ইউজার লগইন
কবিতা
আমি অপারগ তোমায় বাঁচাতে, জেনো।
অনেকতো হল,
এবার ভেঙ্গে ফেলার পালা।ভেবেছো কিছু ?
প্রায় ৪০ টি বছর এদিক সেদিক, এগলি ওগলি ঘুরে ক্লান্ত হওনি যদিও,
হারাওনি শ্রী এতটুকু বরং ক্রমশঃ বর্ধিত,
হৃষ্টপুষ্ট উরুযুগল আরও হয়েছে দৃঢ়,
দৃঢ় এবং কাঙ্খিত সর্বজনে ।
তারপরও বলছি, ফিরে এসো।এখনি, পিছু হটো,
আজ রাত্রীর পর-কিংবা অল্প কিছু দূরেই, ঐ গলিটার মোড়েই, আড়ালে,
তুমি বেহাত হবে তোমার।
দীর্ঘ সময়ের সাধনায় বাগানো শিশ্ম উঁচিয়ে
ঠিক ওত পেতে আছে, ওরা।
এখনো সময় কিছু বাকী, ফিরে এসো, লুকিয়ে পড়ো,
কিংবা যদি, দিনের মধ্যবয়সে যাও মিশে মিছিলে,
কাঁচের চুড়ি ভেঙ্গে বজ্রমুষ্ঠিতে ঝরাও রক্ত,
ধরাও কাপন ঔ সভ্যতার (!) বুকে।হানো আঘাত।ভাঙ্গো সংস্কার।
কিংবা করি আহবান
“তীর্থে যাব, যাবে ?”
যদিও আমি অপারগ তোমায় বাঁচাতে, জেনো।
আমাকেও তুমি সাথে নিও
ভালবাসা দিও দুহাত খুলে,
বটবৃক্ষের শীতল মূলে,
তুমি নিয়ে এসো শত বৃষ্টি কণা,
আমি, শুধু আমি যদি হই আপনজনা।
ঘুমায় যদি, স্বপ্ন দিও,
কোলবালিশের মানুষ ভেবে,
আমাকেও তুমি সাথে নিও।
আমাকেও তুমি দিও আড়ি,
ভাঙা অভিমানে স্বপ্ন ছাড়ি,
যদি অলিক হও, তবু দেখতে দিও,
যাত্রা ভুলের যাত্রী করে,
আমাকেও তোমার সাথে নিও।
আমাকেও তুমি দিও গো ব্যথা,
যদি ভুল হয় ভুলের কথা,
ক্ষমা না কর তো শাস্তিই দিও,
পাপভোগ সব শেষ হয়ে গেলে
আমাকেও কিন্তু সাথে নিও।
এ মনে তুমি থাক যতদূর,
একটু একটু করে বহুদূর,
যদি ক্লান্ত তুমি, জিরিয়ে নিও,
আবার রথের যাত্রা হলে,
এই, আমাকেও তুমি সাথে নিও।
না বাঁচার ক্ষোভ
স্পর্শের উপর স্পর্শ তুলে শূন্যে মেলে চোখ
সে এক চতুর রোগ
ক্ষরিত হৃদয় আলো ফেলে নিপুণ অবিরত
খুঁজে নিতে পাখির রেশম পালক
এ বড় এক শখ।
পানিতে হেঁটে হেঁটে মাছের আসে ক্লান্তি।
ক্লান্তি আসে আমারও সাঁতারে জলপুলে
ক্ষণিকে মিলায় জল শিহরণ তুলে তুলে
সেও তো জলেরই তলে
ক্লান্ত দেহ অবদমিত হলে
দেখে উর্ধ্বে মূর্ত ছায়াপথ
স্মিত শখ
ঘোরের মাঝে ডুবে নিয়তির রথ
ভুলে সে সৃষ্ট হাতের নিপুণ গৌরব
অবশেষে পড়ে থাকে পেছনে
ফেলে রাখা হতাশার আসব।
অতৃপ্ত ক্ষুধা মরে নি যদিও
ভেসে উঠে তা রাত্রি ভোর
শূন্য বাড়ি ফিরে নিমেষেই
বিষণ্ণ অবয়ব, না বাঁচার ক্ষোভ।।
কেমন করে তুমি বয়ান করবে সকালের কথা
কেমন করে তুমি বয়ান করবে সকালের কথা
দুরের আকাশে যখন ঠুমরির তালে পাখি ডানা ঝাপটায়
অথবা থৈ থৈ জলের জারজ সন্তানেরা আওয়াজ তোলে নিধুর নৃত্য ধ’রে
কেমন করে তুমি বয়ান করবে শরতের আকাশে মেঘের পালের ভাসমান ভাষা?
কেমন করে পারা যায় অই সব নিরাবতার বয়ান করতে যেখানে আয়নাল হক ও হাল্লাজের আলখেল্লার যুগপৎ বসবাস।
তুমি দেখাতে পারো জলের নিঃশ্বাস থেকে বৃক্ষের আয়ুবর্ধক বৃদ্ধি
বেচে থাকার একমাত্র সুচক জোয়ার ভাটার আঠালো স্বভাব
কীভাবে তুমি বয়ান করতে পারো অঙ্কিত বিন্দুর সীমাবদ্ধতায় আমাদের ইতিহাস রচিত হলো।
বলো নিরুপমা, অনুরোধের আসরে কিভাবে বয়ান করবে ফুটন্ত ফুলের ঘ্রাণ
প্যারিসের বোতলজাত নিঃসঙ্গতা দিয়ে অঙ্গ ঢাকা রমনীয় পুরি
পুড়ে দিলো অক্ষরের ক্ষত;এরপর বাক্যের ঘরে যদি তুমি দেখ সাপ লুডুর খেলায় মত্ত কিছু তরুণ তরু
তাদের হারজিতে যেভাবে তৈরী হয় পরজীবী সেমিকোলন
নিসর্গের বুক চিরে ছুটে চলেছি
বর্ষার কি এক গূঢ় মন্ত্র আছে―ঘোর লাগা প্রকৃতির পরতে পরতে শিহরণ বুনে রাখে!
অদ্ভুত আঁধার এক .............
অদ্ভুত আঁধার এক
এই দেশে এসেছে আবার !
আমার বোনের দেহে
গুরুর লোলুপ ক্ষুধা
নিবারিত হয়েছে এবার !!!!!
আরো বেশী মরে গেছি
নারীর বেদনা দেখি
বোঝে নাই নারী !!!!!
লোলুপ গুরুর মাথা
আরেক গুরুর ছাতা
যোগায় সাহস !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
হায় রে পদের লোভ !!!!
এই বার এরা দেখি
খুলেছেন আঁধারের
মহাপাঠশালা !!!!!!
এমন আঁধার পাঠ
কোন কালে কোন দেশে
মেলেছিলো এতো ডালপালা ?
জেগে ওঠা বিবেকের
মহাসমাবেশে
আঁধারের ক্রর হাসি
আসিতেছে ভেসে !!!!!!!!!!!!!!!!!!
তবুও বিবেক আর
মানবে না হার !
যতোই রাঙাক চোখ
নতুন আবাস গড়া
নিকষ নিঝুম এই
গহীন আঁধার !!!!!!!!!!!!!!!!!!
ছন্দ ভাঙ্গা, বিষণ্ন আকাশ
ছন্দ ভাঙ্গার গান
আমার সুরে না কি ছন্দ নেই আর
সুর ভেঙ্গে ছুটে চলে জীবন
যেন আজ যন্ত্রণারই পাহাড়।
তোমারও কি রাতভোর বৃষ্টিতে শুকনো দু’হাত
তুমিও কি আমারই মতো খোঁজো
শান্তির একটি প্রভাত!
তোমারও কি দুকূল জোড়া আঁধার
জীবন যেন আজ যন্ত্রণারই পাহাড়।
আমারো জল জমা চোখে আগুনের ছাটা
আমিও বন্দী তোমারই মতো
যতই জুড়ি শূন্য দু’মুঠা।
আমারো সব মুছে যায় বারবার
আমার সুরে তাই ছন্দ নেই আর
সুর ভেঙ্গে ছুটে চলে জীবন
যেন আজ যন্ত্রণারই পাহাড়।
(২০.০৪.১১)
বিষণ্ন আকাশ মেলা
বিষণ্ন আকাশ যেদিন মাথায় ঢুকে পড়ে
সেদিন ভীষণ কষ্ট হয় প্রাত্যহিকতা পালন করতে।
ভেজা মাটি নিজেকে রোদে মেলে খুঁজছে সুখ,
এমন সময় জল যদি গড়াতে হয় উৎসুক
তেমন লাগে সেইসব দিনগুলোতে।
নিজের ইচ্ছেগুলোকে প্রতি মুহূর্তে প্রত্যাখ্যান করতে করতে
ক্লান্ত হয়ে উঠি,
ঈশ্বর সমীপে---
যখন ঘুমায় পৃথিবী...
রাত্রির কোলে মাথা রেখে...
নির্ভেজাল স্বপ্ন হয়ে--
তখন আমি আসি ;
পরিশ্রান্ত পথিকের
পায়ের ক্লান্তি হয়ে !
আষাঢ় শেষে এইখানে যখন
শ্রাবনের আনাগোনা...
বিভ্রান্ত আকাশ যখন
বৃষ্টি ঝরায় বড্ড অদ্ভুতভাবে !
এক পশলা--দুই পশলা !
তারপর...আবার রোদ ঝরায়
সোনা রঙ ভরিয়ে দিয়ে !
আমি তখন অব্যক্ত চোখের
অপলক দৃষ্টি হই !
যখন চাতকের মত তৃষ্ণার্ত মনেরা আকাশে না পাওয়ার প্রশ্ন ছুড়ে দেয়!
নিজের অজান্তে !
কোনো কারন ছাড়াই যখন দৃষ্টি চলে যায়
আকাশের ঐ বিশাল দূরত্বের দিকে!
আমি তখন উত্তর হই
অনুচ্চারিত প্রশ্নের !
বৃষ্টির ছন্দপতনের
আর
তৃষ্ণার্ত সবুজ ঘাসের তৃষ্ণার !
প্রবল ব্যস্ততা যখন কেড়ে নিয়ে যায়
সবকিছু...
সুখ-স্বস্তি-দুঃখ অথবা অভিমান !
ঘুর্ণমান পৃথিবীর আপেক্ষিক ঘুর্ণনের বেড়াজালে
যখন হারিয়ে যাই সবাই...
এই তুমি-আমি -আমরা !
তখন সব ঘুর্ণন-গতি-ত্বরন-মন্দন
ফেলে আসা দুরন্ত সময়গুলো
কখনও কি মুছে দেয়া যাবে
সেই সব দিনগুলো......
যখন ছোট ছোট সব স্বপ্নগুলো ঘুরে বেড়াতো বিশাল খেলার মাঠে
বা সদ্য সম্পদে ভরে ওঠা নিষিদ্ধ আম গাছে
কিংবা হাবিজাবি সব খবর আর ঘটনা নিয়ে
মুখর আলোচনায়।।
কখনও কি মুছে দেয়া যাবে
সেই সব দিনগুলো......
যখন খেলার ছলে স্কুল ড্রেস এর উপর নির্মম অত্যাচার
আর পাঠ্য বইয়ের দুর্গম এলাকাগুলো আবিষ্কারের
দুর্দান্ত প্রচেষ্টায় মেতে রইতো
সীমাবদ্ধ ইচ্ছাগুলো।।
কখনও কি মুছে দেয়া যাবে
সেই সব দিনগুলো......
যখন শিক্ষক-ছাত্র একে অপরকে উপাধী দেয়ার হাস্যকর চ্যালেঞ্জ
কিংবা মেয়েদের স্কুলের সামনে বিশেষ কাউকে
দেহজ প্রেম
দেহজ প্রেমকে তুমি
ভালোবাসা থেকে পৃথক কর না
প্রাণী মাত্রই তারই ফসল
এই পৃথিবীর গতি সঞ্চারিত হয়
কামে-প্রেমে-মোহে!
ধর্ষণেও সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে
কারণ-
তোমার শরীর সৃষ্টির
রহস্যময় এক আধার
আইনস্টাইন কি রবি ঠাকুর
সক্রেটিস প্লেটো বা মার্কস লেনিন
চে-গুয়েভারা অথবা মাওসেতুং
বুদ্ধ রাম মোহাম্মদ অথবা যীশু
সবার জন্ম প্রক্রিয়া একি বৃন্তে আবর্তিত
মোনালিসার দেহজ সৌন্দর্যই
কোটি কোটি মানুষের মনের খোরাক
তাই তো আমি তোমার শরীরের পুজারী
এ সত্য প্রকাশ করতে পেরে আমি ভার মুক্ত
যারা সভ্যতার খোলস পরে
এ সত্যকে নগ্ন বলছে-
নগ্নতা তাদের মনেই বাসা বেঁধেছে।
আমি মনকে শরীর থেকে আলাদা করছি না
শরীর আর মনের মিথস্ক্রিয়ায়
এ সভ্যতার জন্ম- শুধু তাই বলছি।
বিবর্ণ গোধূলি
ম্লান আলোয় মিশিয়েছি আজ রোদের গন্ধ
ফিনফিনে হাওয়ার ঝরণা বইছিল তখন
তুমি এলে চুপ করে ঠোঁটে বোঁটে কাঁপুনি তুলে
স্নিগ্ধ আলো হাসিতে মিলায়
আমিও চুপি চুপি কথা কই মৌণস্বরে হৃদি জানালায়
লম্বা ঝোঁপের ঘাসের ফাঁকে উঁকি দিলে
সুরন্বিত সুরভিত হয়ে
কাত হলে
তারপর চলে গেলে পেছন ফিরে
গভীর অতলে মিলিয়ে।।
[এই কবিতায় ৫০ শব্দ-ই আছে। কিন্তু এটা পোস্ট হচ্ছিল না। তাই এই কথাগুলো লিখে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিচ্ছি যে, পোস্ট না হওয়াতে সমস্যা কোথায় ছিল, জানাবেন কি? ধন্যবাদ।]
মুক্তগদ্যঃ আমার পা'য়ে পা'য়ে জড়ায় ঘাসে জমা মেঘেদের অশ্রু
*
আমার পা'য়ে পা'য়ে জড়ায় ঘাসে জমা মেঘেদের অশ্রু।
**
তুমি অবাক তাকিয়েছিলে জানালার শিক ধরে। মেঘেদের ঘনকালো ছায়া পড়েছিলো তোমার চোখে। বিষণ্ণ আকাশের শোকে, তোমার চোখের কোলেও জমেছিলো জল। ছিটে ফোঁটা বৃষ্টিরা, ঠিকানা খুঁজে খুঁজে হয়রান। দু' দণ্ড বিশ্রামে তোমার গালের শ্যামলা মাঠে নিয়েছিলো আশ্রয়য়। আমি অপেক্ষায় ছিলাম, গাঢ় বৃষ্টির কিংবা তোমার জানালা ছেড়ে চলে যাবার।
কে বলবে, পাওয়াতে বেশী সুখ? না কি হারানোতে?
***
দুরের বটগাছটাতে উথাল পাঠাল বাতাসের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে। তরুণ গাছটার বুড়োটে হলুদ পাতাগুলো এলোমেলো ছুটছে মুক্তির আনন্দে। পিচ ঢালা পথটা যেন নদী। বর্ষায় ভরভরন্ত যৌবন। ওই বাঁকে, এলোমেলো ওড়না নিয়ে ব্যাস্ত কিশোরী। আমি হেঁটে চলেছি... না... না... আমি নৌকা বেয়ে চলেছি পিচ ঢালা নদীতে। বাতাসের মাতলামিতে বারবার নিভে যাচ্ছে হাতের ম্যাচ, তবুও চেষ্টা করে চলেছি।
****
চ্যুত
প্রথম সঙ্গমের পুলকে
আমরা বিদিক,
বিয়ে ফিলিপের।
লাদেন শহীদ!
শ্রদ্ধাশ্রুতে সিক্ত
আমাদের চোখ,
অন্তর, এমনকি অন্তর্বাস।
.
আমাদের আবর্তচ্যুত
আমরা দুজন শুধু
পরস্পরে-
মিশে আছি,
ভিজে আছি,
মেতে আছি।
৫০ ওয়ার্ড না হলে নাকি পোস্ট হবে না, তাই আরো একটা পিচ্চি কবিতা পোস্টিলাম।
মধুর পিছে ঘুরে আমার
ফুরিয়ে গ্যাছে দিন।
সব পতঙ্গ পায় কী মধু?
পেলাম নিকোটিন।
হরি! হরি! তাও নাকি ৫০ ওয়ার্ড হয়নি! সুতরাং, আরো একবার আরো একটি কবিতা প্রচেষ্টা
এই প্রণয়রসিক অন্ধকারে
তোমার সবগুলো জলাধার
খুলে দাও।
ঈশ্বর মারার আগেই
স্নানে পানে
একটি বার শুধু
প্রাণ ভরে মরতে চাই।
এক একদিন
এক একদিন ভীষণ বাঁচতে ইচ্ছে করে
প্রেম পুরাণ লিখব বলে
প্রেম পোড়ানো কালি
নিজের গায়ে মাখতে ইচ্ছে করে ।
এক একদিন তোমার কথা ভেবে
আমি রাধি না, চুল বাঁধিনা,
নাই না, খাই না
বৃষ্টিরা নেচে চলে চোখের পাতায়
জলের দ্যোতনা ছুঁয়ে ভাবি
একটুও কি আমায় ভালবাস না!
এক একদিন খুব ভালবাসতে ইচ্ছে হয়
শঙ্খ ডানায় রোদ হয়ে ভাসতে ইচ্ছে হয়
রোদ এসে ছুঁয়ে গেলে
আমি মেঘ হয়ে যাই
মেঘ-রোদ সন্তরণে
মেঘ লীনা হতে ইচ্ছে হয়।
এক একদিন খুব মরতে ইচ্ছে করে
শ্মশান চিতায় জ্বলতে ইচ্ছে করে
ময়ূখী মন পেখম পোড়ায়
আগুনের ফাগে হোলীর পরব
অনেক সুখে তোমাকে পোড়াতে ইচ্ছে করে।
একটি শিরোনামহীন প্রেমের কবিতা
কবিতাটির শিরোনাম দিয়ে দিন তো
তোমার সাথে প্রেম চলেনি,
আমি আর ফুল ছুঁই না তাই।
অথচ তুমি কি নির্বোধ!
প্রেমদগ্ধ দুএক ছত্র লেখা দূরে থাক,
নিয়ত অপ্রেমে ঠুকে যাচ্ছ
আদিম দিয়াশলাই।
তোমাকে ঠেকানো উচিত ছিল,
যদিও ঝরঝরে প্রেমের বারুদে
তোমার শুদ্ধ আগুন পেতে ব্যার্থ হয়েছি।
ব্যর্থ না বঞ্চিত?
তুমি তো বেশ পানি ঝরাতে পারো চোখ দিয়ে,
দেহ থেকে অপ্রেমের লেহন ধুয়ে ফেলো।
তোমাকে কিনে দেব এক যৌবন প্রেম,
সত্যিই দেবো।
দুর্বল মানুষ কিছুই না পারুক,
নির্লজ্জ ভাবে অশ্রুগ্রন্থিতে
বাতিল প্রেম পুষতে পারে।