আরাফাত শান্ত'এর ব্লগ
ব্ল্যাক টিশার্ট
কালকের ঘটনা এক ছোটো ভাই চায়ের দোকানের। তার সাথে রিক্সায় গিয়েছিলাম আজিজে। সাধারনত আমি আজিজে গিয়ে বিদিত বাদে আর মনির সাহেবের চায়ের দোকান এইটুকুতেই যাত্রা মাঝে মধ্যে প্রথমাতে বই দেখা সেইখানে কিছু স্টার টাইপের লোকজনের আনাগোনা হজম করা এতোটুকুই কাজ আমার। আগে লিটল ম্যাগের ওদিকে খুব যেতাম একা একাই পড়তাম কিনতাম কিন্তু লিটলম্যাগ ওয়ালারাও যেমন সাহিত্যের ভরংবাজ আমিও তেমনি তাই আর যাই না। কিন্তু সাইফের সাথে গেলাম সাইফ কিনবে ব্যাগ। ব্যাগ পছন্দ করে রাখছে গ্রাসহুপারসের কিনে ফেলবে। সাথে তার কোর্তা কেনার খায়েশ হইছে আমি তাকে বুদ্ধি দিলাম আরটিস্টিতে গেলে ভালো পাবা সে কইলো ভাই ব্রাকে পড়লেও আমার অতো হেডম নাই তাই আজিজেই খুজি। আজিজে কোর্তা পাওয়া গেলো না। ব্যাগও শেষ লাভের লাভ হলো আমি একটা লেইড জ্যাপলিন মার্কা গেঞ্জী পাইলাম আর গ্রাসহুপারস থেকে কিছু খাতা আর কলম কিনলাম। ফেরার সময় ডিভিডি কিনলাম। দোকানদার আশস্ত করলো আমারে অন্তত সতেরোটা ছবি ভালো দেখতে পারবেন। আমি হাসতে হাসতে উনারে কই বাংলাদেশের চেয়ে সস্তা সিনেমা দেখার দেশ আর হয় না ৭০-৮০ টাকাতে গড়ে আটটা নয়টা ছবি কোনওরকমে দেখা যায় এরকম কপাল কয়দেশের আছে।
No Cull Dhaka!
ঠান্ডা আবার ফিরে আসছে। কুয়াশা নেই কিন্তু রাতে ব্যাপক বাতাস। আমারো শরীরটার অবস্থা বিশেষ সুবিধার না। তাও হাসছি ঘুরছি দোড় ঝাপ করছি মন খারাপ হয়ে পড়ে থাকি সব চলছে এক সাথে। সাধারনত দিনলিপির পোষ্ট তাৎক্ষনিক যে দিন গেলো তাই নিয়ে বললেই ভালো। কালকে পোষ্ট দিতাম ভাবলাম চব্বিশ ঘন্টার ভেতরে দুইটা পোষ্ট দেয়া আবার নীতিমালার খেলাপ কিনা কে জানে দরকার কি ঝামেলার কাল তো পড়ে আছেই রাতে বসে লিখে দিবো। আর ব্লগে দেখলাম জেবীন আপু পোস্টাইছে, মীর ভাই পোস্টাইছে, হাসান আদনান,স্বপ্নচারী, শাহরিন রহমান এদেরও দারুন পোষ্ট আরো অনেকে হয়তো পোস্ট দিবে এইটা ভাবতে ভালো লাগতেছে ব্লগটাও আমার মতো। স্লথ গতিতে চলছে থেমে নাই। দেখা যাক কী হয়!
গা বাচিঁয়ে চলা সুখের দিন গুলো!
ভেবেছিলাম কয়দিন আর পোস্ট টোস্ট দিবো না । কারন ব্লগের হোমপেজে আমারই পোস্ট থাকে তিনটা এইটা কোনো কথা হইলো কাজের। তার ভেতরে আমার ঘুমন্ত পাঠক শ্রেনী যারা বাস্তব জীবনে জিগিরের লোকজন বলা শুরু করছে যে আমি নাকি দিনলিপি জোর করেই দিচ্ছি অযথাই। এতো লেখার প্রয়োজন ছিলো না এমন কি একজন বলেছে আমি নাকি বাথরুমে গেলেও তা নিয়ে ব্লগে লিখবো। কত বড় আপত্তিকর কথা যদিও তাদের কথা আমার সামনে পাত্তা পায় নাই। মাইনষের সামনে চুপচাপ থাকলেও বন্ধুদেরকে ফাপড়ের উপরে রাখি সবসময় সেই সুত্রেই বললাম ব্লগ মানেই তো অন্তর্জালিক ডায়রী। নিজের ব্লগে মানুষ নিজের দিন যাপনের ফিরিস্তি দেয় আমি তা একটা ভালো লাগার ঝিমানো ব্লগে দেই এইতো। যারা ভালো পায় তারা পড়ে যারা ভালো পায় না তারা পড়ে মনে মনে বলে আজাইরা প্যাচাল। কিন্তু এই আজাইরা প্যাচাল কত কষ্ট করে স্লো পিসিতে লেখি তাতো পাবলিক বুঝে না। তার ভেতরে রাজশাহী ভার্সিটির লেকচারার একটা এলেক্সা রেটিংয়ের ফিরিস্তি দিলো তাতে মনটা খারাপ হলো। যদিও জানা কথাই তবুও আহারে আমার প্রিয় ব্লগ তার এই হাল!
লাইক এ্যা ডায়মন্ড ইন দ্যা স্কাই!
শিরোনামটা একটা ইংরেজী ফিকশনের নামে। লেখক সাজিয়া ওমর বাংলাদেশী। যখন নিউএইজে চিঠিপত্র লিখতাম নিয়মিত আর তারা ছাপাতো তখন এই বই ও লেখিকার নাম খুব শুনা। ইন্ডিয়ান প্যাংগুইন থেকে বই প্রকাশ করছে। এতো দিন পরে আমি বইটা পড়া শুরু করছি কারন নীলখেতে ১০০ টাকা কিনে ফেলেই রাখা ছিলো পড়া আর হয় নি। শিরোনামটা পছন্দ হইছে তাই লাগিয়ে দিলাম বইয়ের নামে। বইটা পড়া শেষ হলে একটা পাঠ প্রতিক্রিয়া হয়তো লেখা যেতো কিন্তু এখন তা আর লিখছি না। তবে অনেকের কাছেই বইটা খুব ভাল লাগছে আমার কাছে লাগবে কিনা জানি কারন ইংরেজী বই আমি টেক্সট আর নিউজপেপার ছাড়া পড়ি না আর চেতন ভগত অরুনদ্যোতি রায় ছাড়া কারো বই মন জয় করতে পারে নাই যদিও বন্ধু অঞ্জন অনেক চেষ্টা করছিলো অমিতাভ ঘোষ গেলানোর পারে নাই। বাংলা বই এখনো হাজারে হাজারে পড়া বাকী তা বাদ দিয়ে পুজিবাদী ভাষা চিন্তা মাথায় নিয়ে আমার সিডনী সেল্ডন বা মারিও পুজো পড়ার আহলাদ জাগে না। প্রতিদিন নিউএইজ কিনে পড়ি, ইংরেজীতে লিখে এক্সাম পাস করি তাই ভালো এরচেয়ে বেশী আর দরকার নাই দেশে থাকলে!
পিকনিক আপডেট
চারিদিক থেকে দাবী শান্ত পিকনিক নিয়া পোষ্ট দেও। তানাবীরা আপু মেসেজ পাঠাইছে, হেলাল ভাই আস্থা রাখছে, গৌতম দা সবার নাম রাখতে বলছে আরো চারিপাশের মানুষজন বলতেছে শান্ত পিকনিক নিয়া একটা ফাটায়া পোষ্ট দেও। আসলে ফাটানোর মালিক আল্লাহ আমি তো শুধু উসিলা মাত্র। যেহেতু সবার মুখে শুনি আমি নাকি দিনলিপি ভালো লিখি আমার নিজের অবশ্য দিনলিপি ছাড়া কিছু লিখতে পারিনা বলেই লিখি তাই দিনলিপির মতো করেই পোষ্ট শুরু করি!
অনলাইন-অফলাইন
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই মেজাজ খারাপ। বেলা দশটা অবধি যেদিন ঘুমাই সেদিন আমার অত্যন্ত বাজে কাটে কিছুই মন দিয়ে করা হয় না। সকালে উঠে বিবিসি বাংলা শুনবো ব্লগে ফেসবুকে ঘোরাফেরা করবো তারপর দু তিনটা পত্রিকা পড়বো নিজে রং চা বানাবো ড্রাইকেক বিস্কিট খাবো তারপর আস্তে ধীরে বাইরে বের হবো তাহলে না হয় একটা পারফেক্ট সকাল উদযাপন হয়। এরকম না হলেই সব কিছু বিগড়ায়। উঠেই মুখ ধুয়ে বাইরে চলে যাই দিনটা কাটে জঘন্য। আজকেও তেমন ভাবেই বের হ্লাম। নিউএজ কিনে হাটতে হাটতে গেলাম হোটেলে। কোনো এক অদ্ভুত কারনে সেই হোটেলের এক খাবার পরিবেশকের চেহারা আমার বন্ধু হাসিনের মতো। তাকে অপ্রস্তুত হয়ে দেখলেই আমার কাছে হাসিন বলে মনে হয়। আর আমাকে দেখলেই তার শুধু নেহারী খাওয়াতে মন চায় কিন্তু আমি খাই মাসে ১ বার তা। এইটা খুব জটিল একটা সমস্যা। সমস্যাটা নিয়ে ভাবতে হবে। যাই হোক নাস্তা করলাম সামান্যই। মুগডাল আর রুটি আর বিস্কুটের গুড়া দেয়া বাজে চা। এরপর চায়ের দোকানে গিয়ে দেখি চায়ের দোকান বন্ধ। মেজাজটা হলো আরও খারাপ। নান্নু সাহেবের পিন্ডী চটকালাম মনে মনে। আরেক দোকানে চা খেলাম শান্তি পেলাম না কারন তারা বানাতে পারে না দুধ চিনি কম দেয়া কড়া লিকারের চ
চোরাবালি আসিতেছে
ধানমন্ডী গুলশান শাহবাগের অনেক জায়গাতেই এই চিকা মারা ছিলো অনেক দিন। খবরটা নতুন কিছু না ফারুকী গ্রুপের লোক রেদোয়ান রনি একটা ছবি বানাচ্ছে নাম তার চোরাবালি। ইন্দ্রনীলকে যেদিন আনছে ঢাকায় সেদিন থেকেই শুটিং শুরু সেদিন থেকেই প্রচারনা শুরু পুরোদমে। ইন্দ্রনীলের ঢাকায় কি ভালো লাগে, জয়া আহসান এই ছবি নিয়ে কি বলতেছে, হুমায়ুন ফরিদী মরার আগে কি বলেছে কবে সব পত্রিকার বিনোদন সাংবাদিকেরা ব্যাপক কাভারেজ দিছে বলা যায় অল্প পয়সার মার্কেটিং এজেন্টের জব নিয়ে। এমনকি টিভি চ্যানেল গুলাতেও একটা হাইপ তুলছে, আইটেম সং এর শুটিং খবর দিয়ে মনোযোগ কারছে তাই ব্যাপক প্রচারনার ছবি বলা যায়। রেদোয়ান রনিও চেষ্টার ত্রুটি করে না কলকাতার ইন্দ্রনীলকে এনে চমক দিছে, ইন্দ্রদীপ দাস গুপ্ত বিখ্যাত কলকাতার ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ডিরেক্টর তাকে দিয়ে কাজ করাইছে, মাদ্রাজ-বোম্বে থেকে পোস্ট প্রোডাকশন করাইছে নাটক সিনেমার শখানেক অভিনেতাদের কাজ করাইছে। বলা যায় সব দিক থেকেই অনেক আয়োজনের বিগ বাজেটের ছবি। কিন্তু এতো আয়োজনের ছবিতেও নায়ক নায়িকার অভিনয়ের কোনো জায়গা রাখে নাই ডিরেক্টর। সিনেমাটা যদি বলা হয় কার ছবি তবে আমি বলবো শহীদুজ্জামান সেলিমের অসাধারন অ
কত কি করার আছে বাকী...
সেই অনিবার্য অলসতাতেই দিন কাটছে। সেই কাপে কাপে চা খাওয়া, বিষন্ন মুখের আড্ডা, নানান কথা বারতা শুনেই আর কিছু বলতে বলতেই দিন যাচ্ছে সময় কাটছে। তার ভেতরে ফেসবুকে নাই সাথে এমবিএ ক্লাস নাই অন্তহীন অবসরে ক্লান্ত হই বারবার। সকালে ঘুম থেকে উঠে আর সেই আগের মতো পিসিতে বসার ব্যাস্ততা নাই তবুও উঠে যাই ভোরেই। রেডিওতে গান শুনি সাড়ে ছটায় বিবিসি বাংলার প্রত্যুষা শুনা হয় নিয়মিত হাত মুখ ধুয়ে আবার শুয়ে থাকি এবার শুনি প্রভাতী। প্রভাতী শুনা শেষ হলে এফ এম রেডিও গুলা সকাল সকাল কি গান শুনায় তা নিয়ে আগ্রহ চাপে খানিক সময় শুনেই বিরক্ত লাগে। তখন যে জামা পড়ে শুয়ে ছিলাম তা পড়েই চায়ের দোকান বরাবর রওনা দেই পথে নিউএজ কিনে নেই। চায়ের দোকানে বসেই দুধ চিনি কম চা খেতে খেতে বড় খবর সব গিলে ফেলি। পত্রিকা পকেটে ভাজ করে রাখি আস্তে আস্তে লোকজন আসে আড্ডা জমে কথা বাড়ে। কিন্তু নাস্তা করা হয় না। সকালে নাস্তা না করলে নাকি মেমোরী মাইর খেয়ে যায়। আমার গত ১ বছর ধরেই সকালে তেমন কিছু খাওয়া হয় না। এই চা কিংবা বেকারীর পচা কেক এই খেয়েই কাটাই। এই জন্যেই মনে হয় মেধাশক্তি এভাবে মাইর খাচ্ছে দিনকে দিন। আসলে সকালে নাস্তা করতে এখন একরাশ বিরক্ত লাগে
৩৬ মাস
আমি আবেগের গাট্টি বস্তা নিয়ে চলাচল করা মানুষ। অতি সাধারন জীবন যাপনের মাঝেও এতো বেশী নানান কারনে আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়ি যা দেখে নিজেই বিরক্ত হই বারবার। অনেক চেষ্টা করছি জীবনে যুক্তিশীলতা ও প্রজ্ঞা নিয়ে চিন্তা করতে পারি নাই। তাই সেই ব্যার্থতা ঢাকার কোনো চেষ্টা করি নাই। আমার অনেক বন্ধুরা আমাকে নিয়ে বলে শান্তর আবেগ মাইয়া মানুষের মতো। কোনো একটা ঘটনা শোনার দুই তিনদিন পরে তা যখন কাউকে বলতে যাই চোখে পানি এসে যায় অবলীলায়। এ এক বিপদ। যার বিপদ তার খবর নাই চোখে পানি আসে আমার। বা কোনো বই পড়তে গেলাম সেখানে আবেগের কিস্তা কারবার দেইখা নিজের চোখেই পানি এসে গেছে। এমন না যে আমি কঠিন আবেগী মানুষ। অনেক জায়গাতেই আমি ঠিক ঠাক কেদেঁ উঠতে পারি নাই। এই যেমন আজ থেকে ১২ বছর আগে আমার নানু যে দিন মারা যায় সেদিনই আমার চোখ দিয়ে পানি আসে নাই এমনকি ৬ বছর আগে বন্ধু কামরুলের বাবা মেরে গেলো আমার ভালো বন্ধু কামরুলের যত মন খারাপ তার কাছাকাছি আমারো। আমার কাধে মাথা রেখে কামরুল সেমি চিতকার করে কাদছে সেদিন আমার তীব্র মন খারাপ তাও কান্না আসে নি এ এক নিদারুন মন খারাপের কথা। অথচ কিছু দিন উত্তরখন্ড আহমদ ছফার লেখা যখন পড়ছি সেখানে কর্নফ
আমি যদি ভীড় হয়ে যাই!
মন মেজাজ বলা যায় যথেষ্ট আমোদে ছিলো। কাল শেষ হলো বিসিএস রিটেন। ভালোই দিলাম মানে পার করলাম আর কি। সেমিস্টার ফাইনালও চলে গেলো। মনে করছিলাম যে সময়গুলো যাবে আগের মতো হেসে খেলেই অবসরে চায়ের দোকানে আড্ডায় সময় যাবে দারুন। কিন্তু মানুষ যা ভাবে তা আর কি হয় ইহাই সবচেয়ে বড় ফেইলোর। এমনিতেই সকালে একা একা চায়ের দোকানে বোর হচ্ছিলাম। তারভেতরে দুপুরে বাসায় ফিরে দেখি ফেসবুকে কি কান্ড। এক বন্ধু আমারে জব ক্যারিয়ার নিয়ে হেদায়েতের বানী দেয় মেসেজে। আমি শুধু জানতে চাইছিলাম লোক নিলে জানাইস। সে আমার জব সংক্রান্ত হেদায়েত দেয় সাথে আমার এটিচিউড টাইম ওয়েস্ট নিয়া নসিহত দেয়। মেজাজটা হান্ড্রেডের উপরে খারাপ হইলো। জানতে চাইছি সামান্য কথা সে দেখি দেয় হাদীসের বানী। আরে শালা হাদীস মানলে তো তোদের আগে চাকরী পাইতাম। ফাজায়েলে আমল পড়ে আমল করে বেহেশতের খোয়াব তো সবাই দেখে। সেইটা বয়ান দেয়ার ঠেকা কেন তোদের এতো?
হ্যাপী বার্থডে জেবীন আপু!
মন মেজাজ শরীর সব খারাপ। অবষাদ আর ক্লান্তিতে বসে আছি চায়ের দোকানে। বাসায় তো আর গীজার নাই তাই ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে এতো রাতে মন চায় না। এরকম জঘন্য দিন আমার খুব কম আসছে যে একদিনে তিনটা পরীক্ষা। পারি না পড়ি নাই কিছুই তাও দিয়ে আসলাম। একেকটা পরীক্ষায় কি লিখবো তা ভাবতে ভাবতেই সময় গেছে। শুধু ভার্সিটির সেমিষ্টার ফাইনালটাই একটু জাতের হইছে ক্লাস করছিলাম বলে। অথচ বিসিএস নিয়ে পোলাপানের যে সিরিয়াসনেস তা ম্যাট্রিক পরীক্ষার নার্ভাসনেসের কাছেও হার মেনে যায়। আমি কিছুই করিনা হাড়কাপানো শীতে রিকশা দিয়ে যাই যেয়ে বসে পোলাপানের ক্রিকেট খেলা দেখি মাঠে। সবার পরে হলে ঢুকি আর চেষ্টা করি সবার আগে খাতা জমা দেয়ার। কি লিখলাম তা নিয়ে ভাবি না প্রশ্ন মিলাই না ছিড়ে ফেলে দেই। আমার পাশে যে বসা তৌহিদ ভাই তার ধারনা আমি হিমু রাশির লোক তাই সিরিয়াস না এসব নিয়ে। আসলে আমার বাংলা লেখা সহজে আসে না। পিসিতে বা মোবাইলে লিখতে দিলে দিস্তায় দিস্তায় পেজ লিখতাম কিন্তু খাতায় কলম চলে না। এ এক বিপদ। আর বিসিএসে প্রতিটা প্রশ্ন অংক বাদে প্রচুর তথ্য জানতে হয়। আগে মাথায় প্রচুর তথ্য রাখতে পারতাম এখন কিছুই মনে থাকে না। মাথায় খালি ফেসবুক চায়ের দোকা
১৪ ডিসেম্বর
বিসিএসের রিটেন আর পেছালো না। টিকবো না কারন পড়ি না। একে তো সেমিস্টার ফাইনাল তারপর দুই বেলা করে রিটেন এক্সামের শিডিউল দেখেই মাথা ব্যাথা। জাহান্নামে যাক সব। আমি থাকি আমার মতো।ছোটবেলায় পাঠ্যপুস্তকে ছিলো বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ড নিয়ে একটা বাংলা পড়া। ক্লাস ফোরে নয়তো ফাইভে। তখন ম্যাডাম ছিলো খুলনা স্কুলের আলম আরা ম্যাডাম। তিনি বলছিলেন এরা বেচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক উন্নত দেশ হতো। উন্নত দেশ বলতে তখন আমার মনে ধারনা নেভীর কলোনীর পাশে যে বাস্তোহারা কলোনী সেখানে সবাই বিল্ডিংয়ে থাকবে। গোলপাতার ঘর কোথাও চোখে পড়বে না। শীতের কাপড় থাকবে সবার আগুন জ্বালতে হবে না কারোর। ছোটো মানুষ ছোটো চিন্তা। কিন্তু তা আর হয় নাই ঘাতকদের সুচারু প্ল্যানে তাদের সবাইকে ধরে নিয়ে মারা হইছে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বর্বরতায়। একেকটা উজ্জল মানুষের ঘটনা যখন পড়ি তখন অবাক হই কি অসাধারন একেকটা তারকা। তারা চাইলে পালাতে পারতো, নিরাপদে সটকে যেয়ে ভারতে কলমযোদ্ধা হতে পারতো। কিন্তু সেই চরম ক্রান্তিকালেও তারা দেশ ছাড়ে নাই। তার খেসারত দিলো শহীদ হয়ে। আর তাদের চিনিয়ে দেয়া সাথে ধরে নেয়ার দারুন কাজটা করে দিলো তাদেরই ছাত্রসম আলবদরের লোকেরা। বিচার হলো না এদের
আমি বেচে আছি আমার সময়ে!
কাহিনী সেই একি। একটা বিরতির পর পোষ্ট লেখতে বসলাম। পোষ্ট লেখার হুজুগ ছিলো প্রতিদিনই কিন্তু মাতি নাই। কারন এই সব দিন লিপি দেখিতে দেখিতে একি কথা পড়িতে পড়িতে পাঠককুলকে আর কত বিরক্ত করিবো। তাই অতো পোষ্ট দেয়াকে উত্তম কিছু বলে মনে হলো না। ভাবলাম একটা গল্প লিখি কিন্তু গল্প কবিতায় অনেক খাটনি। এই দুধ চা খাওয়া মাথায় এতো কিছু কুলায় না। আর গারমেন্টসে হত্যা এতো এতো মরন দেখে কিছুটা ধার্মিক মাওলানায় রুপান্তরিত হয়েছে। ইদানিং রাস্তা পার হতে সিড়ি ভেঙ্গে নামতে সব কিছুতেই খালি এই ভয়ে থাকি। যদি এই মুহূর্তে চলে যাই তবে বাবা মার কি হইবে?
সশস্ত্র বাহিনী দিবস!
পোষ্টটা লেখা উচিত ছিলো কাল। কাল লিখলে পারফেক্ট হতো। কিন্তু কাল ছিলো শরীরটা ভালো না আর সন্ধ্যায় হাটাহাটি করে চায়ের দোকানে প্যাচাল পেরে শরীরটা ক্লান্ত। তারপর কোনো এক অজানা কারনে হাতে ব্যাথা করছিলো। একদিন পরে লিখছি খারাপ একটাই দিনটার মুড মিস হলো। যা আমার ব্লগের জন্য খুব জরুরী। কি আর করা সান্তনা একটাই লেট বেটার দেন নেভার।
টানাটানির এই সমাজ সংসারে!
পুরান কথা গুলাই নতুন করে বলতে হয়। ডিসের লাইন কেটে দিছে স্কাই ক্যাবল ট্রেডিং। শেখেরটেকের একমাত্র লাইন যাদের। তাই নেটে বসেই লাইভ খেলা দেখি। তাতে এমবি চলে যায় দেদারছে। কী আর করা মন তো মানে না। আশা ছিলো না জিতলেও ড্র হবে কিন্তু এসে পড়লো লজ্জাজনক পরাজয়। আমার স্কুল বন্ধু আবীর চিটাগাং থাকে। সে আমাকে ফোন করে বলেছিলো বেশী আবেগ্রাক্রান্ত হয়ে স্টেডিয়ামে যাস না কারন লাঞ্চের আগে যদি উইন্ডিজ আউট হয়ে যায় যদি বাংলাদেশ দুই আড়াই সেশন ব্যাট করতে হয় তবে হারবে বাংলাদেশ। আমি তার কথা শুনে বলছিলাম বাংলাদেশ নিয়ে তুই এতো নেগেটিভ কাল যদি জিতেও যায় তাও তুই বাংলাদেশের খারাপটাই খুজবি। আজ যখন ক্লাস শেষে আবীরকে ফোন দিলাম। সাধারণত কারো কথা ফলে গেলে খুব আনন্দ পায় আবীরের মনে আনন্দ নাই। বলতেছে তোদের কে নিয়ে কত ভালো ভালো কথা বলি একটাও ফলে না। অথচ বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে যখন যা বলি তাই লেগে যায়। এতো এতো মানুষের এতো আশা নিমিষেই তলিয়ে গেলো ভাবতেই মন খারাপ। আমি তো অবাক ভুতের মুখে রাম রাম। যাই হোক কী আর করা ৬০ টেষ্টের অর্ধেক ম্যাচই যারা ইনিংস ব্যাবধানে হারে তাদের নিয়ে এতো আশা করাও ঠিক না। যাই হোক খেলা ভালো লাগে। খেলা নিয়ে কথা বল