ইউজার লগইন

বিষণ্ণ বাউন্ডুলে'এর ব্লগ

এবং ‘হেমলক সোসাইটি’ : আত্মহত্যা বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে কিছু কথকতা

মাঝে মাঝে হঠাৎ করেই এমন কিছু বিষয় জানার বা উপলদ্ধির সীমানায় এসে ধরা দেয় যে, নিমিষেই মনে মনে বেশ আউলে যেতে হয়। জানার চাইতে না জানার পরিধিটা অনেক ব্যাপক হওয়া সত্ত্বেও নিজের অনুভূতি গুলি কারও না কারও সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে হয়, অনেকটা বন্ধুদের সাথে নিয়মিত আড্ডার ফাঁকেই হঠাৎ বলে ফেলা কিছু ওজনদার বিষয়ের মতন। এমনই একটা অবস্থায় আজ এই লেখা।

লেখাটাকে মুভিরিভিউ বলা উচিত হবে কি না বুঝতে পারছি না। মুভির চাইতে মুভিটার উপজীব্য বিষয়টুকু নিয়েই যেখানে কিছু একটা বলতে বা লিখে বোঝাতে চাইছি! যা লিখব বলে ভাবছি এ নিয়ে অনেকের লেখাই হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে কিন্তু এবিতে মাসুম ভাই বা অন্য কারও বয়ানে এমন কিছু চোখে পড়েনি বলেই এই দুঃসাহস।

প্রায় বছরদেড়েকের পুরানো একটা ভারতীয় বাংলা মুভি দেখলাম আজ। 'অটোগ্রাফ' আর 'বাইশে শ্রাবণ' এর পর শ্রীজিত মুখার্জী'র তৃতীয় মুভি 'হেমলক সোসাইটি' , মুভিটা এখন পর্যন্ত না দেখে থাকলেও এর গানগুলির জন্যই হয়তো চেনা লাগবে অনেকের কাছেই।

ফেসবুকাব্য কথকতা!

#

হুট বাতাসের,
তুলোট মেঘের দিন -

অমলিন..

#

আউলা হাওয়ার,
বাউলা মনের দিন -

অমলিন..

#

একটা সকাল,
রবির সুরে;
উতল হাওয়ার ডাক।

একটা সকাল,
পিচ্চিবেলার;
দুষ্টু চাওয়ার ঝাঁক।

একটা সকাল,
দুপুর ফাঁকি;
মিষ্টি হাসির তাক।

একটা সকাল,
হঠাত্‍ বিকেল;
কত্ত কথার বাঁক।

একটা সকাল,
সাঁঝের আলো।
অন্ধকারেও,
বাসবো ভালো।

একটা সকাল,
বিষাদ ঝেড়ে;
সুখ কুড়ানোর হাঁক।

একটা সকাল,
আবোল তাবোল।
নিমিষ চুপেও,
হোক কোলাহোল।

একটা সকাল,
রাত পেরিয়েও;
একটা সকাল থাক।।

#

ভরদুপুরের তপ্ত দহনকালেও
মনের আকাশে মেঘ করে যায়..

#

একটা সকাল,
দুপুর হয়ে -

শুয়ে বসে,
একটু হেসে..

মেঘের সাথে;
মেঘের খেলায়,
আকাশনীলায়-
একটু ভেসে..

হুট বাতাসে;
আলোক ছায়ায়,
আলসেমি তে..
বিকেল ছুঁতেই -

তৃপ্ত সুখে,
হর্ষ মেখে..

রিম ঝিম ঝিম
মনের গানে,
ঘুম ঘুম ঘুম
সময় উধাও..

প্রানের পরে,
হঠাত্‍ এসে ;
বৃষ্টি দিল চুম..

#

কাঁচের দেওয়াল টাইপ বিশ্বাস নিয়া আর যাই হোক, ভালোবাসা যায় না..

#

চায়ের কাপে বিষাদলোকের ছায়া,
হুট ডেকে যায় অচিনপুরের মায়া -

বিষাদনগর ইস্টিশনে..[এলোমেলো কাব্যকথন!]

ঘুম ঘুম দিন,
আর অস্থিরতায়;
জমতে থাকে অন্ধকার।
তবুও,
কিছুই যায় আসে না তাতে।

নীলচে পর্দার গায়
কড়া নেড়ে যায়
বৃষ্টিবাতাস।
এটাসেটা কথকতায়
সুদিনের হাওয়া
ভালোবাসার বিশ্বাস।

সবার সবকিছু থেকে
আমার আমির কথা ভেবে
একটু একা হবার শখ।

ভাবতেই,
নিজের কাছেও বুঝি হয়ে যাওয়া; তাই।
যতটা হওয়ার নয়,
ঠিক ততটাই;
এভাবেই।

অন্ধকারের আলো জ্বেলে নিভিয়ে দিলেই ভোর,
তবুও আলোয় মিশে লীন;
হাজার পথের আঁধার।

কিছু রাত্তিরে -
খুব ভাংচুর করতে চাওয়া ইচ্ছেগুলো খুঁজে বেড়ায়
কিছু বৃত্ত; কিছু দেওয়াল,
অথবা খোদ নিজেকেই।

তাই -
পথ পেয়েও বুঝি হারায়,
আলোক ঝিলের জোনাকী।

উত্তর নিয়ে বসে থাকা ক্লান্ত সময়ে,
ঠিকঠাক প্রশ্নটাই জানা হয় না কেবল।

নিশ্বাসের চেনা অচেনা পথচলা,
ভালোলাগা মুহূর্তজুড়ে;
শ্যাওলা জমে ম্লান।
অবিশ্বাস -
ঠোট টিপে হেসে জানায়,
বুকপকেটের ঘড়িখানা
ক্লান্ত হয় না কখনো;
কোন কিছুতেই
কোন কারনেই।

থাক -
নাই বা হলো আমার
আঁক কষবার বাজনা,
আমার আমি থাকাই ভালো।

পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে,
কেবলই অঙ্ক গুনে পথ চলা।
হাটুকাপা নিয়েই চলে,
নিত্য সুখের অভিনয়।
আর একেকটা হাউজফুল দিনের শেষে,

তোমার জন্য কথকতা..

এই চিঠিটা তোমার, হ্যাঁ সত্যিই তোমার জন্য।

তুমি অসাধারণ সব চিঠি লিখতে পারো।
স্রষ্টা অতটা ভালো লেখার ক্ষমতা যাকে তাকে দেন না, জানো?

একটা সাদা কাগজে লেখা কিছু কথা যে কারও
জীবনটাকে দেখার চোখটাই পাল্টে দিতে পারে,
তা কয়জনই বা জানে!

আমিই বা কি ছাই জানতাম তোমায় জানার আগে?!

অনেকেই বলে থাকে,
কাউকে নাকি তার নিজের চাইতে বেশি আর কেউ বুঝতে পারে না।
আমার মাঝে মাঝেই মনে হয়,
মনে হয় না আমি নিজেকে অতটা বুঝতে পারি - যতটা তুমি বোঝো!

যাই হোক,
সেই সে-ই-ই-ই থেকেই শখ ছিল আমার,
একটা চিঠি লেখার..শুধুই তোমার জন্য।

হাজার হোক, দুইদিনের দুনিয়া!
এখনও কত্ত কথা বলার বাকি,
হুট করে একদিন মরে টরে গেলে বড় ঝামেলা,
ভূত টুত হয়ে ফিরে এসে তোমাকে জ্বালানোটা একটা যন্ত্রণাই হয়ে যাপে!

মাঝেই মাঝেই তুমি একটা দুইটা কথায় মন খুব ভালো করে দাও,
মাঝে মাঝে আবার কিছু না বলেই। হয়তো একটু অন্যরকম করে তাকানোয়।
কিছুই বলার থাকে না আমার, কিচ্ছুটি না। একটুকরো হাসি দিয়েই খালাস!

আমারও ইচ্ছে করে খুব, একেকটা দিন তোমার মন খুব খুব ভালো করে দিতে।
অতটা হয়তো পারি না, আসলে সবাইকে দিয়ে সবকিছু করা হয়েই উঠে না।

অবলিভিয়ন [একটি দর্শক চক্ষে দেখা চলচিত্রালোচনা!]

"How can man die better:
than facing fearful odds,
for the ashes of his fathers,
and the temples of his God".

একটা মুভি নিয়ে একটা কিছু লিখতে ইচ্ছে করতেছে,
(উপরের লাইনগুলা মুভিটাতেই চোখে পড়ল।)
কিন্তু কি বলবো এবং কিভাবে বলবো তা মাথায় আসতেছে না কিছুতেই।

মুভিটা ভালো লেগেছে খুব,
কিন্তু এত্ত বড় একটা মুভিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই ভালোলাগাটুকু
কিভাবে অল্প কিছু কথায় সবার সাথে শেয়ার করা যায় তা বুঝতে পারতেছি না!

মুভিটা সম্পর্কে দেখার মত আগ্রহ জাগাতে চাচ্ছি আবার
একটা কিছু টাইপ করার আগেই মনে হচ্ছে বেশি না বলে ফেলি!

ধারেকাছে এখন মাসুম ভাই কে পেলে ভালো ছিল,
জেনে নিতে পারতাম এ সমস্যায় কিভাবে কি করা যায়।

আচ্ছা, এখন মুভিতে ঢুকি।
নাম 'অবলিভিয়ন',
মাস চারেক আগে মুক্তি পাওয়া আমেরিকান সাই ফাই একশন এডভেঞ্চার মুভি। গত রাতেই দেখলাম।

আরেকদিন দেখতে বসেও দেখা হয়নি সাবটাইটেলের অভাবে।
যদিও ইংরেজি মুভি সাবটাইটেল ছাড়া দেখতে কেন জানি রিলাক্স লাগে না!

লালাখাল : হেভেন অন আর্থ!

গত দুই তিনদিনে যখনই ব্লগে ঢুকতেছি মন ভালো হয়ে যাইতেছে।
এত্ত এত্ত প্রিয় চেনামুখের হঠাৎ করে এভাবে ফিরে আসা,
মন ভালো না হয়ে কোন উপায় আছে নাকি!

সবাই লেখা দিতাছে, আমার মাথা ব্ল্যঙ্ক হয়ে আছে। কিছু লিখতে পারতেছি না, ব্যাপারটা ভাল্লাগতাছে না। তাই মনে হল, একটা ছবিব্লগ দিয়া দেই।

আমি গরিব সরিব মানুষ, ডিএসএলআর নাই তাই আর ফডোগফুর হইতে পারলাম না। কি আর করার, তাই দুধের স্বাদ গুড়াদুধে মিটাই! আমার মোবাইল ক্যামরাই ভরসা।

এখন লেখায় ঢুকি -

এখনো পর্যন্ত আমি বোধহয় সবচেয়ে বেশি বার ঘুরতে গিয়েছি সিলেটেই। এই সিলেট শহর থেকে জাফলঙের পথে বাসে ঘন্টা দেড়েক গেলেই সারিঘাট। সেখানে নেমে কাকচক্ষু স্বচ্ছ বরফ শীতল জলের সারি নদীতে নৌকায় ঘন্টাখানেক গেলেই..

সোনারং বালুকাবেলা,দু’ধারে সবুজ পাহাড় আর ছিমছাম চা বাগানের কোল ঘেঁষে..আকাশের সাথে সন্ধি করে অপরূপ নীল পানির লালাখাল। পৃথিবী-তে আমার দেখা দ্বিতীয় প্রিয় সুন্দরতম জায়গা। এক কথায় বললে, হেভেন অন আর্থ!

আমি দুইবার গিয়েছি এখনও পর্যন্ত। আজ প্রথম দেখার মুগ্ধতাটুকু শেয়ার করবো বলেই লিখতে বসা। দিনটা ছিল - ২০১০ সালের ১২ই ডিসেম্বর।
আর কথা না বাড়িয়ে ছবি দেখি -

আবোল তাবোল - ১৬

# আমি, তুমি ও আমাদের কথকতা #

মাঝেই মাঝেই আমার খুব ইচ্ছা করে নিয়মিত একটা কিছু লিখতে,
শান্ত ভাই এর মত অত ভালো না লিখতে পারি -
নতুন আরও কিছু বন্ধুর মত লিখতে পারলেও একটা কিছু করা হতো।

তাও পারিনা। ভালোই লাগে না।
প্রিয় ব্লগ টাকে এভাবে ঘুমাতে দেখলে কারই বা ভালো লাগে!
মাসুম ভাই তাও মাঝে মাঝে আসেন, লেখেন - কমেন্টের উত্তরও দেন। রাসেল ভাই, নিভৃতদাও উঁকি দিয়ে যান মাঝে মাঝে।

শাপলা আপু সেই কবে একটা লেখা দিয়েই উধাও,
জোনাকি আপুর তো কোন আওয়াজ নাই।

জ্যোতি আপুকে কিছু বলবো না, অভিমান করলাম!

জেবিন আপু ছবি তুলতে তুলতে হারায়া যাইতাছে,
তাও একটা ছবিব্লগ দেয় না। এমনই পোস্টের কথা বাদই দিলাম!

আজ শুরুর মাসটাতেই প্রিয় মায়াবতী আপুর লাইফের খুব স্পেশাল কিছু সময় রয়েছে অপেক্ষায়, এই সময়টায় তার অনুভূতি জানাতে যে একটু আসবে তাও না! একটা বার দেখা পর্যন্ত দিতে আসে না আজকাল।

আর তানবীরা আপু এখন দেশে। কত্ত কত্ত মজা না জানি হচ্ছে সিসিমপুরে, তা যদি আমাদের সাথেও একটু আধটু শেয়ার কর হয় কি এমন ক্ষতি হয় তাতে?!

সাঈদ ভাই এর 'বিলাসী' সেই কবে শেষ,
আর নতুন কিছু দিতে আসে না! কিপ্টা হইয়া গেছে!

অলীক স্বপ্নের এপিটাফ..[এলোমেলো কাব্যকথন!]

একটা সুপ্রাচিন মর্মরসম মর্ম ছিল আমার,
আর ছিল এক স্নিগ্ধ বালুকাবেলার শখ।

ভেবেছিলাম
একটা কু ঝিকঝিক নীল রেলগাড়ি হবে আমার,
আর
পাহাড়চুড়ায়
মেঘের উপর ঘরবসতি।

বিকেলবারান্দার হাসনাহেনার গন্ধমেখে,
বরফছোঁয়া মুগ্ধতায়
হৃদয়জুড়ে
ভালোবাসার স্বপনমেখে থাকবে;
একজোড়া ছোট্ট পেঙ্গুইন
আর
একখানা গালটুস শ্বেতভলুকের ছানা।

মাঝেই মাঝেই রোদ্দুর হবে খুব -
হয়তো খুঁজেই যাবো কল্পতরুর ছায়া,
তার মাঝেই দুপুরপুকুরের স্বপ্ন ভাগ;
আর বুকে বাঁজবে টুকরো মেঘের গান।

একেকটা দিন,
জোড়াশালিকের সঙ্গ নিয়ে হারিয়ে যাবো দুরে কোথাও।
হয়তো নিজেকেই ফিরে পাবো বারেবার,
শঙ্খচীলের ডানায়।
যেখানে অচেনা আকাশ,
সুনীল সাগর মাখে গায়;
নিমিষেই।

নিশীথের বর্ষণমুখরতায় ভেসে যেতে যেতে,
ধোঁয়াউড়া কফি মগের গালে;
হাওয়াই মিঠাই চুমু খেয়ে যাবে -
পোর্সেলিনের শুভ্র চায়ের কাপ।

কার্যত সাদাকালো;
সুপ্রিয় ভালোলাগা ক্ষণগুলো,
বিষণ্ণতার নীলের পরশে
লীন হয়ে যায় বলে।

শুধুমাত্র -
আমার তুমি,
কথনোই আমার ছিলে না;
বোধের জন্মমূহুর্তে -

সন্ধ্যার অন্ধকারে,
অকস্মাত্‍;
তলিয়ে যাওয়ার আগে।

ভেবেছিলাম,

বনস্পতির জন্য ভালোবাসা..

দিবসওয়ারী উদযাপন আমার অতটা ভালো লাগে না। অনেক আগে থেকেই আমার এই মনোভাব, তবে ইদানিং অনেক কিছুই সয়ে নিতে শিখছি। ভালো না লাগলেও আজকাল অনেক কিছু করে নিতে পারি হাসিমুখেই। মুখের উপর মুখোশখানা দিনে দিনে বেশ খাসা হয়ে উঠছে আর কি!

যাই হোক, অনেকদিন কিছু খুঁজে পাচ্ছিলাম না লেখার মত। আর, বাবাকে নিয়ে কিছু গান নিয়ে একটা কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল তারও আগে থেকেই। আজ এই বাবা দিবসে হঠাৎ মনে হল, লিখতে বসেই দেখি কিছু হয়ে উঠে কি না!

একটা কিছু লেখার কথা চিন্তা করলে অনেক কিছুই মাথায় আসতে থাকে কিন্তু লিখতে বসলে দেখা যায় পুরাই আউলাইয়া গেছি, ভাবি এক জিনিস লেখি আরেক জিনিস! আজব ব্যাপার!

আমার আব্বু মাঝেই আফসোস করেন যে আমরা দুই ভাই-ই নাকি শুধু সারাদিন আম্মু আম্মু করি। কথাটা অবশ্য পুরোপুরি মিথ্যাও নয়। ছেলেবেলা থেকেই দেখে আসছি আব্বুর খালি আপিস আর আপিস, তাই খুব একটা ধারে কাছে ঘেঁষতেই পারতাম না। আর হাল্কা ঝাড়িঝুড়িও আব্বুর কাছেই খাইতাম। তাই একটু ভয়মিশ্রিত শ্রদ্ধার একটু দুরের আসনটা যেন আপনাতেই বরাদ্দ হয়ে গিয়েছিল আপনাতেই।

ঝরাপাতা দিন, অস্থিরতার পঙ্ক্তিমালা.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]

.....................................................................................................।

......................................................................................................

.........................................................................................................

.......................................................................................................।

.....................................................................................................।

......................................................................................................

.........................................................................................................

.......................................................................................................।

আধো আধো বুলি,
আর;
এক পা দু পা চলার দিন -
না ফুরোলেই বেশ ভালো ছিল।

সত্যিই,
হয়তো ভালোই ছিল..!

একটুখানি রবির গানে..

একটা সময় ছিল,
কোথাও রবিবুড়োর গান হবে শুনলেই দৌড়ে চলে যেতাম শুনতে।

বাসার কাছে হলে তো ভালোই, একটু দূরে হলেও সমস্যা নেই।

আজকাল আর তেমনটা হয় না, সময় করে আর যাওয়া হয় না।
সময়টাই খুব অস্থিরতার,
তাই আজকাল বলা চলে এইসব প্রোগ্রামের খবর চোখেই পড়ে না খুব একটা।

যাই হোক, প্রতিবছর রবি বুড়োর জন্মদিনে ৩/৪ দিনের রবীন্দ্র উৎসব আয়োজন করে থাকে বাংলাদেশ জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা বা পরিষদ। এবারও করেছিল।
৮ থেকে শুরু করে ১১ মে। আগে প্রায় প্রতিদিনই, এমনকি দিনে দুইবেলাও যাওয়া হত গান শুনতে। শাহবাগে পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে।

এবার শুধু একদিনই যাওয়া হয়েছে, পরশু। কাল যাওয়ার ইচ্ছা ছিল ছায়ানটের প্রোগ্রামে। সাভারেরর ভবনধ্বসে ১৭ দিন টিকে থেকে ৩৯১ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়ে আসা মিরাকল রেশমার আনন্দের রেশে আর যাওয়া হয় নি ওখানে।

পাবলিক লাইব্রেরি অথবা ছায়ানট, এইসব জায়গায় গেলে সবচেয়ে ভালো লাগে যে ব্যাপারটা তা হল একসাথে এত্ত মানুষ চুপচাপ মুগ্ধ হয়ে রবি বুড়োর গান শোনা। আর এইসব প্রোগ্রামে গেলে চেনাজানা গানের পাশাপাশি অনেক অচেনা আনকমন গানও শোনা হয়ে যায়, এই ব্যাপারটাও খুব ভালো লাগে আমার।

এপিটাফ.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]

নিস্তব্ধতার নিঃস্ব দিনলিপি,
যখন নৈঃশব্দের গান গায়।
চেনা সুসময়ও,
তখন অচেনা অসময় মনে হয়;
নিমেষেই।

নেহাতই অসতর্কতায়,
তখন দেখেছি -

পাজরের অন্ধকার কারাগারে,
নেই বিন্দুমাত্র সূর্যের দিন।
খুঁজে না খুঁজে;
পেয়েছি কেবলই,
গাঢ় মহা অকালের লাল।

অনিচ্ছার ফাঁকা আওয়াজ,
যখন কুড়ে কুড়ে খায় -
ফাঁপা বুলির আস্তাকুড়ে;
ধ্বসে পড়ে আশার ইমারত।

তখন শুনেছি,
অমরত্বের আত্মপ্রলয়ে;
নিহত ভালোবাসার স্পন্দন।

তেপান্তরের মাঠ জুড়ে,
বৃষ্টিবিদায়।
অন্ধ আলোয়,
নিরব স্নানে হারায়;
নিয়ন ঝিকিমিকি রাত।

মর্মরের আদর আচ্ছাদনে;
ঢাকা থাক,
অন্তঃদৃষ্টির পরশপাথর -
মেঘলা মনের ডাক।

সুপ্রিয় শব্দপুঞ্জগুলো;
নিরর্থক
নিহত হবার পর,
নিরবতা বুক চেপে ধরে যখন -

তখন জেনেছি,
কিছুই বলার থাকে না আর।

অন্য কোথাও; অন্য কোনদিন, এইসব দিনরাত্রি.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]

একটা সকাল..
বৃষ্টিস্নাত;
স্নিগ্ধ হাওয়ায়,
নীল..।

একটা দুপুর..
তীব্র রোদে;
হাজার মুখোশ,
মন পুড়ে যায়..
তেপান্তরের,
পথ পানে ধায়..
ছিন্ন কায়া
ভিন্ন ছায়ায়;
মনের মানুষ
আপন মায়ায়,
পথ খুঁজে পথ
পথেই হারায়..।

একটা বিকাল..
ছন্নছাড়া;
গানের তালে,
এক পা দু পা -
হঠাত্ বুঝি;
আনমনা মন,
একলাটি গাঙচিল..।

এক দুটা রাত,
একলা ভীষন..
চোঁখ ধোয়া সব;
আলোর ভিড়েও,
আঁধার কথন..
ক্ষুদ্র প্রাণের;
আহ্বাণে সায়,
এক ফোঁটা জল..
বিসর্জনের মুক্তবায়ে,
আলোর মিছিল..
হারার পরেও;
জয়ের ছলে,
নতুন ভোরের ডাক..।

অনুপম অনুপম!

শিরোনামের দ্বিতীয় শব্দটুকু বিশেষ্য, প্রথম অংশটুকু বিশেষণ!

বলছি আমার একজন প্রিয় শিল্পী অনুপম রায়ের কথা। আমাদের সবার চেনা ভারতীয় বাংলা সিনেমার সুরকার কাম প্লেব্যাক শিল্পী নয়, আজ বরং একটু অচেনা কেবলই শিল্পী অনুপম রায়ের গান নিয়ে কিছু কথকতা হয়ে যাক।

অনুপম রায় কে কেবলই একজন প্লেব্যাক শিল্পী ভাবলে ভয়ংকর একটা অন্যায় হবে। কারন সে একই সাথে তার বেশিরভাগ গানের লেখক এবং সুরকারও বটে। আমার মতে একটা কবিতা বা গান তখনই সত্যিকার পূর্ণতা পেয়ে থাকে যখন কবি নিজেই তার কবিতাকে তার অনুভূতির সুরে সাজিয়ে একটি গানে পরিণত করে তুলতে পারেন। বর্তমান সময়ে দুই বাংলা মিলিয়েও এরকম শিল্পী হাতেগোনা কয়েকজন মাত্র পাওয়া যায়। এজন্যই আমার মতে, অনুপম সত্যিই অনুপম।

বাদলা হাওয়ার রাত, হাওয়া বদল গান..

ইদানিং বেশ কিছু গান জমে আছে। শুনেছি তবুও যেন শোনা হয় নি।

কাল মধ্যরাতের কথা হবে। নাহ, আরো বেশ কিছু সময় পরে। বলা যায় প্রায় ভোর, ঘুমাবো বলে শুয়ে আছি।

তখনই শুনেও না শোনা এমনই কিছু গান শুনছিলাম। শুনতে শুনতেই হঠাত্‍ ঝড়ো হাওয়া আর শিলাবৃষ্টির ঝাপটা যেন আমার ছোট্ট ঘরটাকে মুগ্ধতায় ভরে দিল কোন কথা না বলেই।
খেয়াল করা হয় নি কখন যেন দুইটা গানে ঘুরেফিরে বারেবার হারিয়ে যাচ্ছি। আরো একটু মন দিয়ে শুনবো বলে ভাবতেই হাওয়াবদল নামের একটা মুভির দুটা গান মন পুরো আওলে দিল নিমিষেই।

প্রথমেই অরিজিত্‍ সিং এর গাওয়া 'মনে পড়লে'। শুনে নিতে পারেন এখানে ।

গানের কথাগুলো এরকম -

মনে পড়লে
অকারন
কাউকে বলা বারণ।

রিম ঝিমঝিম
বরষায়
তুই আজ ভেঁজার কারন।

মেঘেদের ডাকবাক্সে
তোর চিঠি পৌছে দিলাম।

হাওয়ায়
রাতপাখি গান গায়
চোঁখ মুঁছে যায়
রুমালে শুকায়
জ্বরের আরামে
ঘুম এসে যায়।

লাস্ট ট্রেন
হলে মিস
তোর কাছে করি আবদার।