আরাফাত শান্ত'এর ব্লগ
ফ্যানটাস্টিক ফ্রাইডে!
ফ্রাইডে আমার কাছে কখনোই খুব বেশী ফিল নিয়ে ধরা দেয় না। চাকরী বাকরী করি না তাই আমার কাছে শুক্রবার সাধারন দিনই। উলটা শুক্রবারের সকালটা আমার খুব পেইন লাগে। পত্রিকা পড়তে ইচ্ছা করে না, বাসায় ঘুমাতে ভালো লাগে না, বই পড়তে ইচ্ছা করে না। বেকুবের মতো বের হয়ে সকাল সকাল জনমানবহীন রাস্তা ঘাটে হাটি আর চায়ের দোকানে বসে থাকা। তারপর নামায পড়তে হবে আবার এই একটা গেঞ্জাম। ওয়াক্তের নামায আমি ঠিকঠাক ভাবেই পড়ার চেষ্টা করি কিন্তু জুম্মার নামায পড়তে আমার খুব আলসেমি লাগে। ছোটবেলায় বড় ভাইদের দেখতাম নামায না পড়ে গোল হয়ে বসে দোকানে আড্ডা মারতে, তখন দেখে মনে হতো এরা মনে হয় ধর্ম কর্ম মানে না!
ইমোশনাল এটাচমেন্ট!
মন মেজাজ খুব ভালো না। বন্ধু সামিয়া কইলো আমার নাকি বাতাস লাগছে মন খারাপের। আসলেই হয়তো তাই নয়তো বেহুদা মন খারাপের কোনো কারন নাই। তবে ভোরের দিকে একটা ভয়াবহ স্বপ্ন দেখে মেজাজ খারাপ হলো। স্বপ্ন দেখার পর থেকে ঘুম আসছিলো না। খালি ছটফট করতে ছিলাম। তবে এইটা একটা সত্যি কথা যে একটু মন খারাপ, অবসাদ গ্রস্থ বিলাসি দিনকালই আমার বেশি যায় যাপিত জীবনে। পুরানো ডায়রীর পাতায় যখনি লেখা গুলো পড়ি দেখি যখনি মন খারাপ থাকতো তখনি পাতার পর পাতার খালি লিখছি। কিন্তু মন ভালোর তেমন অনেক কিছুই ঘটছে কিন্তু কিছুই লেখি নাই। মানুষই বোধ হয় এমন যে সুখের কথা মনেই রাখে না কিন্তু সামান্য কিছু দু;খের ঘটনা গুলো বারবার স্মৃতিতে আসে। আমার এই প্রবনতা বেশী আরো, ভালো আছি তাও কেনো জানি খালি বিষন্ন লাগে বারবার। আবার খুব যে বেশি বিষন্ন হই তাও না। মোহিত কামাল আগে টিভিতে বলে বেড়াতো বিষন্নতা একটা রোগ। আমি সেই রোগের ভালোই রোগী। আমার এক ইউনির বান্ধবী ছিলো রুপা। কোনো এক অজানা কারনে সে আমারে খুব পছন্দ করতো। আমিও বন্ধু সুলভ আচরনই করতাম। আমার এই বন্ধু সুলভতা দেখে সে আমারে কইছিলো তুমি মিয়া দুঃখু মিয়া মারকা ছেলে যা আমার একদম পছন্দ না। এই ধরনের দুঃখ
আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবো না!
আমি মানুষটা বড়ই অসামাজিক। এইটা আদর করে বলা না। অনেক সামাজিক মানুষেরা নিজেকে আদর করে অসামাজিক ডাকে। এইটা তেমন আদুরে অসামাজিক ডাক না। বাস্তবিক অর্থেই অসামাজিক ও সামাজিক ভদ্রতা হীন মানুষ। এইটার প্রাকটিসে থাকতে থাকতে আমার কাছে এইটা নিয়েই একটা নিজের ভেতরে অহমবোধ আছে। এবং চরম দুর্দিনেও আমি ইহা মেইনটেইন করছি দারুন ভাবে। বন্ধুরা এইটাকে ধরে নিছে আমার এটিচিউড হিসেবে। আর আত্মীয় স্ব্জনেরা ধরছে ইহা আনস্মার্টনেস সেচ্ছাচারিতা হিসেবে। তাও আমি আমার এটিচিউড নিয়ে সন্তুষ্ট। মাঝে মাঝে নিজের উপর গ্লানির একটা জায়গা তৈরী হয় খানিক সময় পরেই মনে হয় আমি আমার মতোই। কারোর মতো বা আলগা ভাব দেখানোর সময় অনেক আগেই পেরিয়ে আসছি।
বন্ধুত্বের বয়স বাড়ে না!
সেই ছোটোবেলা থেকেই আমার এই সমস্যার শুরু। আব্বুর চাকরীর সুত্র ধরেই আমাদের বাসাতে কোনো কালেই আত্মীয় স্ব্জনে ঠাসাঠাসি ছিলো না। এমন অনেক বছর গেছে যে কোনো মানুষ- তা রক্ত মাংসের আত্মীয় হোক আর যাই হোক কেউই ছিলো না বাসায়। যে ধরনের পরিবারে মানুষ গর্ব নিয়ে বড় হয় তেমন কোনো যুথবদ্ধ জীবন আমার ছিলো না। বাবা মা ভাই বাবা শেষ। এর বাইরে অনেক দূরে থাকার কারনে আর কোনো আত্মীয় বেড়াতেও আসতো না। কে আসে আর এই জামালপুর থেকে মরার খুলনা কাপ্তাই চিটাগাং বেড়াতে। আর আব্বু আম্মুর ব্যাস্ততার কারনে আমাদের বাড়ীতে যাওয়াও হয়তো কম। দুই বছর একবছরের মাঝখানে ১ বার অল্পকদিনের জন্য বাড়ীতে যাওয়া, মাস খানেক থাকা এই। তাই বাল্যকালে আমার বাড়ীর আত্মীয় স্ব্জন বা গ্রাম কিছুই আপন হয়ে উঠে নি। আমার ভাইয়া তখন আমার চেয়ে বড় বলেই অল্প বিস্তর তার সাথে গ্রামের একটা টান ছিলো। মামা আর ভাইয়া সমবয়সী তাই ভাইয়ার বাড়ীতে থাকার দিনগুলো ভালোই লাগতো। আমার ভালোও লাগতো না, খুব যে যেতেও চাইতাম তাও না। আমার মনে আছে এখন যে মামা রুমমেট তাকে আমি ক্লাস ফোর ফাইভে চিঠি লেখছিলাম যে মামা বাড়িতে আসলে তুমি আমার সাথেই তো থাকো না তাই আমার ভালো লাগে না। আজ হুট করে সেই চি
৭ই মার্চ!
অনেক দিন ধরে রাতে মশার কামড় খেতে খেতে পোস্ট দেই না। আজ কোনো অদ্ভুত কারনে মনটা খুব খারাপ। তাই ভাবলাম লিখে ফেলি পোস্ট। যদিও মন খারাপ থাকার কোনো কারনই নাই। বন্ধু আড্ডায় দহরম মহরম জীবন। খাচ্ছি দাচ্ছি ঘুমাচ্ছি আর আড্ডা মারছি। দিন চলে যাচ্ছে খুব দ্রুত। সকাল শুরু হয় মাঝ রাতে ঘুমিয়ে পড়ি, সারাদিন বলার মতো কিছুই করিনা তাও দিন যাচ্ছে হাসতে খেলতে খেলতে। আমি জানি যে জীবন আমি চালাই তা অনেকেই ইর্ষা হয়। কিন্তু এতো ভালো থাকার ভিতরেও, অনেক আড্ডার ভীড়েও নিজেকে কেমন জানি অবসাদ গ্রস্থ ক্লান্ত লাগে। এই কথা কোনো বন্ধুকে বললে চিরাচরিত হাসি দিয়ে বলবে প্রেম কর, একবছরের মধ্যে বিয়ে কর। আমি হেসেই উড়িয়ে দেই। নিজেই বাচি না নিজের টেনশনে তারপর আবার প্রেম পীরিতি। এই প্রেম পীরিতির মাদার'স ফাদার। এই সব ইমোশনাল এটাচমেন্ট এখন আর আমার পোষায় না।
১০০!
ব্লগে সাধারনত সংখ্যা পুরন হবার বা বর্ষপূর্তি পালনের পোস্ট গুলান হয় ন্যাকামি আর আদিখ্যেতায় পরিপুর্ন। তবে আমার প্রতি পোস্টেই যেহেতু দিন যাপনের ন্যাকামি থাকে এই খানেও তা থাকবে ভালো ভাবেই। আসলে এই জীবনে ভাবি নাই যে কোনো ব্লগে আমার পোস্ট থাকবে ১০০ টা। দীর্ঘ সামুর জীবনে মাত্র তিরিশ পয়ত্রিশটা পোস্ট দিছি। যার বেশীর ভাগই আড্ডা টাইপ কিংবা নিজের আপডেট জানানো। এরপর কেটে গেলো কত সময় আমি সাপ্তাহিক বুধবার, নিউএইজ, সমকালে সাপ্তাহিক, সাপ্তাহিক ২০০০ য়ে সমানে চিঠি/ পাঠকের লেখা লিখে কাটিয়েছি। নিজের লেখা ছাপাতে দেখে অনেক আনন্দ পেয়েছি। তবে সব চাইতে আনন্দ পাইছি যায় যায় দিনের নয়া ভার্সন মৌচাকে ঢিলে । এক বন্ধুর দুঃখের প্রেম কাহিনী নিজের নামে ছাপিয়ে দিছি। কি যে আনন্দ!
বন্ধু আড্ডা বই আর বাক্সোর জীবন!
যদি অনেস্টলি জিগেষ করেন আমি কেমন আছি?
আতংকের ভেতরে!
কার জন্য কেমন দূঃসময় যাচ্ছে তা বলা কঠিন। তবে সময়টা যে খুব একটা ভালো নয় তা সবাই মানবে। অনেকে দুঃসময় বলছে- কিন্তু আমি তাদের সাথে একমত না। একটু খারাপ সময় যাচ্ছে তবে তাকে এতো দূঃসময় বলা ঠিক হবে না। কারন বাংলাদেশে নানা সময়ে নানান ধরনের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পর্যায়ে গেছে তবে এবার তার মাত্রা ভিন্ন। এবার মুখোমুখি জামাত ভারসেস জনগন, পুলিশ, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা। কাল যখন ফেসবুকে সিল্কসিটি পোড়ার ছবি দেখলাম মনে হচ্ছিলো ইরাক আফগানিস্থানের মতোই কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে। আর প্রতিদিন হালি ডজনে তো মানুষ মরছেই। এদের কেউ পুলিশ বিজিবির সাথে সংঘর্ষে, কেউ বা জ্বালিয়ে দিচ্ছে হিন্দু ঘর বাড়ী আবার কোথাও মানুষ পুলিশ নিজেই আক্রমনের শিকার। আমার দুই বন্ধু আসছে চিটাগাং থেকে। নেভীর শর্টকোর্সের যে অফিসার নেয় তার এক্সাম দিতে। সেখানে একটা গল্প শুনলাম। চুল কাটতে গেছে সোহেল। সোহেল নাপিতরে জিগেষ করলো কি অবস্থা দাদা? তখন নাপিত মনের দুঃখে বলতেছে "আমাদের আর অবস্থা দাদা। বেচে আছি। সোনিয়া গান্ধীরাও আমাদের দেখতে পারেন না আপনারাও মালু বলে গালি দেন যামু কই কন?
শ্রেষ্ঠ সময়ের ক্রান্তিকাল
খুবই মন খারাপ। এরকম মন খারাপ খুব একটা হয় না সচারচর। এতো গুলো মানুষ মারা গেলো, মরছে ভাবতে অসহ্য লাগতেছে। ভোর বেলাতেই উঠে বসে আছি আর ভাবছি কি হবে দেশটার? ৩৭-৪০ জন মানুষ গতকাল মারা গেছে। এর ভেতরে পুলিশ আছে শিবিরের কর্মী আছে হয়তো আমজনতাও আছে। মৃত্যু আমার কাছে খুব কঠিন জিনিস মনে হয়। অথচ এই দেশে মানুষ কতই না সহজ ভাবে মারা যায়! কেউ জীবন দেয়, কেউ জীবন নেয়। সার্কেল চলছে। অথচ পরিবার বা বন্ধু বান্ধবের কোনো নিকটাত্মীয়ের মৃত্যূ খবর শুনলে আমরা কত বিচলিত হই, ভাবি এর চেয়ে অস্বাভাবিক কিছু আর হতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশে সকাল বিকাল নাস্তা করার মতই সহজ ব্যাপার যে আজ কয়জন মরছে আর কিভবে মরলো? এই যে আমরা বেচে আছি এতো আনন্দ ফুর্তিতে দিন যাপন করতেছি তার জন্য কত মানুষ মরে প্রতিদিন মুল্য দিতেছে তা কি আমরা ভাবি? এরকম সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে মনে হয় যেকোনো দিন আমি আপনে যতই সতর্ক থাকি আঘাত আসতে পারে। কারন বুলেট বোমা এইসব মানুষ দেখে হয় না!
পাহাড় আর নদীর গল্পঃ চেনা অচেনা যাপিত জীবনের আখ্যান
আজ পোষ্টটা দেয়া নিয়ে একটু সন্দিহান ছিলাম। তবে লেখাটা জরুরী ছিলো কারন বই মেলা প্রায় শেষ দিকে। কিন্তু এদিকে এবিতে প্রথম পেজে আমার পোস্ট চারটা। তাই একটু চিন্তা করে ডিসিশন দিলাম দিয়া ফালাই। জীবনে কি আর আছে খেতা আর বালিশ! একজন একটা লিঙ্ক দিলো তাই অন্য একটা ব্লগ সাইটে ঢুকলাম। সেখানে যে এবির চেয়ে খুব মান সম্মত পোস্ট আছে তা না কিন্তু আছে শুধু একটিভ ব্লগার আর যুতসই ইউসার ফ্রেন্ডলী সাইট। আমাদের এবিতে যে ধরনের পোষ্ট লেখা হয় তা কোনো অংশেই খারাপ না। কিন্তু আমাদের সার্কেলটা আমরা এতোই অলস যে আমাদের অতিথি থেকেই ব্লগ পড়তে ভালো লাগে আর ফেসবুকে তা না জানাতেই আনন্দ পাই। আমি আগে ফেসবুকে জানাতাম না যে কি লিখলাম,এখন জানাই কারন শেয়ারের কারনে অনেকেই লেখা পড়ে যাদের কখনোই পড়ার সম্ভাবনা ছিলো না। আর এবির নিয়মকানুন একটু কড়া তবে তাতে লাভ আমাদেরই। কিন্তু নিজেরাই যদি লগ ইন না করি তবে পোস্ট পড়বে কে? আর লিখবেই বা কে? তাই কাল যখন অনেক লগ ইন দেখলাম, তখন শান্তি পাইলাম না এবিতেও লোক হয়। আর আমার পোস্ট বাদে অন্য পোষ্ট গুলান যা দারুন ছিলো তাতো বলার কিছু নাই। যা শালা! আমি এই সব কইতেছি কেন?
কামাল ভাই, শ্রদ্ধাভাজনেষু!
গত পরশুদিন রাতে বাসায় ফিরে আমার মনটা কোনো একটা অদ্ভুত কারনে খুবই খারাপ ছিলো। হুট করেই আম্মুর কথা খুব মনে হলো। তবে দেশ গ্রামে থাকে ১১ টাতে ফোন দিয়ে বিরক্ত করার মানে নাই সেইরাতে। কি আর করা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলাম ওয়ারফেইজের একটা গানের একটা লাইন আছে এমন 'এ সবই তো সুন্দর, এ জীবনের আনন্দ/ তার থেকেও সুন্দর আমার মা।' আর তখনি দেখলাম টেবিল পড়ে আছে কামাল ভাইয়ের দেয়া উপহার লিটলম্যাগ 'ধাবমান ৯' যার ট্যাগ লাইনে বলা আছে সাহিত্য আন্দোলনের কাগজ। এবারের বিষয় যার যার মা। মেলার ভীড়ে তা ভালো করে দেখা হয় নাই। খালি একটা জিনিসই দেখছিলাম সলিমুল্লাহ খানের লেখা আছে। ছফা ভক্ত হবার কারনে বাই ডিফল্ট আমার সলিমুল্লাহ খান পছন্দ। যদিও তার বিভিন্ন শব্দের আরবী ফারসী সাধু বাংলা করন আমার পছন্দ না। তাও তার লেখা চিন্তা ভাবনা, রেফারেন্স আমাকে মুগ্ধ করে। আমি এখনো বই মেলার থেকে কেনা বই গুলা পড়া শুরু করি নাই সেভাবে। শুধু মাসুম ভাইয়ের বই, তাতা আপুর বই, আর মোস্তাক শরীফের একটা বই পড়ে শেষ করছি। আর পড়ছিলাম মাহবুব মোর্শেদের গুরু ও চন্ডাল আর নাসির আলী মামুনের আহমদ ছফার সময়। আমি সাধারনত যেগুলা বই পড়ছি তার বাইরে কোনো বই নিয়ে বসি না। ক
আলামীন আশীষদের মতোন ছেলেরা যে কারনে বিদেশে যায়।
আজ সকাল থেকে উঠেই আমার মন মেজাজ ভালো না। একে তো পচিশে ফেব্রুয়ারী বিডিয়ার বিদ্রোহের নির্মমতার কথা তার সাথে সাথে বই মেলার স্টল আগুনে পোড়া আবার রাতে বাজে স্বপ্ন দেখে হতাশ, মন আজ সকাল থেকে উঠেই ভালো না।কি আর করার মানুষের জীবন এমনই। অনেক কিছুর মিলিয়ে একটা মন খারাপের অবস্থা তৈরী হয়। তার ভেতরেও সকালে একটা পোস্ট লিখলাম। উইন্ডো ট্যাব খুলে অনেক কিছুই পড়ছিলাম তার ফাকেই লিখে ফেললাম। মনে করলাম বেশী সময় তো লাগে নাই আর লগ আউটও হয় নাই এখানে থেকেই প্রকাশ করুন দিয়ে দেই সেভ না করেই। দিলাম আর দেখালো এক্সেস ডিনাইড, পোস্ট উধাও। মেজাজটা যত খারাপ হবার কথা ছিলো ওতো খারাপ হলো না। খালি দুই ঘন্টা সময় নস্টের জন্য নিজেকে অভিশাপ দিলাম। এই দুই ঘন্টা সময় দিয়ে বই পড়লে মাহবুব মোর্শেদের বই গুরু ও চন্ডালটা শেষ করে ফেলতে পারতাম। কি আর করার সময় খারাপ। আমারই শুধু এমন হয়। মন ভালো করতে গেলাম চায়ের দোকানে দেখি খা খা রোদ। শ্রমিক মিস্ত্রি লোকজন রুটি কলা খায়তেছে। বসার জায়গা নাই। আমাকে দেখার সাথে সাথেই সবাই উঠে পড়তে পরি মরি অবস্থা। আমি বলি এতো ব্যাস্ত কেন আপনারা?
কলকাতার কিছু সিনেমা নিয়ে কথাবারতা
টিভি দেখি না গত চার পাচ মাস ধরে। এতে উপকার অপকার দুটোই আছে। এতো বড় আন্দোলন গেলো কত খেলা টেলা গেলো কিছুই দেখতে পারলাম না টিভিতে। আর উপকারের দিক হলো টেলিভিশন না থাকলে অনেক কাজে মন বসে। অনেক সময় নষ্ট বন্ধ হয়। এই যে গত সাতদিন কত গুলান বই পড়লাম তার কোনো কিছুই সম্ভব হতো না টিভি থাকলে। এই যে দুপুর বেলা পড়তে বসি সকাল বেলা ব্লগ লিখি টিভি থাকলে খালি রিমোট চেঞ্জ করতে করতেই টাইম শেষ হয়ে যেতো। তবে আমি টিভি দেখতে পারি না এই আপসোসটা আম্মুকে খুব জ্বালা দেয়। বলবে 'বাড়ীতে আয় কারেন্ট টারেন্ট থাকে ভালো মন্দ খায়া টিভি দেইখা যা' মায়ের এই আদরের আসলেই কোনো তুলনা নাই।
তবে টিভি না দেখতে পারার কারনে এতো চ্যানেলে কি সব সার্কাস চলে তা নিয়ে ব্লগে লিখে ফাটাতে পারতেছি না। বাসা তো সেই আগেরটাতেই আছি এই বাসায় থাকলে আবারো ১০০০ টাকা লাইন চার্জ নিয়ে ডিস নেয়ার কোনো মানে হয় না। কিন্তু সমস্যা হলো আমি সিনেমা দেখারও অতো লোক না। রিমোটের ফাকে মাঝে সাজে টিভিতে সিনেমা দেখাতেই আমার আনন্দ। পিসিতে সিনেমা দেখার অভ্যাস একেবারেই নাই। আর এই জন্যেই এতো টাকা পয়সা প্রাপ্তি সত্তেও আমার পিসিতে ডিভিডি রম নাই আছে একখান সিডিরম।
কালো অর্থনীতির তথ্যপুর্ন, রসাত্মক, সহজ পাঠ!
প্রথমেই বলে নেই আমার রিভিউ আমার মতোই সাধারন। একটা বই পড়ে আমার মতো সাধারন মানুষের কি অনুভুতি হলো তাই জানানোই আমার রিভিউয়ের দায়। এর বাইরে আর কিছু নাই। আমি কোনো একাডেমিক রিভিউ লিখতে বসি নাই। তা লেখার মেলা লোক আছে। আর লীনা আপু রিভিউ লেখার পড়ে এ বই নিয়ে আরও নতুন কিছু বলা সম্ভব কিনা তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভাবছি।
শিরোনামে আমি বলতেছি কালো অর্থনীতি। কালো শব্দটা আমার ব্যাক্তিগত পছন্দ না কারন চায়ের দোকানে বসতে বসতে আর বাইরে থাকতে থাকতে চেহারার ভেতরে যে শ্যামবর্নের ব্যাপার স্যাপার ছিলো তা তুমুল মাইর খেয়েছে। তাই কালোদের নিয়ে কিছু বললে এখন নিজেরই লাগে। আর পুলক যে ভাবে লোকজনকে নাক সিটকিয়ে বলে ঐ কাইল্লাটা কই গেলো? (আমারে না) তখন নিজের অন্তরাত্মা কেপে উঠে। একদিন হয়তো আমারো শুনতে হবে এমন ডাক। কিন্তু কালো অর্থনীতি বলা দোষের কিছু না। যেমন দোষের না কালোবাজার বা কালো টাকা বলা। বলাই যেতে পারে। আর আনু মুহাম্মদ সাহেবের মতো অজস্র লোকেরাও তাদের বইতে কালো শব্দটাই বারবার ব্যাবহার করেন।
নিস্ফলা শ্রেষ্ঠ সময় অংশ নয়!
সকালে ঘুম থেকে উঠেই আজ আমার মন খারাপ। মাঝে মধ্যে সকাল গুলো কেমন জানি হয়ে যায়। কিছুই ভালো লাগে না। ক্লান্তিতে দেড়টায় ঘুমালাম সাড়ে সাতটায় উঠলাম। খারাপ সময় ঘুমাই নি কিন্তু কেমন জানি লাগছে। যদি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেই যে সকালে ঘুম থেকে উঠেই মন শরীর ভালো লাগছে না। তাহলে অবধারিত ভাবে লোকজন বলবে মেয়েলী স্ট্যাটাস দেয়। তাও ভালো লাগছে না। নাস্তা করি নাই কিছুই তাও লিখছি বসে। গতকাল ছিলো একুশে ফেব্রুয়ারী। ছোটবেলা থেকেই আমার মাথায় প্রশ্ন আসতো কেনো একুশে ফেব্রুয়ারী বলা হয়? কেনো ৮ই ফাল্গুন বা নয়ই ফাল্গুন বলা হয় না?