আরাফাত শান্ত'এর ব্লগ
আমি শুধু চেয়েছি তোমায়@শ্যামলী সিনেপ্লেক্স!
শ্যামলী হলটাকে কে না চিনে, আমি যখন ঢাকায় আসি তখনও শ্যামলী হলে মান্নার ছবি চলে। তার কিছুদিনের ভেতরেই পুরো বিল্ডিংয়ের সামনে রেখে ভেতরে ভাঙ্গা হয়ে গেল সব। সবার ধারনা ছিল আর কোনোদিন এখানে হল হবে না। খালি রিকশাওয়ালাকে বলার সময় সবাই বলবে, শ্যামলী হলের সামনে নামবো। এরকম তো কতই ঘটে, সিনেমা হল ভেঙ্গে শপিং মল হয়ে যায়। লোকমুখে শুধু নামটাই থেকে যায়। আর থেকে যায় সেই হল নিয়ে লোকজনের স্মৃতিরোমান্থন। শ্যামলী হল নিয়েও আমি কত গল্প শুনলাম। একবার নাকি সালমান শাহ আর শাবনূর আসছিল, হল ভেঙ্গে মানুষ নেমে আসছিল সেদিন, বিশাল সংখ্যায় পুলিশ এনে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছিল সেই ভীড় থেকে। মানুষ নাকি আগে এই হলে এত যেত, যে সিট না পেয়ে নিচে বসতো। সিটে বসে ছাড়পোকার কামড় খাওয়াই ছিল নিয়মিত ব্যাপার। প্রভাবশালী মানুষেরা ডিসিতে টিকেট কেটে এক ছবি অনেকবার করে দেখতো। হলের নাকি নিয়ম ছিল যদি আপনে নিয়মিত দর্শক হোন তাহলে আপনাকে অনেক সময়ই ট
খুঁজে পেতে দাও আমায় সেই ভোর আমি যার গন্ধ নিতে চাই আলোয় আলোয়!
বিশ্রী রকমের রাত জাগার অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে। ঘুম আসেই না। ঘুম আসে চারটার দিকে। তখন আমার ঘুমোতে ভালো লাগে না। তাহাজ্জুদের নামায পড়ি, ফজর পড়ি তারপর আলো ফোটার আগে বের হয়ে যাই। পকেটে মোবাইল টাকা পয়সা কিছুই রাখি না। হয়তো ২০-৩০ টাকা থাকে, না থাকলে নাই। বের হয়েই ব্যাংকের বুথ বা দোকানপাটের সিকিউরিটি গার্ডদের দেখলে খুব মায়া লাগে। পেপার বিছিয়ে তারা তাঁদের কর্মস্থলের গেটেই ঘুমোচ্ছে। বুট খোলা কিন্তু পায়ে মোজা ইউনিফর্ম অটুট। চেয়ে থাকলে কষ্ট লাগে। এরচেয়ে খারাপ অবস্থা তরমুজ বিক্রেতা বারো তেরো বছরের ছেলেটার। তরমুজ সরালে হয়তো পজিশন চলে যাবে, তাই মুড়ায় বসে তরমুজে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে। জগিং আঙ্কেল রা পেরোনোর সময় বলছে, দেখছেন নি পোলার কারবারডা!
মেজর হায়দার ও তাঁর বিয়োগান্ত বিদায়ঃ ব্লগ বুক রিভিউ
অনেক দিন বই পুস্তক নিয়ে পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখি না। লিখি না বলে পড়া বন্ধ নাই বই, ইচ্ছে করেই লেখা হয়ে উঠে না। আমার ব্যাক্তিগত অভিমত- ভালো বুক রিভিউ লিখতে পারি না, তাই লেখায় এই অনীহা। তবে বই নিয়ে লিখতে কার না ভালো লাগে। ফেসবুকের বইপড়ুয়া গ্রুপেও কখনও লিখতে যাই না, কারন ওখানে কত পারু খা- পড়ুয়া মানুষরা থাকে, সেখানে আমি বই নিয়ে কাকেই বা কি জ্ঞান দিবো। তাই খারাপ হোক ভালো হোক আমার বই নিয়ে লেখার জায়গা তো ব্লগেই। নিজের ইচ্ছে মতো মতামত দেই, বই নিয়ে ডিটেইলসে আলোচনায় যাই কম, ভালো লাগা মন্দ লাগাই আসল কথা। আমি সেই পছন্দ অপছন্দের একচোখা চোখ দিয়েই দেখি লিখি পড়িও।
একটু একটু করে প্রতিদিন!
গত দু -তিন দিন লেখা হলো না। লেখবো লেখবো করেও আর লেখা হয়ে উঠলো না। আর ব্লগে দেখলাম অনেকের পোষ্ট তাই তেমন জরুরী ভাবলাম না। যখন ব্লগে কেউ লিখে না তখন আমার ইচ্ছে করে সপ্তাহের সাত দিনই লেখি। কিন্তু সব সময় তাও আর হয়ে উঠে না। তবে ঘুরে ফিরে সেই দিনলিপি লেখি বলে আর কোনো লেখার বিষয় যে পাই না ব্যাপারটা এমন না। মাথায় হাজারো বিষয় আসে, অনেক কিছু নিয়েই লিখতে ইচ্ছা করে কিন্তু লেখি না। কি লাভ মাথা খাটিয়ে, এরচেয়ে নিজের যে দিনযাপন তাই ঢুকিয়ে দাও ব্লগে। হেলাল ভাইয়ের এক পোষ্টের উসিলায় গিয়েছিলাম সামহ্যোয়ার ইন ব্লগ। পুরোই হিন্দি চুলের মতো অবস্থা। এত মানুষ লগইন আর অতিথি এত তাও ফার্স্ট দশ পাতায় পড়ার মতো একটা পোষ্ট পেলাম না। মনটা খারাপ লাগলো। নিজের কিছু ভালো লাগার পুরানো পোষ্ট দেখলাম তাতেও দেখি নতুন কোনো উল্লেখযোগ্য মন্তব্য নাই। তাহলে এত লোক ব্লগে করে টা কি?
২৫০ পেরিয়ে!
নিজের পোষ্ট সংখ্যা কত, তার হিসেব আমি খুব একটা রাখি না, সেরকম ভাবে মনে রাখাই হয় না। মাঝে মধ্যে চোখে পড়লে অবাক হই আহা কত পোষ্ট লিখে ফেললাম এই তিন আড়াই বছরের মধ্যেই। শান্তি পাই, পুরোনো পোষ্টগুলো দেখি। ডায়রীর মতো করে পড়ি, আহা আগে কত কি নিয়ে ভাবতাম। কত সেনসিটিভ সচেতন রসিক মানুষ ছিলাম। তবে আগের পোষ্টগুলোতে বাক্য গঠন ও বিরাম চিন্হে ভুল সিরিয়াস চোখে পড়ে। এখনো যে তা নাই তা বলবো না, কিন্তু আগের চেয়ে কম চোখে পড়ে। আগে ধারনা ছিল ব্লগ লিখতে লিখতে এক ধরনের হাত এসে যাবে, হয়তো নিম্ন মাঝারী মানের গল্প লিখতে শুরু করতে পারবো। কিন্তু সেই আশায় গুড়ে বালি, যা আশা ভরসা ছিল সব শেষ করে দিয়েছে সৈয়দ শামসুল হক, তিনি বাংলা গল্প উপন্যাস লেখার যে উপায় উপকরণ দেখিয়েছেন তা পড়ে আমি বিস্মিত। লেখালেখি জিনিসটাকে আমরা যত খেলো ব্যাপার হিসাবে ধরি তার চেয়ে অনেক বেশি শ্রমসাধ্য ও অধ্যাবসায়ের সৃজনশীল কাজ। তাই এই ভালো, ব্লগ লেখি তেমন ক
এই সবই তো সুন্দর, এ জীবনের আনন্দ, তার থেকে সুন্দর আমার মা!
'তোমাকে' ডাকটা এখানে খুব একটা খাটে না। কারন আমি আমার আম্মুকে 'আপনি' বলি আর বাবাকে বলি তুমি। এই অদ্ভুত ডাকের সিস্টেম অনেককে অবাক করে। অনেকে মা বাবা সবাইকে আপনে বলে ডাকে, অনেকে আবার দুইজনকেই তুমি করে ডাকে, কেউ কেউ আম্মুকে তুমি আর বাবাকে আপনি বলে। আমি হলাম উল্টো, আমরা দুই ভাই আম্মুকে আপনি বলে ডাকি। আর আব্বুকে তুমি। বছর পাঁচেক আগে ভাইয়া একবার ভাবছিলো আম্মুকে তুমি করে ডাকার। অভ্যাস নাই দেখি সিরিয়াস লজ্জা লাগে। মাঝেমাঝে ভাবি এত এত মানুষ আম্মুকে তুমি ডাকে কি করে? আবার আব্বুকে তুমি ডাকি,আপনে ডাকাই হয় না। আব্বু তাতে মন খারাপ করে বলে মনে হয় না। তবে এমন না যে আমি আব্বুর সাথে ফ্রি বেশী, বেসিক্যালি আমি আব্বু আম্মু কারো সাথেই ফ্রি বলতে যা বোঝায় তেমন কিছুই না। সব শেয়ার করি না ছোটবেলা থেকেই। কারন নিম্নমধ্যবিত্ত সংস্কারে ভরা মন আমার, ওতো শেয়ারের কি মধু তাই খুঁজে পাই না। এইটাই ভালো!
এই শহরে এখনো কৃষ্ণচূড়া রাধাচূড়া ফুল ফোটে!
গাছ গাছগাছালি বৃক্ষ রাজি সবুজ অঞ্চল সবারই ভালো লাগে, আমিও তার ব্যাতিক্রম না। কিন্তু আমি গাছের নাম একদমই চিনি না। কিছু কমন জানা শোনা বাদে আমার গাছ চেনা আর খেতে বসে মাছ চেনা সেইম ক্যাটাগরির মূর্খতা। বলতেই পারবো না, আর চেনার চেষ্টাও করি নাই। নিজে নিজে আবিস্কার করেছি এইসব না চিনলেও জগত সংসারের দিন যাপনে খুব একটা ক্ষতি হয় না। তবে আমার মামা দুর্দান্ত, মামা এত ভালো গাছ চিনে শুধু অবাক হই। গাছের গন্ধ শুকেই না তাকিয়ে বলে দিতে পারে গাছের কি নাম। বাড়ীতে গেলে যেখানেই যাই, মামাকে গাছ নিয়ে প্রশ্ন হবে। মামা আগ্রহ ভরে সেই গাছের সব ফিচার বর্ণনা করতে থাকবে। একটাবারের জন্যেও বিরক্ত হবে না। আমার একমাত্র ভাইয়া ছিল বিরক্ত হবার সম্রাট। কোনো জিনিস দু তিন বার জিগেষ করলেই বলবে জানি না। আর ভাইয়ার ধারনা আমি জানি, তাই পরীক্ষা নিচ্ছি ভাইয়া জানে কিনা আদৌ। কি মুসিবতের কথা!
আমি আমারই মতো, তাতে কি আসে যায়!
আজ সকাল থেকেই আমার বিরক্তিকর মেজাজ খারাপ কারন জানতাম না যে নয়টা পাঁচটা পর্যন্ত কারেন্ট থাকবে না। তাই ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধোয়ার পানি টুকুই শুধু পেলাম পানির কলে। নাস্তা করতে গিয়ে দেখি বুয়া ডিম ভাজিতে এত তেল দিয়েছে খাওয়াই দায়, তাও খেলাম কারন অন্তত বেশী হলুদ আর তেল দেয়া আলু ভাজির চেয়ে ভালো খাবার এইটা। বুয়ারে কত বলি কিন্তু তিনি আমার কিংবা মামার কথা হয় শুনেনই না, হয়তো উনার সেই মেধা নেই যে শুনে তা বাস্তবায়ন করবে। তাই যখন যা ইচ্ছে তাই করেই চলে যাচ্ছে। মামার কথা যাও কিছু শুনে, আমার কথা একেবারেই না। ল্যাপটপেও চার্জ নাই। মনের দুঃখে বের হলাম জানি কেউ নাই কোথাও। তাও এক কাপ ভালো চা তো খাওয়া যাবে দোকানে। চায়ের দোকানে এসে দেখি এক চিরকুট রাখা। এই মোবাইলে জামানায় আজকাল এইসব কেউ রাখে, মুগ্ধ হলাম দেখে। গোটা গোটা অক্ষরে লেখা-- শান্ত ভাই, এইটা আমার নাম্বার, কল দিয়েন। আমি গাজীপুরে, বাবুর্চি রফিক। কল দিলাম ভাবছ
বুকের ভেতর কথার পাহাড়
পাহাড় শব্দটা শুনলেই আমার বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর এক ভাষনের কথা মনে পড়ে। তার নির্বাচনী এলাকায় পাহাড়ের নিবাসী লোকজনের উদ্দেশে তিনি বলছেন ' পাহাইড়া বান্দরেরা গাছে উঠছে, কলা দেখাইলেই তারা আবার নাইমা যাবো' ইলেকশনের হেরে তিনিও শিক্ষা পেয়ে গেছেন পাহাড়ি নিবাসী মানুষের গাছে উঠার মর্ম। নিজের এলাকার মানুষ সমন্ধে নির্বাচিত এক সিনিয়র রাজনীতিবিদের কি প্রতিক্রিয়া, ভাবলে অবাক হই। পাহাড় নিয়ে কথা আসলে অনেক প্রসঙ্গই আসে, সব চেয়ে থার্ড ক্লাস প্রসঙ্গটা হলো নাটকের ভেতর নায়কের ন্যাকা প্রশ্ন-- আচ্ছা তোমার কি ভালো লাগে? পাহাড় না সমুদ্র? এইটা আদতে কোনো প্রশ্ন করার বিষয় হলো? পাহাড় এক জিনিস আর সাগর আরেক জিনিস, দুটোর দুই রকমের সৌন্দর্যের মাত্রা, এখানে কম্পিটিশানে আনার দরকারটা কি? আমার দুটোই ভালো লাগে। একটার বদলে আরেকটা কেন ছাড়বো?
ষোলো আনা জীবন!
লিখতে বসছি মুড অফ নিয়েই, লিখতেও কেমন জানি আলসেমী লাগে তাই নোটবুকের সামনে হা করে বসে থাকি। ফেসবুক ইউটিউব আর নিউজ সাইটে অস্থির পায়চারী করে রাত বেড়ে যায় কিন্তু লেখা আর হয় না। অথচ লেখা আমার জন্য খুব আনন্দের বিষয়, তা যাই লেখি না কেন !
আপোষ ফুরোবে কখন, হিসেব করাই অপচয়!
শাহবাগের সেই অসাধারণ দিন গুলোতে একটা জনপ্রিয় স্লোগান ছিল- আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম (গগনবিদারী আওয়াজে আমাদের উত্তর)। স্লোগানটা যখনই শুনতাম বা এখন অনেকদিন পর যখন ভাবি তখন অবাক হতে হয়। এ যেন ভুতের মুখে রাম রাম। সেই একাত্তরের পর থেকেই আমাদের আপোষ ছাড়া আর তেমন কোনো ইতিহাস নাই যাদের, তারাই দাবী করছি সংগ্রামের কঠিন পথে যাবার। তাই কবি আর আবৃত্তিকারেরা যতই বলুক আপোষ করিনি কখনো এই আমার ইতিহাস। তাতে আমি বরং বিরক্ত হই। কে করি নি আপোষ? যে বলে আপোষ করে নি সেও তার কিছুদিন পর কারো না কারো পোষ মেনেছেই। এ ছাড়া উপায় কি? যে পরিবেশে আমরা বড় হই আর বেড়ে উঠি তাতে যতই আর এফ এলের চেয়ারে বসি না কেন, আমাদের মেরুদন্ড শক্ত নয়, দাঁড়াতেও পারিনা শক্ত করে। তাই আপোষের হিসেব করা অপচয়ই। কখনো ফুরোবেনা এই হিসাব, প্রতিদিনই তো করছি নানান মানুষ নানান ভাবে, জাতিগত ভাবে!
বৈশাখী মেঘের কাছে!
আজ তেমন গরম নেই, নেই লোডশেডিংয়ের যন্ত্রনা, ফ্যান চললে আরামদায়ক এক অবস্থা, বিকেল থেকে বৃষ্টি হবার শত সম্ভাবনা দেখা দিলেও কয়েক ফোটা মাত্র বৃষ্টি হলো। তাতে কি আর এই তীব্র তাপদহের জ্বালা কমে? তবে আগামী দুয়েক দিন নাকি এরকম মাঝে মাঝে ঠান্ডা হাওয়া আসতে পারে বিকেলের দিকে, হয়তো হালকা বৃষ্টি, এতোটুকুই আশাবাদের জায়গা!
শহরের উষ্ণতম সব দিনগুলোতে!
এই তীব্র তাপদাহ নিয়ে নতুন করে আর কি বলবো, ভুক্তভোগী তো সবাই। এমন কি যাদের এসিতে থাকার ব্যাবস্থা আছে তাদেরও এই গরমে রক্ষে নাই খুব একটা। কারন বাইরে বের হলেই এসিতে থাকা আরামের বাদামী চামড়া, ছ্যাত ছ্যাত করে উঠে গরমে। এই এক্সপিরিয়েন্স আমার বেশী হয় শান্ত ভাইয়ের বাসা থেকে যখন বাইরে বের হই। মনে হয় ডাইরেক্ট আগুনে নেমে গেছি। দশ মিনিট লাগে বাইরের গরমে ধাতস্থ হতে। এত আরামে যে থাকে শান্ত ভাই তার মুখেও শুনতে হয় গরমের কেচ্ছা প্রলাপ। আমার হাসি পায়, কাকে কি বলে মানুষ?
টূ স্টেটস!
বিজেপির এক নেতা বাংলাদেশের জমির বিশাল অংশের মালিকানা দাবী করেছেন, তা নিয়ে নানান মানুষের প্রতিক্রিয়া ফেসবুকে দেখে হাসি পেল। কোথাকার কোন হরিদাস পাল দাবী করলো আর ওমনি সব দখল শুরু হয়ে যাবে এমন যারা ভাবে তাঁদের মাথায় আদৌ কিছু আছে নাকি তা নিয়ে আমি সন্দিহান। আমিও তো চাইলে কত কী দাবী করতে পারি, যেমন কাল ভাবছিলাম আলিয়া ভাটের মতো গার্লফ্রেন্ড পাইলে জীবনটা রঙ্গীন হতো, এখন মহেশ ভাটের কন্যা কি এই দাবীতেই আমার বউ হয়ে যাবে। পুলকের একটা ব্যাপার আছে, যেই মেয়েকে ওর ভালো লাগে তাকেই এক নায়িকার নামের আশ্রয়ে মিলিয়ে দেয়। একদিন আমাকে জিগেষ করলো, নেহা শর্মার মতো নায়িকা কি বউ হিসেবে পাবো?
সেই ফুলের দল!
মনটা ভালো কারন একের অধিক। প্রথমত, মামার গৃহে প্রত্যাবর্তন অনেকটা সুস্থ হয়ে। যদিও ডাক্তার বলেছে রেস্টে থাকতে দু সপ্তাহ, তার আগেই মামা অফিস শুরু করেছে আজ থেকে। যদিও আমাদের এই গৃহ সুস্থ মানুষের জন্যই বসবাস আশংকাজনক, তবুও মামাকে দেখে আমি খুব শান্তি পাচ্ছি। খুব মিস করেছি মামাকে, আসলে আমাদের জীবনে কারো শুন্যতা ছাড়া বোঝা কঠিন যে মানুষটাকে আমরা কত ভালোবাসতাম। আমি অবশ্য এদের বাইরে, আমি থাকতে থাকতেই বুঝে যাই মানুষটা আমার খুব প্রিয়। তবে মানুষ এইসব নিয়ে ভাবে কম। যখন যার সাথে থাকে তখন তার সাথেই অন্তরঙ্গ হয়; সময় শেষে আর মনেই রাখে না। আমার ভার্সিটির এক বন্ধু ছিল, ছিল মানে এখনো আছে খালি যোগাযোগটাই নাই তেমন। ভার্সিটিতে থাকতে মনে হয়েছে আমার এই বন্ধু ছাড়া আমার চলবে কিভাবে?