স্বপ্নের ফেরীওয়ালা'এর ব্লগ
মৃত্যু এবং তারপর...
মুঠোফোনের শব্দে ঘুম ভাঙ্গলো। যথারীতি আপাদমস্তক কম্বলের নীচে আমি, পুরা মরা মানুষের মত। কোন মতে এক হাত বের করে সাইড টেবিল থেকে মুঠোফোনটা টেনে নিলাম কম্বলের নীচে। হ্যালো বলতেই বন্ধু-কলিগের বাবার মৃত্যু-সংবাদ। সত্তর পেরোনো, নানা রোগে ভুগে স্বাভাবিক মৃত্যু। যে দেশে বাস করি, সেখানে স্বাভাবিক মৃত্যুও যে কারও জন্য আজকাল একটা বিশেষ অর্জন!
আমার অধিকাংশ “সত্যায়িত” ছবি, সার্টিফিকেট, চারিত্রিক সনদ এনার মাধ্যমেই করা। খুব জটিল একটা স্বাক্ষর করতেন, তাছাড়া অতি সহজ, সরল এই মানুষটিতে আর কোন জটিলতা দেখিনি। সেজন্যই জীবনে তেমন কিছুই করা সম্ভব হয়নি তার। এই ধরনের মানুষদের এই সমাজে কিছু করতে পারার কথা না।
ইওরোপের কোন এক খানে... (৪)
আবেগ-সর্বস্ব এক দেশের মানুষ আবেগ-হীন এক দেশে হাজির।
তয় ফ্রান্স পর্ব শেষ করণের আগে দুই ফরাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাইতে চাই। একজন ফরাসী সেনাপতি সিনফ্রেঁ, যিনি তাঁর সৈন্যবাহিনী নিয়া পলাশীর যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত বাংলার স্বাধীনতা রক্ষায় সিরাজউদ্দৌলার হইয়া যুদ্ধ কইরা গেছেন। আর দ্বিতীয় জন ফরাসী যুবক জাঁ ক্যুয়ে কে, যিনি ’৭১ এ প্যারিসে পিআইএর একটা ফ্লাইট হাইজ্যাক করছিলেন বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য সাহায্য চাইয়া।
ইওরোপের কোন এক খানে... (৩)
প্রত্যেকের জীবনই একেকটা আস্ত ভ্রমণ-কাহিনী। কিন্তু সেইটা আমরা হয়তো খেয়াল করি না।
ইওরোপের কোন এক খানে... (২)
ফ্রান্স নিয়া কিছু প্যাঁচাল পারি। ব্রিটেনের পরে দুনিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য ছিল ফ্রান্সের, ১৯৬০ পর্যন্ত প্রায় পৃথিবীর ৮% এর বেশী ভূমি তাগো নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখনো ফ্রান্স এর মোট এলাকার প্রায় ২০% ইউরোপের বাইরে অবস্থিত - নানা অঞ্চলে সেগুলি ছড়াইয়া আছে।
ফরাসিরা পরিবার ও বন্ধুদের গালে চুমু দিয়া অভিবাদন জানায়, এমনকি পুরুষদের মধ্যেও, তয় এলাকা ভেদে চুমুর সংখ্যা বাড়ে-কমে। ডুরেক্সের সার্ভেতে বছর গড়ে ফরাসিরা সব চেয়ে বেশি মিলিত হয়। আবার ফরাসিরাই দুনিয়াতে মানসিক রোগের ঔষধের বৃহত্তম ভোক্তা, সেইটা তাগো মোট জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ। ফ্রান্সে রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলে মরা মানুষের সাথে বিবাহ করাও সম্ভব!
ইওরোপের কোন এক খানে... (১)
আমি গরীব মানুষ, হাতের লেখা খারাপ, কিবোর্ডের লেখা আরও খারাপ। তবে কোপানী, থুক্কু কোম্পানী আমারে পাঠাইছে ফ্রান্সে কিছু প্রব্লেম রে ঝামেলায় রূপান্তরিত করতে। কি করা আইসা পড়লাম ফ্রান্স।
আইলাম কাতার এয়ারওয়েজে, তাগো সার্ভিস তেমন পছন্দ হয় নাই। পেলেনে উঠার আগে বিশাল লাইন ধরতে হইলো। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য-গামী এক সদ্য-যুবক চামে লাইনে ঢুকতে গেছিলো। তারে বললাম, ভাইরে পিছনে যাও, লাইনে আস, এইখান থেইক্কাই লাইন ধরা শিখো, ভবিষ্যতে কামে দিবো।
অবনত মাথা লুকানোর জায়গার খোঁজে...
কি নিয়ে লিখি? টিপাই-মুখ? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বিভ্রাট? ছবি-অটোগ্রাফ শিকারি বিশ্বের একমাত্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী? মহাসড়কের জ্যামে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছু অনেকের পরীক্ষা দিতে না পারা? ঢাকা ভাগ ? নাকি ঢাকা নগরীর দুটি নতুন পৃথক নাম পেতে যাওয়া? এর অনেক গুলি নিয়েই লেখা বিপদজনক। মধ্যবিত্তের নিরাপদ জীবন বেছে নিয়েছি, তাই নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন সব কিছুতেই সযত্নে গা বাঁচিয়ে চলি। তবু কিছু বিষয় এড়াতে পারি না।
পিকনিক
পিকনিক বলতে কি বুঝায়?
পিকনিক কত প্রকার ও কি কি?
পিকনিক কারা করে?
পিকনিক কখন করে?
পিকনিক কোথায় করে?
পিকনিক কিভাবে করে?
পিকনিক কেন করে?
পিকনিক বছরের কোন সময়ে করা হয়?
পিকনিক করার সবচেয়ে উপযুক্ত স্থানগুলি কোথায় অবস্থিত?
পিকনিক করতে কি কি পিক করা উচিত?
পিকনিক কোন কোন নিক করতে চায়?
~
(এমএস ওয়ার্ডের গনন মোতাবেক ৫২ টি ওয়ার্ড এবি ব্লগ এডিটরে পেস্ট করে “প্রকাশ করুন” টেপার পরে বলে ৫০ টা শব্দই হয় নাই । বাঙ্গালী গুনতে সব সময়ই ভূল করে।)
বোল্ট ইন্ডিক - মোবাইলে বাংলাrর সহজতম উপায় ।
আপনার মোবাইলে ওয়েবের বাংলা ভাষায় লেখা বিষয়বস্তু ঝকঝকে চেহারায় দেখতে চান ? "বোল্ট ইন্ডিক" ব্যবহার করুন ।
ডাউনলোড করতেঃ http://boltbrowser.com/in/index.html
বিস্তারিত জানতেঃ http://boltbrowser.com/in/boltIndicHelp_bengali.html
এতদিন মোবাইলে বাংলা পড়তে বিটম্যাপ ফন্ট ব্যবহারের কারণে লোডিং প্রচুর সময় নিতো আর পড়ে আরাম পাওয়া যেত না ।
মোবাইলে শান্তিতে বাংলা পড়ার দিন আসলো অবশেষে...
~
ঠোঁটের ব্যায়াম - ৩
১।
: নেতা আর চোরের পার্থক্য কি?
: চোর চুরি করে জেলে যায় আর নেতা জেল থেকে বেরিয়ে চুরি শুরু করে।
২।
চার জন যাত্রী নিয়ে উড়ন্ত এক প্লেনে সহসা পাইলটের ঘোষণা শোনা গেলো,“সম্মানিত যাত্রীগণ, প্লেনে আগুন ধরে গেছে, কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্লেনটি বিস্ফোরিত হবে। আপনারা দ্রুত প্যারাসুট দিয়ে নেমে পড়ুন।”
এই ঘোষণা দিয়েই পাইলট প্যারাসুট নিয়ে ঝাপ দিলেন।
প্লেনে তখন যাত্রী চার জন - একজন আমলা, দুইজন রাজনীতিক - একজন আওয়ামী নেতা, অপর জন বিএনপি নেতা এবং এক স্কুল ছাত্র। কিন্তু, দেখা গেলো প্যারাসুট মাত্র তিনটি।
অন্য এক গুরুর সান্নিধ্যে...
তার জীবনের প্রথম সেমিনারে নাকি একজন মাত্র দর্শক ছিলেন। তা সত্বেও তিনি বেশ যত্ন করে বক্তৃতা দেবার পরে যখন চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন সেই একমাত্র শ্রোতা বলে উঠেছিলেন যে তাকে থাকতে হবে কারণ তিনিই পরের বক্তা! সেই লোকটাই ৮১ বছর বয়সে অর্ধেকটা পৃথিবী দূরে এসে প্রায় ১৩০০ লোককে সারাদিন মাতিয়ে গেলেন। আমি নিজে তাকে কাছ থেকে দেখার আগে ঠিক বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে আসলেও তিনি বাংলাদেশে এসেছেন আর আমাদের সৌভাগ্য হচ্ছে তার কাছ থেকে কিছু জানার।
অন্য এক গুরুর সান্নিধ্যে...
তার জীবনের প্রথম সেমিনারে নাকি একজন মাত্র দর্শক ছিলেন। তা সত্বেও তিনি বেশ যত্ন করে বক্তৃতা দেবার পরে যখন চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন সেই একমাত্র শ্রোতা বলে উঠেছিলেন যে তাকে থাকতে হবে কারণ তিনিই পরের বক্তা! সেই লোকটাই ৮১ বছর বয়সে অর্ধেকটা পৃথিবী দূরে এসে প্রায় ১৩০০ লোককে সারাদিন মাতিয়ে গেলেন। আমি নিজে তাকে কাছ থেকে দেখার আগে ঠিক বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে আসলেও তিনি বাংলাদেশে এসেছেন আর আমাদের সৌভাগ্য হচ্ছে তার কাছ থেকে কিছু জানার।
এমনটাই তো হওয়ার কথা ছিল গুরু...তবুও পারলে ক্ষমা করে দিও
দেশটার নাম বাংলাদেশ। এখানে শেখ মুজিব মরার পরে জানাজা পরার মত সাহসী লোক খুঁজে পাওয়া যায় না। এখানে জিয়া মরার পর দীর্ঘ সময় লাশ পরে ছিল বেওয়ারিসের মত। সেইখানে কোথাকার কোন এক মুক্তিযোদ্ধা-নামধারী আজম খানের লাশ কবরস্থানে আড়াই ঘণ্টা পরে থাকাটাইতো স্বাভাবিক।
ওদিকে দেশের তরুণ শিল্পী-সমাজ এত্ত ব্যস্ত যে, বেসুরো গায়ক আজম খানকে শেষ শ্রদ্ধাটুকু জানানোর সময় তাদের হয়নি। অথচ গুরু বাংলা গানের নতুন ধারাটা শুরু না করলে এরা গান গেয়ে টাকা কামানোর পথই পেত না কখনো।
আসেন শোক শোক খেলি...
টাকার অভাবে লোকটাকে চিকিৎসা শেষ না করেই দেশে ফিরে আসতে হয় । নিজের মৃত্যুর দিকে নিজেকেই দ্রুত এগিয়ে যেতে হয়েছে তাকে ।
আর আমাদেরও যেন তর সইছিলো না, জীবিত গুরু আর প্রয়োজন নেই আমাদের । এবার মর গুরু, তোমাকে নিয়ে হেড লাইন হবে, চটকদার স্টোরি, টকশো তে স্মৃতিচারণ, একটু কান্নাকাটি – মিডিয়া আর মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের ব্যাওসা ভাল ।
জীবিত গুরুর বিক্রয়-যোগ্যতা আগেই ফুরিয়েছিল, শেষ জীবনে এসে কোন কোম্পানি তার এ্যালবাম বের করতে চায় নি, তাই নিজের পকেটের পয়সা খরচ করেই এ্যালবাম বের করতে হয়েছিল তাকে । এখন, মৃত গুরুকে বেচে যা পাওয়া তাই সই । তাই শুরু হোক, শোক শোক খেলা...
~
(আমি সম্মান জানিয়ে যাই সেই গুরু-মুক্তিযোদ্ধা কে যিনি কখনো বিক্রি হননি... )