আরাফাত শান্ত'এর ব্লগ
কখন তোমার আসবে টেলিফোন...
"বাংলা এখন" নামের কোনো চ্যানেল আছে তা আমার জানা ছিলো না। আজ আরো জানলাম তাদের একটা প্রোগ্রামও আছে নাম- কখন তোমার আসবে টেলিফোন। অনুস্টানটার টাইটেল অত্যন্ত খেত। কিন্তু কনটেন্ট ভালো। কি কনটেন্ট? কনটেন্ট হলো যেকোনো শিল্পী সরাসরি ফোনে দর্শকদের সাথে আলাপ করবে। দর্শক যা মন চায় প্রশ্ন করবে!
নাম নাই তাই দাম নাই এই দিনগুলোর!
শেষ দিন হয়তো আজ কাল যে সকালে আমি চা খাচ্ছি। আবার এক মাস পরে হয়তো ঈদের দিন প্রথম সকাল বেলা চা খাবো। মাঝখানের এক মাস কাটবে রোজায়। এইসময়ে আমি হা করে ঘুমাবো, কারেন্ট থাকবে না, দুপুরে এতো জ্যামের ভেতরে ক্লাসে যেতে হবে আর ইফতারীর আগে ফিরতে পারবো কিনা তা নিয়ে টেনশন। প্রথম সাত আট দিন জনগনের তীব্র ইসলামী ভাবাবেগ। রোজা বাড়ার সাথে সেই আবেগ ফিকে হয়ে শপিং মলের দিকে ধাবিত হওয়া এই করেই চলছে বছরের পর বছর। আমি অবশ্য অনান্য ওয়াক্তের নামায বাসায় বা মসজিদে পড়লেও তারাবী মোটেও পড়ি না। তারাবী পড়তে মোটেও ভালো লাগে না কোনো কালেই। বরং তারাবীর সময়টা আড্ডা মেরে কাটাতে খুব ভালো লাগে। বারবার মনে পরে বাল্যকালের তারাবীর সময়ের যতো দুষ্টামি করছি সেই সময়ের গল্প। এই সব গল্প অবশ্য আগের বছর অনেক করছি। খুজে দেখলাম আগের বছর রোজা উপলক্ষে আমার মেলা পোস্ট। সেই পোস্টে ঘুরে ফিরে এইসব আলাপ আসছে বারবার। এই সব ব্যার্থ দিনলিপি ছাড়া লেখার মতো কিছু খুজে পাই না। ভাবছিলাম বই নিয়ে লিখবো তাও গত কয়েকদিন ধরে পাবলিক লাইব্রেরীতে যাই না তাই লেখাও হয় না। রোজার ভেতরে পুরাই বেকার বেকার দিন কাটবে ক্লাস ছাড়া। তখন চাইলেও পাবলিক লাইব্রেরীতে যাওয়া হবে
কলকাতা সিনেমা নিয়ে কথাবার্তা কিস্তি দুই
এই সিরিজের প্রথম পোস্টটা লিখছিলাম পাচ মাস আগে। তারপর চলে গেলো কত সময়, কলকাতার সিনেমাও কিছু দেখলাম নতুন কিন্তু তা নিয়ে লেখা হলো না। কাল রাতে পোষ্টটা লেখার প্ল্যান মাথায় আসে। কালকেই লিখে ফেলতাম কিন্তু পিঠে ব্যাথায় পর্যুদস্ত আর এক বন্ধুর সাথে ফেসবুকে আলাপ করতে করতে সময় চলে গেলো। আমার এরকম প্রায় হয়। ব্লগে লিখতে বসে অন্য ট্যাবে ফেসবুক চালু থাকে। দেখা যায় ফেসবুকে আজাইরা লাইক আর গুতাগুতি করতে করতেই সময় শেষ। ফেসবুকের চেয়ে সময়ের অপচয় আর কিছুতেই হয় না। খুব মেজাজ খারাপ লাগে কিন্তু ঘুরে ফিরে মোবাইলে কিংবা ল্যাপটপে তাই খুলে বসে থাকি। আগের মতো স্ট্যাটাস দেই না, গানও তেমন শেয়ার করি না তাও ফেসবুকেই বসেই থাকি। তবে বন্ধু সোহেল বাসায় তাই ও আমার সামনে বসে ওর ফেসবুক চালানো দেখি, মজা লাগে। আমার রিয়েল লাইফ ফ্রেন্ডরা তেমন একটা ফেসবুকে নাই। ফেসবুকে তাদের ইচ্ছা করেই রাখি নাই। কিন্তু আমাদের পুরা সার্কেল ফেসবুকে কি করে তা নিয়ে ধারনা পাওয়া যায় সোহেলের ফেসবুক দেখলে। যেমন আমাদের ব্যাচের ছেলেমেয়েরা খুব পেরেশান ছিলো এই দুইদিন মোবারকরে নিয়ে। মোবারক কে?
বন্ধু সামিয়ার বিয়ে!
শিরোনামটা মায়াবতীর বিয়ে লিখলে ভালো লাগতো। কিন্তু ইচ্ছা করেই লিখলাম না। কারন এই ব্লগের একজন মায়াবতী কিংবা তার সিসিমপুর বাহিনীর গল্পের চেয়ে বন্ধু সামিয়াই আমার কাছে বেশী আপন। সামিয়ার অবশ্য নামের শেষ নাই। সবার আদরের ছোটো বোন বলেই তার নাম কেউ ডাকছে স্বর্নালী কেউবা পিংকী। আর ছোট্ট শ্রেয় তার আব্বুর মতো পিংকী বলতে পারতো না তাই ডাকতো পিপু বলে। পিপু নামটা আমার খুব পছন্দের। শতকরা ষাট ভাগ এসেমেসে আমি ওকে পিপু নাম ডাকছি। তবে ভালো নাম সামিয়া সেইটারও আবেদন কম না। জানি এই পোস্ট ও কবে না কবে পড়বে ঠিক নাই!
বোরিং...
বোরিং। নিজের সমন্ধে এই একটা শব্দই সব চাইতে বেশী যুতসই মনে হয়। বোরিং মানে সব সময় বোরিং ফিল করি তা না। বোরিং মানে বুঝাচ্ছি এন্টারটেইনিং না। বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিলে দাঁড়ায় খাপ খাওয়াতে না পারা, কোনো অনুস্টানে গিয়ে চুপচাপ বসে থাকা, চারিদিকে এত মজা আনন্দ তার দিকে সন্দেহের চোখে তাকানো, অল্প পরিচিত মানুষদের সাথে মিশে গিয়ে হাসি ঠাট্টা না করতে পারা। মোটের উপরে কথা অভ্যস্ত না এমন একটা হাঁসফাঁস আচরন কোথাও গিয়ে করে বেড়ানো। আবার সেই অনুষ্ঠানেই যদি আমার বন্ধু বান্ধবদের এনে দেওয়া যায় তবে আমার চেয়ে লাফালাফি আর কেউ করবে না, আনন্দের অতিসায্যে খেই হারিয়ে ফেলবে। তার মানে কি দাঁড়ালো? তার মানে আমি নিজের জগৎ নিজের বন্ধুময় পরিবেশ ছাড়া যেখানেই যাই ডিসওরিয়েন্টেড বোরিং ফিল করি। এই বিষয়ে ভালো জিনিস বলছিলো আমার বন্ধু অবশ্যই মেয়ে যার সাথে তাম্রযুগে আমার ভাব ভালোবাসা ছিলো। সে বলছিলো "বন্ধুদের সাথে দেখি তোমাকে কথার তুবড়ি ছোটাও, আমার সামনে আসলেই দেখি কোন কথাই খুজে পাও না। আমি যাই বলি শুধু তারই এন্সার দেও।" শুনে আমি খুব চিন্তায় পড়ে গেছিলাম। আসলেই তো আমি এমন কেন?
বলিউড হলিউড ভেরী ভেরী জলি গুড!
ইচ্ছা করেই দুই তিন দিন পোস্ট লিখি নাই। কারন টানা পোস্ট লেখার কিছু নাই। আমি তো ওতো মহান লেখক না যে লিখতেই হবে। লিখি সাদামাটা দিনলিপি তা মিস গেলেও কিছু করার নাই। আর যাদের লেখার কথা তারাই যদি না লিখে তবে কারোর কিছু আসলেই করার থাকে না। আর একটা লেখার পরে যখন দেখি মাত্র তিন চারটা কমেন্ট তখন খুব কস্ট লাগে। তবে এতো কস্ট জীবন নস্ট। তাই এখন আর কস্ট পাই না। ধরেই নেই অনেকেই পড়বে লেখাটা, হয়তো ভালোও লাগবে, কিন্তু কেউ কমেন্ট করবে না। তবে কমবেশী পড়ে যে অনেকে লেখা তা আমি মানি। নয়তো কবে কি লিখছি তার রেফারেন্স মাঝে মাঝেই এমন মানুষদের কাছ থেকে শুনি যাদের আমার লেখা পড়ার কথা না। অনেকেই বুকমার্কড করে ফেলছে চেনা জানা শুভাকাংখীরা তারা নিয়মিতই জানায় মন্দলাগা ভালো লাগা। আমি কতো কস্ট করে পোস্ট লিখি তা নতুন করে বলার কিছু নাই। আপনারা যখন এই পোস্টটা পড়ছেন তা লেখার জন্য আমাকে সন্ধ্যায় ঘুম থেকে উঠে ভাবতে হইছে কিন্তু তখনই তো আর লেখা যায় না। লেখার সময় ফিক্সড হয় ভাত খাওয়ার পরে। বুয়া আসে নাই লোডশেডিংয়ের অন্ধকারে মামা রান্না করলো। আমি মনের সুখে ওয়ান্স আপন টাইম মুম্বাই এগেইনের কাওয়ালী সুফী মিক্সড একটা গান বারবার শুনতে শুনতে
আহমদ ছফা জন্মের ৭০ বছর পেরিয়ে!
আহমদ ছফা আমার এতো পছন্দের লেখক তাও উনাকে নিয়ে লেখার দুঃসাহস কখনো করি না। কারন যাদের মানুষ দেবতা তুল্য ভক্তি করে তাদের নিয়ে আসলে লেখা যায় না। আর আমি আসলে অন্য যেকোনো লেখক নিয়ে ঢালাও মন্তব্য করতে যেমন গায়ে বাধে না। কিন্তু পছন্দের লোক নিয়ে কেউ মন্তব্য করলে শুনি, নিজের আর কিছু বলা হয় না। কারন আমার পছন্দ সবার পছন্দ হতে হবে এরকম ফান্ডামেন্টালিস্ট চিন্তা আমার কখনোই ছিলো না। যখন সবাই মাসুদ রানা পড়ে সেই আমল থেকেই আমি হুমায়ুন আহমেদের লেখা বড়দের জন্য নানান উপন্যাস সমানে গিলছি। চিটাগাংয়ে শিবির আর ছাগুর বাম্পার ফলন। সেই বন্ধুরা তখন শাওন হুমায়ুন আহমেদ বিয়ে নিয়ে আদি রসাত্মক ফাজলামী করতো। আমি চুপচাপ শুনতাম। কি বলবো?
স্মৃতিতে সৌভাগ্যের রজনী!
বাঙ্গালী মুসলিম জীবনে শবে বরাত নিয়ে লিখতে গেলে দশটা পোস্ট অবলীলাতেই দেয়া যাবে। আমি ওতো আলাপে যাবো না। আর এমনিতেই বানান ভুল আর যতিচিন্হে তালগোল পাকিয়ে লেখার অবস্থা ছেড়াবেড়া। এমন না যে আমি বানান জানি না। সমস্যা হইছে যে পুরানো ল্যাপটপ বা কম্পিউটারটাও পুরানো অভ্র তাই স্পেল চেকার নাই। আর নিজেও ওভারকনফিডেন্ট হয়ে লেখা শেষ করাটাকে বেশী ইম্পোরটেন্স দেই। আর যতিচিন্হের ভুলের কারন টা হলো কারেন্ট চলে যাবে তাই খুব তাড়াহুড়ায় লেখা আর যতি চিন্হ বিষয়ক তথ্য জানার অভাব। ব্লগে লেখার সময় আমি কোনোকালেই বানান শুদ্ধতা আর সেনটেন্স স্ট্রাকচার নিয়ে ভাবি নাই। সবসময় মনে হইছে লেখা শেষ করতে পারলেই হলো। আর কি বুঝাইছি তা বুঝলেই দায় শেষ। আর ব্লগে আমরা আমরাই তো। এখন যখন প্রায় প্রতিদিন পোস্ট লিখে চলছি কোনো কালেই তো ভাবি নাই এতো লিখবো!
জেমকন সাহিত্য পুরস্কার ২০১৩।।
আমি জীবনে কোনোদিন কোনো সাহিত্য পুরষ্কারে যাই নাই তেমন। শেষ গিয়েছিলাম মনে হয় বাংলার পাঠশালা এক পাতি বাম পাঠচক্র বেইসড সংগঠনের আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সাহিত্য পদকে। অনুষ্ঠানটা খুব সাদাসিদে ভাবে আর সি মজুমদার মিলনায়তনে হয়েছিলো। খুব বেশী কথা মনে নাই সেই অনুষ্ঠানের। তবে কাল যে আয়োজনে গেলাম তাতেও আমার যাওয়ার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা ছিলো না। কারন আমি সেরকম কেউ না যে কেউ দাওয়াত দিবে। আর চারিদিক কোনো সময় ফলো করা হয় না যে খোজ করে যাবো। তাই এই অনুষ্ঠানে যাবার প্রধান কারন আহমদ মোস্তফা কামাল ভাইয়ের পুরস্কার প্রাপ্তির অনুষ্ঠান বলেই। নয়তো কতো কিছুই তো হয় এই ভাবে কি আর জরুরী ভেবে যাওয়া হয়। আর অনেকদিন এবির লোকজনের সাথে ফেসবুক মোবাইল বাদে যোগাযোগ নাই। তাই ভাবলাম যে কয়জনই আসুক আড্ডা তো হবে!
অস্থির অস্বস্তিকর দিনকাল!
ইদানিং চায়ের দোকানের উপর থেকে আমার মন গেছে উঠে কিছুই আর ভালো লাগে না আর। এভাবে যে কখনো প্রিয় চায়ের দোকান থেকে মন উঠে যাবে তা ভাবতেই পারি নাই। মন উঠে যাবার কোনো কারন নাই। এমনি এমনি মনে হলো ঢের হয়েছে চা খাওয়া আর চাবাজ আড্ডা এখন একটু অন্য কিছু করা যাক। আরেকটা বড় কারন হলো দেখলাম সবাই নিজের জগত লইয়া চিন্তিত আর পেরেশান। আমি সব পেরেশানি ভুলে চায়ের দোকানে পড়ে থাকি তাদের সেই অবকাশ টুকুও নাই। আর পুলক কোর্টে যাওয়া শুরু করছে, আদনান যায় অফিসে তাহলে ঠেকে গেলাম নাকি আমি!
সস্তায় বিকিয়ে দেয়া সময় গুলো!
ম্যানেজমেন্টে পড়ায় সময় মানেই টাকা। তাই সময় অতি মুল্যবান। কিন্তু এই মুল্যবান সময়ের যে যথেচ্ছ ব্যাবহার করতেছি তাতে কতো টাকা যে চলে গেলো তার হিসেব আর নেয়া গেলো না। সময় ভাঙ্গিয়ে টাকা গুলো নগদ নগদ পেলে অনেক উপকার হতো। ছোটোখাটো অনেক আশা ভরসা আছে নিজের বন্ধুদের তা পুরন হয়ে যেতো সহসাই। আমি আবার লোকজনরে আশায় রাখতে ওস্তাদ। একেক বন্ধুরে একেক ধরনের আশা দিয়ে বেড়াই। যে টাকা হইলে তোকে সেইটা কিনে দেবো, সেই জিনিস খাওয়াবো, আমাদের ওই প্ল্যানটার পিছনে মাঠে নামবো। কিন্তু সেরকম টাকাও আসে না আর আমার সব কিছুই ফাকা বুলি থেকে যায়। আবার নিজের সাথে নিজের কিছু আশা ভরসা প্রতিশ্রুতি পুরন হয় না মুলত ডেডিকেশনের অভাবে। আমার ডেডিকেশন সব সময়ই প্রশ্নবিদ্ধ। এইজন্যেই কিছুই হচ্ছে না আর আমাকে দিয়ে। না হলে কি আর করার। জান তো দেয়া যাবে না। আর আমি জিয়া খান না যে অবসাদগ্রস্থ হয়ে সুইসাইড খাবো। আমি আমার মতোই থাকি চিরচেনা আলসেমীতে। যা হবার হোক মরে গেলেই তো সব শেষ। যা করতেছি তাই করি, ঠুনকো নানান আশা ভরসা দিয়ে মানুষকে দিয়েই বেচে থাকি। রাজনীতিবিদেরা এতো মিথ্যার প্রতিশ্রুতিতে ভাসাতে পারে আর আমি সামান্য আশা ভরসা কাছের মানুষদের দিতে পারবো
মরুময় এই শহরে রোদে পোড়া দিন রাত্রী!
আমি সিগারেট খাই না একেবারেই। কিন্তু এই গরমে আমার খুব সিগারেট খেতে ইচ্ছা করে। মনে চায় মনের সুখে বেনসন টানি। কিন্তু তা আর হয়ে উঠে না, তার সম্ভাবনাও নাই। কারন এতোদিন খাই নি এই বুড়ো বয়সে সিগারেট টানার কোনো মানেই হয় না। সামান্য চা খাই তাতেই দাতের অবস্থা বারোটা। ভাইয়া দেশে এসেই বলে শান্ত চা খাওয়া কমা নয়তো চা খাওয়ার পর কুলি করে নে"। আমি তো বুঝাতে পারি না যে আগের চেয়ে অনেক কম চা খাই। সেই দুরন্ত ভার্সিটির দিন গুলোতে দিনে বারো তেরো কাপ চা খাইতাম। এখন চা খাই চার থেকে পাচ কাপ। তবে আমার চা খাওয়ার জন্য নান্নুর চায়ের দোকানে কাপটা একটু বড়। তাই পাবলিক ভাবে ঐ কাপে আমি সমানে শুধু চা খাই। কিন্তু এক কাপ চা খেতে যেয়ে যে আধা ঘন্টা লাগাই তা দোকানদার ছাড়া আর কেউ বুঝে না। আবার চা না খেলেও বিপদ। আমাদের ওয়ার্ডের যে আওয়ামীলীগ সভাপতি তিনি হাসতে হাসতে বলবেন শান্ত মামা আগের মতো চা খান না কেন? কোনো টেনশনে আছেন নাকি?
কতো বারও ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া!
শিরোনামটার যথারীতি বিশেষ কোনো তাৎপর্য নাই। গানটা আগেই অনেকবার শুনে থাকতে পারি কিন্তু একটা অতি সাধারন রবীন্দ্রসংগীত যেমন ভালো লাগে তেমনি লেগেছে। কিন্তু সেদিন ক্লাসে যাচ্ছিলাম এমবিএ বিল্ডিংয়ের পাশে যে বিশাল মাঠ সেখানে রাস্তার এককোনায় বসে একমেয়ে তার প্রেমিকের কাধে মাথা রেখে গানটা গাইতেছে। আহা কতো অসাধারন একটা সিন। আমি কিছুক্ষণ সময় দাঁড়িয়ে রইলাম মোবাইল গুতাগুতির উসিলায় মেয়েটার গলা ভারী মিস্টি। মনে হচ্ছে শুভমিতা বা লোপামুদ্রা গেয়ে চলছে। বাসায় এসে পড়লাম সেই গানের প্রেমে। বারবার বহু শিল্পীর গাওয়া একি গানই বারবার শুনতেছি। এরকম আমার ক্ষেত্রে অনেকবার হয়। মুল গান ভালো শিল্পীর কাছে ভালো লাগে নি। মানুষের মুখে শুনে শুনে সেই গানটায় ব্যাপক আশক্তি বাড়িয়েছি। এইটার একটার বড় কারন হতে পারে রেডিও। ছোটবেলায় রেডিওতে গান শুনে মুখস্থ করতাম তো তাই আশেপাশের মানুষজন কি গান গায় শুনার চেস্টায় থাকতাম। তখন আরেকটা জিনিস প্রায় হতো আমি গায়েবী ভাবে গান শুনতাম। মনে হতো কেউ আমার প্রিয় একটা গান গাচ্ছে। যদিও বড় হয়ে জেনে গেছি ইহা ঘোর ছাড়া আর তেমন কিছু না। গায়েবী গান আসলে নিজের মনেই গেয়ে চলছে অবিরাম!
দেখো মা পুড়ছি আমি রোদ্দুরে!
শিরোনামটা বেশী ভারিক্কি হয়ে গেলো। আমি এতো ভালো ভালোয় দিন পার করে যদি এই ধরনের শিরোনাম দিয়ে পোস্ট দেই তাহলে তা খুব একটা শোভন হয় না। আসলে শিরোনামটা নটোবর নটআউট সিনেমায় রুপমের একটা গান থেকে নেয়া। সিনেমাটা দারুন। এতো দারুন স্মার্ট শতভাগ বাংলা সিনেমা অনেক দিন দেখি নাই। মিস্টি কমেডীর মিস্টি ইন্টারটেইনেমন্টের ছবি। নবাগত বাংলাদেশি নায়ক মোস্তফা প্রকাশ নামের ছেলেটার অভিনয়ে মুগ্ধ হইছি ব্যাপক। এবং প্রত্যেকেই চরিত্র অনুযায়ী অসাধারন অভিনয়ে, দেবজ্যোতি মিশ্রর দারুন মিউজিক ডিরেকশনে ছবিটা আমার দেখা কলকাতার অন্যতম সেরা ছবি। যদিও ছবিটা তেমন ব্যাবসা করতে পারে নি তাও এরকম মিস্টি ছবি অনেকদিন দেখা হয় নাই। ছবির ডায়লগের কাব্য ও সমগ্র ছবি জুড়ে কবিগুরুর উপস্থিতি দারুন লাগে। টাইটেল এনিমেশন, ঝকঝকে প্রিন্ট মন কেড়ে নেয়। এরকম আরবান বাঙ্গালীয়ানা ছবি আর চোখে পড়ে নাই! কলকাতার ছবি যা দেখছি তা নিয়ে আরেকদিন লিখবো। আজ এখানেই অফ যাই!
বেদুইন মন যেন ওয়েসিস চায়, কতো দূরে সে দুরের নগর!
আবার লিখতে বসলাম। যদিও লেখার জন্য খুব একটা উপযোগী মন বা পরিবেশ নাই। গরমের দিন গুলোতেই আমার বেশী ভালো লাগে। এই কথা যখনই কাউকে বলে সবাই অট্টহাসি দেয়। গরমের দিন কারো প্রিয় হতে পারে তা কেউ কখনো ভেবে পায় না। কিন্তু মানুষের ভাবাভাবিতে আমার কিচ্ছু আসে যায় না। এই তীব্র গরম দাবদাহ বা কালবৈশাখীর দিন গুলোই আমার কাছে অসাধারন লাগে। ঝকঝকে দিনে রোদ উঠবে আকাশ কাপিয়ে, এমন দিনে আমি হেটে বেড়াবো নগর বন্দর একা একা এমন সব স্বপ্ন দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। কখনো সখনো যদি এরকম দিন পার করি মনে হয় জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় গুলো পার করে আসলাম। তবে গরমের দিন আমার ভালো লাগার আরেকটা বড় কারন হতে পারে ছোটবেলা থেকেই এই লম্বা দিন গুলোতে খুব বাইরে বাইরে থাকতাম। সারাদিন খেলা আর খেলা। আমার বয়সী আমার বন্ধুরা যখন বাসায় যেতো তখনও আমি চলে যেতাম কলোনীর বাইরে। তখন কেউ বাইরে বাস্তোহারা কলোনীর ছেলেদের সাথে খেলতো না একি স্কুলে পড়লেও। কিন্তু দেখা গেলো সারাদিন বাইরে বাইরে থাকার কারনে আমার প্রচুর বন্ধু চারিদিকে। রোদে পুড়ে চেহারা তামাটে কালো, শুকিয়ে কাঠ তার ভেতরেই আমার বাহির অভিযান অব্যাহত। আমার আম্মু আব্বু ভাইয়া মেরেও আমাকে সাইজে আনতে পারে ন