ইউজার লগইন

রুম্পা'এর ব্লগ

কুয়োর ব্যাঙের স্বর্গ ভ্রমন-১

এই গল্পের প্রধান চরিত্র আমি নই। প্রধান চরিত্র চার ল্যাবরেটরিয়ান। সুমন (তাস্তুবালা), মাকসুদ (মাক্কু), শিবলী এবং হাসিব। এই চার বন্ধু এই শহরের এমন চারটি মানুষ, যারা অবাধ স্বাধীনতায় বড় হয়েও বেড়ে উঠেছে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পথে। কোন নেশা নেই, কোন অনৈতিক কাজে তাদের সায় নেই।মোটেই প্রশংসা করছিনা। যা সত্য শুধু ততটুকুই বলছি। এই চার বন্ধু তাদের অবাধ স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে অপার বিস্ময়ে দেখছে পৃথিবীর অনন্য রূপ। এরা টাকা জমিয়ে দেশে বিদেশে ঘুরতে পছন্দ করে। এমন নয় যে স্বচ্ছল হয়েই এখন তারা ঘোরে। তারা চারজন বেড়ায় তখন থেকে, যখন তারা ছিল স্বচ্ছলতার সীমার বাইরে। আমার ভালো লাগাটা এখানেই।

ইহা আমাদের "হীরক রাজার দেশ"

১.
আহা যদি সত্যজিৎ রায় বেঁচে থাকতেন, তিনি দেখতে পেতেন তার পার্শ্ববর্তী দেশটি এখন তার বানানো ছবির মতোই একটি "হীরক রাজার দেশ"..
লিখবো কি না ভাবছি..! আবার না আমার বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়! হায় রে..! ভেবেছিলাম আজ একটি চমৎকার জায়গার ছবিসহ ব্লগ লিখবো..কিন্তু দেশে ফিরেই দেখি, যার মাধ্যমে দেশ বিদেশে আমার বেড়ানোর ছবি আর বর্ণনা ছড়িয়ে যাবে, সেই ফেসবুকই বন্ধ।

২.

অতঃপর কলিকালের মা কহিলেন..

লোকে এখন কথায় কথায় বলে, দিন বদলাইসে..কতটুকু বদলেছে তার একটা ছোট্ট নমুনা না দিয়ে পারছিনা..

বলেন কি করি!

ব্লগে আমি নতুন। এটা নিয়ে তাই আমার ব্যাপক উত্তেজনা। ভাবছি টুকটাক করে লিখতে থাকবো..কিন্তু সেটার একটা নাম তো দেয়া চাই..! টুকটাক লেখার নাম। গল্প বা অন্য কিছু নয়। কিন্তু ঝামেলা হলো, এই অধমের মাথায় কোন নামই বজ্রপাতের মতো গর্জন করছে না। ওদিকে হাতও নিশপিশ করছে..নজরুল ভাই-এর সাগরেদ বলে কথা..এতো মানুষের সাথে মিশি..কতো ঘটনাই তো জমা হয়..কিছু কিছু শেয়ার করতে পারলে মন্দ হতোনা..আপনারাই উপায় বলে দেন..

আমার বাপের মৃত্যু- জানা অজানায় করা পাপের শাস্তি

১.
আমি হচ্ছি আমার বাপ মায়ের তিন নম্বর বাচ্চা। ছাগল হতে হতে মানুষ হয়ে জন্মানো, এই যা।..কারণ ভাই মায়ের ফেভারিট আর বোন হলো বাপের আদরের। আমি সবসময়ই ছিলাম ত্রৈধ বিন্দু অবস্থানে। কেউ কি বিশ্বাস করবেন? আমি ভিষণ চুপচাপ ছিলাম..একা থাকতে পছন্দ করতাম..অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এখনও আমি একা থাকতে পছন্দ করি।