ইউজার লগইন

আরাফাত শান্ত'এর ব্লগ

আমি গুছিয়ে ঠিক কথা বলতে পারি না, শুধু সময় নিজের গল্প বলে যায়!

শিরোনামটা বেশী আদিখ্যেতার হয়ে গেল। কি আর করা, একটা গানের লাইন পছন্দ হলো তাই দিয়ে ফেললাম নামটা। পোস্ট লিখতে গিয়ে একটু ভাবছি। কারন ঠিক করে রেখেছিলাম পরের কিছু পোষ্ট গুলো শুধু বই নিয়ে লিখবো। প্রচুর বই পড়া হচ্ছে ইদানিং, জমছে চোখের সামনে কিন্তু তা নিয়ে লিখতে পারলাম আর কই?

বিস্রস্ত জর্নাল থেকে কিছু জার্নাল- শেষ পর্ব

কিছু লিখতে ইচ্ছা করছে, সপ্তাহ খানেক ধরে লিখি না কিছুই। মামার বিয়ে কিংবা দিনলিপি বা হরতাল নিয়ে পোষ্ট লেখা যেত কিন্তু মাথা খাটাতে ইচ্ছা করছে না। পুরানো এক পোষ্ট খুজতে গিয়ে হঠাৎ এই সিরিজটার কথা মনে পড়ে গেল। ভাবলাম আরো কিছু লেখা যায় বিস্রস্ত জর্নাল বই থেকে। কিন্তু সমস্যা হলো বই পাচ্ছিলাম না। বইয়ের হজবরল অবস্থা দেখে মামা সব বই কার্টুন বন্দি করেছে আমার এবসেন্সেই। তাই জমিয়ে রাখা বই ছাড়া সব গুলাই বাক্সবন্ধি। তবে কিভাবে জানি এই বইটা খুজে পেলাম বিনা পেরেশানীতেই, তাই লিখতে বসলাম আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের বিস্রস্ত জর্নাল থেকে টুকে নেয়া কিছু লাইন!

২২৭। আমার কোনো এক বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে একজন বক্তা সহৃদয় আক্ষেপের সঙ্গে বলেছিলেন, টেলিভিশনে গিয়ে আমি আমার জীবনের মুল্যবান সময়ের অপব্যায় করেছি।
আমি তাঁর সঙ্গে একমত নই।
আন্তরিক ভাবে মানুষ যা করে তা কোনোকিছুই নষ্ট হয় নয়।
কেন অপচয় বলব? শরীর নির্ভর শিল্প পৃথিবী থেকে মরে যায় এই জন্যে? শিল্পমুল্য ছোট তাই?
কিন্তু আমি কি করতে পারি। আমার ভেতরে আছে যে ব্যাপারটা। সাহিত্যের বা সামাজিক বেদনার মতো এইরকম অত্যাচারীভাবেই যে আছে!

অক্টোবরের সিনেমা দেখা দেখি!

সিনেমা দেখতে আমার খারাপ লাগে না এখন আর। আগে অবশ্য কখনোই এত ভালো লাগতো না, কারন টিভিতে কত অপশন রিমোটের ঘুরে ঘুরে কত কিছুতে চোখ বুলানোর সুবিধা। সেই তুলনায় সিনেমা দেখতে হলে পিসি খুলে বসে থাকো। টানা দেখে যাও। তাই দীর্ঘ দিন আমার সিনেমা দেখার জায়গা টেলিভিশনে। টেলিভিশনে সিনেমা দেখার কথা শুনলেই পাবলিক হাসে, বলে উঠে টিভি কি সিনেমা দেখার একটা জায়গা হলো?

আশাবাদের চাষাবাদ!

সুশীল ভাষায় এই সময়টাকে বলে ক্রান্তিকাল। তবে শুধু ক্রান্তিকাল বললে এই সময়টার ঠিকঠাক নাম দেয়া হয় না। আমার মাথাতে খালি আসে দুটো শব্দই 'চরম দুঃসময় ' সেটা সব দিক থেকেই। রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সমাজ, রাষ্ট্র সব খানেই ঘোরতর অনিশ্চয়তা, অস্থিরতা, অস্বস্তিতে দিন কাটছে সবার। যেখানেই যাই, যে কথাই বলি ঘুরে ফিরে আসে পলিটিক্যাল ক্রান্তিকালের এই কথাগুলাই। এখন তো নান্নুর চায়ের দোকান নাই তাই অনেক জায়গাতেই মাঝে সাজে বসা হয়। নানান লোকের কথা শুনি, সবাই খুব টেনশনে। আমাদের এক বন্ধু আছে নাম মুহিত। বাপের বিশাল বড় বাড়ী, জাবি থেকে মাস্টার্স করছে এখনো শেষ হয় নাই। ওর বাপ হুট করেই খুব হন্তদন্ত হয়ে ইউরোপের কোনো দেশে আরেকটা মাস্টার্সের জন্য পাঠাতে চায়, অথচ এত বছরের জীবনে তার বিদেশে যাবার কোন প্ল্যানই ছিল না। সেও দোড়ঝাপ শুরু করছে। এখন বলতে পারেন- এইসব ব্যাপার স্যাপার তো আগে থেকেই ছিল, কিন্তু আগের সাথে এখন ডিফারেন্সটা হলো আগে সামর্থ্যবান মানুষদের ভিতরে অনেকের ইচ্ছা থাকতো বিদেশে যেন একটা ঠিকানা থাকে। এখন সবাই তা বাধ্যতামুলক ভাবে করছে। এমন একটা ভাব যেন দেশে আশু সিভিলওয়্যার হচ্ছে। আরেক লোকের কথা বলি তার নাম ধাম পেশা কি জ

দেখিবার মতন যদিও কিছুই নাই, তাও দেখিতে হয় ঈদে টেলিভিশন!

আমার বয়সী লোকেরা আর টিভি দেখে না, আমি কেন দেখি? কারন ভালো লাগে তাই। যে কারনে লোকজন বাংলা সিনেমা দেখে হলে বসে, সেই কারনে আমি টিভি দেখি। ছোটবেলা থেকেই টিভির পোকা ছিলাম সেই পোকাটা বুড়ো হয়ে গেলেও এখনো মাথায় বিদ্যমান। তাই দেখতে হয় টিভি কারন ভালো পাই। যদিও গত ১ বছর ধরে বাসায় টিভিকার্ড আছে ডিসের লাইন নাই তাই দেখতে পারি না কিছুই। তবুও বাড়ীতে গেলে টিভি দেখতেই হয় চাই বা না চাই! কারন বাড়ীতে আমার তেমন কোন কাজ নাই যে অন্য কিছু করবো। তাও দেখা যায় ডিস থাকে না, কারেন্ট থাকে না কত ধরনের প্রতিকূল অবস্থা। আর এবার নানু বাড়ী ছিলাম আড়াই দিন তাতেও ঠিকঠাক টিভি দেখি নাই। যদিও নানু বাড়ীতে টিভি দেখার খুবই সুব্যাবস্থা। আমি ঘরে ঢূকলেই সবাই চলে যায়। রিমোটের নিয়ন্ত্রন আমার হাতেই থাকে। তাও ভালো লাগে না। নিজের ঘর, নিজের প্রাইভেসী, নিজের আরাম মতো মায়ের হাতের অসাধারণ রান্না খেতে খেতে টিভি দেখার মজাই আলাদা!

ঘুরে ফিরে আসার গল্প!

অনেক দিনের পর লিখছি। এত লম্বা বিরতিতে আমার লিখতে মোটেও ভালো লাগে না। তাও উপায় ছিল না। কারন প্রথমত, প্রিয় মোবাইল সেটটা নষ্ট আগে যে মোবাইলে লিখতাম তা বন্ধ এবার। দ্বিতীয়ত ল্যাপটপ নিয়ে গিয়েছিলাম তাতে লেখা যেত, কিন্তু বিধি বাম মামা এক্টার্নাল ইউএসবি কিবোর্ড নিয়ে যায় নি আর আমি ল্যাপটপের কীবোর্ডে লিখতেই পারি না। চেষ্টা করলাম বাড়ীতে কত- হয় না, বারবার এফএন টিপে লেখা আমার কম্ম নয়। তাই ল্যাপটপ দিয়ে খালি চার পাঁচটা সিনেমাই দেখলাম। ভেবেছিলাম এন্ড্রয়েড সেট দিয়ে লিখবো- কিছু দূর লিখে মনে হলো এর চেয়ে মাটি কাটার কাজে কম পরিশ্রম, তাই আর লেখা হলো না। ব্লগে নতুন দুয়েকজন ব্লগার দেখলাম। দেখে ভালো লাগলো। কিন্তু এবির যা সমস্যা তাই থেকে যায়- পোষ্ট পড়ার লোক নাই। যখনই দেখছি বারবার- লোকজন নাই তখনই মন চায় একটা পোষ্ট লিখে ফেলি যা ইচ্ছে তাই। কিন্তু নিরুপায় তাই শুয়ে বসে দেখা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই। তাই ঢাকায় বিকেলে নেমেই রাতের বেলা এই পোষ্ট লিখছি, নিজের ঘুরাঘুরির ফিরিস্তি জানাতে!

রশীদ করীমের প্রবন্ধ পাঠের আনন্দ!

রশীদ করীমের বড় পরিচয় উপন্যাসিক হিসেবেই। উপন্যাস লিখেই তিনি নাম যশ খ্যাতি সব পেয়েছেন। সত্তর আশির দশকে রশীদ করীমের জনপ্রিয়তা তো প্রশ্নতীত। নিজেও তিনি খুব বুর্জোয়া গোছের বিশাল এক চাকরী করতেন তাতে অর্থকড়ির জন্য তাকে কোনোদিন লিখতে হয় নি। মন যখন চেয়েছে তখনই লিখেছেন। কোন এক ইন্টারভিউতে পড়েছিলাম -ছোটবেলায় মধ্যবিত্ত পরিবেশে মানুষ হলেও দারিদ্রকে তিনি ভালোভাবে দেখেন না। তার মত হলো দরিদ্র মানুষ সব কিছুতেই দরিদ্র থাকে। ভালো কবিতা পড়তে পারে না, ভালো গান শোনা হয় না, ভালো সিনেমা বা ক্রিকেট খেলা দেখার সুযোগ পায় না। দরিদ্র মানুষের জীবন কেটে যায় অন্ন বস্ত্র সংস্থানেই। স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন উপভোগ করার সুযোগ তাতে নেই। রশীদ করীমের জীবন সময় উপভোগের জীবন। জীবনের শেষ ১৫-১৬ টা বছর অসুস্থতা ছাড়া গোটা জীবনকে তিনি তুমুল ভাবে অনুভব করেছেন। তার এই অনুভবের সবটুকু গল্প পাওয়া যাবে তাঁর প্রবন্ধ সমগ্রতে!

হুমায়ুন আহমেদের উঠোন পেরিয়ে দুই পা ও সুনীলের তিন সমুদ্র সাতাশ নদী!

এইটা ঠিক বই নিয়ে পোষ্ট না। দুই বাংলার দুই বিখ্যাত লেখকের ভ্রমন কাহিনী লেখা নিয়ে দুয়েক প্রস্থ আলাপ মাত্র। শুরু করি নিজের কথা দিয়েই। সবার মত বেড়াতে আমারও ভাল লাগে। কিন্তু বাউন্ডুলের মত বেড়াতে না, নিজের মতো বন্ধু বান্ধবদের সাথে ঘুরতে মজা পাই। কিন্তু যা হয় ছেলেবেলায় আর কি, বাবা মার ধারনা বাইরে ঘুরতে গিয়ে ছেলে নষ্ট হয়ে যাবে তাই আমার দূরে কোথাও ঘুরতে মানা। কাছে কুলে কোথাও গেলে যাও, না গেলে মুড়ি খাও। তাই ছোটবেলা থেকেই আমার বেড়ানো মানেই রাস্তায় রাস্তায় ঘোরা একা একা। কারন এরকম ধুলা বালু মেখে হাটার লোক বন্ধু মহলে তখন কেউ ছিল না। মাঝে মাঝে খুলনা বা চিটাগাং থেকে জামালপু্রের বাড়ীতে যাওয়া এই ছিল এক মাত্র লম্বা সফরের বিবরন। আর চার পাঁচ বছর পর আব্বুর বদলী হতো চাকরীর নিয়মে তখন তল্পিতল্পা নিয়ে স্থান বদল করতে হতো। তবে একই পরিবেশ, চেনা জানা মানুষদের সাথেই আবার পাশাপাশি থাকা। আমার প্রথম বেড়ানো জন্য বের হওয়া ভার্সিটির এডমিশন টেস্ট উপলক্ষ্যে। শুধু রাজশাহী, সিলেট ও জগন্নাথে যাই নি। এছাড়া খুলনা, ঢাকা, জাহাংগীরনগরে এক্সামের উসিলায় লম্বা লম্বা সফর দিয়েছি!

জার্নি ফ্রম হেভেন

এই পোষ্টটা আমার একটা লাইভ ব্লগিং টাইপের পোষ্ট। অনেকদিন লেখি না। মন করে লেখার জন্য আকুপাকু! কিন্তু গোলাম হোসেনের উপায় ছিল না, তাই আমারও নাই লেখার পথ। বাসে সবাই ক্লান্ত ঘুমোচ্ছে তখন লিখছি আমি এই অন্ধকারে বসে বসে। জানি না লেখা শেষ করতে পারবো কিনা! কারন আগের চেয়ে বেশি হ্যাং ওরফে তব্ধা খায় সেট। ঢাকায় গিয়ে এর চিকিত্‍সা করা ছাড়া পথ নাই। আর এন্ড্রয়েডে কি লিখবো? এই মায়াবী টায়াবি দিয়ে? যদিও সব বন্ধুরই এখন বাসায় নেট আছে তাও সেখানে বসে লিখতে ভালো লাগে না। কারন দেখলেই বলবে আইছে ইমরান এইচ সরকার, ঢাকা থেকে চিটাগাংয়ে ব্লগিং করতে! তাই বন্ধুদের অনুনয় বিনয় সত্তেও তাদের পিসিতে বসি নাই। আমার জন্য মোবাইলই যথেষ্ট। বেহুদা অন্যের প্রাইভেসী নষ্ট করে লাভ নাই!

যেভাবে হেঁটে চলছি এই শহরে!

আবার লিখতে বসলাম। কি লিখবো কিছুই ভাবি নাই এখনো। তাও লিখতে বসা অযথাই। শুয়ে শুয়ে বই পড়ছিলাম। আজ তেমন গরম নেই, নেই শরীরে কোনো ক্লান্তি তাই বই পড়ছিলাম। কিন্তু আমার মতো গরীব মানুষের সুখ কারোই সহ্য হয় না। তাই কারেন্ট চলে গেল। শুয়ে শুয়ে মশার কামড় খাবার চেয়ে বসে বসে মশার কামড় খাওয়া ভালো। তাই আবার যথারীতি অন্ধকারে বসে লেখা শুরু করলাম। ব্লগে লেখতে হলে ইচ্ছাই যথেষ্ট। তাই ইচ্ছে হলেই লেখতে বসি। তবে লেখার আগে ভেবে লেখতে বসা উচিত, কিন্তু আমার চিন্তা ভাবনার কোনো বালাই নাই। মনে কিছু কথা আসে তাই না সাজিয়ে গুছিয়ে লিখে দেই। আমার মামা বলে 'তোমার লেখা ওতো পড়ি না আর, খালি কমেন্ট দেখি লোকজনের।' আমি জিগেষ করলাম কেন? মামা বলে একই ধরনের কথাই ইনিয়ে বিনিয়ে বারবার বলো, তা আর পড়ার কি?' আমি মনে মনে ভাবি আহারে কত বড় অপমান। নান্নু মামা থাকলে বলতো 'সবার সামনে অপমান/ মৃত্যুর সমান'।

যেভাবে যাচ্ছে দিন, যা দেখছি।

মন মেজাজের হাল সুবিধার না বিশেষ। সারাদিন বেহুদা দোড় ঝাপ করলাম তাতে আরো বেশী টায়ার্ড লাগছে। অন্য কেউ হলে শুয়ে থাকতো। কিন্তু আমি তো অনন্ত জলিলের ফ্যান তাই অসম্ভবকে সম্ভব করাই আমার কাজ না হলেও তাঁর কাছাকাছি কিছু করা তো যায়ই। তাই প্রচন্ড ক্লান্ত শরীর নিয়ে পোষ্টটা লিখছি অন্ধকারে। আজ কারেন্ট কত শত বার গেছে তার হিসেব জানা নেই। জানি না কতদুর লিখতে পারি। বাবাখোরদের শুনছিলাম নাকি তাদের এমন দশা হয়ে যায় আসক্তিতে যে খাবারে টেবিলেই ঘুমিয়ে পড়ে ঠাস করে। আমি বাবা না খেয়েই পিসিতে ঘুমিয়ে পড়তে পারি যেকোনো সময় এই ব্লগ লিখতে লিখতে। তবে শরীর থেকে কম চে কম দুই তিন লিটার খালি ঘামলাম সারাদিনে। তাই ঘুমানোর আশা দুরাশা!

যা শুনছি!

অন্ধকারে বসে পোস্টটা লিখছি। এই অসম্ভবকে সম্ভব অনন্ত জলিল করে নাই, করেছে ল্যাপটপ। সিটিসেলের এডের ভাষাতেই বলি এমন যে হবে তা কেউ ভাবে নি আগে। অবশ্য প্রচন্ড গরম পড়ছে দরদর করে ঘামছি, তার ভেতরেই লেট নাইট ব্লগ লেখা শুরু করলাম। জানি তেমন কেউ পড়বে না চেনা জানা মানুষ ছাড়া, তাও নিজেকেই নিজে অনুপ্রেরনা দিয়ে লিখতে বসি। কেউ কেউ তো এসে পড়ে যাবে তাদের জন্য লেখা আর নিজের জন্য তো বটেই! মামা বাসায় নাই। হবিগঞ্জে অফিসের কাজে। মামা না থাকলে আমি ঘুমাই অনেক দেরীতে। কারন জানি বকা দেয়ার কেউ নাই। অবশ্য মামা থাকলেও রাত জাগা হয় যথারীতি। তিনটা পর্যন্ত বসে থেকে ফেসবুকের শ্রাদ্ধ করি, কি আর করা যাবে! কিছুদিন সকালে হাটলাম এই গরমে তা আর ইচ্ছা করে না! আর আবার লোডশেডিং ফুল ফর্মে ফিরছে। পাচ ছয় ঘন্টা থাকেনা ইলেকট্রিসিটি। বিকেলের দিকে হুট করে বৃষ্টি নামে তাতে জ্যাম বাড়ে আর গরমটাও হয় ঝাঝালো। গরম আমার খারাপ লাগে না। কিন্তু এত ঘামতে ঘামতে খালি ক্লান্ত লাগে!

ঠাসবুনটের ভীড়ে- ঠাসাঠাসি মানুষের এই শহরে!

মানুষ আমার খারাপ লাগে না। বরং অপরিচিত এক দংগল মানুষ দেখলে আনন্দিত হই যে ঢাকা শহরে আছি আর ভয় নাই। তবে এখন মানুষ দেখলেও ভয় লাগে। এত মানুষ এই দেশে সব পিলপিল করে ঢাকায় এসে পড়তেছে তা ভাবলেই দমবন্ধ লাগে। ঢাকা অবশ্য আমার বাপ দাদার সম্পত্তি না যে ঢাকায় মানুষ আসবে না। উল্টা বলা যায় আমি হইলাম মফিজ শ্রেনীর লোক যারা ঈদে বাড়ীতে চলে যায়। মফিজরা যখন বাড়ীতে, ঢাকায় থাকা মানুষের সুখের দিন। ফাকা ফাকা শহরে আয়েশ করে ঘুরে ফেরায়। টিভি চ্যানেল গুলাতে বারবার করে বলে এমন ঢাকাইতো আমরা চাই। কিন্তু সেই চাওয়াতো সোনার হরিন। আমাদের মতো মফিজরা ফিরে আসে ঢাকা আবার ফিরে পায় আগের হট্টগোল আর জনারণ্য। যারা সারা বছর ঢাকার বাইরে থাকেন তারা নিজেদেরকে দুনিয়ার অন্যতম লাকী লোক ভাবতে পারেন। কারন এই শহরে সবাই আসে বা থাকেই স্বার্থসিদ্ধির আশায়। যাদের সেই স্বার্থ নাই তারাই ভবিষ্যতে জলিলের মত নিঃস্বার্থ ভালোবাসাময় জীবন পাবেন। আমরা যারা এই শহরে থাকি তারা আছি বাটে পড়েই। এই বাটে থাকতেই থাকতেই বাটখারা হয়ে গেলাম, যেখান থেকে মুক্তি নাই!

রাজনীতি, পেটনীতি , পেশীনীতি ও বড়লোকের নীতি!

শিরোনাম দেখে টেনশন নিয়েন না কেউ, এইটা অতি সাধারণ দিনলিপি ঘরনারই পোষ্ট। রাজনীতি নিয়ে তথ্যভিত্তিক জ্ঞানগর্ভ পোষ্ট লেখার বিদ্যে আমার ছিল না কোন কালেই। রাজনীতি ও ইতিহাস নিয়ে পড়তে ভালো লাগে তা নিয়ে সর্বোচ্চ চায়ের দোকানেই আলাপ করি এর বাইরে আমার রাজনীতি করার কোনো চেষ্টা নাই। মাঝে মধ্যে প্রেস ক্লাবে বা শাহবাগে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি, মিছিলের আগে বাম নেতাদের বক্তব্য শুনেছি এতটুকুই আমার রাজনৈতিক অংশগ্রহন বলা চলে। এর বাইরে মোহাম্মদপুরের এক চিপায় দিনের পর দিন বসে বসে আড্ডা পিটানোর কারনে সেখানকার রাজনীতির হাওয়া বাতাস সমন্ধে জানি। আর পত্রিকার পাতায় দেশ নিয়ে দুঃসংবাদ পড়ে টেনশন নেই নিজে নিজে তারপর ভুলে যাই এই করেই চলছে। তাও আমি আজ লিখতে বসলাম ইদানিংকালের নিজের চোখে দেখা পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে!

কোলাহলের দিনরাত্রী!

জানি না লিখতে পারবো কিনা তাও চেষ্টা যদি লিখে ফেলতে পারি।।। মনিটর নষ্ট একদম তাই নতুন ল্যাপটপে লিখছি নানাবিধ টুকটাক সমস্যা তো লেগেই আছে, তার ভিতরে লেখার জন্য এই চেষ্টাটা করছি। লিখতে আসলে আমার খুব ভালো লাগে, ভালো লিখতে না জানলেও।। অল্প বিদ্যে যেমন ভয়ংকরী তেমনি আমার এই টুকটাক ব্লগ লেখার জন্য চেষ্টা আরো ভয়ংকরী। সেই কবে শেষ লিখেছিলাম তারপর আর লেখাই হলো ্না। কতদিন মোবাইল দিয়ে লেখার চেষ্টা করছি কিন্তু এক প্যারা লিখে আর ইচ্ছা করে নি কারন মোবাইলটার বয়স হয়ে গেছে সন্দিহান ছিলাম লেখা শেষ করতে পারবো কিনা! আর এখন আর সেই আগের মতো বেগার খাটতে ইচ্ছা করে না। যা লিখতে চাই তাই লিখতে না পারলে লেখার কোনও মানে হয় না। সাইবার ক্যাফেতেও একদিন বসছিলাম কিন্তু শ্যালকদের অভ্র নাই তাই আমারও লেখার মন উঠে গেল। অবশ্য বাড়ী থেকে এসে সেমিস্টার ফাইনাল নিয়ে ছিলাম তারপর বন্ধু নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম কিন্তু প্রতিটা দিনের শেষে মনে পড়তো লেখার কথা।। গরীবের ঘোড়া রোগ আর কি! আজ পাওয়া গেল যোগার যন্ত্র রাতে বসে গেলাম লিখতে এ যেন ঈদের খুশী!