ইউজার লগইন
শিক্ষা
বর্তমান সরকার, শিক্ষাব্যবস্থা এবং একজন ছাত্রের বিশ্লেষণ
কয়েকদিন ধরেই সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় আর গুণীজনদের জন্য বরাদ্দকৃত বিশেষায়িত পাতাগুলো পড়ছি। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে তারা যা লিখেছেন তাতে আমি স্তম্ভিত, বিশেষক্ষেত্রে কষ্টও পেয়েছি :(। আর বিজ্ঞ সাংবাদিকদের লেখাগুলো পড়ে তো হাসতে হাসতে আমার পেটই ফেটে যাওয়ার জোগাড়। আমার একটাই প্রশ্ন, তারা কি কখনো ছাত্র-ছাত্রীদের জিজ্ঞেস করেছেন বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে তাদের সমস্যা কি? আমি জানি, তারা কেউই জিজ্ঞাসা করেননি আর করলেও সেটা আওয়াজ ছাড়াই চেপে গেছেন। এসব নিয়ে আমি এই পোস্টেরই কোন একদিকে কিছু কথা বলব। তবে তার আগে মজার কিছু বলি।
আমাদের পাঠশালা
আমাদের চোখের সামনে লাইব্রেরীর তাকগুলো থেকে গল্প-কবিতা-উপন্যাসের বইগুলোকে হটিয়ে ক্যারিয়ার গাইড আর "৩০ দিনে সহজে শিখুন" জায়গা করে নিলো। সাফল্যের সহজ পথ খুঁজতে খুঁজতে আমরা পাঠ্যবই বাদ দিয়ে গাইড আর কোচিং এর সাজেশনের উপর নির্ভরশীল হয়ে গেলাম। স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের রাজনৈতিক পরামর্শক হয়ে ওঠার তাড়নায় তাদের মৌলিক গবেষণার আগ্রহ কমে গেলো । এখন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী স্বাদু পানিতে তেলাপিয়ার প্রজননের ১০টি নিয়ম আর জীববিজ্ঞানের গবেষক উপসম্পাদকীয় পাতায় দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত লিখে পদোন্নতির সুযোগ পেয়ে যান।
যাদের যা করার কথা ছিলো তারা সে দায়িত্ব পালন করছেন না। অন্তর্বর্তী মেধাশূণ্যতার আঁচর লাগছে শিক্ষায়াতনে, পদলেহী আত্মমর্যাদাজ্ঞানহীন বুদ্ধিজীবী সমাজ কৃষ্টি-সংস্কৃতি চর্চায় মননের উন্নয়নের পথ না খুঁজে নৈতিকতা খুঁজছেন ধর্মগ্রন্থে। সাহিত্য-ইতিহাস-ভাষাবিজ্ঞানের ভালো বইগুলোর তালিকা করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে স্বাধীনতার পরবর্তী ৪ দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলা একাডেমী থেকে হাতে তোলার মতো গবেষণাগ্রন্থ খুব বেশী প্রকাশিত হয় নি।
অনুপ্রেরণামূলক কিছু কথা
যখন একা থাকার
অভ্যাস হয়ে যায়,
ঠিক তখনি স্রষ্টা কিছু মানুষের
সন্ধান দেন ।
যখন তাদেরকে নিয়ে ভাল
থাকার অভ্যাস হয়ে যায়,
ঠিক তখনি আবার
একা হয়ে যেতে হয় |
________জর্জ বার্নাড
অভিমান হল হৃদয়ের অতি গোপন
প্রকোষ্ঠের ব্যাপার,যে কেউ
সেখানে হাত
ছোঁয়াতে পারে না
.........সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ছোট্ট বেলায় অভিমান
করলে অনেক কিছু পেতাম,
আর এখন অভিমান করলে অনেক কিছু
হারাই..
কারণ তখন ভালবাসায় ছিল পূর্ণতা,
আর এখন ভালবাসা পায় শূন্যতা !
অপ্রিয় হলেও সত্য !
__হুমায়ুন আহমেদ
প্রায় প্রত্যেক মানুষেরই
প্রেম করার আগ্রহ থাকে,
কিন্তু এর বাস্তবায়ন
খুব কম মানুষই করতে পারে|
আর যারা করতে পারে
তারা আসলেই ভাগ্যবান|
_____পি.এইচ.রুপক
দুঃখ কখনো একা আসে না- দল
বেধে আসে
- সেক্সপিয়ার
"আজকালকার মেয়েদের
ডায়েরি লেখার মত
সময় নেই। নিজেদের কথা তারা শুধূ
গোপন
করতে চায়। লিখতে চায় না"
---হুমায়ূন আহমেদ
"মানুষের জীবনটা হচ্ছে একটা সরল
অংক। যতই দিন যাচ্ছে,ততই
আমরা তার সমাধানের
দিকে যাচ্ছি।"
হুমায়ূন_আহমেদ
প্রত্যেকেই বিশ্ব বদলে দেয়ার
চিন্তা করে কিন্তু
নিজেকে বদলানোর চেষ্টা কেউ
ইতিহাসে প্রহসনের বিচার (১) - সক্রেটিস ।
খ্রিস্টপূর্ব ৪৭০ সালের দিকে সক্রেটিসের জন্ম, তিনি ছিলেন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক। এই মহান দার্শনিকের সম্পর্কে তথ্য লিখিতভাবে পাওয়া যায় কেবল মাত্র তাঁর শিষ্য প্লেটো এর রচনা থেকে। তৎকালীন শাসকদের কোপানলে পড়ে তাঁকে হেমলক বিষ পানে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। তাকে পশ্চিমা দর্শনের ভিত্তি স্থাপনকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তিনি এমন এক দার্শনিক চিন্তাধারা জন্ম দিয়েছেন যা দীর্ঘ ২০০০ বছর ধরে পশ্চিমা সংস্কৃতি, দর্শন ও সভ্যতাকে প্রভাবিত করেছে। সক্রেটিস ছিলেন এক মহান সাধারণ শিক্ষক, যিনি কেবল শিষ্য গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদানে বিশ্বাসী ছিলেননা। তার কোন নির্দিষ্ট শিক্ষায়তন ছিলনা। যেখানেই যাকে পেতেন তাকেই মৌলিক প্রশ্নগুলোর উত্তর বোঝানোর চেষ্টা করতেন।
অনেকের ব্যক্তিগত ক্রোধ ছিল সক্রেটিসের উপর। অনেকের জ্ঞানের অহংকার সক্রেটিসের কাছে চুর্ন হয়েছিল। সক্রেটিস প্রকাশ্যভাবে ঘোষণা করতেন
আমার কোন জ্ঞান নেই।--কিছুই না' আমি এই মাত্র জানি
ভুলের ভাণ্ডার
ভুল বানানটি সঠিক বটে
লিখবেন না কেউ ভূল
তুল লিখেন টুল লিখেন
লিখবেন না বানান মুল।
মূল কিন্তু মুল নয়
রাখবেন মনে সবে
মুল যদি লিখে কেউ
ভুল জানবেন তবে।
কুল যদি বরই হয়
কূল নদীর পাড়
ভুল বানানে অভ্যস্ত
লজ্জা দেবে স্যার।
তুলা লিখেন কুলা লিখেন
লিখবেন না কেউ মূলা
মুলা বানান সঠিক তবে
লিখবেন না ফরমূলা।
ফরমূলা নয়, ফরমুলা
জেনো নিশ্চয়
ইংরেজি উচ্চারণে
(ূ) ঊ-কার নাহি হয়।
কারণ বারণ মরণ লিখেন
ধরণ লিখবেন না
ধরণ যেন ধরন হয়
লিখতে ভুলবেন না।
গুণ লিখেন ঘুণ লিখেন
গুন লিখবেন না
গুণিতকের মর্মকথা
এতে পাবেন না।
কাঁটা-বোঁটা সবই লিখেন
ফাঁটা লিখবেন না
ফ-এর ওপর চাঁদ বসালে
ফাটা থাকবে না।
হাসি লিখেন কাশি লিখেন
হাস লিখবেন না
চাঁদ ছাড়া হাঁস-ফাঁস
কিছুই হবে না।
বাড়ি-গাড়ি সবই লিখেন
হাড়ি লিখবেন না
হাঁড়ির ওপর চাঁদের টিপ
দিতে ভুলবেন না।
আসন বাসন নয়নে
‘ন’ হবে নির্ভুল
প্রান ঘ্রান ত্রান লিখে
করবেন না তাই ভুল।
প্রাণ ঘ্রাণ ত্রাণ বানানে
লিখবেন মূর্ধন্য- (ণ)
এ নিয়মে লিখে যান
বর্ণ বর্ষণ আর কার্পণ্য।
অনুরোধে হবে করুন
অবস্থাতে করুণ
তোরণ বানিয়ে তারুণ্য
ভাঙচুরের ব্যবসা
হুমায়ুন আহমেদের নান্দাইলের ইউনুসের গল্পটা নিছক গল্প না বরং বঞ্চিত মানুষের আভ্যন্তরীণ ক্রোধের মাত্রাবোধহীনতার রূপায়ন। অবশ্য নান্দাইলের ইউনুসের উপখ্যান আমাদের জানতে হয় না, আমরা চলতি পথে বিচারের আড়ালে এমন অমানবিক নৃশংসতার উদাহরণ নিয়মিতই দেখতে পাই।
একটা সময়ে রাস্তায় ছিনতাইকারী কিংবা চাঁদাবাজ ধরা পরলে উত্তেজিত জনতা তাদের পিটিয়ে হত্যা করেছে, পকেটমার শিশু-কিশোরদের আঙ্গুল কেটেছে, আগুণে পুড়িয়ে মেরেছে, গণমাধ্যম নিয়মিতই এসব সংবাদ প্রকাশ করেছে কিন্তু এই অহেতুক বর্বরতার বিপক্ষে জনমত গড়ে তুলতে পারে নি।
সমষ্টির ভেতরে অনেক ক্ষুব্ধ-ক্রুদ্ধ মানুষ থাকে, যারা জীবনে কোনো না কোনো সময় ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে, যাদের বাজারের টাকা পকেটমার হয়েছে, যাদের ছোটো প্রতিষ্ঠান প্রাণের আতংকে চাঁদাবাজদের দাবিকৃত অর্থ পরিশোধে বাধ্য হয়েছে। অসংখ্য মানুষ যারা মূলত আইনী সুরক্ষা চেয়েছে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা চেয়েছে কিন্তু রাষ্ট্র আইনী সুরক্ষা কিংবা নিরাপত্তা প্রদাবে ব্যর্থ। এইসব ক্ষুব্ধ ক্রুদ্ধ মানুষেরা ভীড়ের আড়ালে ভয়ংকর নৃশংসতায় অমানবিক ভাবে নিজের ক্রোধের উপশম খুঁজে পায়।
সংগ্রামের ঐতিহ্যয়ের ১৭ই সেপ্টেম্বর, মহান শিক্ষা দিবস।
১৭ই সেপ্টেম্বর ১৯৬২ সাল, পাকিস্তানি শাসন, শোষণ, শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লরাই করতে গিয়ে শহীদ হন মোস্তফা, ওয়াজিউল্লা, বাবুলসহ নাম না জানা অনেকেই। তাই আমরা তাদের স্মরণে পালন করি "শিক্ষা দিবস"
ভর্তি যুদ্ধ
ভর্তি পরীক্ষার বিরোধিতা যারা করছেন তারা কিসের ভিত্তিতে করছেন, তার কারন গুলো জানতে ইচ্ছে হচ্ছে খুব। আজকের এই লিখায় যে বিষয় গুলো তুলে ধরেছেন তা হল, ১। ব্যয় বহুল, ২। কোচিং নির্ভর, ৩। পরীক্ষা দিয়ে ই তো ভর্তি যোগ্যতা অর্জন করে, আবার কেন পরীক্ষা। আগের ফলের ভিত্তিতে ই ভর্তি হউক। কথা গুলো খারাপ না, কিন্তু এতে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং পড়া শুনা নিয়ে যে ওনাদের কোন ধারনা নাই, তাদের ছেলে মেয়ে বা আত্মীয় সব্জনের ছেলে মেয়েরা ও শিক্ষা বোর্ডে র অধিনে পরীক্ষা দেয় না তা ই প্রতিয়মান হয়।
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আম্মাজান অনেক ঝামেলার মাঝেও আজকে শুধুমাত্র তোমার সৌজন্যে একটা ভালো সংবাদ পেলাম। তোমার জন্য একরাশ শুভকামনার সাথে কিছু বস্তুগত উপহারের ব্যাবস্থাও করবো।
তবে হ্যাঁ, তোমার পিতা মানে আমার শ্রদ্ধেয় দুলাভাইয়ের কাছে একটা ব্যাপক খানা-দানা পাওনা হয়ে গেলো। আমি জানি তিনি আমার এই স্ট্যাটাস দেখবেন আর মুখ চেপে হাসবেন। কারণ খানা-দানা তার অত্যন্ত পছন্দের বিষয়। শুধু উপলক্ষ দরকার। এইবার উপলক্ষের ব্যাবস্থা তুমি করছো আর খাওয়ার ব্যাপারটা আমি দেখুম। আহ ভাবতেই যেন কেমন লাগছে!
সবাই তোমার ফলাফলে অনেক খুশি। তাদের খুশিটা অনেকটা লাফালাফির পর্যায়ে চলে গেছে। বড়দের এইরকম শিশুসুলভ আচরন দেখতে ভালোই লাগে। অনেকটা বুড়ো বাবু স্টাইল।
তবে আমার উচ্ছাসটা তোমায় নিয়ে ভিন্ন ধরনের। আজ আমি নিজেই দেখে দিলাম তোমার খুব কাছের বান্ধবীর ফলাফল। এবং তারপর যা দেখলাম তাতে আমি মুগ্ধ। নিজের ভালো ফলাফলে তোমার যে আনন্দ তা অনেকটাই ম্লান হয়ে গেলো কাছের বান্ধবীর খারাপ ফলাফলে। আর তখনই বুঝলাম শুধুমাত্র ভালো ফলাফল নয় তুমি ধীরে ধীরে ভালো মানুষ হিসেবেও গড়ে উঠছো।
আমি এবং একটি লবস্টার
সে বছর ফাঁকা পেনু কিছু টাকা করিয়া দালালগিরি।
করিলাম পণ সিটি লন্ডন বারেক আসিব ঘুরি।
ঐখানেতে বাস করে আমার জনৈক বন্ধু। বহুকাল ধরে আমরা প্ল্যান করে আসছি লন্ডন শহরের কোন এক সুঁড়িখানায় হানা দিয়ে মদ্যপ হব। সেই কবে যৌবনের ঊষালগ্নে যবে আমার বন্ধুটি হৃদয়ঘটিত ব্যাপারে ধরাটরা খেয়ে হৃদ রোগাক্রান্ত হয়েছিল সেই ক্ষণে তার একান্ত সহযোগী হিসাবে আমিও এক ছিপি মেরেছিলাম। অনুভূতি কাহাতব্য নহে। মনে হল জ্বলন্ত দেশালই বাক্স গলধকরণ করেছি। বন্ধুটির অবস্থাও তথৈবচ। কিন্তু প্রেমিকা হারানোর শোকের চেয়ে অতগুলি টাকা হারানোর শোক অধিকতর হওয়ায় নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও সে বোতলখানা নিঃশেষ করার পণ করল। তার পরের ইতিহাস আমরা আর না বলি। সেই ভয়াবহ শোকের ইতিহাস শরৎ বাবুর পিতামহও লিখে প্রকাশ করতে পারবেন না। তবে তারপর আর ও মুখো হইনি।
প্রকৃতি প্রেম
একদিন নিউইয়র্ক টাইমস এ একটা খবর চোখ আটকে গেলো। একটু ব্যতিক্রমধর্মী মনে হয়াতে
খবরটা ভাল করে পড়লাম।এটা মনে হয় ১৯৯৪/৯৫ সনের সামারের কথা। খবরটা ছিল এমনঃ
" গাছের কাছে যুবকের ক্ষমা প্রার্থনা"
ম্যানহাটানের সেন্ট্রাল পার্কে এক যুবক বাইক চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে গাছের সাথে তার বাইক্ টা চেইন দিয়ে বেঁধে পাশের বেঞ্চে ঘুমাচ্ছিল। পার্ক পুলিশ এসে যুবক কে ডেকে তুলে জিজ্ঞেস করল যে বাইক টা তার কিনা, জবাবে যুবক হ্যাঁ সুচক মাথা নাড়লে পুলিশ তাকে হাতকড়া পড়িয়ে পার্ক প্রিসেন্টে নিয়ে যায়। এই দেশে গাছ পালা পশু পাখির ব্যাপারে মানুষের সহানুভুতি এবং আইনের প্রয়োগ খুব কঠিন।
যুবক তার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে পার্ক কমিশনারের কাছে আবেদন করে।পার্ক কমিশনার ছিল তখন এক প্রকৃতি প্রেমিক রসিক আর কট্টর ইহুদি বুড়ো।বুড়ো সেই যুবক কে পার্কের সেই গাছের কাছে নিয়ে গেলো, তারপর সবার উপস্থিতিতে গাছকে জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চাইতে বললো।
যুবক তাই করলো এবং পরবর্তি ৬ সপ্তাহ অই যুবক্ কে স্বেচ্ছায় পার্ক পরিচর্যার জন্য সময় ব্যয় করতে হল।তারপর তার আইনের বেড়াজাল থেকে নিস্কৃতি মিললো।
মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কিছু কথা
মাদ্রাসা শব্দটি আরবী درس (দরস) থেকে এসেছে। درس মানে হল পাঠ। আর মাদ্রাসা মানে হল যেখানে পড়ানো হয় বা বিদ্যালয়।আমাদের দেশে কয়েক ধরনের মাদ্রাসা আছে। প্রথমে একে একে এই মাদ্রাসাগুলোর পরিচয় দেই-
নূরানী/তালিমুল কুরআন/ফোরকানীয়া মাদ্রাসা:
নাম ভিন্ন হলেও এ মাদ্রাসাগুলোর কাজ একই। কুরআন শরীফ শুদ্ধ করে পড়ানো।আধুনিক পদ্ধতিতে শুদ্ধভাবে কুরআন শেখানোর জন্য এ মাদ্রাসাগুলো কাজ করে যাচ্ছে। তাজবীদ (কুরআন শেখার জন্য সহীহ উপায় সমূহ এই বইতে লেখা থাকে) সহকারে এখানে কুরআন শেখানো হয়। প্রতিটি হরফের মাখরাজ (উচ্চারণ স্থান), মদ (কোন জায়গায় টেনে পড়তে হবে, কতটুকু টেনে পড়তে হবে), এদগাম, ক্বলব, এজহার, গুন্নাহ (উচ্চারণের ধরণ সম্পর্কিত বিভিন্ন টার্ম) প্রভৃতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা সহকারে এখানে কুরআন শেখানো হয়।এই মাদ্রাসাগুলো মূলত ছোটদের জন্য তবে বয়স্ক কেউ শুদ্ধ করে কুরআন পড়ার জন্য তালীমুল কুরআন বা ফোরকানীয়া মাদ্রাসায় যেতে পারে।
হাফেজী মাদ্রাসা
মানুষ ও অন্যান্য
এদেশে বসবাস করে
মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা, সংখ্যালঘু আর উপজাতি।
মানুষের সংখ্যা বাড়ছে
বাকিদের সংখ্যা দ্রুত হারে কমছে, মূল্য হ্রাস প্রোডাক্টের মত।
জনশক্তি বাড়ার কারণে
বড় বড় লেকচারার ও সচেতন লোকের পরিমাণ বাড়ছে।
শক্তি পরিমাপের বিষয়
শক্তির প্রমাণ দেখাতে মল্লযুদ্ধের ব্যবস্থা করা হয় ঘোষণা দিয়ে।
শরীরে রক্ত টগবগ
হাত নিশপিশ, কসরত হয় ছুড়িকাচির ব্যবহারে।
গাছপালা কমে গেছে
ইদানিং তাই গাড়িঘোড়া পোড়ানো হয়, এমনকি মানুষও।
লাঠির জোর পরীক্ষায়
মাটির তৈরি সংখ্যালঘু এক ঘায়ে ভাংতে হবে, নইলে ফেল।
মূর্তি ভাঙার কারণ আছে-
এমনিতেই সংখ্যালঘু কমে গেছে, শরীরের তাগোদ কম
যদি এক ঘায়ে অক্কা যায়,
বাকিদের তাদের চিড়িয়াখানায় পুষতে হবে, খরচ বাড়বে।
সার্কাস খুব মজার
গুটি কয়েক মানুষ জ্বালাও পোড়াও করে বাকিরা সার্কাস দেখে।
ছাগল একটি জনপ্রিয় ক্যরেক্টার
না না পশু হতে যাবে কেন? এরা মানুষ দুই পায়ে খাড়ায়
ম্যা ম্যা করে ল্যাদায়;
কাগজের ডকুমেন্টে প্রমাণ নেই, মোবাইলের ভিডিও লাগবে।
এক প্রকার অনুভুতি আছে
যা কেবল মানুষের থাকবে অন্য করো থাকা কবিরা গুণা।
ধর্মগ্যালভানাইজড চশমা আছে
এনাএনাদ্দার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
ভুমিকাটাঃ-
আইচ্ছা, পিরে আসার্পর আবার্ফের চৈলাগেস্লাম। শাবাগে ডাক দিসিলো যেডি এরাইতে পারিনাই। হাজার্হৌক, দেশের্ডাক এরানি যায়না। পৈলা পৈলা পতিদিং গেসি, এক্সপ্তা পরেত্থে যাউয়া কোমাইয়া দিসি। প্যাটের্ধান্দায় থাক্তে হৈলে এট্টুহিসাব কর্তেই হৈ। যাউজ্ঞা এলা, যা কৈতেসিলাম- শাবাগের আন্দুলুন আমার্ভিত্রে জোশাইনা দিসিলো। কিন্তুক রিসেং কামকার্বারে হাল্কিশ ঝাস্পা হৈয়া যাইতেচি আর্কি। অবৈশ্য আমার্ঝাস্পা হোউয়ায় আস্লে কিছু যায়াসে না। ত্য হাচা কৈতেছি বেলুঙ্গের কতা হুনলেই কেরাম কন্ডম কন্ডম চিন্তা মাতায় হান্দায় যায়, কিকর্মু? মনৈ পাপ। আমি হ্লায় সুবিদাবাদির *ট, হেল্লিগা আমার্কতায় কান্দিয়েন্না। পোলাপাইনে কস্ট কর্তেছে অবৈশ্যৈ সফল হৈবো। যত দুয়া কালামজানি পর্তেছি সবার্সাফল্যের লাইগ্যা।
আইজারা আবার্ফের হাজির্হৈসি আরেআরেক্কান প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য হাতেরাঙ্গুলের ডঘায় লৈয়া। আপ্নেগোর খিদ্মতে প্যাশকর্তেচি এইবেলা
এনাএনাদ্দার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
আম্রার পুতলা আম্রারে কয় মেও
তুম্রার পুতলা কেম্মে চুম্মা দেও
তুমার চৌক্ষে যকন রাকি চৌক্ষ
পাংখা মেইল্ল্যা উইরা যায়গা দুক্ষ
কামনারে রাখিসনে বেঁধে
মানুষের ঘরে ঢুকে ছিল এক চোর ,চোরটি এসেছিল ভিক্ষার ঝুলি হাতে, সেই ঝুলিতে কি জানি ছিল-কিছুতেই পূর্ণ হয় না, মানুষ দিতে থাকে কিন্তু পূর্ণ হয়না, একদিন যখন মানুষটির সম্পদ আর বাকি থাকল না। শেষ সেই পরিনতি তার বিবেক,বুদ্ধি,সততা,নিষ্ঠা, সবি তাকেই দিতে হল।।
আমাদের মনে যে কামনা নামের চোরটি বসবাস করে তার অভিসন্ধি কেউ বুঝতে পারিনা। যদি তার অভিসন্ধি বুঝা যেত তবে কেউ রাজনীতি করত না।।