মীর'এর ব্লগ
গল্প: ঢাকা শহরে যেটা একটা স্বাভাবিক ঘটনা
১.
ঢাকায় আসার পর প্রথম কয়েকমাসের কথা সানি কোনোদিন ভুলবে বলে মনে হয় না। উচ্চ মাধ্যমিক শেষের আগে থেকেই জানতো তারা পরীক্ষার পরই চলে যাচ্ছে ছোট্ট মফস্বল শহর ছেড়ে। বাবার বদলী হয়ে গিয়েছিল আগেই। শুধু ওর পরীক্ষার জন্যই ছোট বোনকে নিয়ে মা রয়ে গিয়েছিলেন সেখানে। বাবা আগেই ঢাকায় গিয়ে বাসা সাজিয়ে রেখেছিলেন।
অসমাপ্ত বাস্তবতা... ৯
১.
শেষ লেখাটায় যদিও উল্লেখ করেছিলাম রোহিংগা ইস্যু নিয়ে চারিদিকে ডামাডোল দেখা দেয়ার সম্ভাবনা নেই- কিন্তু কথাটা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। দেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীর মধ্যে সাড়া জাগিয়ে তুলেছে রোহিংগা ইস্যু। সবাই নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করছেন এই ইস্যুতে। কেউ কেউ সংবিধানের দোহাই দিয়ে সাজাচ্ছেন নিজের যুক্তি। কেউবা টেনে আনছেন একাত্তরে ভারতের সীমান্ত খুলে দেয়ার উদাহরণ। কেউবা বলছেন বাংলাদেশের নিজের সমস্যারই তো কোনো সমাধান নেই, অন্যের সমস্যা সমাধান করবে কিভাবে? মোট কথা রোহিংগা ইস্যুতে ফেসবুক পৃথিবীর বাংলাদেশি জাতি এখন পরিস্কার দুই ভাগে বিভক্ত।
অসমাপ্ত বাস্তবতা... ৮
দেশে অবশেষে ষোড়শ সংশোধনী, নায়করাজ ইত্যাদি ইস্যূর দাপট খানিকটা কমেছে। এখন একটা প্রায় ইস্যূহীন সময়। মিয়ানমার সীমান্তে খানিক গন্ডগোলের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। যদিও বড় কিছু হয়ে দাঁড়ানোর মতো বলে মনে হচ্ছে না। আর পাহাড়ের ওইদিকে কি হচ্ছে তা নিয়ে ওয়েস্টেরোসের রাজা-রাণীরা খুব চিন্তিত বলেও মনে হয় না। এই সময়টাকে তাই গান, গল্প, কবিতা, বই কিংবা সিনেমার সাথে কাটানোর মতো খানিকটা সময় হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।
সামনেই কোরবানীর ঈদ। পশু কোরবানীর মাধ্যমে রূপকার্থে স্রষ্টার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা-ভক্তি ইত্যাদি প্রদর্শনের ঈদ। এর আগ পর্যন্ত মনে হয় না কেউ আর নতুন কোনো ইস্যূ চায়। অস্ট্রেলিয়ার সাথে টেস্ট ম্যাচ দেখতে দেখতে ঈদটা এসে পরলেই ভাল। কে আর সেধে সেধে গ্যাঞ্জাম আর স্ট্রেসফুল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে চায়?
অসমাপ্ত বাস্তবতা... ৭
মুড়ি আর চানাচুর খেয়েছি গতকাল। তিন বছর পর। শিশির নামের এক ছোটভাই নিয়ে এসেছিল দেশ থেকে। আমাদের দেশে যেভাবে ছোটভাই-বড়ভাই ইত্যাদি নিয়ম-নীতি মেনে চলা হয়, এখানে সেরকম না। সবাই মূলত সবাইকে নাম ধরে ডাকে। প্রফেসর, ডক্টর ইত্যাদি উপাধিধারীদেরকে যদিও নামের শেষ অংশের আগে উপাধি যোগ করে ডাকা হয়। আত্মীয়দেরকে সম্পর্ক উল্লেখপূর্বক নাম ধরে ডাকাটাও মোটামুটি সচল, যেমন আন্ট মারি বা আঙ্কেল টম, তবে ওইটুকুই। শ্বশুড়-শ্বাশুড়িকে কিন্তু সবাই এখানে সরাসরি নাম ধরে সম্বোধন করে। তবে নামের প্রথম অংশ ধরে না, শেষ অংশ ধরে। এই যেমন বন্ধু রবার্টের হবু শ্বশুড়ের নাম মিস্টার শাইড। সে উনাকে ডাকেও মিস্টার শাইড বলে। আর রবার্টের বাবার নাম মিস্টার আনটিশ, ওর বান্ধবী প্রিসকা উনাকে ডাকে শুধু আনটিশ বলে। জার্মানরা মিস্টার, মিস ইত্যাদি সম্বোধনেরও তোয়াক্কা করে না। আমি ভাবি যদি আমাদের দেশে কোনো মেয়ে তার হবু শ্বশুড়কে নাম ধরে ডাকে কিংবা বর্তমান
নায়করাজের মৃত্যু আর বানের জলে চার শিশুর ভেসে যাওয়ায় বিভিন্ন মাধ্যমে সৃষ্ট শোকের তুলনায় পাওয়া উপলব্ধি
নায়করাজ রাজ্জাক মরে গেছেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। দেশে প্রতিদিন অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। কেউ বা সড়ক দুর্ঘটনা, কেউ নৃশংসতার শিকার হয়ে, কেউ বন্যায়, কেউ বেখেয়ালে- মরছেই। মৃত্যু খুব স্বাভাবিক ঘটনা আমার প্রিয় স্বদেশভূমে। বরং নায়করাজ্জ রাজ্জাকের মতো বার্ধক্যে পৌঁছে যেকোন মাত্রার একটা চিকিৎসা পাওয়ার মতো সৌভাগ্য বিরল অনেকাংশে। সে তুলনায় নায়করাজের অন্তিমযাত্রাও নায়কোচিতই হয়েছে বলা যায়। পত্র-পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ আর এ যুগের সবচেয়ে দ্রুতগতির সংবাদ ছড়ানোর মাধ্যম ফেসবুকে তাঁকে নিয়ে অসংখ্য স্তাবক রচিত হয়েছে। মানুষ বড় দুঃখে পড়ে গেছে নায়করাজ রাজ্জাকের প্রস্থানে। যেন জগতের সকল সূত্রকে কাঁচকলা দেখিয়ে তিনি চিরকাল বেঁচে থাকলে ভাল হতো। তারচেয়ে বরং সোনাভানের চার সন্তান ভেসে গেছে বানের জলে, আরও চার সন্তান ভেসে যেতে পারতো। সোনাভানের আর সন্তান না থাকুক, অন্যদের যাদের সন্তানেরা এখনও বানের জলে ভেসে
কবিতা: সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ইদানীংকার
সময় ফুরিয়ে আসছে দ্রুত। আজকাল প্রায়ই রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায় অকারণে। বসে বসে ভাবি- কেমনে কি? আর মাত্র ১১ সপ্তাহ। এর মধ্যে পুরো একটা থিসিস পেপার লিখে জমা দিতে হবে। চাকুরীও একটা খুঁজে বের করতে হবে। এই রকম দুইটা চাপ মাথায় থাকলে, দিশাহারা অবস্থা কাকে বলে বুঝতে আর কিছু লাগে না। অথচ আমার আরও অনেক ছোট-খাটো কাহিনী আছে। ভাগ্যটা ভাল যে বড় কাহিনী ওই দুইটাই। আরেকটা কাহিনী ঘটতে যাচ্ছিল। বিশাল ভাগ্য নিয়ে এসেছিলাম পৃথিবীতে বলেই কিনা হয়তো, খাদের কিনারা থেকে ফিরে এসেছি। তবে শিক্ষাটা ভালই হয়েছে। অনিরাপদ যৌনতার মধ্যে আমি আর নেই। নেই তো নেই-ই, একদম নেই।
অসমাপ্ত বাস্তবতা... ৬
গেল মাসের শেষ দুই সপ্তাহে সামার জব করতে গিয়েছিলাম একটা বিয়ার ফ্যাক্টরীতে। ইলমিনাউয়ের লোকাল বিয়ার, নাম ইয়েকলাইন (Jäcklein)। বাসা থেকে ১৫ মিনিট সাইকেল চালিয়ে গেলেই ফ্যাক্টরী।
প্রতিদিন সকাল পৌনে আটটায় ফ্যাক্টরীতে গিয়ে পৌঁছুতে হতো। তারপর সবার সাথে বসে এককাপ কফি, পান করলে করলাম- না করলে নাই, কিন্তু বসতে হবে অবশ্যই। সবাই একসাথে বসে হাসি-ঠাট্টায় ঘুমটা হালকা করে নিয়ে, আটটা থেকে কাজ শুরু। জার্মানদের সম্পর্কে অনেক স্টেরিওটাইপই চালু আছে পৃথিবীজুড়ে। আমি নিজে দেশে থাকতে একাধিকবার শুনেছি ওরা নাকি পানির বদলে বিয়ার খায়। শুনে শুনে হয়তো বিশ্বাসও করেছিলাম খানিকটা। অথচ এখানে এসে শুনলাম, জার্মান ভাষায় প্রবাদ চালু আছে- কাইন বিয়ার ফর ফিয়ার। মানে হলো, বেলা চারটার আগে কোনো বিয়ার নয়।
অসমাপ্ত বাস্তবতা... ৫
একটা বই লিখার ইচ্ছা আমার বহুদিনের। নিজের ভাষায় কিংবা বিদেশি ভাষায়- যেটাতে হয় সেটাতেই। শুরু করি করি করে করা হচ্ছে না। শুরু করে ফেলে রাখার চাইতে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে শুরু করা ভাল, নাকি আগে শুরুটা করে পরে দেখা ভালো যে লেখা হয় কি হয় না? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি এখন।
তুমি রবে নীরবে
দেশের খবর দেশে থাকতেও পত্রিকা আর টিভিতেই বেশি পেতাম, এখনও তাই। বিশ্বজিত হত্যামামলার রায় দিয়েছে উচ্চ আদালত। দুইজন বাদে কারোই মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয় নি। রায়টা সম্ভবত দেশবাসীর যেকোন মাত্রার একটা সরলীকৃত প্রত্যাশার বাইরে গেছে। যে কারণে ফেসবুক খুব গরম। যদিও ইদানীং বিশ্বব্যপী মৃত্যুদণ্ডকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে, এবং উন্নত দেশগুলোতে তা সুফলদায়ক হিসেবে প্রমাণও রাখছে, তবুও বলবো আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বিশ্বজিত হত্যামামলার রায় আরও কঠোর হওয়া দরকার ছিল। তাছাড়া দুর্নীতির চোরাপথ ধরে ক্ষমতা বা বিত্তশালীদের তো জেল থেকে বের হয়ে আসার সুযোগ হরহামেশাই থাকে। বিচারের রায় যখন এমনিতেই ভঙ্গুর, সেখানে বিচারও যদি হয় এমন; তাহলে সেটাকে অপরাধীরা কিভাবে নেবে তা বুঝতে অপরাধবিজ্ঞানী হতে হয় না।
অসমাপ্ত বাস্তবতা... ৪
খেয়াল করে দেখেছি, যখন আমি কোনো বিষয়ে সত্য মতামত প্রকাশ করি, হোক না সেটা অতিতুচ্ছ; কেবল তখনই আমি সেটাকে পছন্দ করি। যেমন কেউ যদি জিজ্ঞেস করে 'কেমন আছো?'; আমি উত্তরটা দেয়ার আগে ভাবার চেষ্টা করি, আসলে কেমন আছি। ভাল থাকলেই কেবল 'ভাল' বলে ভাল বোধ করি। ভাল না থাকলে 'ভাল' বলি না। এমনকি যদি জানিও, যে জিজ্ঞেস করেছে, তার কাছে আমার ভাল থাকা না থাকার গুরুত্ব খুব বেশি না; তারপরও নিজের জন্য আমি সৎ থাকি।
অসমাপ্ত বাস্তবতা... ৩
১.
'যদিও হারিয়ে গিয়েছি এইতো জরুরি খবর' লিখার জন্য কয়দিন ধরে সময় বের করার চেষ্টা করছলাম কিন্তু হয়ে উঠছিল না। কেন সেটা বলবো, তবে তার আগে একটা চিন্তা শেয়ার করে নিই। ইদানীং এই সিরিজের শিরোনামটা নিয়ে দ্বিধায় ভুগছি।
শুরুতে ভেবেছিলাম 'হারিয়ে গিয়েছি এই তো জরুরি খবর' কথাটা এই লেখাগুলোর মেজাজের সাথে সবচেয়ে ভাল যায়। তবে শিল্পী অর্ণবের গানের কথা এটা। যতোই যুৎসই হোক, এটাকে নিয়ে বেশি দূর অগ্রসর হওয়া সম্ভব না। কেননা এটা আমার নিজের আবিস্কার না। আরেকজনের আবিস্কারের উপর নিজের চিন্তা-ভাবনা আরোপ করা। শিল্পী অর্ণবের ভক্ত আমি চিরকালই। অসংখ্য ধন্যবাদ তাকে তার সৃষ্টিশীলতা আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
কিন্তু এই পর্ব থেকে সিরিজটার নাম পাল্টে "অসমাপ্ত বাস্তবতা" রাখছি। ধার করা নাম নিয়ে চলাফেরা আর না।
২.
অসমাপ্ত বাস্তবতা... ২
-অ্যাই গাধা, আমি তোকে ভালবাসি, বুঝলি?
-উমম, আই লাভ ইউ ঠু।
-আই লাভ ইউ থ্রি।
-আই লাভ ইউ প্লাস ওয়ান। তুই যে সংখ্যাই বসাবি তার সাথে প্লাস ওয়ান।
-আই লাভ ইউ প্লাস ওয়ান টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি।
-যার মানে হলো শুধু আই লাভ ইউ। হাহাহা।
এটা ছিল আমার সবচেয়ে প্রিয় দ্বন্দের বিষয়। কে কাকে বেশি ভালবাসে? বছরের পর বছর ধরে আমরা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছিলাম। আজকাল কতো উদ্ভট আজগুবি প্রশ্নের উত্তর খুঁজি। যেমন; কাক না জোঁক- কে বেশি স্টুপিড, শহরের অধিবাসীদের মধ্যে কার চেহারা ভাল আর কার চেহারা আগলি, কেন সবাইকেই সুন্দর বলে ঘোষণা দেয়া হবে না ইত্যাদি। কিন্তু ওই প্রশ্নটার মতো আর কোনো প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয় না।
অসমাপ্ত বাস্তবতা... ১
কিছু লিখতে পারছি না কেন? এমন কি জীবন যাপন করছি যেটা লিখে রাখতে বাধা আসছে? নাকি উপস্থাপনা কেমন হবে ভেবে ভেবে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ছি? এ দু'টো সমস্যার কোনোটাই তো আগে ছিল না! এখন কি হলো? ওকে পয়েন্ট ধরে ধরে আগানো যাক। অন্তত বের করা যাবে সমস্যা আসলেই কিছু আছে কিনা। নাকি আলসেমী, নাকি জড়তা, নাকি কিছুই না জাস্ট নিরাশার জালে বন্দি হয়ে পড়া- কোনটা ঘটছে?
প্রথম পয়েন্ট, থিসিস নিবন্ধন করা হয়ে গেছে। দীর্ঘ তিন মাসের ইমেইল চালাচালির পর অবশেষে আমার দ্বারা কাজটা করা সম্ভব হইলো! এবং এর মধ্যে যথারীতি থিসিসের আইডিয়াও বহুবার পরিবর্তিত হয়েছে। শেষতক যে থিম নিয়ে কাজটাকে নিবন্ধন করানো হয়েছে তা হচ্ছে- গতানুগতিক সকল প্রকার শিক্ষা কার্যক্রমে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মতামত।
ন্তমনে নীর
সান্তনু বিশ্বাস ছেলে হিসেবে খুব সাধাসিদা টাইপের। সামাজিকতার মানদন্ডে বিচার করলে সে নিজের পরিমণ্ডলের বাইরে খানিকটা অন্তর্মুখী। কাজের ক্ষেত্রে বিবেচনাপরায়ণ, স্বেচ্ছাশ্রমী। অফিসে সবার আগে যেতে না পারার জন্য সৃষ্ট অন্তর্দহন তাকে প্রতিদিন ছুটির পর আরও দু'ঘন্টা চেয়ারে আটকে রাখে। প্রয়োজন পড়লে সেই দুই ঘন্টা বেড়ে চার ঘন্টায় দাঁড়ায়। তবু সে কখনও অফিসের কাজে গড়িমসি দেখায় না। অনেকে আছে যারা ওর মতো সিরিয়াসলি অফিসটাকে নিতে পারে না কিংবা নেয় না। কিন্তু সেসব লোকদের অন্যত্র উপযোগ আছে। অনেকের আবার বাজারে 'কুল' হিসেবে সুনাম আছে। শুধু কুল হওয়ার কারণে তাদের জীবনের অনেক কাঠিন্য তরল হয়ে গেছে। সান্তনুর ওরকম বিশেষত্বগুলোর কোনোটিই নেই। জীবনের সরল অংকটাকে নিয়ে সেই যে ছোটবেলায় একবার বসেছিল, তারপর শিশু সান্তনু মধ্যজীবনে প্রবেশ করেছে; অথচ অংকটা কি এখনও কোথাও মিলেছে কিনা সে জানে না।
ইস্তান্বুলের গল্পের ভূমিকার ভূমিকা
দিনের বেলা ঘুমিয়ে কাদা হয়েছিলাম। এখন উঠে মন খারাপ লাগছে। জানি রাতে ঘুমানোটা কঠিন হয়ে গেল ভীষণ। কিন্তু কি আর করা। ঘুমানোর সময় ভেবেছিলাম খুব বেশি হলে আধা ঘন্টা ঘুমানো যাবে। ওমা পাক্কা আড়াই ঘন্টা পর চোখ খুলেছি। মাঝখানে তো ঘুমের মধ্যেই মনে হচ্ছিল ঘড়ির কাঁটা রাত আর দিন পেরিয়ে চলছে অজানা গন্তব্যের পানে।
সাগরের তীরে যতোবার বেড়াতে গিয়েছি, ততোবারই আমার কি যেন হয়েছে। মনে হয়েছে মাত্রই তো কয়েকদিনের জন্য এখানে আসা। এই আসার কি কোনো অর্থ আছে? এসব ভেবে ভেবে মন খারাপই থাকতো বেশি। বহু চেয়েও কখনও উপভোগ করতে পারি নি। অথচ সাগরপাড়ের বাতাস যদি মুঠোবন্দি করে এনে আমার সামনে কেউ ছেড়ে দেয়, আমি বলে দিতে পারবো সেটা সাগরপাড়ের বাতাস। জানি আর না জানি, সাগরের কাছাকাছি গেলেই আমি টের পেতে শুরু করি।