মীর'এর ব্লগ
গল্প: লিহীন
রওশনের মতো বুনো আর হিংস্র মনের ছেলে এ পৃথিবীতে অনেক কম জন্মেছে। যারা জন্মেছে তাদের বেঁচে থাকা সবসময়ই মানুষকে কষ্ট দিয়েছে, কলুষিত করেছে এবং সবশেষে মানুষ বাধ্য হয়েছে তাদের প্রতি নিষ্ঠুর হতে। এদেরকে মানুষের জন্য দুর্ভাগ্যের নিমিত্ত হয়ে পৃথিবীতে আসা একধরনের প্রাণী হয়তো বলা যায় কিন্তু মানুষ বলা যায় না। প্রকৃতি নিজের কোনো এক অদ্ভুত খেয়ালেই এদেরকে মানুষ বানিয়ে পাঠায় না।
চট্টগ্রাম শহরে সিডিএ বলে একটা এলাকা আছে। সেটার ১২ নম্বর রোডের একদম শেষ মাথায় রওশনদের বাড়ি। জায়গাটা খুব ঘিঞ্জিমতো, যেখানে ওদের বাড়ির পাশ দিয়েই চলে গেছে শহরের বড় বড় স্যূয়ারেজ ড্রেনগুলোর একটি। সেটাকে ওরা বড় নালা বলে।
হাড় কালা অন্তর কালা
নানা কারণে একটা খুব খারাপ সময়ের ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে। কোনকিছুতেই বিশেষ আনন্দযোগ খুঁজে পাচ্ছি না। যে বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করছি সেটা হচ্ছে, কেন সবসময় আমার চারপাশেই মেজাজ খারাপ করার বিভিন্ন উপাদান ছড়িয়ে থাকবে? আমি একটু নড়তে চড়তে চাইলেই কেন সেগুলো আমার শরীরে ভাঙা কাঁচের টুকরার মতো ফুটবে? এটা কি জন্মদাগের মতো কোন কিছু? যেটা থাকবেই এবং কোনো ব্যাখ্যা ছাড়া যেটাকে মেনে নিতে হবেই।
একটি ফটো স্টোরি: শেষ পর্ব
প্রথমেই স্বীকার করে নিই, আগের পর্বে মহাস্থান গড় জাদুঘরে ঢোকার রাস্তার ছবি দিলেও ওইটা ছিলো একটা শুভংকরের ফাঁকি প্রায়। কারণ জাদুঘরের ভেতরে ক্যামেরা ব্যবহার করতে অনুমতি লাগে। এত বড় প্রত্নতাত্তিক জাদুঘর আমি আগে দেখি নি। এখানে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন সময় যা কিছু সম্পদ খুঁজে-খুঁড়ে পাওয়া গেছে, যুগ ভাগ করে করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তবে মুসলমান যুগের নিদর্শনগুলোর সংখ্যা হাস্যকর রকমের কম এবং সেগুলোর মানও তত উন্নত নয়।
এক্ষেত্রে হিন্দুদের মহিমা স্বীকার করতেই হবে। বিশেষ করে তাদের তৈরী দেব-দেবীর মূর্তিগুলোর ভেতরে যে বহুমুখী অর্থ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, অবিশ্বাস্য ব্যপার-স্যপার! এছাড়া যুদ্ধের পোশাক, মেয়েদের অলংকার, গৃহস্থালী সামগ্রী'র যা নমুনা দেখলাম, এককথায় অ-সা-ধা-র-ণ।
একটি ফটো স্টোরি: শেষ পর্ব
প্রথম স্বীকার করে নিই, আগের পর্বে মহাস্থান গড় জাদুঘরে ঢোকার রাস্তার ছবি দিলেও ওইটা ছিলো একটা শুভংকরের ফাঁকি প্রায়। কারণ জাদুঘরের ভেতরে ক্যামেরা ব্যবহার করতে অনুমতি লাগে। এতবড় প্রত্নতাত্তিক জাদুঘর আমি আর কোথাও দেখি নি। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন সময় যা কিছু সম্পদ পাওয়া গেছে, যুগ ভাগ করে করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। আর মুসলমান যুগের নিদর্শনগুলোর সংখ্যা হাস্যকর রকমের কম এবং সেগুলোর মানও তত উন্নত নয়।
এক্ষেত্রে হিন্দুদের মহিমা স্বীকার করতেই হবে। বিশেষ করে তাদের তৈরী দেব-দেবীর মূর্তিগুলোর ভেতরে যে বহুমুখী অর্থ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, অবিশ্বাস্য ব্যপার-স্যপার! এছাড়া যুদ্ধের পোশাক, মেয়েদের অলংকার, গৃহস্থালী সামগ্রী'র যা কিছু নমুনা দেখলাম, অ-সা-ধা-র-ণ।
একটি ফটো স্টোরি: প্রথম পর্ব
প্রথমেই বলে নিই, বিশখানা ছবি আছে, সুতরাং একটু সাবধানে। রোজার ঈদের সময় বগুড়া গিয়েছিলাম। সেখানে কয়েকদিনের জন্য ছিলো শুধুই দিনে ঘুরা-ঘুরি আর রাতে বয়েজ পার্টির বন্দোবস্ত। ব্যপক একটা ট্রিপ হইসিলো। এইরকম সুযোগ আমি জীবনে আরো অসংখ্যবার চাই।
১. এইটা কিসের ছবি বলেন।
২. তোমার জন্য আলো হব, বাতাস হব শিহরণে/ ভেজা বৃষ্টির বান হব ছায়ার আবরণে। রাস্তার মইধ্যে কি জুক্স!
৩. যাত্রাপথে জ্যাম ছিলো ভয়াবহ।
দ্য এলিফ্যান্ট ম্যান
দ্য এলিফ্যান্ট ম্যান (১৯৮০)
এই পর্বে প্রথমেই বলতে হবে দ্য এলিফ্যান্ট ম্যান'র কথা । এক হাতিমানবের কাহিনী। সার্কাসের এক হাতি একবার চড়াও হয় এক মহিলার ওপর। দু'জনের মিলনের ফলে জন্ম হয় মানবাকৃতি এক হাতির। নিরীহ এ হাতিমানবটিকে কেউ পছন্দ করে না। সার্কাসে খেলা দেখানো আর বাকী সময় বন্দী হয়ে থাকাই তার জীবন। এরকম চলতে চলতে একদিন তার দেখা পায় এক শল্যচিকিৎসক। চিকিৎসক তাকে নিয়ে আসে নিজের পরীক্ষাগারে। তাকে ভালো কাপড় পরায়, মানুষের মতো চলতে শেখায়। অক্ষরজ্ঞান দেয়। শুরু হয় সেই সার্জনের এক্সপেরিমেন্ট।
আরেকটা ভালো মুভি হচ্ছে ল্যান্ড এন্ড ফ্রিডম
পারফিউম একটা মুভি যেটা নিয়ে লিখতে হলে সাহস দরকার। এত ভাল মুভি নিয়ে আসলে লেখা যায় না। অপচেষ্টা বৃথা।
পারফিউম তৈরী হয় কিভাবে? বিভিন্ন রকম ফুল সেদ্ধ করে তার নির্যাস দিয়ে। ফুলের নির্যাসই পারফিউমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু ফুলের বদলে যদি মানুষ সেদ্ধ করা হয়? কিংবা একেকটা মানুষের যে আলাদা আলাদা গন্ধ সেটা দিয়ে যদি কোন পারফিউম তৈরী করা হয় তাহলে?
গল্প: সাদা বকপাখিদের ঝাঁকে যদি আপনি আর আমি থাকতাম
অভি আপু কি করেন, আপনি কালকে থেকে আমার ফোন ধরছেন না কেন?
-কেন ফোন করলেই ধরতে হবে না কি? এমন কোনো বাধ্যবাধকতা আছে?
না তা নেই। আপনাকে আমি যে মেইলটা করেছি দেখেছেন?
-নাহ্। কাল থেকে নেটে বসি নি।
একটা মেইল করে সেটার আবার রিমাইন্ডার দিতে হয়। আফসুস এমনই দিন-কাল পড়েছে। কপাল সবই কপাল।
-আরে না না। আসলে কাল থেকে মনটা একটু উদাস। তাই কিছু চেক করা হয় নি।
আচ্ছা কালকে কইরেন। এখন কি করতেসেন?
-বসে বসে একটা কথা ভাবতেসি।
সেটা অবশ্য ভালো। এখন মানুষ অনেক কম ভাবে। ভাবা ভালো। ভাবনায় অনেক সমস্যা দূর হয়।
-আরে সমস্যা হবে কেন, আমি ভাবছি একটা সুখের কথা।
তারমানে বিয়ের কথা?
-ঠিক। আমার জামাইটা এখন ব্যংককে। ও যে কবে আমাকে বিয়ে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসার সময় পাবে সেটাই ভাবছি।
সে আসলেই বিয়ে করে ব্যংকক চলে যাবেন। পাতায়া বীচে বিকিনি পড়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু?
-হইতে পারে। পাতায়া বীচের কাছাকাছি কোথাওই হবে জায়গাটা। কিন্তু ওরা যে কনজারভেটিভ, মনে হয় না তুমি যেভাবে বললা সেরকম হবে। আর আমারও এইরকম লাইফে কোন দিলচাস্তি নাই। যেমন আছি ভাল আছি। পড়া শেষ। যেকোন সময় বিয়ে করবো। চলে যাবো। এভরিথিং আরেঞ্জড্।
বাত্তির রাজা ফিলিপস্
জয়িতা'পু সম্প্রতি বিয়ে করার জন্য উতলা হয়েছেন। তিনি মাসুম ভাইয়ের কাছে আকুল আবেদন করেছেন তার বিয়ের পাত্র খুঁজে দেয়ার জন্য। আমি ভদ্রলোক। ভদ্রলোকের এককথা। সেই কথার অবশ্যই প্রমাণ আছে। প্রমাণ এইখানে :
যেদিন আপনারা একটা পাত্র (হাড়ি পাতিল না কিন্তু) খুঁজে দিবেন।
দোয়া করেন ঠিকঠাক। পরের বউয়ের দিকে তাকিয়ে দোয়া কইরেন না, তাইলে আল্লাহ শুনবে না।
মাসুম ভাই দোয়া করেছিলেন যাতে জয়িতা'পুর দ্রুত বিয়ে হয় সেজন্য। দেখা যাক ভাইয়ের দোয়ায় কতটুকু কাজ হয়।
কন্থথ
কয়েকদিন ধরে মন খারাপের চূড়ান্ত হয়ে আছে। কোনদিকে ভালো কিছু ঘটছে না। আমার পাশে যে কলিগটি বসেন, তিনি হঠাৎ করে একদিন সিদ্ধান্তে আসলেন, গাঁজাই ভালো। কারণ তাকে দেশের বাড়ি থেকে ফোন দিয়েছে বন্ধুরা।
'দোস্ত মাল-টাল তো পাওয়া যাচ্ছে। তোর জন্য রাখবো নাকি?' সে কলিগ জিজ্ঞেস করেছেন 'দাম কতো?' উত্তর পেয়েছেন, 'এই হাজারখানেক টাকা আর কি', তিনি আবার জিজ্ঞেস করেছেন, 'আমাকে কত দিতে হবে?', তার বন্ধু উত্তর করেছেন, 'আমি তো দিতি-টিতি পারবো না, তো তুই আর মামুন দিয়ে দিস, এখন নিয়ে রাখছি'। আমার কলিগ এই শুনে তাকে ধমক দিয়েছেন, 'শালার পুত, ঢাকায় থাকি দেখে ভেবেছিস টাকার পাহাড় বানিয়ে বসে আছি? এ মাসে বেতন-বোনাস যা পেয়েছি শ্বশুরবাড়িতে দিয়ে-থুয়ে, মেয়ের আকিকায় খর্চা করে শেষ। আমি তোদের ওসবের মধ্যে নেই। আমার বেশি ফিলিংস লাগলে পাঁচ টাকার গাঁজা কিনে রাজা হয়ে ঘুরে বেড়াবো।'
হালআমলের দ্বিতীয় হরতাল, ভরপুর এ্যাকশন ও একটি ফটো স্টোরি
শাপলা চত্বর
ইন দ্য হার্ট অব সিটি ঢাকা
খুব সুন্দর সার্ক ফোয়ারা
ফার্মগেট সকাল ১১টা
আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা ফুল কুড়াতে যাই।
বিল্ডিংয়ে ফাটল, শান্তিনগরে আতংক ও একটি ফটো স্টোরি
কনকর্ড গ্র্যান্ড (১৬৯/১, শান্তিনগর)
বিল্ডিংয়ের বীমে দেখা দিয়েছে ফাটল। আতংক ছড়িয়ে পড়তে খুব বেশি সময় নেয় নি
ফায়ার সার্ভিসের এই ভদ্রলোক নিজেই হঠাৎ ফায়ার হয়ে গেলেন। কে জানে কেন..
বৃষ্টির মধ্যে গাড়িতে করে বাড়ি ছাড়ছেন মানুষ, দেখে খারাপ লাগলো