বিষণ্ণ বাউন্ডুলে'এর ব্লগ
শুধু ফেরা পথ টুকু, ঘেরা পথ টুকু; সেরা পথ হয়ে থেকে যাক..
কিছু কিছু গান আছে, একবার শুনলেই মন কিনে নেয় বিনে পয়সায় - নিমিষেই। কোন একটা সময়ের বা কিছু মুহুর্তের অবয়ব হয়ে সাড়ে তিন হাত মাটির মতন স্থায়ী ঠিকানা গড়ে বসে যায় মরমে, অন্তরে সবচাইতে কাছের অথচ হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর স্মৃতিছোঁয়া ব্যাকুলতায়। অদ্ভুত মাদকতাময় বিষাদে আচ্ছাদিত হয়ে যায় চারপাশ, আপনাতেই। আবার আনমনেই মনের মুকুরে প্রিয় কোন স্মৃতিজাগানিয়া সুখে ঠোটের কোনে উঁকি দিয়ে যায় এক চিলতে হাসি, এলোমেলো হাওয়ায় মন ভালো হয়ে যায়। মনে হয়, কি অদ্ভুত সুন্দর এই বেঁচে থাকা!
"ঝরে ঝরে পড়ে ছিমছাম
শুকনো পাতার স্তুপ,
কবে যেন কাকে চিনতাম
ডাকবাক্সেরা চুপ।
কিছু পিছু ডাকা শার্শীতে আঁকা
চুপ করে থাকা বন্ধু,
স্বপ্নের জালে লন্ঠন জলে
গল্পেরা চলে কোনদুর।
রাস্তা ফেলে..হুহু..হুহুহু..
শুধু ফেরা পথ টুকু,
ঘেরা পথ টুকু;
সেরা পথ হয়ে থেকে যাক -
আজ বিকেলে..
দেখো কুয়াশার নেই ডাক নাম
তবু চশমার চোখে বাষ্প,
scattered thoughts of another chaotic mind slash heart!
#
happiness is the biggest grin that emerges instantly -
just getting one glance of a best friend!
#
happiness is being found by someone
you have been searching for a thousand years!!
#
you'll never know what you might've missed,
when and if you give up trying..
#
as we grow up,
often we learn to use various kinds of masks
along the way - maybe,
that's called 'maturity' nowadays..
#
feel the rain, and wind in your face -
it's no use looking for light, in darkness tonight..
listen; smell, inhale -
it's been enough, give up; give in -
i'm your rain man.
#
happiness needs no reason..
#
funny - how one can get old; to almost anyone, with time..
that too -
given even such lovely time, almost; all the time..
maybe,
'সহজ কথা যায় না লেখা সহজে..' [আবোল তাবোল - ১৭]
কেমন আছো?
- এইতো, মোটামুটি। অথবা, ভালো নেই।
ভালো আছি, সে মিথ্যে হলেও মানুষ সহজেই মেনে নেয়।
অথচ, ভালো নেই বললেই অন্যদের ভালো থাকাতেও সমস্যা দেখা দেয়।
ভালো লাগে না।
লেখো না কেন?
- মন ভালো নাই, মন ভালো থাকে না।
মাঝে মাঝে ভুলে ভালো হয়ে গেলেও,
নিজের মাঝেই ভুল বোঝাবুঝিতে তা ভুলে যেতে সময় লাগে না।
অথবা, ভালো থাকার মত তেমন কিছু হয় না আর।
হলেও, তা শুরু হতে হতেই শেষ।
দিনকাল বড্ড বেশি স্লো হয়ে গেছে আজকাল। বলতে গেলে থেমেই আছে সে-ই কবে থেকে, মনে নেই। রিস্টার্ট দেওয়ার চেষ্টায় আছি অনেকদিন ধরেই, হচ্ছে না কিছুতেই।
ছুটি দরকার একটা, নিজের কাছ থেকেই – অথবা, এই বৃত্তবন্দি সময় থেকে। তাও হচ্ছে না। যার কাজ নেই, তার হাতের কাজ কখনই শেষ হয় না।
নিজের মত করে থাকতে পারাটাও ভালো থাকা। তাও হয় না সবসময়।
অসময়ে কথা শোনানোর সুযোগ হাতছাড়া করার ভুল করে না বলতে গেলে কেউই।
অমিমাংসিত দীর্ঘশ্বাস.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]
কি আর আছে এমন আর?
এতটাই আগ্রহজাগানিয়া?
হৃদস্পন্দন নিয়ে খেলা করে চলে,
অবহেলায়;
নিমিষের আলতো চাহনিতে?
কি ই বা আছে আর এমন,
এতটা ভালোবাসার যোগ্য!
কে-ই বা ফিরিয়ে আনতে পারে,
শীতের হিমেল পরশ;
হৃদমাঝারে অবাক কাঁপা হাওয়া?
এমনকী গ্রীষ্মের শুষ্কতম দুপুরে,
চায়ের কাপের উত্তাপে;
বর্ষার রিনিঝিনি স্পন্দন?
আর কে ই বা পারে অতটা এমন,
খোদ ভীড় কেই ভিড়িয়ে দেয়া;
পথ ভুলিয়ে দেয়া ভীড়ের মাঝে।
কেই বা করে নির্জনতার এমন আবাদ?
কুড়িয়ে এনে জড়ো করে -
ছেঁড়া পকেটেই গুজে দেবে বলে,
নৈঃশব্দের কোলাহলের মতন;
সোনালী ফসল।
হোক তা,
মেঘমল্লার কিংবা সূর্যের দিন।
যখন,
অলীক মেঘেদের গর্জন,
নিজেকেই হারিয়ে চলে
অসীমে -
কে-ই বা আছে আর অতটা এমন?
মাঝরাত্তির - বুকের ভেতর,
তোমার মতন;
অতটা ভীষণ নীল..!
তবুও, তোমায় আমি.. [ অপ্রলাপ - ০১৪৩ ]
[টিপটিপ কোন বৃষ্টিফোঁটার আজন্ম বিষাদ;
মেঘবালিকার কপাল জুড়ে ছোট্ট নীল টিপ না হতে পারার আক্ষেপ।
আলোর আকাশ ছোঁয়া
চোখের সমূদ্র ছেড়ে
কাজলের সরু নদী
এক ফোঁটা মেঘ,
কপোলের টোলে;
সেই
হৃদকাপানো হাসির সীমানায় -
বয়ে আনে অন্ধকার।
- অথচ তোমার দুচোখে তখনও নীল।।]
কখনো এমনও হয়..
আকাশ জুড়ে শতবর্ষের মেঘ,
খুব বৃষ্টি ঝরে যায়।
তবুও খালিপায়ে হেটে যাওয়া হয়না,
দুহাত মেলে আকাশপানে চেয়ে।
বৃষ্টি শেষে কোমল স্নিগ্ধ হাওয়া,
চায়ের কাপের গরম ভাপে;
ভালোলাগার তীব্র হাতছানি।
তবুও -
আঙুলের পরশে ছুঁয়ে যাওয়া হয়না,
কথকতার
আলতো আদর দোলা মনে।
বিকেল ছাঁদের হাওয়া,
ব্যালকনীতে রোদ্দুর;
অভিমানের জানলা বেয়ে
একা বোকা রাস্তায় -
খুঁজে ফেরে পথ।
আর পথিক?
তার, আয়নায় ভাঙা মন।
কেবলই,
কোথায় যেন;
কি যেন একটা কিছু
নেই বলে -
এই তুমি আর সেই তুমি নেই বলে।
[অথচ তোমারই চোখে ছিল
কেবলই আমার জন্য
মিঁয়ায়ায়ায়ায়াও..
অচেনা এক বেড়াল ছানা,
নেই তো কোন চিন পরিচয় -
হঠাত্ দেখা;
তাতেই বুঝি খুব সে চেনা।
এক নিমিষে,
হঠাত্ করেই;
খুললো বুঝি স্মৃতির দুয়ার।
খুলতে দুয়ার,
স্মৃতির প্রহর;
লাল সাদা বল -
রোমশ কত বেড়ালছানা।
অসময় কিংবা সময়,
উচিয়ে লেজ খানি তার;
ঘেঁসে গা পায়ের সাথে -
দুরে তায় যায় না ঠেলা।
শীতে তার,
মোদের সাথেই স্বপন বোনা।
লেপের নীচে কুসুম গরম,
ভেড়া নয়;
দুধ আর মাছ যে গোনা।
দুষ্টুমি আর তিড়িংবিড়িং,
তারই মাঝে -
একেকটা ক্ষন হাতের কাছে;
ঠিক সে হাজির।
বুঁজে চোখ,
উচিয়ে গলা
খেয়ে যায় আদর শত।
খুনসুঁটি?
তাও সে বোঝে,
আলতো কামড়;
আচড় কত।
স্মৃতির দুয়ার বন্ধ হতেই,
কল্পনাতে ফিরলে হঠাত্;
মিষ্টি সুরে
যায় যে শোনা -
মিঁয়ায়ায়ায়ায়ায়াও..!
বুনোহাঁসের গান এবং অন্যান্য কথকতা
ব্লগে এলেই আমার মাঝে মাঝে শান্ত ভাই এর মতন হয়ে যেতে মন চায়। কি সুন্দর যখন যা ইচ্ছে করে এলোমেলো, গুছিয়ে লিখে ফেলে চমত্কার। নিমিষে।
হিংসা লাগে একেকটা দিন, একটু একটু।
আমি পারি না, সাধারনত। একটা দুটা লাইন মাথায় বেশি ঘুরাঘুরি করলে হয়তো হঠাত্ একটা কিছু লেখা হয়ে যায়, এলোমেলো। কিন্তু মন খুলে টানা একটা কিছু লেখা আর আমার হয়ে উঠে না।
আজকালকার ভার্চুয়াল দুনিয়ায় এফবি যদি বাসা হয়, এবি আমার কাছে ঘরের মতন মনে হয়।
তবুও আমি পারি না, মনের মতন যখন তখন ইচ্ছে যেমন লিখে যেতে। নিজে না হতে পারি, লেখার মনটা বড় বেশি বাউন্ডুলে হয়ে গেছে। বড্ড বেয়াড়া, কিছুতেই পোষ মানে না। বলতে গেলে, ঘরের ভেতর নিজের কাছেই পর পর অবস্থা!
মাঝে মাঝে মন খারাপ লাগে, আগে কত্ত কিছু লিখে ফেলতাম হঠাত্ করেই, আবোল তাবোল। মন ভালো হয়ে যেতো।
এমন বৃষ্টি দিনে.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]
এমন বৃষ্টি দিনে,
কি এমন ক্ষতি হতো?
আমি যদি তোমার হতেম,
আর;
সেই তুমি-ই আমার হতে?
কি এমন ক্ষতি হতো?
মিছিমিছি ভালোবাসায়,
আলতো হেসে;
হুট হারালে -
আমার তোমার অচিনপুরে।
কি এমন ক্ষতি হতো,
ছন্নছাড়া কথকতায়?
হঠাত্ হোঁচট,
চেনা অচেনা চাহনিতে;
বুকের ভেতর সুদুর দুরে।
দিনের শেষের চাওয়ায় পথে,
আমি নয় রয়েই যেতাম -
আরও এক বৃষ্টি দিনের অপেক্ষাতে;
আকাশ ছোঁয়া মেঘ দুয়ারে।
এমন বৃষ্টি দিনে,
কি এমন হতো ক্ষতি;
আমি যদি হতেম দুরের মেঘ?
নয় -
বৃষ্টি হয়েই হারিয়ে যেতেম,
তোমায় ছুঁয়ে।
এমন বৃষ্টি দিনে..
আমন্ত্রন..
আয় আর একটি বার আয় এই বুকের বারান্দায়,
এই দৃষ্টি জুড়ে বৃষ্টিদিনের নরম রোদের ছায়।
আর একটি বার একটা বেলা নেই কথা নেই মুখে,
নিরবতার অবাক ভাষায় হারিয়ে যাওয়ার সুখে।
আয় আর একটি বার আয়,
সমস্ত দিন বৃষ্টি ছোঁব - ভালোবাসার;
বিষাদলোকের মেঘ জড়িয়ে গা'য়।
হাত বাড়ালেই বিষাদনগর,
সুরের ধারার রিনিকঝিনিক;
সুপ্রিয় ঝড় -
দুইজনাতে মিষ্টি লড়াই,
ছোট্ট কাপের চা'য়।
আয় আর একটি বার আয়..
আমি, তুমি আর দিনের শেষে ভুলবন্দি রাত.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]
জানি,
দিনের শেষে তুমিও একা।
তোমার চোখেও রাত্রি নামে,
দিনের শেষে;
নিরবতার আয়না জুড়ে মুখরতা।
জানি ঠিক আমার মতই,
মনে মনে আপনমনে;
হাসির তোড়ে বিষাদ লুকাও।
খোলা চোখে আঁধার মেখে,
অন্ধকারের ডুবসাতারে -
ভুলে
পথ ভুল করে ফের,
আলতো ছোঁয়ায়;
মুখোসে মুখ একে যাও।
হিসেবে ভুল হলে তাও,
ভুল চোখেতেই হিসাব মিলাও।
পাছে পথে ভুল হয়ে যায়,
ভুলের ভেলায় পথের খোঁজে;
পরশপাথর আপনি বিলাও।
ভুলে যাও,
আমার মতই -
ভুলে চোখ; মেললে না মন,
হিয়া না ভরলে আলোয় -
দিনের শেষে,
অন্ধকারে;
খালি চোখে যায় না দেখা।।
বৃষ্টি অথবা ছুটি.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]
শহরবন্দী মেঘ,
ছুটি দাও।
ছুটির ঘন্টা বাজাও;
বিষণ্ণ দুপুরের গায় -
আজ আমি স্নান করবো না,
বৃষ্টি না হলে।
শহরবন্দী মেঘ,
ছুটি দাও।
ছুটির ঘন্টা বাজাও,
বাউণ্ডুলের আকাশভরা নীলে।
আজ আমি বালুকাবেলার ডাকহরকরা,
সুপ্রিয় সমূদ্র ছোঁব না;
আর কিছুতেই -
বৃষ্টি না হলে।
শহরবন্দী মেঘ,
ছুটি দাও।
ছুটির ঘন্টা বাজাও,
একলা বিকেলের রোদ্দুরে;
সন্ধ্যার মায়াভরা রাস্তায়।
শহুরে অন্ধকারে,
হারিয়ে যাক;
নিকোটিন ধোঁয়া।
আজ বন্ধ -
চায়ের কাপে ঝড়,
বৃষ্টি না হলে।
বন্ধ খামের ভেতরেই থাক,
দুরের পাহাড়ের ডাক।
টিকেট কেটেও যাওয়া হবে না,
কু ঝিক ঝিক রেলে চড়ে বাড়ি।
যেখানে একাকী দরজায়,
কলিং বেলের অপেক্ষায়;
ভালোবাসা হৃদয়।
আজ আমি কোথাও যাবো না,
বৃষ্টি না হলে।
শহরবন্দী মেঘ,
ছুটি দাও।
ছুটির ঘন্টা বাজাও,
বাক্সবন্দী পথচলায়।
জানোই তো,
এখানে;
আমাদের চোখে -
বৃষ্টি হলেই ছুটি।।
আমি, তুমি আর অন্ধকারের গান.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]
আমার
একচিলতে
হৃদাকাশ,
আজও -
নীল।
তোমার ভালোবাসার
সুবিশাল ডানায়,
নেই দু'দন্ডের অখন্ড অবসর।
নিরন্তর উড়ালপথ -
জোড়া,
রিম ঝিম ঝিম রোদ্দুর।
যেখানে স্মৃতির করস্পর্শে
রৌদ্রস্নান করে -
অজস্র শঙ্খচিল,
রাতের পরিযায়ী মুহুর্ত;
আর স্বাপ্নিক আদর্শে বেড়ে উঠা আদুরে ঘুমপালক চোখ।
আর
বেখেয়ালে
ছন্দ কুড়োয় -
হারানো দিনের মতন
পুরাতন হাওয়ায়
বৃষ্টিস্নাত নগ্ন পদধ্বনি।
পাছে,
তালে ভুল না হয়ে যায় -
ভালোবেসে, অন্ধকারের গান
অথবা
দেখা না দেখার পথচলা
আর
বলা না বলা কথার সুর।।
অযথা অ-চিঠি.. [হাবিজাবি!]
প্রিয়তমেসু,
কেমন আছো? ভালো নিশ্চয়ই?
আমার চিঠি পেয়েছিলে তো?
একদিন পাঠালাম ছোট্ট উড়োজাহাজ করে, তুমি যেমনটা বলেছিলে ঠিক তেমনই - আকাশের ঠিকানায়। আরেকদিন, কুয়াশার চাদরে মোড়ানো সকাল পেরিয়ে ছিমছাম দুপুরের শেষে এসে - হঠাৎ বৃষ্টি হলো যে খুব? ওইদিন, কাগজের নৌকোয় আদর ভরে পাঠিয়েছিলাম। চিনতে পারো নি বুঝি? আমি ভেবেছিলাম চায়ের কাপের রিনিঝিনি টুংটাং শুনেই বুঝে নিবে - সে 'আমি'ই হবো। তাও পাছে আমায় চিনতে ভুল করো, হালকা আকাশি রঙএর রাংতা মোড়ানো পেজা তুলোর মত ভেজা মেঘ আর কিছু চেনা অচেনা প্রিয় সুরও পাঠালাম তোমায়। তবুও খুজে পেলে না তাতে আমায়?
নাকি, ছোট্ট চিঠি বলে রাগ করে উত্তরই দিলে না? কি করবো বলো, হয়তো হৃদযন্ত্রখানাই খুব ছোট আমার। আর তাতে যতটুকু ভালোবাসা ধরে, তাই লিখি তোমায়। এটুকুই সম্বল আমার।
তবে কি, জানো? আমার তোমাকে জানার প্রথম দিনগুলোর চিঠি ক'খানার উত্তর যে তুমি কখনই দাওনি, এই বিষাদ আমার কখনই হারাবে না। সেই সময়টুকুর স্মৃতির পাতায় পাতায় জড়ানো তীব্রতম ভালোবাসা সাক্ষি।
বৃষ্টিসকাল কাব্যপ্রলাপ!
গলেদের চিরাচরিত ভয়ই ফিরে এলো সকাল সকাল,
আকাশ ভেঙে পড়েছে আজ।
ভেঁজা রাস্তায় চুমু খেয়ে যায় এলোমেলো নিয়ন,
ঘুম ভেঙে অবাক চাহনীতে হেটে যায় মেঘসন্তানেরা।
আর জমে থাকা জলে জমা পড়ে বিরক্তি,
সান্তনার প্রলেপ বুলিয়ে ছুঁয়ে যায় বেখেয়ালী পথচলা।
এক আধটা চারচাকার কাঁচের কোলে ক্লান্ত বুড়ো ওয়াইপার,
ঘুম চোখে শুনিয়ে যায় চিরচেনা নতুন কোন গল্প।
রিকশার নীল পর্দার আড়ালে উঁকি দিয়ে যায় হাওয়া,
চোখ তুলে চাইলেই এলোকেশ ভালোবাসা।
বন্ধ দিনে অনুচিত খোলা যত ইস্কুল কলেজ,
মন খারাপের আজকের তরে ছুটি।
আর যার যত জমে থাকা কাজ,
টুকে রাখা থাক সব বাকির খাতায়।
বৃষ্টিই আজ টিভিপর্দায় ব্রেকিং নিউজ,
আর সব কিছুই ফাঁকি।
হাজার হোক,
আজ নয় ভেবে নিলাম
বিশ্ব বৃষ্টিছোঁয়া দিবস।
এতসব কথকতাতেই বা কি আসে যায় আজ!
কোথা থেকে আসা বাতাসে দোলা দিয়ে যাচ্ছে মনোহর সুবাস,
আমি বরং এখন আসি -
এক কাপ গরমাগরম মালটোভা চা হয়ে যাক।
খবর শুনেছেন নিশ্চয়ই?
গলেদের চিরাচরিত ভয়ই ফিরে এসেছে সকাল সকাল,
আকাশ ভেঙে পড়েছে আজ।।
চুপকথা রুপকথা.. [লিরিক অফ এন আনসাং রক ব্যালাড!]
[কিছু ভালোবাসা দামে কেনা ছিল স্বপ্ন আমার,
অথবা স্বপ্নের দামে ভালোবাসা।
শুয়োপোকা থেকে প্রজাপতি আর
রাজহাসের শৈশবই কেবল জানে,
কতটা সত্যি ছিল রুপকথা।
সোনার জলে মোড়ানো রুপোলি আয়নায়;
হারানো মনের ছায়ায় চোখ পড়তেই,
মনে পড়ে যায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় চুপকথা -
মানুষ মাত্রই ভুল।।]
কিছু রাত্তিরে জমা থাক
কিছু অ-জানা দিনের ঘ্রান,
চেনা ঝকমকি মন ঠুকলেই
হারে অ-চেনা আগুনে প্রাণ।
এই মিথ্যে কথার বসতিতে
যত সত্যি কথারা কোলাহল,
রোদ ঝকমকে দিনে ভুলে পথ
শত মেঘলা মনের চলাচল।
সাঁঝ পেরুলেই পাতাবাঁশি সুর
নিয়ে যায় মন অজানায়,
গোধুলীর প্রিয় কণে দেখা আলো
একা চোখে রোদ রেখে যায়।
সুদুরের প্রিয় মেঘের চিঠিতে
নীল খামে অনাসৃষ্টি,
অবাক চোখেতে বলে গেছে
ফের আসবেই আজ বৃষ্টি।
আজ আগুন জ্বলুক ভেজা কার্ণিশে
রাত্তিরে চাই সূর্যের দিন,
সময়ে আসেনা অসময় ডাক
মর্মে মিলাক হৃদয়ের ঋণ।।