বিষণ্ণ বাউন্ডুলে'এর ব্লগ
প্রশ্ন ও অন্যান্য কাব্য ত্রয়ী [এলোমেলো কাব্যকথন!]
# জানো কি? #
তোমাদের ব্যালকনীটা -
রোজ ভেসে যায় রোদে..
এক কোণে একলা বসে;
হয়তো হঠাৎ উচ্ছাসেতে,
উঠছো হেসে..
জানো কি?
হয়তো,
অন্য কোথাও..
তোমায় ভেবে;
রাঙিয়ে মন,
মন খারাপের রঙে..
আনমনা কেউ;
দেখছে হঠাৎ,
যায় জলে চোখ ভেসে..।।
[সচলায়তন, ২৬-০৬-১১ খ্রীঃ]
# কাব্য ত্রয়ী #
* * * * *
অভিমানে;
এই আধাঁরে,
স্বপ্ন হারায় মন..
চাঁদ ছোয়া ওই আকাশ খোজে, আমার হাসির ক্ষণ।
* * * * *
সময়,
পদ্মপাতার জল বুঝি তুই?
ইচ্ছে আমার,
আদর করে একটু তোরে ছুই..
* * * * *
দিনভর শুভ্র আলো,
রাতের আকাশ নিকষ কালো..
সুরের আগুনে;
ঝলসে যায়,
সাদাকালো পথচলা..
চোখ খুললেই,
রঙিন স্বপ্নের ফুলঝুরি..
চোখ মুঁদলেই;
স্মৃতির রাজ্যপাট,
হাসি কান্নার হুড়োহুড়ি..
কে বলে তুমি নেই..?!
[সচলায়তন, ০১-১১-১০খ্রীঃ]
ভোরের পংক্তিমালা [এলোমেলো কাব্যকথন!]
আজ অনেক দিনের পর-
রাত্রিজাগা প্রহর শেষে,
চক্ষেতে ঘুমঘোর।
আঁধারমাখা আবছা আলোয়
সূয্যিমামার খুনসুটি;
আর এক দুটা কাক,
অলস সুরে গান-
আনন্দেরই ঝর্ণাধারায়,
ভাসুক আজ এই প্রাণ।
আজকে আমার হৃদয় নাহয়
থাকুক আমার মতো;
দুঃখের শেষে উঠুক হেসে
মিলাক ব্যথা যতো,
হৃদমাঝারে উঠুক সুখের
কালবোশেখী ঝড়-
আজকে আমার দুচোখেতে
দেখবেনা কেউ জল,
হঠাত্ উদাস মন অকারণ
করবেনা ছলছল।
অভিমানের আজকে ছুটি;
মনের আঁধার যাক মিলিয়ে,
আলোয় বাঁধুক ঘর।
ব্যস্ত জীবন,
হাজার হাজার মুখোশ মাঝে
এক দুটা মুখ;
চায় যদিবা,
একটু ভালোবেসে-
উঠবে হৃদয়; ঝলমলিয়ে,
চোখের আলোয় হেসে।
দিনের শেষে সূর্য ডোবার সুরে,
যদি ভালোই বাসো মোরে,
বেসো হৃদয় উজার করে-
কাছেই থেকো;
নয়তো আমায়
মিলবে অচিন দূরে।
দিনের আলো যদিও মিলায়
আবার সাঁঝের বেলা;
ঘড়ির কাটার হেলাফেলায়
শেষ হতে চায় খেলা,
মনের আলোয় ঘুচুক আঁধার
ভাসুক জীবন ভেলা।
[সচলায়তন, ১৭-০৪-১০খ্রীঃ ]
রোদ জ্বলা দুপুরে.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]
#
আরেকটি সকাল..
হারিয়ে গেল,
মরুভুমি উষ্ণতায়..
গাছের একটি পাতা-ও,
নড়ছেনা যেন আজ..
অলস সময় বয়ে যায়,
বালুঘড়ি নিয়মে..
দেয়ালে ঝোলানো,
মরচে ধরা ঘড়ি..
সময় জানাবে কীসে?
সে তো,
কেবলি অতীতের গান গায়..
বন্ধ দরজায়,
মাথা কুটে মরে..
সুখ-রাংতা মোড়ানো;
হতাশায় বাঁধা,
বুনো গাংচিল..
তবু-ও;
জানালা গলে আসে,
এক ফালি রোদ্দুর..
অগোচোরে, পড়ে থাকে..
চোখের আড়াল, ভুলে যাওয়া ক্ষণ..
গাছের ফাঁকে রোদের ঝিলিক; একলা পুকুর, সিমাহীন হাতছানি..
দুরে, অনেক দুরে..
রোদে পুড়ে যায়;
তবু বসে ঠায়,
কোন এক দাড়কাক..
একদিন, শীত আসবে..
প্রতীক্ষায়, বয়ে চলে..
রোদ-জ্বলা বিষণ্ণ দুপুর..।
[সচলায়তন,২৩-১০-১০খ্রীঃ]
মধ্যরাতের আয়নায়..[এলোমেলো কাব্যকথন!]
#
সময় -
মধ্যরাত।
একলা আকাশে একলা চাঁদের মসৃন পথচলা,
দূরের তারার হঠাত্ আলো;
জ্বলে জ্বলে নিভে যায়,
ঝরে যায় সহসাই।
নিঝুম আঁধারে অচেনা আলোর ঝলকানি,
ঘুমঘোর পৃথিবীর এক বেমানান জানালায় ফ্লুরোসেন্ট বাতির আনাগোনা।
অগোছালো পড়ার টেবিলে,
মধ্যরাতের আয়নায়;
দিনভর -
ক্লান্ত সময়ের ফাঁকে পাওয়া টুকরো সুখের ছোঁয়া।
একলা রাতের প্রহর -
চায়ের কাপে মিষ্টি সুবাস,
মৃদু চুমুকে স্বস্তির তৃপ্তি।
সময়ে,
বাতি নিভে যায়।
আঁধারের চাদরে,
নিশ্চুপ জেগে থাকা।
দূরে কোথাও,
নিঃশ্বাসে;
বাতাসে বৃষ্টির গন্ধ।
চার দেয়ালের আড়ালে বদ্ধ জানালা,
পথ ভুলে আসা ঝড়ো হাওয়ায় কালবোশেখীর নিমন্ত্রন।
ঘুমাচ্ছন্ন দুচোখে,
স্বপ্নমাখা মৃদু হাসি;
অকারন -
ছুঁয়ে যায় মন।।
[সচলায়তন, ১৯-০৪-১০খ্রীঃ]
'অপেক্ষাতে' ও 'দিনযাপন' [এলোমেলো কাব্যকথন!]
#
*অপেক্ষাতে*
দিন কাটে,
কাটে দিন..
আধেক জেগে আধেক ঘুমে;
একটু দুঃখ আর আধেক সুখে,
মন খারাপ আর খানিক হেসে..
সূয্যিমামার কল্যানে ফের,
দুঃসহ দিন..
আসে রাত,
নির্ঘুম রাত..
স্বপ্নে ভাসা;
চা'য়ের কাপ আর কফি'র সাথে,
মন-আকাশে টর্নেডো ঝড়..
যায় চলে দিন,
রোজ এমনি..
অপেক্ষাতে,
বৃষ্টিবিহীন..।।
[সচলায়তন, ২৪০৮১০খ্রীঃ]
#
*দিনযাপন*
অনেক দেরীর ভোর,
দুপুর রোদের গরমে অলস পথচলা।
বরফ কুঁচি ঠান্ডা চুমুকে স্বস্তির মৃদু উচ্ছ্বাস;
অসময়ের বিকেল ঘুমে ভাঙা স্বপন,
টুকরো জীবনের ছন্দ।
নির্বান্ধব একলা ছাদ,
মন মাতানো এলোচুল হাওয়ায়;
গোধুলি আভার পরশে মনে বাজে বিদায়ের বিষণ্ণ সুর।
[সচলায়তন, ২১-০৪-১০খ্রীঃ]
নিছক বিষাদ ও শিরোনামহীন [এলোমেলো কাব্যকথন!]
#
#নিছক বিষাদ#
আজি মেঘমেদুর হাওয়া লাগে প্রানে;
নিছক বিষাদে,
জেগে থাকে বিষণ্ণ দুপুর..
উদাসীন আপনমনে আনমনা কথকতা,
কানে বাঁজে;
বৃষ্টি ধ্বনি টাপুর-টুপুর..
অবসন্ন সময় কাটে;
এক দু'চুমুক চা'য়ের কাপে,
রবির সুরে গুন্জরিত প্রানে..
আকাশের যত মেঘ;
ছায়া পড়ে যেনো হৃদয়ের গা'য়, অলীক মায়ায়..
বয়ে চলে অকারন অভিমানে, ভেজা-চোখ;
বৃষ্টিস্নাত অলস দ্বিপ্রহর..
নিছক বিষাদে..।।
সচলায়তন, ৩০-০৬-১০ খ্রীঃ
#
#শিরোনামহীন#
..পথ চলছে,
খেয়াল থাকুক আর নাই থাকুক..
তারপর কোন একদিন..
প্রতিদিনকার চেনা ঘুম,
অচেনা পথের পথিক করে দিবে..
প্রিয় ডায়রী'র লেখা পাতাগুলো হঠাৎ
করেই দিশেহারা,
শুকনো ঝরা পাতা যেন..
এক নিমিশেই
স্তদ্ধ..
ক'ফোটা চোখের জল আর ঠোটের
কোণে আলতো হাসি,
হঠাৎ করেই কোন
একদিন..ফিকে হয়ে আসবে..
অতঃপর..
পথচলার খেরোখাতা আর
এলোমেলো স্মৃতিধূলো,
বয়ে যাবে নিরন্তর..
রয়ে যাবে..অমলিন..
অসীম পথের
সায়াহ্নে..শিরোনামহীন..।।
[সচলায়তন,২৬-০৮-১০খ্রীঃ]
অসুখ
এক.
ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে এসে জানালার
কার্নিশে বসলো দাঁড়কাকটা, কিছুক্ষণ
এদিক ওদিক চেয়ে দেখলো, তারপর গা-
টা একটু ঝাড়া দিয়ে, ঠোঁট দিয়ে গায়ের
চকচকে পালকগুলো ঠিকঠাক করায় মন
দিলো।
জানালার লালচে খয়েরি শিকগুলোর
ফাঁক দিয়ে এতোক্ষণ কাকটাকেই
দেখছিলো অতীন- কিছুক্ষণ বাসার
সামনের রাস্তাটার ওপাশের কাঁঠাল
গাছটায় বসে ছিলো কাকটা, এখন
একটা চিল এর তাড়া খেয়ে বসেছে এই
জানালার নীচের কার্নিশটায়।
অতীন অবাক হয়ে দেখলো কাকটার
গা একদম ভিজে চুবচুব হয়ে আছে- আজব
ব্যাপার তো! বৃষ্টি হলো নাকি? ইশ!
কতদিন বৃষ্টিতে বাসার
ছাদে দৌড়াদৌড়ি করা হয়না!
হু, আস্তে আস্তে দীর্ঘশ্বাস
ছাড়লো অতীন। শুধু কি বৃষ্টি? ওর
তো বাসার বাইরে যাওয়াই নিষেধ।
অতীন ক্লাশ সেভেনে পড়ে। দুই মাস পর
ফাইনাল এক্সাম অথচ স্কুলেই
যাওয়া হয়না কতদিন হয়ে গেলো। ডক্টর
আঙ্কেল তো খালি বলে রেস্ট নিতে। মা-
কে বন্ধুদের সাথে খেলতে যাওয়ার
কথা বলতেই এমনভাবে তাকায়, মনে হয়
না জানি কী অপরাধ
করে ফেলছে খেলতে চেয়ে! উফফ, এক
কার্টুন দেখে আর পিসি গেমস
খেলে কয়দিনই বা ভালো লাগে।
আয়নায় চোখ পড়তেই একটু
চমকে গেলো অতীন, ওর নিজের কাছেই
আবোল তাবোল - ১৩
#
অনেক দিন হইছে আবোল তাবোল কিছু লেখি না, লেখা হয়ে উঠে না।
চিন্তা করে দেখলাম আমার এই সিরিজটার একটা প্যাটার্ন দাড় হয়ে গেছে। কিছু হাবিজাবি কথাবার্তা, একটা দুইটা গান আর মুভির কথা। একসাথে দেই ঘুটা, ব্যাস!
এইবারও অবশ্য তার বাইরে যাব না। সাথে এক্সট্রা একটু ঘুরাঘুরি ফ্রি!
#
গত শুক্রবারে এবি'র ফটুওয়াক হইল, সবাই মিলে মজা করে ঘুরে ঘুরে কাশফুলের ছবি তুলে নিয়ে আসছে। জেবিন আপু বলছিল যাইতে, আগেই অন্য প্ল্যান করা ছিল বলে যেতে পারিনাই। পড়ে ফটোওয়াক নিয়ে তানবিরা আপুর ব্লগ পড়ে আফসোস কম হয়নাই। অবশ্য, মজাটাও একটু একটু ফিল করতে পারছি!
নেক্সট টাইম এমন কিছু হলে, মিস করব না। ইন শা আল্লাহ।
#
অনেক দিন ধরেই ভাবতেছিলাম এবি'র কিছু প্রিয় মানুষ কে এফবি তেও এড করে নিব, সাহস পাচ্ছিলাম। এই কয়েকদিন আগে হঠাৎ এড দিয়া দিছি বেশ কয়েকজন কে, একসেপ্ট ও করছে।
এখন মজা বুঝবো!
কয়েকদিন একটু ফাঁকিবাজি করলেই শুরু করুম ঘ্যান ঘ্যান, লেখা দেন লেখা দেন!!
হিঃ হিঃ
কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা, মনে মনে.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]
কোন একদিন..
রাতভর স্বপ্ন দেখব অনেক,
সত্যি স্বপন..
ঘুম ভেঙে যাবে,
খুব ভোরবেলাতেই..
উঠতেই দেখব
ঝিরিঝিরি রোদ্দুর..
ছোট্ট এক টুকরো
সবুজ মাঠ..
বেড়াল ছানার মত;
তুলতুলে নরম ঘাসে,
হেটে যাব বহুদুর..
দিনভর তুমুল বৃষ্টি হবে,
অঝোর ধারায়..
আমার ছোট্ট ঘরটা;
ভেসে যাবে প্রিয় যত গানে,
আর মাঝে মাঝে চা কফি তো থাকবেই..
বিকেল হতেই ছুটবো পাহাড়ে,
কিছু মেঘ ছুঁয়ে দেখব বলে..
শহুরে বিকেল-ছাদের
চেনা-অচেনা হাওয়া,
না পেয়ে খুঁজে যাবে আমায়..
সময় পেলে হয়ত ঘুরে আসব কিছুক্ষন,
দু'পাশে সবুজ ঘেরা ছিমছাম
পিচঢালা একা রাস্তায়;
স্মৃতির পুরোনো সাইকেলটায়..
ঠিক সন্ধ্যের আগে আগে
যাব বালুকাবেলায়,
সমুদ্দুরের হাওয়ায়
সুর্যাস্তের হাতছানিতে..
সন্ধ্যাঁ পেরুতেই
আকাশ ভরে যাবে লক্ষ কোটি তারায়..
আর নয়তো,
আধাঁর আকাশ ঝলসে যাবে জোছনায়..
মন মাতাল করে দেবে;
রূপার থালার মত,
বিশাল একটা চাঁদ..
একটা মাত্র দিন,
বাঁচার মত করে বাঁচব বলে..
কোন এক দিন,একটা মাত্র দিন..
হয়ত মিলবে,
হয়ত মিলবে না..
তাতে কি,
আশা করতে ক্ষতি নেই তো কোন..
আর এ তো সবার-ই জানা,
কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই
ইস্কুলবেলা
কাল
রাতে ঘুমাতে দেরি হইছিলো,স্বভাবতই
উঠতে দেরি হবার কথা।তা না,ঘুম
ভেঙে গেলো এক্কেবারে ভোরবেলায়!
আজব ব্যাপার!
যাই হোক,আর ঘুমালাম না।সকালের
নাস্তা করে একটু বের হতেই
দেখি,একটা পিচ্চি তার মা'য়ের
সাথে স্কুলে যাচ্ছে।মা টা পিচ্চিটার
একটা আঙ্গুল ধরে রাখছেন,আর
উনি মহানন্দে তিরিং বিরিং করে এগুচ্ছেন!
বাউন্সিং বলের মত!অসাধারন
লাগছিলো দেখতে।
সেই থেকে দৃশ্যটা মাথায় ঘুরছে।আমার
ইস্কুলবেলার নানান
কথা ঘুরেফিরে আসছে মাথায়,একটা কিছু
লিখতে ইচ্ছে করছে খুব তাই এই লেখা।
ছোট্ট শহর ব্রাহ্মণবাড়িয়া,তার
মাঝে সবচেয়ে ভালো স্কুল
'অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়'।
সেখানেই ওয়ান টু টেন,আমার দশ
বছরের ইস্কুলজীবন।
স্কুলের প্রথম দিন
ভর্তি হতে গিয়েছিলাম নানার
সাথে,সিক্স পর্যন্ত ভাইয়া'র
সাথে যেতাম।তারপর থেকে,একা একাই।
কখনই আম্মুর সাথে যাওয়া হয়নি।
পিচ্চি নাকি,যে আম্মুর সাথে যাবো!
সেই পিচ্চিবেলাতেই এত্ত
আত্মসম্মানবোধ,মজাই লাগে এখন
ভাবতে।
ছোটবেলা থেকেই আমার সব দুস্টুমি-
বান্দরামি,সবই বাসায়।
স্কুলে গেলেই,শান্তশিষ্ট ভালোমানুষ।
সকাল দশটা থেকে বিকেল
চারটা,কিভাবে যেনো কেটে যেতো রোজ।
কোন একদিন..
ছোট্ট চায়ের টং-টায় ঢুকেই
এলোমেলো চুলগুলো হাত দিয়ে ঠিক
করতে গিয়ে আরো উস্কুখুশ্কু
করে দিলো ইভান।
ভয়ংকর গরম পড়েছে আজ, বাসায় ফিরেই
লম্বা একটা গোসল দিতে হবে।
টানা তিনটা টিউসন পড়িয়ে আর কিছুই
ভালো লাগছেনা। তাও একটা ভালো খবর
হলো আজ মাসের ৭
তারিখে এসে পকেটটা একটু
ভারী হয়েছে। এই কটা টাকার জন্য
বলতে গেলে গায়ের রক্ত
পানি করে খাটা হচ্ছে। গত মাস
থেকে নাইট সিফটে একটা কল
সেন্টারেও ঢুকেছে। রিটায়ার্ড বাবার
পেনসন আর এই কটা টাকায়
মা যে কিভাবে সংসার চালায় আল্লাহই
জানেন।
ইভান ছাত্র খুব একটা খারাপ ছিলোনা।
ঢাকা ভার্সিটি থেকে এম বি এ করেও
যে ভালো একটা চাকরি পাওয়া যাবেনা সেটা কে-
ই বা জানতো? দেশটার যে কী হচ্ছে,
আজকাল 'লাইনঘাট'
ভালো না থাকলে কিছুতেই কিছু হয়না।
অবশ্য, বাসায় ফিরে তার অপেক্ষায়
বসে থাকা মা আর ক্লাস
নাইনে পড়ুয়া পড়ুয়া ছোটবোন যুথীর
দিকে চাইলেই মন ভালো হয়ে যায়
ইভানের।
যুথীর জন্য এক জোড়া রূপার কানের দুল
কিনতে হবে। অদ্ভূত লক্ষ্মী একটা বোন,
ইভান ভাবে, এত্ত দিনের শখ কিন্তু
কখনোই মুখ ফুটে চায়নি। ঐদিন কথায়
কথায় মা-কে বলে ফেলেছে, মনের ভুলে।
মেঘ জীবন.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]
তপ্ত দূর্বিসহ দিন..
যেন;
শুষ্ক মরুভুমি,
তৃষিত প্রান্তর..
তার-ই মাঝে কোন একদিন, কোথা থেকে যেনো আসে..
এক টুকরো;
কাঠ-গোলাপের গন্ধ মাখা,
অচীন দেশের মেঘ..
বড়ো আদরের,
খুব ভালোবাসার..
ঠিক যেন;
রূপকথার গল্পে শোনা,
ছোট্ট রাজপুত্তুর..
ভেসেই চলে,
মনের আকাশ জুড়ে..
স্বপনছোঁয়া,
আদরের নৌকা যেন..
দিন যায়,
বেড়ে উঠে উড়ো মেঘ..
দুরন্ত;
দুর্বার তারুন্যে সুবিশাল,
সে যে ভয়ংকর সুন্দর..
ঝর-ঝর ঝরে যায়..
ছুঁয়ে চোখ, ভরে মন..
প্রতিদিনকার হাসি-কান্নায়;
মিশে যায়,
নিঃশর্ত ভালোবাসায়..
তারপর,
কোন একদিন..
সময়ে..
অথবা;
আর সবার চোখে,
অসময় সময়ে..
বুঝি সে হারিয়েই যায়-
হঠাৎ করেই..নেই..
চলে যায় সে..
তবু রয়ে যায়,
তার স্মৃতি মাখা স্মৃতিতে..
বড় বেশি করে,
তার না থাকার মাঝেই..
বুঝি সে,
জানতে-ও পারেনা..
কত না রাত-জাগা চোখ,
পথ চায়..
শুধু আরো একবার,
তার ভালোবাসায় ভেসে যাবে বলে..।।
[সচলায়তন, ০৯-০৮-১০খ্রীঃ]
শুভকামনা.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]
#
ভাল থাকুক
প্রিয় যত ক্ষণ
ভাল থাকুক
স্মৃতি শৈশব
সোনালী ইস্কুল
রূপালী কলেজ বেলা
ভাল থাকুক
আলতো হাতে
ভালোবাসার পরশ
ভাল থাকুক
ভুলে যাওয়া দুঃখ
প্রিয় যত সুখ
ভাল থাকুক
অবারিত ভালোবাসা
ভাল থাকার সুখ
ভাল থাকুক।
# #
একটা সকাল
মন খারাপের আজকে ছুটি
নেই বুঝি সে বাড়ি
অভিমানের মেঘের সাথে
আজকে ছাড়াছাড়ি
চোখের কোণে জল
শিশির ভেজার
ছল
রবির কিরণ অঙ্গে মাখি
হোক না সে ঝলমল
ঠোঁটের কোলে গালের টোলে
একটু হাসি
দুষ্টু চাওয়ার ঝাঁক
সে-ই
আমারি থাক
ভাল থাক শান্ত নদীর ঘুম
চায়ের কাপে ভালোবাসার ওম
শীতের রোদের হঠাৎ গালে চুম
ভাল থাক
বৃষ্টি শেষে সবুজ ঘাসের গায়
রোদ্দুর ভেসে যাক
একটা দুপুর টাপুর টুপুর
অবাক বিকেল ছুঁয়ে
ভেজা কাক
ভাল থাক
ভাল থাক তোমার কানের দুল
ঘাসফুল
যত ভুল
ভাল থাক
আজ আড়ির সাথে আড়ি
ভাবের সাথেই ভাব
জগৎজোড়া সুখ
হাসি
ভালবাসাবাসি
ভাল থাক;
ভাল থাক,
ভাল থাক।।
ঝরাপাতা কথকতা # ০ # আমার বন্ধু, আমার ভালোবাসা..
গতকাল সকালের কথা।
ইদানিং প্রায় কোন রাতেই ঘুমানো হয় না। টিভি দেখি, গান শুনি, গেম খেলি। আর একটু আধটু পড়াশোনার চেষ্টা করি। মাসখানেক পরেই খুব সম্ভবত ডিগ্রি ফাইনাল, পড়তে না বসেও আর উপায় নেই। দিনে পড়ার অভ্যাস করতে পারিনি কোন কালেই, তাই রাতই ভরসা। যাই হোক, ইদানিং নতুন অভ্যাস হয়ে গেছে - ঘড়ির কাঁটা ছয়টা পেরুলেই বেশ খিদে পায়। ফার্মগেটের নিউ স্টার থেকে গরম গরম পরাটা নিয়ে আসি, টিভিতে সকালের নানা গান শুনতে শুনতে নাস্তা করেই ঘুম।
আজও তাই করছিলাম। তারা মিউজিকের একটা অনুষ্ঠান দেখি সুযোগ পেলেই, আজ সকালের আমন্ত্রনে। একেকদিন একেকজন শিল্পী আসে, আর গানের মাঝে মাঝেই চমৎকার আড্ডা চালিয়ে যায় উপস্থাপিকা আর ফোন মারফত দর্শকেরা।
কিছুক্ষণ ঘুরে ফিরে এখানেই থিতু হয়েছিলাম আজ। একজন মিউজিশিয়ান আর একজন শিল্পী এসেছিলেন আজ, দুই বন্ধু। ওঁরা আবার সবসময় একসাথেই পারফর্ম করেন। একি রাগের ভেতর মিশে যায় এমন নানা গান একসাথে মিশিয়ে গাইছিলেন, সাথে প্রায় প্রতি গানে শুরুতে চমৎকার উচ্চাঙ্গসঙ্গীত আলাপ। আর চমৎকার কম্পোজিশনের মিউজিক তো ছিলই। ঘুম ঘুম চোখে একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে জেগে থাকা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।
বিষণ্ণতার প্রহরে.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]
দিন যায়,
অভিমানী দিন।
বুকে জমা
গুমরে মরা
চাপা কষ্ট গুলো,
ভুলে থাকার অভিমানে।
ভোর গুলো আজো,
ঝলমলে হতে না হতেই ফুরিয়ে যায়।
বিষণ্ণ দুপুর গুলো -
বাইরে রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ,
একলা ঘরে সুরের সন্ধান।
বিকেল হলেই -
ধরা বাঁধা জীবনের
বাঁধা ধরা
মুক্ত রাস্তায়
হেঁটে যাওয়া,
পড়ন্ত বেলায় সূর্যাস্তের হাতছানি।
ক্রমে ক্রমে ভরে উঠে,
ডায়রির অভিমানী পাতা যত।
আকাবাকা লেখাগুলোর সাথে ঝাপসা হয়ে আসে,
স্মৃতির দেয়াল - ভুলে যাওয়া ক্ষত।
শুধু পড়ে থাকে,
আরও একটা দিনের অপেক্ষা।।