মামুন হক'এর ব্লগ
আন্তন চেখভের ছোটগল্পঃ একটি অপবাদ
একটি অপবাদ
মূলঃ A Slander by Anton Chekhov
অভিমানী মা আমার
ছোটবেলায় যখন বুঝে-না বুঝে বাজে কোনো অন্যায় করে ফেলতাম, মা এসে দুমদুম করে দুই-চার ঘা লাগিয়ে দিতেন। ব্যস ফুরিয়ে যেত। কিন্তু ভেতরটা ফালাফালা হয়ে যেত যখন মা কোনো কিছু না বলে গম্ভীর মুখে ঘুরে বেড়াতেন, দূরে দূরে থাকতেন, কাছে ঘেঁষতে চাইলেও পাত্তা দিতেন না। বুঝতে পারতাম যে এবারের অপরাধটা মায়ের সহ্যসীমা ছাড়িয়ে গেছে, মাকে হয়তো খুব আঘাত দিয়ে ফেলেছি। মা কষ্ট পাচ্ছেন আমার জন্য এ কথা মনে এলেই বুকের ভেতরটা দুমড়
অনুবাদ: গাছ পাথর মেঘ(শেষার্ধ)
প্রথম পর্ব
‘এক টুকরা কাচ...’—ছেলেটা অস্ফুটে বলে।
অনুবাদঃ গাছ পাথর মেঘ
কারসন ম্যাককুলারস ক্ষণজন্মা এক আমেরিকান লেখিকা। খুব বেশি লেখালেখি করেননি তাঁর মাত্র অর্ধশতাব্দী দীর্ঘ জীবনে। কিন্তু যাই লিখেছেন মোটামুটি তার সবই স্থায়ী আসন করে নিয়েছে আমেরিকান সাহিত্যে। সম্প্রতি এক বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিল ছোটগল্প বিষয়ে, তিনিই দিলেন বিখ্যাত এই গল্পটির সন্ধান।
আমার মেয়েরা, আমার মায়েরা-২
আপনেরা যে যাই কন, আমি প্রতিমাসে আমার মামণিদের একটা করে ছবি ব্লগ দিয়ে আপ্নাগোরে জ্বালামুই। আমরা বন্ধুর সাথে আমার মেয়েরাও চাঁদের মতো করে বাড়তে থাকুক। হৃষ্টপুষ্ট হোক একঝাঁক হৃদয়বাণ মানুষের আন্তরিক শুভকামনা আর ভালোবাসায়। আমি দিনরাত একজোড়া ছোট্টপরী নিয়ে যে স্বপ্নের মতো দিন কাটিয়ে যাচ্ছি তা ভাগ করে নিচ্ছি প্রিয় বন্ধুদের সাথেও। ছবি দিয়ে আপনাদের জ্বালাতন করলেও বাচ্চাপালার বিষয়ে কোনো টিপস লাগলে আমারে জিগান
তাইওয়ানের নৌকাবাইচ
বরিশালে জন্ম আর শৈশবের অনেকটা কাটানোর কারণে নৌকা বাইচ নিয়ে গ্রামাঞ্চলে যে উন্মত্ততা তার অনেকটা কাছে থেকে দেখেছি। বয়স কম থাকায় মাঝি হবার সৌভাগ্য কোনোদিন হয়নি, কিন্তু চাচা-মামাদের হেল্পার হিসেবে বিস্তর খাটাখাটনির পাশাপাশি অসাধারণ সব আনন্দময় মুহূর্তের ভাগীদার হয়েছি। কে জানত যে একদিন মাঝি হিসেবে আন্তর্জাতিক এক নৌকা বাইচে অংশগ্রহণ করার দুর্লভ সৌভাগ্য এই অভাগার ললাটেও লেখা আছে!
দিল্লীকা লাড্ডু
সে অনেক কাল আগের কথা। আমি তখন পায়ের নীচে সরিষা নিয়ে ঘুরে বেড়াই এই জঙ্গল থেকে সেই পাহাড়ে। ঘুরতে ঘুরতে একবার গিয়ে পড়লাম দিল্লী শহর। তবে স্রেফ ঘুরতে না, জরুরী কাজে, একটা ট্রেড শোতে। একেবারে নতুন না, আগেও এসে ঘুরে ফিরে দেখে গিয়েছি দিল্লী সহ ভারত বর্ষের অনেক শহর। তবে সেই যাত্রায় মজার একটা কাণ্ড হলো। সেটাই বলছি আপনাদের।
অম্লমধুর পেমের গল্প
( আমি পুরাতন কালের মানুষ, বয়সে যতটা না তারচেয়ে বেশি মনে। পুরানা সবকিছুই আমার ভালো লাগে, লেখালেখির ক্ষেত্রেও পুরাতন ধারাকে বেশি ভালো পাই। সাধু ভাষার প্রতি আমার আগ্রহ এবং অনুরাগের ইতিহাস অনেক দিনের। কিন্তু বানান জানি না, ব্যাকরণ জানি না, ভাষা আর গদ্যরীতির কথা আর নাই বা বলি। তবুও গাইতে গাইতেই যেমন গায়েন, তেমনি লিখতে লিখতেই হয়তো একদিন কিছু একটা হয়ে যাওয়া যাবে। তাই বিস্তর কাঠখড় পুড়িয়ে সাধু ভাষায়
লন্ডন রাজকীয় মোমের যাদুঘরে একদিন
ভাইবা দেখলাম ভালো লেখক হওনের যোগ্যতা আমার নাই, তবে ভালো দেখক হওনের আছে। পায়ের নিচে সরিষা নিয়া জন্মানোর কারণে কয়দিন পর পরেই একেকদিকে ছুটতে মন চায়। কপাল গুণে কায়কারবারও এমন জুটছে আমার ভাগ্যে যে বছরে অন্তত আধা ডজন বিদেশ ভ্রমণ বান্ধা। বিয়ার আগে হাফ চান্সরে ফুল চান্স বানাইয়া একেক সময়ে একেক দিকে উইড়া যাইতাম। ইদানীং ঘর সংসার নিয়া এতই ব্যস্ত যে সহসা কোনোদিকে যাবার সময় পাইনা, যদিও মন পাখি খালি উড়াল দিতে চ
আমার মেয়েরা, আমার মায়েরা
অনেকদিন যাবতই ভাবছিলাম আমরা বন্ধুর বন্ধুদের সাথে আমার মেয়েদের পরিচয় করিয়ে দেব। নানা ঝামেলায় সেটা হয়ে ওঠেনি। আজকে অফিসে কাজ কম, দেখি একটা টেরাই মেরে
খোমাখাতার বদৌলতে অনেকেই হয়তো জানেন যে ওরা যমজ, এষা আর আয়লা। আমার জন্মদিনের ঠিক একদিন আগে ফেব্রুয়ারীর ৫ তারিখে আমাদের ঘর আলো করে ওর পিথিমীতে নাজিল হয়।
আমি গর্বিত
কুঁদুলে জাতি হিসেবে বাঙ্গালির খ্যাতি/কুখ্যাতি বিশ্বজোড়া। আমরা অযথাই এ ওর পিছে লাগি, কান কথা বলি, অঙ্গুলী আদান প্রদান করি। কিন্তু গত কিছুদিন যাবৎ সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চর্চার প্রচার, প্রসার এবং উন্নয়নের অগ্রনী সৈনিক মেহদী এবং তার অভ্রের পাশে যেভাবে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য বাংলাভাষী এসে দাঁড়িয়েছেন তাতে আমি গর্ব রাখার জায়গা পাচ্ছিনা। কে বলেছে আমরা শুধুই একে অপরের পায়ে পাড়া দেই, প্রয়োজনমতো
উত্তরাধুনিক নীতিগল্প
একদা প্রত্যূষে অতিকায় এক চিনার বৃক্ষের মূলে বসিয়া অস্থিচর্মসার এক শকুন পরম মনোযোগ সহকারে সদ্যধৌত তুলসীপাতা ভক্ষণ করিতেছিল। দূর হইতে এই দৃশ্য দেখিয়া চোখেমুখে সহানুভূতি আর আগ্রহের ছাপ ফুটাইয়া আগাইয়া আসিল এক ধাড়ি ছাগ। নিকটবর্তী হইয়া শকুনকে শুধায়—‘ওহে মহাকাশচারী দিগ্বীজয়ী খেচর, মগডালে উপবিষ্ট না হইয়া এই গান্ধা মর্ত্যে তুমি কী করিতেছ?’
হংকং ইমিগ্রেশন ও সর্ষের তেল বৃত্তান্ত ( শেষ পর্ব)
নুশেরাপার কথাই ঠিক। শিরোনামের আওতার মধ্যে থাকতে গিয়ে অনেক কথাই হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। ভাবছি আর দু’টো ঘটনার জাবর কেটে এই পর্বেই এর শিরোনামের দাফ
চৈতন্যের ছায়া-প্রচ্ছায়া
একটু বুঝতে শেখার পর থেকেই আবিষ্কার করি মনের মধ্যে চরম অবাধ্য আর ঘাউড়া এক কাঠ ঠোকরার বসবাস। হের কোন কাম নাই, কাজ নাই, খালি সময়ে-অসময়ে আজাইরা সব বিষয় নিয়া ঠোকরাইতে থাকে। হেরে দানা-পানি দিলেও ঠাণ্ডা হয়না,
হংকং ইমিগ্রেশন ও সর্ষের তেল বৃত্তান্ত -২
সবাইকে এতদিন অপেক্ষায় রাখার জন্য দুঃখিত। আসলেই একটু ঝামেলায় ছিলাম। মূল ঘটনায় ফিরে যাই চলুন ।