ইউজার লগইন

বিষণ্ণ বাউন্ডুলে'এর ব্লগ

ঝরাপাতা কথকতা # ১ # আনমনে..

একেকটা দিন আসে খুব ভাল যায়, কিন্তু তার মাঝেই ছোট্ট কোন কাঁটা বড় বেশি হয়ে বুকে লাগে।

একেকটা রাত বড্ড বেশি নীরব, অন্ধকার মনে হয়। কোন কারন ছাড়া কিংবা তুচ্ছ কোন কারনে খুব কান্না লাগে।

মাঝে মাঝে মনে হয় নিজেকে খুব ভাল চিনি আবার হঠাৎ হঠাৎ খুব অচেনা মনে হয়।

এই হয়তো মাথায় আসে লাইফে চলার পথের রাস্তাটা একটু মেরামত করবো,
পরক্ষনেই অন্য কিছুতে মেতে উঠি।

নিজে অন্যদের ভুল বুঝতে পারি কিন্তু অন্য কেউ আমাকে ভুল বুঝলে সেটা একদমই নিতে পারিনা।

কারও কারও দিকে রাগ উঠলে খুব খারাপ লাগে আবার কখনো খুব অসহায় লাগে নিজেকে।

ভাবি, আমার জন্য যেন কেউ কষ্ট না পায়।
তাও, কষ্ট দিয়ে ফেলি। জেনে, না জেনে।

ভাবি, কারও দিকেই রাগ করবো না। দুঃখ পেলেও ভুলে যাব।
মন সেটা মানলে তো!

জীবনটা যেভাবেই কেটে যাক না কেন,
ভাবি - মনের ভেতর টা আকাশের মত করে রাখবো।
তাও হয়ে উঠে না।

তবুও,
ভেবে যাই -

আনমনে..।

সঙ্গীত; সুধা স্বর্গসম - ১

প্রথম দেখায় প্রেমে পড়ে যাওয়ার কথা শোনা যায় অনেক সময়।

আমার কেস আলাদা, প্রথম শোনায় ভালোবেসে ফেলেছি!
মানে কণ্ঠ শুনে, বলা উচিৎ গান শুনে!!

আরেকটু ভেঙ্গে বলি,
আমার ভাইয়াও ব্লগার, সচলায়তনে লেখে কম; পড়ে বেশি।
ওর কাছে ব্লগার অনার্য সঙ্গীত এর একটা লেখায় আরেকজন ব্লগারের নিজের কথা সুরে গাওয়া একটা গান শুনেই এই অবস্থা! লেখিকারই একটা লেখায় জানতে পারলাম সামনে নাকি তার গানের এ্যালবাম আসছে বাজারে। এখন মনে হচ্ছে রাতের ঘুম আসলেই হারাম হতে বসেছে, অপেক্ষায়!

যাই হোক, গানের কথায় আসি।

ওয়ান্স ইন এ ব্লু মুন, চন্দ্রাহত এই আমি..[এলোমেলো কাব্যকথন!]

চাঁদের আলোয় পড়ছে ছায়া;
সন্ধ্যা রাতের পথে,
স্বপ্নেরা সব আসছে ভেসে;
কল্পলোকের রথে।

স্বচ্ছ আকাশ;
স্নিগ্ধ বাতাস,
আকাশ ভরা তারা -
আজকে চাঁদের ঝলসানো রূপ,
মুগ্ধ বসুন্ধরা।

ফুরফুরে এই হাওয়ায়;
মনে,
শান্তি করে রাজ -
আমার যত ভালোবাসা,
তোমায় দিলাম আজ।

blue moon

i'm moonstruck!!

# # #

চাঁদের আলোর ছায়ায়..

সন্ধ্যারাতের অবাক ছাদে,
চন্দ্রাহত পথ হেটে যায়..

অন্ধকারে আলোর তোড়ে,
হৃদমাঝারে ঘোর লাগে তায়..

মন ভেসে যায় মায়ায়.. ♥

neel chaand

[ once in a blue moon,listening to the silence..it seems,time stands still..umm,lyf eez b'utiful..♥ Day Dreaming Angel ]

ভাল লাগছে; ভাল লাগছে, কেন তা বলতে পারি না..! :D

প্রায় ঘণ্টা খানেক হল গুনগুন করছি শ্রীকান্তের একটা গান।

' ভাল লাগছে; ভাল লাগছে, কেন তা বলতে পারি না'।

আজ রাতে এই মুহূর্তে এই লাইনটা দারুন ভাবে মানিয়ে গেছে আমার সাথে। নির্দিষ্ট কোন কারন নেই কিন্তু তবুও ছোট খাট সাইজের অনেকগুলি ভাল লাগায় মন ফুরফুরে হয়ে আছে। এমনিতে তো সব সময়ই মন খারাপ মন খারাপ করি, আজ মনে হল একটু ভাল লাগাও শেয়ার করা দরকার। তাই এই হাবিজাবি।

ইচ্ছে করতেছে, আমার প্রিয় যত মানুষ আছে আমার লাইফে - তাদের সবাইরে নিয়া লাফালাফি করি। শুধু শুধুই সব কিছুতেই বেশ মজা লাগতাছে! আজব ব্যাপার, সবসময় এমন ফিল করতে পারলে দুর্দান্ত হইত!

স্বপ্ন, আমার পথচলা.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]

যাক চুরি নয় স্বপ্ন কিছু..

নেই তো বাধা;
দেখতে কিছু স্বপন আবার,
চলার পথে..।

হতাশা; দুঃখ কিছু মিলবে,
এতো-
সবার জানা..

সময়ে;
সুখের ক্ষনে -
হৃদয়ে শান্তি এসে,
করবে জীবন স্বর্গসম..।

ক্ষতি কি?
রাখতে আশা, এমনতর..

চাওয়া এ নয়তো বেশি,
'এট্টুখানি'..।

'ভাল আছি' এমন ভেবে,
থাকলে 'ভাল'..

নীলাকাশ বুকের মাঝে;
নিজের করে,
মেললে ডানা..।

স্বপনে;
আশার ভেলায়,
দারুন সুখে ভাসতে..

জেনো,
নেইকো মানা..। Smile

[ আমার খুব খুব খুব প্রিয় কিছু বন্ধু;
মীর ভাই, শান্ত ভাই, তানবীরা আপু, মায়াবতী আপু, প্রিয় আপু আর লাবনী আপুর জন্য!

আপনাদের সব্বাইরে একটু বেশি বেশি ভালু পাই, অনেক অনেক ভালুবাসা আপনাদের জন্য।
ভাল থাকেন, অনেক অনেক ভাল। সবসময়। প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষন। আনন্দম! ]

আজ জানলা খুলে দেখ.. [গানের কথা কিংবা কাব্য প্রয়াস!]

আজ জানলা খুলে দেখ,
তোমার চোখের পাতায় জল।
বৃষ্টি যাচ্ছে ছুঁয়ে তোমার,
মনের গোপন ছল।

মুছে যাক -
আজ রাতের আঁধার,
আর যত অভিমান।

মেঘের দলের হোক আজকে ছুটি,
গাও জোছনার গান।

নীল - বেদনার এ রাত;
কেটে যাক, কেটে যাক..

অপেক্ষায় দুটি চোখ -
ভোর আসবেই,
বিশ্বাস..।

শুন্য হৃদয় ভরে যাক আলোয় -
ছুঁয়ে হাত,
ছুঁয়ে প্রাণ..।

আজ জানলা খুলে দেখ,
নাও ভালোবেসে নিশ্বাস..।

আজ জানলা খুলে দেখ..।

আমরা বন্ধু ইফতারাড্ডা অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য হাবিজাবি..

ইফতার থিকা আইসাই দিছিলাম ঘুম, উইঠা দেখি গ্রুপে আর ব্লগে ৬ নাম্বার বাসের ভীড়! ইশ, কী সুন্দর! Smile

পিসি বিজি তাই ঠিকমতো কমেন্টাইতে পারতেছিনা। কিছু কথা কইতে ইচ্ছা করতাছে তাই মুফাইল নিয়া লিখতে শুইলাম!

এই পরথম এমন কোন আয়োজনে গেলাম। বাসার সবাই অবাক, এত্ত বড় বড় লেখকদের মাঝে আমি কেমনে গেলাম! আমি নিজেই কিঞ্চিত টাসকি। ফ্রেন্ড আর ফ্যামিলির বাইরে এখনো ঠিকমত কথাই কইতে পারি না এমুন আনসোশ্যাল আমি কিনা দিব্যি আমার প্রিয় ব্লগের একটা আড্ডার ইতিহাসে পার্ট হইয়া গেলাম! Shock

এই ফার্স্ট গেলাম তো তাই বেশি কথা ক ইনাই, শুনছি। নেক্সট টাইম বকবক করা শুরু করুম আর তার পরের বার থিকা সবাইরে জ্বালানি শুরু কইরা দেম! Wink

মোটামুটি সবার সাথেই কথা হৈছে। কয়েকজনের সাথে খালি টাইমিং মিলে নাই।

রনি ভাই, মেসবাহ ভাই আর টুটুল ভাই রে একটা ইস্পিশাল থ্যান্কু না দিলে অন্যায় হৈব, এমন দুর্দান্ত একটা আড্ডার জন্য।

বন্ধুতা..

বন্ধু,
বলো বন্ধু তোমার কোন্ জনা?

যখন তোমায় কেউ বোঝে না,
বোঝে তোমায় যেই জনা..

আনন্দেতে ভাসায় যে জন,
দুঃখ পেলেও;
অশ্রু মুছে -
হাসায় আবার যেই জনা..

বন্ধু,
তোমার বন্ধু;
জেনো -
সেই জনা.. সেই জনা..!

[পৃথিবীতে যাদের একটা হলেও প্রাণের বন্ধু আছে,
তাদের সবার কাছেই
বন্ধুত্বের প্রতিটি দিন একেকটা বন্ধু দিবস।

তবুও সেই প্রাণের বন্ধুদের প্রতি আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালবাসার যে বন্ধন তার সম্মানে একটা আলাদা স্পেশাল দিন, খারাপ কি?!

হাজার হোক,
বন্ধুরাই তো আমার সেই পরিবার যা বেছে নেয়ার স্বাধীনতা একান্তই আমার!

রক্তের সম্পর্ক থাকুক না থাকুক,
আত্মার সম্পর্কে যে আত্মীয় সেই তো আমার বন্ধু।

ভালবাসার একটা বন্ধুও যেন হারিয়ে না যায়,
এমনটাই হোক এই বন্ধু দিবসের কামনা। ]

ভাল থাকুক সকল হৃদয়,
প্রতিটি দিন - প্রতিটি ক্ষণ।

সব্বাইকে বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা ও অনেক অনেক ভালবাসা। <3

বিদায়, হে খেয়ালী জাদুকর..

R.I.P

আজ দুপুরের কড়া রোদ্দুরে একটু বৃষ্টি ভিজে,
অনেক অনেক প্রিয় লেখার একজন লেখক কে চির বিদায় জানিয়ে এলাম।

বলছি, আমাদের হুমায়ূন স্যারের কথা।
৪ দিন হয়েছে মাত্র, স্যার নেই। মনে হচ্ছে বিষাদের দিনলিপিতে স্তদ্ধ সময়ের বোবা সঙ্গী হয়ে গেছে পুরা দেশটা। অনেকেই হয়তো, যে যার মত করে ব্যাস্ত। তবুও অদ্ভুত বিষণ্ণতা ঘেরা অস্থিরতায় ঢেকে আছে একেকটা মন।

কিছুই ভাল লাগছে না। কি কি যেন লেখব বলে ভেবেছিলাম, ভুলে গেছি।
সব দুঃখ হয়তো বলে বোঝানো যায় না, বোঝাতে নেই।

গতকাল সকাল থেকেই লোকে লোকারণ্য শহীদ মিনার চত্বর, স্যার কে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজন।
আমি যাইনি। বলা ভাল যেতে পারিনি। অথবা, এভাবে তাকে দেখতে যেতে ইচ্ছে করে নি।
এই মানুষটার যে চেহারা তার বই পড়ে পড়ে গড়ে উঠেছে, নয় তাই জমা থাক স্মৃতির করিডোরে।

তার জানাজা পড়ে এসেছি অবশ্য, তার লাখো ভক্তের সাথে দাড়িয়ে একসাথে দোয়া পাঠানো ছাড়া কিছুই তো বাকি ছিল না আর। সেখানেও কিছু মানুষের বক্রোক্তি শুনে আসতে হল, আজব দুনিয়া!

কিচ্ছু বলার নেই.. :'(

অনেক গুলি চিন্তা -ভাবনা -স্মৃতি মাথায় ঘুরছে। অনেক কিছুই বলতে ইচ্ছে করছে, পারছিনা কিছুতেই।

কিছু কিছু সময় আসে,
মনে হয় বুকের ভেতর সব কিছু ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। একটা টু শব্দ করতেও ইচ্ছে হয় না।

হঠাত্‍ হঠাত্‍ একেকটা ঢোক গিলতে বড় বেশি ভয় করে,
কিছুতেই কারও চোখে চোখ রাখা যায় না।

আজ আমার কোথাও যাওয়ার নেই,
কিচ্ছু বলার নেই..

বাংলা সাহিত্যের নন্দিত কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ আর নেই..

শ্রদ্ধা, দোয়া এবং ভালোবাসা..

সৃষ্টিকর্তা তার আত্মা কে শান্তি দান করুন।

.. :'(

আজ আমার মন ভাল দিন.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]

আজ আমার মন ভাল দিন..

দুঃখ যত উড়িয়ে দেব পাহাড়চূড়ায়;
কষ্ট গুলো ভাসিয়ে দিয়ে নদীর জলে,
অভিমান - রাগ চাপা থাক মাটির তলায়..

আজ আমার মন ভাল দিন..

আজ আমি আকাশ ছোঁব;
করে ভর পাখির ডানায়..
আজ আমি আনন্দেতে থাকব ভেসে;
ক্ষনিকের উল্লাসেতে রাখব ভরে হৃদয়খানি,
ক্ষনে ক্ষন উঠবে হেসে নয়নতারা..

আজ আমার মন ভাল দিন..

অকারন খুশির ছোঁয়া লাগুক প্রাণে,
আজ আমি হব-ই সুখী..

উচ্ছাসেতে,
বাঁধনহারা..

আজ আমার মন ভাল দিন..

আজ আমি দিনের শেষে..
রাঙিয়ে মন খানি মোর সুখ - স্মৃতিতে;
বারে বার আনন্দেতে হব-ই সারা,
ঘুম ঘোরে স্বপন মাঝে
আসবে ফিরে পরশ তারি..

আজ আমার মন ভাল দিন..।।

একটা মুভি, দুইটা গানের কথা..

#

ড্রিউ ব্যারিমোর আমার বেশ প্রিয় একজন নাইকা। এমন গালটুস একটা মেয়ে, কার না ভাল লাগে!

তার 'ফিফটি ফার্স্ট ডেট' আমার দেখা সবচাইতে প্রিয় মুভিগুলার একটা। ২০০৭ এর 'মিউজিক এন্ড লিরিক' ও অনেক ভাল্লাগছিল।

এই কয়েকদিন আগে একটা নতুন মুভির পোস্টারে তার ছবি দেইখা নিয়া আসছিলাম।
দেখলাম আর মুগ্ধ হইলাম।

মুভির নাম 'বিগ মিরাকল'
এই যে মুভির পোস্টার।

সত্যি কাহিনী নিয়া বানানো যে কোন মুভি সাধারণত অসাধারণ হয়, এইটাও তার ব্যাতিক্রম না।

অতঃপর.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]

কোন এক প্রখর রৌদ্র দিনের শেষে,
অথবা অলস বর্ষা বিকেলের মরা রোদ্দুর ছুঁয়ে।

সময়ে,
কিংবা নিরন্তর ধেয়ে আসা অসময়ে।

ভোরের প্রথম আলোয় রুপালী রোদের হাওয়ায়,
অথবা কনে দেখা গোধূলি আলোর মায়ায়।

নীলাকাশ জুড়ে মেঘ হয়ে,
নয়তো ঘাসফুলের বুকে হঠাত্‍ শীতল শিহরনে।

দুরে তবুও কাছে,
কিংবা;
কাছে আবার অনেক দুরে।

পথ যেখানে শেষ,
অথবা কেবলি মাত্র শুরু।

বন্ধ দরোজার ওপারে,
পথ নেই।
আকাশজুড়ে,
নির্ঘুম নিরবতা।

বদ্ধ বাতাসে,
কড়াল গ্রাস করে আসে;
বিষাদলোকের জোছনা।

বুকপকেটে,
জমা পড়ে থাকে;
ভালবাসা।
টিপবোতামের চাপে বন্দি,
নিশ্চুপ কথকতা।

নিঝুম অন্ধকারে;
ক্রমশ -
মলিন হয়ে আসে,
স্মৃতির রাজ্যপাট।

এক টুকরো হাসিমুখ,
দুটি আঁখিতারা।

৩ আষাঢ়, ১৪১৯ বঙ্গাব্দ.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]

গত দুইদিন বৃষ্টি হল বেশ,
তিনে তিন কি হবে এবার শুরুতেই?
কে জানে,
দেখাই যাক না হয় আজকের দিনটা..।

সকাল থেকেই মন বলছে আজ হবে,
আকাশ;
সে বলি বলি করেও বলছিল না।

মুঠোফোনে চেনা অচেনা যত প্রিয় কণ্ঠ,
সবার বুঝি আজ একটাই কথা;
আজ সে আসবেই.. -

তবুও,
আসি আসি করেও সে আসে না..।

জানলার শিকে-
ছোট্ট বারান্দার গ্রীলগুলোয়;
বাহারী চায়ের কাপে ভেজা চুমুকে,
অপেক্ষা -
জমে জমে অন্ধকার..।

যেই না কে একজন বলল,
আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে মনে পড়ল তোমায়..

ওমনি -

শহুরে প্লাস্টিক চালে;
নাগরিক খাঁচার গায়,
বুঝি -
ভেঙেই পড়ল আকাশ।

সে এসেছে,
আর কি বসে থাকা যায়?
একছুটে আকাশ ছুঁতে,
ছাদে যেতেই -

যতদুর চোখ যায়;
আঁধার কালো মেঘ,
হাত বাড়ালেই বৃষ্টি..।

জলস্পর্শে ছোট্ট শিশুর বাঁধভাঙা উল্লাস,
কল্পনারি সঙ্গী সাথে বৃষ্টি।

দৌড়ে বেড়ানো;
পায়ের পাতায়,
জমে থাকা জলে-
ফোঁটা ফোঁটা উচ্ছাস..

তরুণীর অবাধ্য উড়নার শৃঙ্খল,
ধুয়ে যায় বৃষ্টি।

বয়স বাড়ছে,
সময় বেশি নেই আর..
কালের সাক্ষী দেয়া;
চশমার কাঁচে জল,
চিরতরুণ বৃষ্টি..।

মনের দরজা খুলে,
বাইরে তাকালেই.. -

আকাশের আয়না হয়ে;

আবোল তাবোল - ১২

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা,
ব্যাস- তারপরেই বর্ষা!

ভাবতেই, মন ভাল হয়ে যাইতাছে।

বাংলা দিনপঞ্জি অনুসারে কাল সকালে, ভোরের সুয্যিমামার রাতের ঘুম ভাঙতেই আষাঢ়, পুরো এক মাস। তারপরেই আবার শ্রাবণ। কি মজা! দুই দুইটা মাস আমাদের বর্ষাকাল।

সারাবছরই তো একটু আধটু বৃষ্টি হয়। কিন্তু পুরো দুই দুইটা মাস জুড়ে কথা নাই বার্তা নাই ঝুম বৃষ্টি, এর কোন তুলনা আছে নাকি?!

দুর্জনে অনেক কথা বলে, এত কথা শুনতে গেলে রাত শেষ হইয়া যাইবো!
তা, বর্ষাকালের বহুত দুষ আছে মানি!
আমাদের রোবটিক জীবনযাপনে অনেক ঝামেলায় ফেলে দেয় হুট করেই!
তাই বইলা বৃষ্টিরে দুষ দেওয়াটা কি ঠিক হইব?!
আমাদের কি দোষ গুন কম আছে?! বৃষ্টি বইলা কি সে মানুষ না?! হুহু!!

কথা হইলো কথা সেইটা না।
বর্ষা আইলেই বৃষ্টি আইব এইটা তো সবাই জানে!
তা, নাম শুনলেই তো আন্দাজ করা যায় তার মধ্যে মেয়ে মেয়ে ভাব বেশ ভালই থাকব!
তা একটা মেয়ে টাইপ কেউ সারা বছর অপেক্ষার পর আমাদের সাথে দেখা করতে আসতেছে, তারে নিশ্চয়ই কিছু ভাল ভাল কথা বইলা একটু আদর যত্ন করা উচিৎ! নাকি?!
একবার যদি গোস্বা কইরা বসে, কি একটা অবস্থা হইব ভাবা যায়?!