ইউজার লগইন

শাপলা'এর ব্লগ

নকশা কাব্যে জীবন তোমার

'।imagesCAVLZ7WK.jpg

জীবন হল-ঠাস বুননে, বিনি সুতোর নকশী কাঁথা।
রোজ যে তাতে ফোটাই কত, দুঃখ-সুখের কাব্যগাঁথা।

অপরূপ সে, অনবদ্য। হাজার রকম কারূকাজ
অলখে তার লুকিয়ে থাকে, গভীর গোপন ব্যাথার খাঁজ।

বাহারী জীবন-পুরোটা কেমন; ভাসিয়ে দেই, গভীর জলে-
নাওয়ের মত।
ঢেউয়ের ভাঁজে; আড়াল করি, এক জীবনের সবটা ক্ষত।

বাহারী নাও, যায় ভেসে যায়-সুতোয় তোলা নকশী পার।
কোথাও বাঁধন জমাট ভীষন, বাঁধন কোথাও আলগা তার।

তোমার হাতে সুঁই ও সুতো, সুতোর রং গভীর নীল।
জীবন ভরে- দাঁড়িয়ে দেখি,
তোমার আমার অন্তমিল।

চমকে গিয়ে; থমকে দেখি- কাজ থামিয়ে, গল্প গানে
অলস হাতে বুনছ কেবল, নকশা গুলোর নানান মানে।

তোমার হাতে উছলে পড়া-রঙ্গীন সুতোর উছল পথ,
সে পথ ধরে চলছ বুনে, রঙিন সুতোর ভবিষ্যৎ।

সবিনয় নিবেদন

আমি ভূতের গলি থেকে বুদ্ধদেব গুহের ভূত বলছি.......

হ্যালো হ্যালো.......আহারে কেউ কোথাও নেই...হ্যালো

প্ল্যান করেছিলাম, গভীর রাতে ঢাকায় ঢুকবো। তাতে কিছুটা হলেও ট্রাফিক জ্যাম এড়ানো যাবে। কিন্তু বিধিবাম। ৫ ঘন্টার লম্বা জার্নি করে রাত ১০ উত্তরায় এসে ছোট্ট যাত্রা বিরতি নিয়ে-১০:৩০ টায় রওনা হলাম, এলিফেন্ট রোড এর উদ্দেশে। ১:৩০ ঘন্টা লাগলো।
আমার বাসা থেকে আজিজ পায়ে হাঁটা পথ। সব ঠেঙ্গিয়ে যেহেতু আজিজের কাছে এসেছি, সেহেতু আজিজে তো একবার যাবই। আর আজিজে যাব ভাবতেই, আজিজের আড্ডার কথা মনে হল, আড্ডাটা দেব কার সঙ্গে? আড্ডা তো আর ভুতের সঙ্গে দেয়া যাবেনা, ভূতের সঙ্গে আড্ডা দিলে তো ভুতের গলিতেই যেতাম। মনে পড়লো আমার বন্ধুদের কথা। "আমরা বন্ধু"দের কথা।

বন্ধু আমার -শেষ পর্ব

anime-crying-tears-hug-what-makes-japanese-cry_00006.jpg
বন্ধু আমার -৩
বন্ধু আমার-২
বন্ধু আমার-১

বন্ধু আমার-৩

কন্নিচুয়া,
সাতি সান দেসু কা?
আমরা কি ভেতরে আসতে পারি?
স্বাতীর বিস্তর যুদ্ধ করতে হয়, নিজেকে সামাল দেবার জন্য। কাঁপা হাতে স্বল্প ভেঁজানো দরোজাটা মেলে ধরে। সাদা পোশাকে নয়, রিতীমত কেজো পোশাকের দুজন কপ দাঁড়িয়ে।
সরু চেহারার নারীটাকে, কিছুতেই পুলিশ বলে মানতে ইচ্ছা করেনা। ওকে দেখে ক্লাস টেনের গার্ল'স গাইডদের কথা মনে পড়ে যায়।
-হাই দোজো, স্বাতী দরোজা থেকে সরে দাঁড়িয়ে ঘরে ঢুকবার জায়গা করে দেয়।
দুজন হাসি হাসি মুখে, খুবই আদবের সঙ্গে ঘরে ঢোকে। চেহারা দেখলে মনে হয়, স্বাতীকে অসময়ে বিরক্ত করার জন্য মরমে মরে যাচ্ছে।
স্বাতী ৫ সেকেন্ড অটোসাজেশন দেয় নিজেকে।
"স্বাতী কিছুতেই প্যানিকড হয়ো না। নিজেকে সামলাও কোন ভুল করোনা। তোমার যাবতীয় ট্রেনিং কাজে লাগাও। আজ তোমার পরীক্ষা। দেখা যাক তোমার নার্ভের জোর।"
ভীষন কষ্টে, এক চিলতে হাসি ঠোঁটে ফুটিয়ে স্বাতী জিজ্ঞাসা করে, আমি তোমাদের কি সাহায্যে আসতে পারি?

বন্ধু আমার-২

images[47].jpg
কারিনার রুম থেকে বেরিয়ে স্বাতী একছুটে করিডোর টা পেরিয়ে - ড্রাইভ ওয়েতে নেমে এলো। একই কম্পাউন্ডের মধ্যে বেশ কয়েকটা এপার্টমেনট। হাতের বাম দিকের এপার্টমেন্টটায় ওদের এ্যানোনিমাস কাউন্সেলিং রুম, কিন্তু সংশ্লষ্ট ব্যাক্তিরা ছাড়া কেউ জানে না। এমন কি এপার্টমেন্টের বাসিন্দারাও না। খুব কঠিনভাবে এর গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়।
এম্নিতে এপার্টমেন্টের বাযার আছে। কল বাটনে ২০৩ তিন চাপলেই, যে কোন কর্মী এসে খুলে দেয়। কিন্তু আজকের ব্যাপারটা ভিন্ন। আজকের সকালের শিফট টা ওরই। অন্য কেউ এ সময় থাকার কথা না।
কেউ না থাকলে, এপার্টমেন্টে ঢুকতে হয় অন্য ভাবে।

বন্ধু আমার---১

bleeding_rose[1].jpg

হঠাৎ সহনীয় অথচ একঘেঁয়ে একটা শব্দে ঘুম ভাঙ্গে স্বাতীর। ঘুমের মধ্যে প্রথমে ঠিক ঠাহর করতে পারে না, কিসের শব্দ এটা?
হাতড়ে মুঠো ফোনটা যখন হাতের নাগালে চলে আসে, তখনই স্বাতী সম্বিত ফিরে পায়, না এটা এলার্ম ক্লক নয়। ঘরের কোনায় ল্যান্ড ফোনটা বেজেই চলেছে। ঝটপট উঠে পড়ে সে। আলসেমি করলেই--আর উঠতে পারবে না জানে।
হ্যালো, মে আই নো হু ইজ দিস? ঘুমে জড়ানো অস্পষ্ট কণ্ঠ স্বাতীর।
-মর্নিং স্যাটি, দিস ইজ কারিনা।
কুড ইউ কাম টু দ্যা অফিস এ্যাজ সুন এ্যাজ পসিবল।
-হোয়াট? ঘুমের মধ্যে স্বাতী কিছু ঠাহর করতে পারে না।
-"রাইট নাউ।" কারিনা লাইনটা কেটে দেয়।

প্রিয়তমেষু

প্রিয়তমেষু

আপনাকে কি লিখি বলুন তো?
আজ আমার মন ভালো নেই, তাই আপনার জন্য কিছু একটা লিখতে চাই---
রোজই লিখি আঁকিবুঁকি কত কিছু, কিন্তু এসব লেখার কোন মানে দাঁড়ায় না।
আমাদেরও তো বয়স হল---
এখন সব কথারই মানে চাই। তাই না?

আপনাকে বন্ধু ভাবি, আবার ঠিক বন্ধুও নন---
অথচ দূর দেশ থেকে আপনার ডাক পেলেই
আমি ভেসে যাই, আমার অযথাই শব্দমালা
কখনও বন্ধুত্বের খুঁনসুটি করে,
কখনও আপনাকে পোড়াই- প্রেমিকের মত; অভিমান আর বিরহ জ্বালায়
আবার কখনও কখনও নিপাট ভালোমানুষ।
কিছু চিঠি তো এক্কেবারে ছেলেমানুষিতে ভরা---
আমি তখন কল্পনায় আপনার আঙ্গুল গুলো দেখি,
দেখি ওরা না বন্ধুত্ব, না প্রেমিকের অসহায়ত্ব
নিয়ে ছুঁয়ে থাকে কী বোর্ড
আপনার বিব্রত মুখমন্ডলীতে ঈষৎ
বিরক্তি ছুঁয়ে থাকে
টেবিলে পড়ে থাকে, কাজ আর আধ খাওয়া চায়ের গেলাশ।
আপনি দূরালাপনে অর্ধচন্দ্র এঁকে
চলে যান, বাস্তব জগতে।

জগতের আনন্দ যজ্ঞে.............

অক্টোবর ৮
কাজ থেকে ফিরেই দৌড়ে গেলাম ল্যাংগুয়েজ শেখার ক্লাসে, সেখান থেকে বাসায় ফিরে হন্তদন্ত হয়ে গেলাম বাজারে। একগাদা বাজার করে ফিরতে ফিরতে রাত আটটা। কি করি ভীষন টায়ার্ড লাগছে। অথচ উপায় নেই। রাঁধতেই হবে। এই সেশনে যারা নতুন এসেছেন, তাদের সহ কিছু পুরোনো বন্ধুদের কাল খেতে বলেছি। এটা এখানকার রুটিন ওয়ার্ক। সবাইকে করতে হয়। ৩০ জন মানুষের রান্না, কিছুটা এগিয়ে না রাখলেই নয়!
রাত দশটায় আমার আদরের এক তরুণ দম্পত্তি এসে হাজির। তরুণী গিন্নি এসেই কোমর বেঁধে লাগার চেষ্টায় ব্রত, "আপু আপনাকে হেল্প করতে চাই..।" কোনরকমে ওকে ক্ষান্ত করলাম। এদিকে আমার ক্লান্তি ওদের দেখে জানালা দিয়ে পালালো। চললো কাজ আর ভোর চারটা পর্যন্ত আড্ডা।

অক্টোবর ৯

বাবা তোমাকে -২

FatherAndDaughter-1[1].jpg
প্রিয় বাবা,
খুব মন খারাপ নিয়ে তোমাকে লিখছি, জগতে কত কারনে যে মন খারাপ হয়। এই সংসারে মন ভালো করার মানুষ খুব সামান্যই থাকে কিন্তু মন খারাপ করিয়ে দেবার মত লোকের অভাব নেই--- তাছাড়া একটা কারণে তোমার উপরও খানিকটা অভিমান জমে আছে।
অবশ্য আমি জানি, আমি অভিমান করলে, তুমি একটা কিছু করবেই। যাক এসব, আমি তোমার কাছে অন্য একটা চিঠি লিখি। এমন একটা চিঠি যেটা পড়লে খুব গোপনে আমার মনটা ভালো হয়ে যাবে। কারণ আমার চিঠিটাতো আর তুমি দেখতে পাচ্ছ না। তোমার কাছে না হয় আমার খানিকটা অভিমান জমা থাক। আমি চাইনা তুমি আমার অভিমানের আড়ালে ভালোবাসাটুকু দেখ।

এলোমেলো

আমার খেলাধুলা এবং আমার খেলা দেখা..

খেলাধুলার ব্যাপারে সারাজীবনই একটা বিরাট প্রতিভা ছিলাম। যে কোন খেলার কথা শুনলেই আমার কাঁপুনি দি্যে জ্বর আসে। আমি মানুষ ভালো Tongue Tongue Tongue নিজে খেলিও না কাউরে খেলাইও না। Wink Wink Wink
তবে জীবনে যা খেলেছি, তা ছিল পঞ্চম শ্রেণীর আগে। কুমির কুমির, দুহাত বেঁধে বিস্কুট দৌড়, কুতকুত ইত্যাদি। জীবনে একবারই লম্বা দৌড় দিয়েছিলাম, কিন্ত তৃতী্য় পুরস্কার ছিনিয়ে নেবার আগেই-কে যেন ল্যাং মেরে ফেলে দিয়েছিল। আর এ জীবনে দৌড়ানো হলনা।
একবার খেলে প্রথম পুরষ্কার পেয়েছিলাম। খেলাটা ছিল দাবা। প্রতিযোগী ছিলাম মোটে দুজন। আমার প্রতিপক্ষ খেলার দিন বিনা নোটিশে হাজির হল না, তাই প্রথম পুরস্কার হিসেবে একটা কাঁচের জগ পেয়ে গেলাম।

কাটে না সময় যখন আর কিছুতেই--------

প্রিয় বাবা

ইদানীং ফোন ধরে তোমার সঙ্গে খুব বেশী কথা বলা হয়ে ওঠে না, দু্চারটে কথা বলার পর - আর কথা বিশেষ খুঁজে পাই না। কিন্তু ফোন রেখে দেবার পর মনে হয়, তোমাকে কি যেন বলা হল না। মনে হয়, আরেকটু কথা বললে ভালো লাগতো।সারাদিন চুপিচুপি মন ভার করে ঘুরে বেড়াই।

যে জলে আগুন জ্বলে

আমার পা জোড়া যেন শীতল হয়ে গেল। কি দারূন অনুভূতি।পায়ের কাছে তীব্র কলকল শব্দ করে জমে যাচ্ছে পাহাড়ি ঠাণ্ডা জল। জলের শরীরে আয়না। আমার দৃষ্টি জলের গভীরে। ঢেউয়ের ভাঁজে ভাঁজে পাথরের দোল খাওয়া দেখি। বড় বড় চোখের বুড়ো পাথর গুলোর গায়ে রোদ জলের ছায়া আর ছোট ছোট নুড়িগুলোর অবুঝ ভাসাভাসি।
মহানন্দার ওপারে আকাশ মাটি ছুঁয়ে সোনা রোদে হাসছে।
আমি ভেসে যাবার ভয়ে উঠে আসি।
রোদে তেতে থাকা, গরম মাটিতে পা পুড়ে যায়, আমি বাস্তবে ফিরে আসি। চোখ বুজলেই মহানন্দার জলে আমার চোখ ভরে যায়। সেদিন তোমার কি ভয়, পারে বসে চিৎকার

- "আর যেওনা। আর যেওনা। ভেসে যাবে যে..."
তুমি সাঁতার জানতে না। পানিকে তোমার তাই ভীষন ভয়। তাই নামোনি আমার সঙ্গে।
আমার ভীষন মন খারাপ হচ্ছিল, তোমার সাথে জলে নামতে পারিনি বলে কিন্তু মহানন্দা দেখে সব ভেসে গেল। নদী আমাকে ভীষন টানে। কি ভীষন আকূল করে টেনে নিয়ে যায়--অদ্ভূত তাইনা!

আহারের বাহার

আহারের বাহার

আমি আবার একটু খাদক প্রকৃতির। রোযা রেখে যতনা ধর্ম পালন, তার চেয়ে দিন শেষে তাকিয়ে থকি, ভালো মন্দ কি খাব? বিকাল হতে হতে পরাণটা খাই খাই করে। গত রোযায় প্রবাসী ব্যাচেলররা প্রথম ১০ রোযা আমার বাসায় ইফতার করেছে। আহা কি আয়োজন! কি আয়োজন ছিল সে সবের।

এবার নিজের জন্য কিছুই করতে ইচ্ছা করেনি। কিন্তু তাড়াতাড়ি সুযোগ মিলে গেল।
গত দুই সপ্তাহ জুড়ে আমার বাড়িতে অতিথি। মানে বৃহস্পতিবার সারাদিন রেঁধেছি, আর শুক্র, শনি রবি চুটিয়ে অতিথিদের সাথে আড্ডা মেরেছি। রবিবার অতিথি বিদায় করে সোমবার সারাদিন ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে কাটিয়েছি।কারণ আড্ডা মানেই সেহেরী অব্দি জাগা।
দু সপ্তাহের ছুটির দিন গুলো ছাড়াও গত পরশু ঘরে অতিথি ছিল। সারাদিন ধরে রান্না করলাম,

চড়ুইভাতির সংসার (সেই যে আমার নানা রঙ এর দিন গুলি রইল না)

এই লেখাটা আমার ব্লগ জীবনের শুরুতে সামু ব্লগে লিখেছিলাম। লেখাটা এই ব্লগে কোন ভাবেই মানানসই নহে। তবুও

বাচ্চু

কথাটার উতপত্তি এবঙ বুতপত্তি বোঝাতে গিয়ে লেখাটার একটা পর্ব হুবহু তুলে ধরলাম।

আশা করি আমার বন্ধুরা সবাই নিজ দায়িত্বে পড়বেন। ভালো না লাগলে আমি কোনোমতেই দায়ী নহি।

লেখাটা আমার জিলাপির (আধা রেসিপি দেবার কারণে Angry ) অর্ধেক গুরু রাসেল ভাই এবং আমার নয়া বাচ্চু মীরের সমীপে পেশ করা হইল

বলা নেই কওয়া নেই অল্প দিনের নোটিশে দুম করে বিয়ে করে ফেল্লাম এক ক্যাডেট রে। সে প্রথমে আমারে যেই বাড়িতে নিয়া তুল্লো- সেই বাড়িওয়ালা খালাম্মার - ভয়াবহ ক্যাডেট প্রীতি। তার এক পোলা একটু আউলা টাইপের কিন্তু জিনিয়াস সেও একজন ক্যাডেট। বড় মেয়ের জামাই মাশাল্লা সেও একজন ক্যাডেট।

কষ্ট হলে পোষ্ট দেই-- (ক্ষতিপূরণ দেন)-১

গত পরশু থেকে মনটা ভয়াবহ খারাপ। এক জুনিয়র বন্ধু ভীষন সংকটে ছিলেন। তারা ব্যপারটা আর কাউরে জানাতে চাননি। শুধু এই অধমরে মনে করেছেন। পরশু দিন সারাদিন একটানা হাসপাতালে কাটি্যে, মধ্য রাতে ক্লান্ত হয়ে ফিরলাম। আমি হাসপাতালে ভাব ধরে ছিলাম, একটুও কষ্ট পাচ্ছিনা। কর্তা প্রমিজ করে পাঠিয়েছিল যেন শক্ত থাকি---
বাসায় এসে আর পারলাম না। আমার ভগ্ন-হ্রদয় দেখে, কর্তা গতরাতে ঠিক করলেন, একটু বাইরে খাওয়াবেন। বেরুবার মুখেই পড়ে গেলাম অতি উতসাহী একজন বাঙগালীর সম্মুখে।
ফ্রী থাকলে যার কাজ হল, সবাইরে জিঞ্জাসা করা--'কৈ যাও? কৈ থেকে আস? কি বাজার করলা দেখি?' ভিনদেশীরাও রক্ষা পান না।

যথারীতি পড়লাম, প্রশ্নের মুখে- 'আমার বলতে ইচ্ছা করছিল না। তাই বল্লাম, দেখি কর্তা কোথায় নিয়ে যায়--'
ব্যস! একগাদা কথা শুনি্যে দিল। তাতে তার সমগোত্রীয় আরো দু একজন যোগ দিলেন।
দু একজন আমাকে উদ্ধারে এগিয়ে এলেন।