ইউজার লগইন
কবিতা
একটি শিরোনামহীন প্রেমের কবিতা
কবিতাটির শিরোনাম দিয়ে দিন তো
তোমার সাথে প্রেম চলেনি,
আমি আর ফুল ছুঁই না তাই।
অথচ তুমি কি নির্বোধ!
প্রেমদগ্ধ দুএক ছত্র লেখা দূরে থাক,
নিয়ত অপ্রেমে ঠুকে যাচ্ছ
আদিম দিয়াশলাই।
তোমাকে ঠেকানো উচিত ছিল,
যদিও ঝরঝরে প্রেমের বারুদে
তোমার শুদ্ধ আগুন পেতে ব্যার্থ হয়েছি।
ব্যর্থ না বঞ্চিত?
তুমি তো বেশ পানি ঝরাতে পারো চোখ দিয়ে,
দেহ থেকে অপ্রেমের লেহন ধুয়ে ফেলো।
তোমাকে কিনে দেব এক যৌবন প্রেম,
সত্যিই দেবো।
দুর্বল মানুষ কিছুই না পারুক,
নির্লজ্জ ভাবে অশ্রুগ্রন্থিতে
বাতিল প্রেম পুষতে পারে।
একটি কবিতা, দুইটি কবিতা, তিনটি কবিতা...
কবিতার ইকোনোমিক্স
ভাবের দলনে রাগ মোচে না আর,
প্রেমিকার দুনিয়া জুড়ে রাজ্যের ক্ষুধা:
রুটির এখন বিশেষ প্রয়োজন।
নো ফ্রয়েডিক,
নো প্লেটোনিক,
এখন থেকে কবিতা হবে নিপাট ইকোনোমিকাল।
প্রেম
রাস্তার গাড়ি গুলো থেমে গেলে
ট্রাফিক পুলিশকে লিখে দেব পৃথিবী।
লাল তিলের মেয়েটি কান ফুটিয়েছে।
বেশ্যাদের রাতভর জাগাবো জিকিরে,
হে ঈশ্বর, আমাকে ডানা দাও।
পকেটে ঘুমিয়ে আছে পাথরের দুল।
পুরুষতান্ত্রিক মন
যুবকের প্রতি প্রেমিকার কামুক চাহনি দেখে
ফুঁসে ওঠে পুরুষতান্ত্রিক মন,
একলৈঙ্গিক হাওয়ায় ফেপে ওঠে ঈর্ষার বেলুন।
ক্ষমা চাই উষ্ণ প্রেমিকা,
ক্ষমা চাই সুঠাম যুবক।
অশ্লীলতা ছাড়া ভালবাসা আছে কোথায়, বল ?
তুমি অচল হয়ে গেছ ভেবে কষ্ট পাচ্ছ অহর্নিশ কিংবা
বাতিল ভেবে কষ্ট দিচ্ছ নিজেকে,
লাল কিংবা নীল, যা ইচ্ছা- দিয়ে
সাজাতে চেষ্টা করছো তোমার পরিধি, বর্তমান,
যা অনেকেরই সুগত অতীত হয়ে প্রাঞ্জল
ভেসে বেড়াচ্ছে অদৃশ্যে অহরহ।
বন্ধুরা তোমাকে “৬৯ মডেল বলে নির্মম বাক্য ব্যয় করে- আর তুমি
চোখে কৌতূহল জাগিয়ে বিশ্বাস্য হাসিতে মৃদু প্রতিবাদ ক’র।
অথচ, এই তোমাকেই তুলনীয় করে অনেকেই তো হয়েছে (হচ্ছে)সুখ্যাত নায়ক,
পার্শ্ব চরিত্রে তুমি অভিনয় করে যাচ্ছ চমৎকার,
ভেবেছ, এ তোমার সর্বশেষ প্রাপ্য অঢেল।
প্রায়শই এ হাট থেকে ও হাটে বিক্রি হচ্ছো তুমি, আর
অসংখ্য প্রতিবিম্ব হয়ে ভোগ্য হয়ে উঠছো প্রতিনিয়ত,
ভেবেছ, যদি নাই পার নিস্বার্থের আগুনে সবাইকে ছিন্ন ভিন্ন করতে, তবে,
তোমাকেই তুমি পুড়ে ছাই করতে থাকবে এবং
সবার উপর প্রতিশোধ নেয়া হয়েছে ভেবে,
দুচোখে কান্নার ঝড় তুলবে।
তোমাকে দেখে সত্যই হাসি পায়, ভীষণ !
বাংলা মা
যখন এ কবিতাটি লিখছি তখন জ্বলছিলো খাগড়াছড়ি ও বাঘাই ছড়ির আদিবাসীদের গ্রাম।না খেয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে কোন রকম বেচে আছেন আদিবাসীরা।খবরের কাগজে ছাপা হচ্ছিলো তাদের দুর্বিসহজীবনের কথা।যত দেখছিলাম তত খারাপ লাগছিল।যতজন পরিচিত ছিল সবাইকে কল করেছি কিন্তু কাউকে পাইনি।দুচ্ছিন্তায় যাচ্ছিল প্রতিটি মুহূর্ত।এমন সময়ে একটি রাতে লিখেছিলাম এ কবিতাটি।জানিনা আপনাদের ভাল লাগবে কিনা।তবুও লিখলাম।
মাগো তুমি কি শুনতে পাও তোমার সন্তানদের আর্তনাদ,হাহাকার আর কান্নার ধ্বনি?
মাগো তুমি কি জানে তোমার সন্তানদের হত্যা করছে নিষ্টুর খুনি?
জ্বলছে গ্রামের পর গ্রাম শতশত বাড়ি,
প্রাণে বাচার তরে মানুষ ছেড়ে যাচ্ছে প্রিয় বাড়ি,
কালো ধোঁয়া মিশে গেছে আকাশে,
কান্নার ধ্বনি মিশে গেছে বাতাসে,
চারদিকে ছুটাছুটি চারিদিকে খোজাখুজি কোথায় আপন জন,
মাতা হারিয়ে ছৌট ছেলেটা কাঁদতে কাঁদতে অচেতন,
মা তুমি কোথায় আমাদের ও সাথে নিয়ে যাও,
স্বরূপ
জলে জোসনার প্রতিবিম্ব দেখে
শ্লেষে হেসে ওঠে হুতুম পেঁচা
পুকুরের এপার থেকে ওপার
ওপার থেকে এপার, তারপর
একটি ডালের ওপর বসে ।
জলে নিজের প্রতিবিম্ব দেখতে পায় নি বলে
ভীষণ ক্ষেপেছে সে
এবার উড়ে গিয়ে বসে
জলের উপরের একটি ডালে
ভেসে ওঠে জলে অবয়ব নিজের
অজান্তেই বলে পেঁচা
ওই কুৎসিত চেহারাটা কার !
ব্যবধান
তোমার পৃথিবী আমার পৃথিবী এ দুয়ের মাঝে বিশাল ব্যবধান,
তোমার পৃথিবীতে স্বর্গের নির্মল মৃদু হাওয়া আর আমার পৃথিবীতে তীব্র তাপে যায় যায় প্রাণ।
তুমি থাকো মহা সুখে চারিদিকে পুষ্প গন্ধময়,
আমি থাকি মহা দুঃখে নিত্য মৃত্যু ভয়।
তুমি শুন পাকপাখালির মিষ্টি মধুর গান,
আমি শুনি হিংস্র দানবের চিত্কার হীম হয়ে যায় প্রাণ।
তোমার চারিপাশে রঙিন প্রজাপতি দানা মেলে উড়ে,
তোমার পাশে শুকুনেরা দল বেধে ঘুরে।
তোমার বুকে শান্ত নদী ধীরে ধীরে বয়,
আমার বুকে অশান্ত সাগর নিত্য গর্জে গর্জে রয়।
তোমার আকাশে সাদা মেঘ দেখতে লাগে ভালো,
আমার আকাশে কালো মেঘ দেখিনা চন্দ্রসূর্যের আলো।
তোমার আকাশে রাতে তারার মেলা আলো ঝলমল,
আমার আকাশে বজ্রের তান্ডব কম্পিত হয় সারা ভূতল।
আমি থাকি মৃত্যু ভয়ে,
তুমি থাকো দুর্ভেদ্য নিরাপত্তা বলয়ে।
আমার এ পৃথিবী ছেড়ে তোমার কাছে আসতে বড় সাধ হয়,
কবে তুমি ডাকবে আমায়?
প্রিয়া তুমি কার?
যদি জীবন মৃত্যুর মাঝ পথে দাড়িয়ে,
জীবনের সব কিছু হারিয়ে,
তোমার কাছে এসে যদি বলি প্রিয়া তুমি কার?
বলবে কি আমি শুধু তোমার।
যদি দুরারোগ্য কোন রোগে প্রহর গুনি মৃত্যুর দুয়ারে,
তবে কি বলবে আমায় সত্যি করে?
আমি শুধু তোমার,
আপন করে নাও আমাকে,
ভালবেসে জায়গা করে দাও তোমার বুকে,
আজীবন থাকবো পাশে সূখে আর দুঃখে।
তবে;
আমি হয়ে যাবো ভাষাহীন,
তোমার দুচোখে যাবো হারিয়ে,
অপলক নয়নে শুধু দেখবো তোমাকে মনের যন্ত্রনা সড়িয়ে,
দুচোখে বয়ে যাবে অশ্রুর বন্যা,
সেই অশ্রু ধারা বলবে আমার মনের ভাষা,
বলবে মনের আকুতি,
খুশিতে হবো আত্মহারা।
যদি মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে পাগল হয়ে যায়,
তবুকি চিনবে আমায়?
আমি যদি তোমাকেও না চিনি,
তবুও কি চিনবে আমায়?
পাগল বলে ধিক্কারে তাড়িয়ে দেবে নাতো?
তখন কি বলবে ও পাগল নয় ও আমার প্রিয়?
যদি চিন্ন বস্ত্র,অগোছালো চুলে তোমার সামনে এসে দাড়ায়,
যদি তোমায় দেখে স্মৃতি ফিরে পায়,
কাঁঠাল
জাপানি সহকর্মী হঠাৎ করেই গ্রুপ-ইমেইল ছুঁড়ে বসলেন। তিনি জানতে চান, বাংলাদেশের জাতীয় ফল হিসেবে কাঁঠাল নির্বাচিত হওয়ার কারণ কী?
আমরা পড়লাম বিপাকে। এই প্রশ্নের উত্তর তো আমরাও জানি না। কয়েকজন দেখলাম ইন্টারনেটে সার্চ দেওয়া শুরু করেছেন। কারণ বিষয়টি অতীব জন-জাপানি-গুরুত্বসম্পন্ন। তাঁকে এই সপ্তাহের মধ্যেই এই ইনফরমেশনটা দিতে হবে। জাপানের সরকারি টিভি চ্যানেল এনএইচকে এই বিষয়টার ওপর একটা ডকুমেন্টারি তৈরি করবে। শুধু তাই নয়; কাঁঠাল দিয়ে তৈরি করা কোনো খাবার বা তরকারির ছবিও লাগবে। তাছাড়া কেউ কাঁঠাল ভেঙ্গে খাচ্ছে- তেমন একটা ছবি হলে জুৎসই হয়।
ক্যাপশন: আর কী ক্যাপশন দিমু?
বিরল মৌতাতে সাহসী ভোরের একজন
হুলোর ছোঁকছোঁক
উঁকি দিয়ে পাহারা দেয় বিড়াল চোখ
সহানুভূতির আশায় করে ছোঁকছোঁক
হুলোভাবে ছানা তার, গিন্নীকে এখন
তাই দেয় অনেক মনোযোগ।
লোক দেখানো এসব অভিনয়
নয় তো অজানা
অনতিক্রম্য সেই ব্যবধান নিজ হাতে হুলো
টেনেছে যার সীমানা
করাল অক্ষিতে গোলাপের নিশানও
মাপি ভীষন সতর্কতায়
ফুটো করে জল প্রবেশ হবে না তো
আর আমার নায়।
সাঁতার জানি, হয়েছি তো মাঝি মাল্লার
হারাব না হাল, সবটা জানি এখন নিশানার।
(০৪.০৪.১১)
বিরল মৌতাতে সাহসী ভোরের একজন
শেষ বসন্তের এলোমেলো বৃষ্টিতে তোমাকে
অনায়াসে গুঁজে দিতে পারতাম আমি!
একবার ঝড়ো ঘূর্ণিতে পড়লেই তুমি জানো
কেমন নিস্পৃহতায় আমি ভুলে যেতে পারি
এ নষ্ট শহরের ধর্মব্যবসায়ীদের ছল,
তোমার স্মৃতি,
তা আমি করিনি ইসাবেলা।
এক্বাদোক্বা খেলার মতো আছি, আছি, নাই, নাই
করতে করতে খরচোখে আমি সব দেখি
নিরন্তর জীবন
একটা পালতোলা নৌকো নিঃশব্দে হারিয়ে যায়
দূরে আরও দূরে যেখানে নদীটাও হারায়
কিংবা কিছুই হারায় না সব আড়াল হয়ে যায়
স্মৃতি বিসৃত হয় অনেক চেষ্টায়ও পড়ে না মনে আর
উদাস মনটাকে বিক্ষিপ্ত ভাবনায় পেয়ে বসে
যা মনে করতে পারছি না তা যেন মনে করা কতটা দরকার
নয়তো জীবনের বড় একটা ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যায়
কিন্তু মন!
নিয়ন্ত্রণহীন!!
সে মনে করতে পারে না
তারও অনেক দিন পর একদিন স্বপ্নের ঘোরে অতীত স্মৃতি হানা দেয়
আমি বুঝতে পারি-
খুব অপ্রয়োজনীয় কিছু হারিয়েছিল যা না পেলেও চলত।
পাল তোলা নৌকার হারিয়ে যাওয়া
নদীর বয়ে যাওয়া
শীতের রিক্ততায় গাছদের পাতাঝড়া বা বসন্তে সজীব হওয়া
বর্ষা টুপ-টাপ জল পড়া
এমন সহজ বিষয়গুলো মন থেকে আড়াল হয়
কিন্তু হারিয়ে যায় না
হারায় না হাটু পর্যন্ত নগ্ন পায়ের মেয়েটি
যার পায়ে কাদার জুতো ছিল যে বলেছিল
শাপলা ফুল তার পছন্দ না- শাপলা রাতে ফোটা ফুল
সৃষ্টির ধ্বংস এবং একটি পানকৌড়ীর মৃত্যু
(১)
সৃষ্টিকর্তা ধ্বংস করে তার সৃষ্টি দিয়েই
কে তুমি?
বলতে পার তুমি ধ্বংসের নও?
আমি তো রাত দিন শুধু ধ্বংসের উন্মত্ততা দেখি, শুনি রণবাদ্য।
দেখি আহাজারি নাগাসাকির বুকে,
দেখি শুন্য স্তনে বসনিয়া মুখ গুঁজে থাকে,
রক্তাক্ত নির্যাসে ভরে উঠে স্তন শীর্ষ।
ভালবাসা হয় শত খন্ডিত,
প্রেমিক তার প্রেমের পবিত্রতায় হয় পতিত।
বাহ্যত স্বতী স্বাধ্বী,
স্বামীর অগোচরে খুলে আঁচল।
সম্পদ, ক্ষমতার উত্তাপ পেতে নিহত হয় আমার ভাই, নূর হোসেন,
আমার মা ধর্ষিতা হয় আমারই সামনে।
আহ…..
কী গভীর তোমার ধৈর্য্য।
ধৈর্য্য নাকি স্থবির তোমার চেতনা?
তুমি জান সবই, নাকি কর ভান।(আমি ক্ষমাপ্রার্থী)
সৃষ্টিকর্তা,
তুমি কি ধ্বংস হও না তোমার সৃষ্টির ধ্বংসে?
(২)
পানকৌড়ীর মৃত্যু হয়
কুয়াশা জড়ানো ঈষদোষ্ণ রাত্রী শেষের
খোলা রাজপথে
নগ্ন আমি হাটি।
কেমনে ভালো থাকি -রকিবুল ইসলাম
বাড়ির পাশের ওই বাড়িতে
হঠাৎ দেখি একটি মেয়ে
বেল্কনিতে একলা এসে
পালিয়ে গেলো চমকে দিয়ে
মুখটি ছিল চাদের মতন
মাথায়ে কালো কেশ
হাসিতে তার মুক্ত ঝরে
কথার নাইকো রেশ
স্বপ্নে আমি বিভোর হলাম
একবার তারে দেখার লাগি
কোন পথ যে পাইনা খুজে
কেমনে তারে ডাকি
ছ" মাস পর হঠাৎ সেদিন
ঐ বাড়ির ঐ দারোয়ান
ডাকছে তারে, বুয়া
জলদি একগ্লাস পানি আন্
এখন বলুন দেখি
এই ঘটনার পরে আমি
কেমনে ভালো থাকি...
এই কবিতাটা আমার অনেক পছন্দের, তাই এবির নিতিমালা ভঙ্গ করে কবিতাটা দিলাম......
বিদিকে পথ চলা
অনন্তকাল ধরে আমি হেটে চলছি শত শত অলোকবর্ষ দূরের অনন্ত নক্ষত্রের মায়াভরা পথে
আমার চলার পথ আঁধারের নিষ্ঠুরতায় মোড়ানো- কিন্তু আমি চলছি আলোর পথে
নক্ষত্রের রূপালি রাত , শিশিরের কোমল স্পর্শ , মৃদুমন্দ বাতাস আমার ক্লান্তিকে শুষে নেয়- আমি জড়া-মৃত্যুহীন অনন্ত যৌবনা ২২ বছরের তরুণ যুবক। আমার জন্ম হয়েছে সেই সে আদিম যুগে । পৃথিবীর বয়স আমার বয়স সমান । আমার পথের কোনো শেষ নেই - আমি পথ দিয়ে চলি না ; আমার পায়ের তলায় পথের জন্ম হয় ।
নক্ষত্রের মায়াভরা রাত সুদূরে জ্বলছে সপ্তর্ষিমণ্ডল , পৃথিবীর তাবৎ বৃক্ষ উর্ধ্বপানে আপন গতিতে চলছে , নিরবিচ্ছিন্ন গতির মায়ায় অনন্তের পথে ওদের অবিরাম ছুটে চলা ।
পরিব্রাজকের পথ চলা আর আমার পথ চলায় পার্থক্য যোজন যোজন; আবিষ্কারের নেশা আমাকে কখনও টানে না- আমি বেখেয়ালে চলি বিদিকে ।
অন্ধকার কাব্য
“ প্রতিদিন সন্ধ্যায়
সবার অলক্ষ্যে নিঃশব্দে
একটি পথহারা প্রজাপতির সুন্দর ডানা দুটো আচমকাই ভেঙ্গে ফেলি।
সে সারারাত ব্যথিত থেকে
ডানা দুটো নিঁখুত জোড়া লাগায়
পরের সন্ধ্যায় আবার ডানা ভাংগি।
সারাদিন ব্যর্থতারই প্রতিশোধ নেই, বারবার।“ দাবি পৌরুষের।
নারীত্ত্বেও কি শুদ্ধতা উপযুক্ত ?
কর্ষণের সন্ধানে বেহাত হওনি কেউ?
চেপে যাওনি কান্না পেতে অন্ধকার? ভাবনি গল্প, সাদা-কালোর কিংবা রঙ্গীন ফিসফাস? কখনই?
শুননি কোথাও, ” তুমি ভালবাসি নামধারী এক প্রকাশ্য পতিতা”।
এখানে ওখানে, সর্বত্রই
আশংকা, ধ্বংস করার অদম্য ইচ্ছা
আর সুখ বোধ
এবং মৃত্যু।
কেউ কারো নই,দূরে ঠেলে কড়ির গন্ধ
কেউ কারো নই
তুমি বিচ্ছিনতাবাদী হতে চাও
আমার তো ওজর নেই।
তুমি আধুনিক মানুষের প্রতিচ্ছবি,
দায়হীন সম্পর্ক ভালোবাসো
আমি তাতেও হারাইনি খেই।
আধুনিকতার অনুসঙ্গ Individualism বা
ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যে যদি থাকে তোমার অনুরাগ
আমার অনুরোধ একটাই- মিছে ভন্ডামীর
”আমাদের” শব্দটার এবার করো বিভাগ;
অংকটা ভীষন সহজ ‘‘আমাদের ÷ দুই” =
‘ তুমি এবং আমি’ - কেউ কারো নই।
(02.04.11)
দূরে ঠেলে কড়ির গন্ধ
ঘনায়মান ছায়াতেও আমি খুঁজে পাই ঘৃণার শরীর
শুধু তোন জন্যে মা, তোর জন্যে
আমি বুকের লাল খুঁড়ে সিঁদুর রাঙা হই
বিষ গিলতে গিলতে তোর বাহুতে আঁকি ডানা পরীর
যদি কোনদিন আমি তোর বিশ্বভুবন ছুঁই!
দোজবর শালিক নোংরা ঘাঁটা ঠোঁটে
নির্লজ্জের মতো গেয়ে উঠতে চায় আপোসের গান,
তুই জানিস মা, তোকে বাঁচাতে আমার এখন সিনা টানটান।