাদা সেলিম সাহস করিয়া ঐ মুহূর্তে রাজাকে তাহার প্রেমের কথা বলিয়াই ফেলিল। রাজা দেখিলেন, যাহা শুনিয়াছেন , তাহা মিথ্যা নহে। তিনি সেলিম কে বলিলেন-
- তাহলে একটা DJ party আয়োজন করা হবে, সেখানে তুমি মাহমুদ কলি কে নিয়া আইসো।
সেলিমঃ বাবা মাহমুদ কলি না , আনারকলি।
সম্রাট আকবরঃ ঐ হোল, কলি ই তো ।
সপ্তম দৃশ্যঃ
রাজবাড়ীর ছাদে প্যান্ডেল টাঙ্গানো হইয়াছে। চ্যাঙড়া টাইপের কতগুলো ছোকড়া গানের কি কি সব জিনিসপাতি আনিয়া টেস্ট করিতেছে। তাহাদের প্যান্ট পড়িয়া যায় যায়, তাহার উপরে প্যান্টের বিভিন্ন স্থানে ছেঁড়া-ফাড়া। চিবুকের নিচে ছাগলের ন্যায় কতগুলি দাড়ি ঝুলিতেছে। চক্ষু রক্তবর্ন। ইহারা এ যুগের DJ। বীরবল ঘুরিয়া ঘুরিয়া সব তদারকি করিতেছে। বীরবল শুনিয়াছে এখন নাকি এরকম অনেক J নাকি পাওয়া যায় RJ , VJ, DJ , আরো কত কি যে !!!
রাত্রে পার্টি শুরু হইলো। অপরূপ সাজে আনারকলি উপস্থিত হইয়াছে সে অনুষ্ঠানে। পরনে দেবদাস শাড়ী। পারসোনা হইতে মেক আপ করাইয়া আসিয়াছে, অবশ্য সেখানে কোন গোপন ক্যামেরা ছিল না। সেলিম গিয়া তাহাকে অভ্যর্থনা জানাইলো।
তাহার পর আনারকলি আসিতেই সম্রাট আকবর হাতে ম্যাঙ্গো জুশ নিয়া পার্টির উদ্বোধন ঘোষনা করিলেন।
ম্যাঙ্গো জুশ নিয়াই সকলে নাচিতে আরম্ভ করিলো। কিন্তু তাহাতে এলকোহল না থাকায় কিছুক্ষন পর এক এক সকলে ক্লান্ত হইয়া বসিয়া পড়িতে লাগিলো। আনারকলি একাই নাচিতে লাগিলো - তখন বাজিতেছিল - পেয়ার কিয়া তো ডরনা কিয়ার রিমিক্স ভার্সন।
নাচ শেষ হইবা মাত্র সম্রাট হাততালি দিতে দিতে উঠিয়া দাড়াইলো। আনারকলির দিকে তর্জনি উঁচাইয়া কহিল -
- তোমার নাচের জন্য ইনাম । বলিয়া পকেট হইতে একখানা স্বর্নের চেইন বাহির করিয়া দিলো। যোধা বাই দেখিলেন - ইহা তাহার চেইন, রাজা চুরি করিয়া আনিয়াছেন
(চলবে.........)
চলুক।
হুম
আকবইর্যা রে
কুরুক্ষেত্রটা দেখার অপেক্ষা করতেসি। যোধার দাবড়ানি খাইয়া রাজার
দেখার শখ উঠসে।

নো কুরুক্ষেত্র ।
কুরুক্ষেত্রটা দেখার অপেক্ষা করতেসি। যোধার দাবড়ানি খাইয়া রাজার
দারুন হচছে
অন্যের কমেন্ট কপি করেন
পরের লাইনের জন্য ধন্যবাইদ
আরে চরম...
রাজা চুর
তাও ভালো মাহমুদ কলি পর্যন্তই আছিলেন। ভিরাট কোলি'তে পৌছায় যান নাই।
হ
শাহজাদা সেলিম দেখি লুক সুবিধার না। তাও চরম হইতেছে পর্বগুলা। পরেরটা জলদি দেন। পিলিজ লাগে।
এহ এদ্দিন পরে আইসা জলদি জলদি দিতে কয়
এই কয়দিন ইন্টারনেট ছিলো না। তবে মোবাইল থেকে পড়েছি কিন্তু কমেন্ট করতে পারিনি।
আহারে
lol.................হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেলো
মন্তব্য করুন